রোজা আমাদের উপর ফরজ করা হয়েছে কেন ? রোজার উপকারিতা কি কি? ----Al Hadi

  

রোজার উপকারিতা,রোজা রাখলে আমাদের স্বাস্থ্যের কি কি উপকার হয়,রোজা আমাদের উপর ফরজ করা হয়েছে কেন,রোজা রাখার উপকারিতা,alhadi hb,alhadi99,কালের কন্ঠ,diha


মাহে রমজান এটি এমন বরকত পূর্ণ মাস যেখানে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা নিজের বান্দার ওপরে রোজা ফরজ করেছেন. রোজা একটি এমন ইবাদত, যাহার শারীরিক উপকারিতা এবং স্বভাব দই আছে. একদিকে যেমন রমজানের আমাদেরকে গুনাহ থেকে পবিত্র করে তোলে আবার দ্বিতীয় দিকে এর আমাদের শরীরেরও খুবই লাভ হয়, এই উপকারিতা এতটাই বেশি যে যাহার অনুমান লাগানো একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে খুবই অসম্ভব.  যদি আমার উম্মত রমজানের সঠিক জানতে পারতো তাহলে আমার উম্মত এটা তামান্ন করতো যে আই আল্লাহ যদি সমস্ত বছরে রমজান হতো তাহলে সারা বছর রোজা রাখতাম। 


 ইসলামিক এমন পরিপূর্ণ মোকামমাল দিন যেখানে এবাদতের সাথে সাথে শারীরিক এবং য়িক উপকারিতাও রয়েছে.আজ আলোচনা করব রমজানকে নিয়ে রিসার্চ করার পর সেই সিদ্ধান্তগুলোর সম্বন্ধে জানবো যেগুলির সম্বন্ধে খুব কম মানুষও জ্ঞাত আছেন. একটি research এর মতে যে মানুষগুলো রমজানের তিরিশটি রোজার ইবাদত করে থাকেন সেই সমস্ত মানুষদের ক্যান্সারের মতো বৃহত্তর রোগ heart attack এবং মস্তিষ্কের রো হার বিপদের সংখ্যা খুবই কমে যায়. প্রিয় দোষ এই সমস্ত দুনিয়ার মানুষ তখনই অবাক হয়ে গিয়েছিল যখন জাপানের একজন বিখ্যাত বিজ্ঞানী ডক্টর ইউসোনারি ওসামীকে দুহাজার ষোলোতে মেডিকেলে নোবেল প্রাইজ দেওয়া হয়েছে।

 আর নোবেল prize ও তাহাকে এই জন্যই দেওয়া হয়েছিল কেননা সে এই কথাটির সন্ধান করেছিল যে কেমন ভাবে আমাদের শরীর অকার্যকর এবং ফালতু রোগ সৃষ্টি করা জীবাণু এবং কোচদেরকে নিজে নিজেই খেয়ে ফেলতে পারে. আর যে প্রক্রিয়াটি তিনি অটো ফ্যাগের নাম দিয়েছিলেন. সেই জাপানি ডাক্তার ইউসনারি অসমে নিজের রিসার্চে বলেছেন যে অটোফিকের এই প্রসেস তখনো শুরু হয় যখন একজন ব্যক্তি বারো থেকে চোদ্দ ঘণ্টা প্রতিনিয়ত ক্ষুধার্ত থাকে. কেননা শরীরে যখন ক্ষুধার্থ থাকে তখন সেই ক্ষুধার্ত শরীর তাহার প্রয়োজনীয় চাহিদা কে মেটাতে বা শক্তি উপার্জন করার জন্য সেই সমস্ত কোষগুলোকে খেতে শুরু করে দেয় যে সমস্ত কোষগুলোর কাছ থেকে আমাদের শরীরের ভিতরে নানান ধরনের রো সৃষ্টি হয়ে থাকে. ডক্টর ইউসনারি ওসামীর মতে যখন আর শরীর ক্ষুধার্ত থাকে তখন সেই ক্ষুদার্থের তাড়নার কারণে আপনার শরীরে উপস্থিত থাকা বিষাক্ত জীবাণু এবং বিস্ানু গুলো নিজে নিজেই নষ্ট হয়ে যায়. তিনি আরো জানান যে, আপনার শরীরে উপস্থিত থাকা সিলস গুলো ক্যান্সারের মতো বৃহত্তর রোগের কারণে দুর্বল এবং ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়ে. আর এমন অবস্থায় যখন আপনি ক্ষুধার্থ থাকেন, তখন ক্ষুদার্থ তাহার চাহিদা পূরণের জন্য, আপনার শরীরের ভিতরে উপস্থিত এই সমস্ত কমজোরি দুর্বল এবং ক্ষতবিক্ষত sales গুলোকে খেয়ে ফেলে. 

আর তাহার পরিবর্তে নতুন sales আপনার শরীরে উৎপন্ন হয়ে যায়. আর যখন এই আমল আপনি প্রতিনিয়ত করতেই থাকেন, মানে প্রতিনিয়ত কয়েকদিন ক্ষুধার্থ তখন আপনার শরীরে উপস্থিত থাকা ক্যান্সারের মতো বড় বড় গভীর ওষুধ গুলো আস্তে আস্তে সমাপ্ত হয়ে যায়. ডক্টর ইউসোনারী ওসামীর সঙ্গে যখন মানুষজন জিজ্ঞেস করলো

ভাবে কতদিন পর্যন্ত ক্ষুধার্ত থাকা প্রয়োজন, তখন তিনি উত্তর করলেন যদি আপনি বছরে কুড়ি কিংবা পঁচিশ দিন ক্ষুধার্ত থাকেন, তাহলে আপনি ক্যান্সারের মতো কয়েকটি বড় বড় অসুখের কাজ থেকে সুরক্ষিত থাকবেন. আর যেমনটি আমরা সবাই জানি যে রমজান মাসের রোজা বারো থেকে চোদ্দ ঘন্টার ও হয়ে থাকে. আর এই বারো থেকে চোদ্দ ঘণ্টার মধ্যে না তো কিছু খাওয়া যায় আর রাতও কিছু পান করতে পারা যায়. 



আর যাহার মাধ্যমে আমাদের সমস্ত মুসলিমদের শরীরে auto ভ্যাগির এই প্রসেস সম্পূর্ণ একমাস ধরে চলতে থাকে আর যাহার ফলস্বরূপ এটি হয়ে থাকে যে বাকি এগারো মাস ধরে আমাদের শরীরে যে সমস্ত ছোট ছোট রোগ এবং বিষাক্ত জীবাণু সৃষ্টি হয়ে থাকে কিংবা ক্যান্সারের মতো বড় রোগ জন্ম নিতে চায় সমস্ত অসুখ হয়ে এই একমাস ক্ষুধার্ত থাকার কারণ নষ্ট হয়ে যায়. 

আর যে কারণে আমরা মুসলিমরা রমজান মাসের পর একটি সম্পূর্ণ নতুন শরীর পেয়ে থাকি. এটি এমন শরীর যেখানে মনে করুন কোন বড় ধরনের রোগ থাকার লক্ষ্যই করতে পারা যায় না. কিন্তু বন্ধু রা ইসলাম আজ থেকে চোদ্দোশো বছর আগেই প্রত্যেক মুসলিমের উপর তিরিশ দিনের রোজা ফরজ করেছে. 

কোরানের করিমের মধ্যে রোজা রাখার আদেশ ঠিক এইভাবে করেছেন যে, হে ঈমানদার গণ, তোমাদের প্রতি রোজা ফরজ করা হয়েছে যেমন তোমার আগের লোকেদের প্রতি ফরজ করা হয়েছিল. যাহাতে তোমরা মুত্তাকী হতে পারো. সুরা আল বাকারা আয়াত নাম্বার একশো তিরাশি.

 আর এরপর একশো চুরাশি আপনি রোজাকে কেমন ভাবে পালন করবেন সেটির সম্বন্ধে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে. হে আমার প্রিয় রব. আজ আমরা জানতে পারলাম যে মুমিনদের উপর কেন রোজাকে ফরজ করা হয়েছে? এর সঙ্গে সঙ্গে আজ আমরা এই হাদিস পাকের অর্থ জানতে ড়লাম যেখানে নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, প্রত্যেক জিনিসের জাকাত আছে. 

ঠিক তেমনই শরীরের জাকাত রোজা. আমি কুরবান হয়ে যাব, এমন সত্য দিনের উপর যেখানে এবাদ এর ভিতরে রোগের ঔষধ লুকিয়ে রয়েছে. বন্ধু রা আমাদের সেই রবের শুকরিয়া আদায় করার প্রয়োজন. যিনি আমাদের রমজানের মতো একটি বিশেষ বরকতপূর্ণ মাসকে উপহার দিয়েছেন. যাহার জন্য আজ মুসলিম হয়ে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। 

 সর্বশেষে আল্লাহ কাছে এমনটি দোয়া চায় যে, তিনি যেন আমাদের সকলকে মাহে রমজানের তিরিশটি রোজা পরিপূর্ণ ভাবে পালন করার তৌফিক দান করেন. আমিন. সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ। 


প্রিয় পাঠকগণ এখানে কোন ধরনের বানান ভুল ত্রুটি থাকলে সুন্দর ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন । সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন , পাশে থাকা কালো বেল আইকন এ ক্লিক allow button এ ক্লিক করে রাখতে পারেন । যাতে আমাদের প্রত্যেকটি পোস্ট আপলোড করার সাথে সাথে আপনি পেয়ে যান । সবাইকে ধন্যবাদ আল্লাহ হাফেজ

Post a Comment

0 Comments