রুবিক্স কিউব কি? রুবিক্স কিউবের উপকারিতা কী? ----Alhadi HB

১০ মিনিটে লেয়ার পদ্ধতিতে রুবিক্স কিউব সমাধান,রুবিক্স কিউব কোথায় পাওয়া যায়,রুবিক্স কিউব সমাধান করার সহজ উপায়,alhadi hb,nhd501,রুবিক্স কিউবের উপকারিতা



আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা কেমন আছেন আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন,  বন্ধুরা রুবিক কিউব নাম শোনেননি এমন ছেলে মেয়ের সংখ্যা খুবই কম. আমরা যখন আমাদের আশেপাশে দেখি যে কোন একটি ছেলে বা মেয়ে চট করেই রুবিক স্কিউব মিলেয়ে ফেলেছে. তখন তা দেখে অনেকেরই হিংসে হয়. কেন আমি পারি না. ও কিভাবে এত দ্রুত পাড়ল? এসব প্রশ্ন মনে করে অনেকে নিজেদের নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগেন. কিন্তু রবিক স্কিউবের ইতিহাস, এর জনপ্রিয়তা অর্জনের কারণ এবং এর আবিষ্কারক সম্পর্কে অনেকেই জানেন না. তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক . 

রুবিস কিউব সাধারণ ঘনক আকৃতি একটি বস্তু. এতে ছয়টি তল থাকে. আর প্রতিটি তল আবার নয়টি করে বর্গক্ষেত্রে ভাগ করা থাকে. এই বর্গগুলো ছয়টি ভিন্ন রঙে সাজানো থাকে. আর এই ক্ষুদ্র জিনিসটির কর্মকৌশল এমন যে এই ড়গক্ষেত্রটি তাদের আপেক্ষিক অবস্থান পরিবর্তন না করেই একত্রে ঘোরানো যায়. 

📌📌 আরো পড়ুন :মহান আল্লাহ তায়ালার সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে ধ্বংস হওয়া এক বাদশাহ এর কাহিনী।----Al Hadi hb


অসাধারণ এই জিনিসটি তৈরি করেছিলেন অ্যানো রবি. তিনি হাঙ্গিরির বংশোদ্ভূত, ভাস্কর ও স্থাপত্য বিদ্যার অধ্যাপক ছিলেন. আর রুবিস কিউব বানানোর ইতিহাসটা বেশ মজার. তিনি মূলত একজন অধ্যাপক ছিলেন ত্রিমাত্রিক ডিজাইনের প্রতি ছিল তার অদম্য আগ্রহ. Academy of applied art and craft এ তিনি একজন designer হিসেবে কর্মরত ছিলেন. 

শিক্ষকতা শাটাই তার অনেক পছন্দের. ক্লাসে শিক্ষার্থীদের কেও তিনি আগ্রহের বিষয়ে স্থাপত্য বিদ্যা নিয়ে পড়াতেন. সহজ করে কিভাবে শিক্ষার্থীদেরকে বিষয়টা ভালো করে বোঝানো যায়, তা নিয়েই সারাদিন তিনি ভাবতেন. সময়টা ছিল উনিশশো চুয়াত্তর সাল. 

এন্ড্রুবিক বয়স মাত্র ঊনত্রিশ. তিনি যে রুমে থাকতেন সেই রুমটা ছিল এলোমেলো. রুবিক বিভিন্ন আকারের জিনিস নিয়ে খেলতে পছন্দ করতেন. যেখানে থাকতেন সেখানে প্রায় টুকরো এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতো. একদিন খেলার বসেই কাঠের টুকরোগুলোকে আঠা দিয়ে জোড়া লাগানো. তারপর বিভিন্ন রঙের প্লাস্টিক আর elastic spring দিয়ে বানিয়ে ফেলেন অদ্ভুত এক জিনিস. অনেকটা অদ ছোট কাঠের ব্লগ গুলোকে এলোমেলোভাবে ঘোরাতে লাগলেন তিনি.


📌📌 আরো পড়ুন : পৃথিবীর আকৃতি কেমন ? পৃথিবীর আকৃতি সম্পর্কে  কোরআন ও বিজ্ঞান কি বলে ?

 কিছুক্ষণ পর ঘোরানোর পর যখন রং গুলো এলোমেলো হয়ে গেলো তখন দেখতে খুব ভালোই লাগছিল. কিন্তু ততক্ষণ পর্যন্ত রবিক বুঝতেই পারেননি যে তিনি কি বানিয়ে ফেলেছেন যতক্ষণ না তিনি এটাকে ঘোরাতে ঘুরাতে অনেকটা এলোমেলো করে ফেলেছিলেন. অবাক হয়ে তিনি লক্ষ্য করলেন এমন আর তিনটি রংকে মেলাতে পারছেন না. 



আরো মজার ব্যাপার হচ্ছে রবিকে কোনো ধারণাই ছিল না যে এটিকে কিভাবে সমাধান করবেন. তিনি মনে মনে সন্দেহ করতেন যে আসলেই কি এটা কি সমাধান করতে পারবে? কারণ গণিতের সম্ভাব্যতার সূত্র কাজে লাগিয়ে বলা যায় যে একটি three by three by ড়ি আকারের রুবিক স্কিউবে প্রায় forty three quarter ধরনের সম্ভাব্য configuration রয়েছে. 

📌📌আরো পড়ুন : মধুতে রয়েছে হাজার রোগের ঔষধ । মধু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা । ইসলামে মধু খাওয়ার নিয়ম । 

এখানে কতগুলো configuration থাকতে পারে আপনি নিজে একবার ধারণা করুন. এর মধ্যে মাত্র একটা configuration ই রুবেল stub এর সব তলের কলমগুলো মেলাবেন. ধরেই নিয়েছিলেন যে কেউ হয়তো এটি আর মেলাতে পারবে না. আর তার নিজের এই রুবিকটি সমাধান করতে প্রায় এক মাসের মতো সময় লেগেছিল. যাইহোক এই রুবিস কিউবের নাম কিন্তু প্রথমে রুবিসকিউব ছিল না. 

প্রথমে রবিকের নাম দিয়েছিলেন ম্যাজিকীয়. এমনকি আইডিয়াল টয়েস নামক কোম্পানি এর আগে কিছু নাম প্রস্তাব করেছিলেন যেমন গাইডিয়ান নর্থ, ইন্টাগোল্ড পরে অবশ্য রুবির স্কিউব ডাম্পটি নির্ধারণ করা হয়. এখন আমরা যে রবিক স্কিউব দেখি সেই রুভিক স্কিউব কিন্তু এত সহজে বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়নি. এর সেই রুগী স্কিউকে অনেক বাধা পেরিয়ে সফলতার এত দূর আসতে হয়েছে.

📌📌 আরো পড়ুন : ইমানদার হয়ে মারা যাওয়া পরও কীভাবে কাফের হলো? কাফের হয়ে মারা যাওয়ার পর আবার কীভাবে ইমানদার হলো? 

 উনিশশো চুয়াত্তর সালের রবিক স্কিউবের আইডিয়া অ্যান্ড্রোর মাথায় এল বাণিজ্যিকভাবে উনিশশো সাতাত্তর সালের দিকে তৈরি করা হয়. প্রথমে এটিকে হাঙ্গিরির গুদা পোষ্টে খেলনার দোকানগুলোতে বিক্রি করা হয়. এরপর পশ্চিমা বিশ্বে একে বাজারজাত করার জন্য আমেরিকার আইডিয়াল টয় কোম্পানির সাথে চুক্তি করা হয়. কিন্তু এটাকে জনপ্রিয় করা যায় কিভাবে? এই চিন্তা থেকেই অ্যানুরোগিকের বন্ধু ব্যবসায়ী টিবোর লাজি কে অনুমতি দিলেন এটি জার্মানি নুরেন বার্গের খেলনা নিয়ে যাওয়ার জন্য. 

সেখানে রবিকস্কিউবের ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে ফেলে. উনিশশো আশি সালের দিকে রুবিস কিউব জার্মানির গেম অফ দ্যা ইয়ার পদক লাভ করে. এই পুরস্কারটি দেওয়া হয় সাধারণত, সেসব খেলাকে যেসব খেলা রয়েছে সুন্দর concept নিয়ম আর ব্যতিক্রমী ডিজাইন, ধীরে ধীরে রুবিস কিউব ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করতে থাকে. কারণ এটি অনেকটা ধাঁধার মতো.

 আর বেশিরভাগ মানুষই এটি সহজে মেলাতে পারে না. রবিস্ক কি পরিমান জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল তা সহজেই বোঝা যায়. উনিশশো আশি সাল থেকে উনিশশো তিরাশি সাল. এই তিন বছরে প্রায় দুইশো million rubics টিও পুরো বিশ্বে বিক্রয়. বিভিন্ন বিখ্যাত পত্রিকা যেমন Scientific কেমি ওয়াশিংটন পোস্টের মতো ট্যাপ পত্রিকাগুলোতেও রবিক স্কিউব নিয়ে লেখালেখি হতে থাকে.

📌📌 আরো পড়ুন : পরীক্ষায় পাশ করার সর্বনিম্ন মার্ক 33 কেন? ঘড়ির কাঁটা সব সময় ডান দিকে ঘুরে কেন? 

 উনিশশো একাশি সালে যুক্তরাষ্ট্রের দশটি বেস্ট সেলার বইয়ের ভিতরে তিনটি বই রবিক স্কিউবনের লেখা. শুরু হয় রবিক স্কিউম সমাধান করার প্রতিযোগিতা. এমনকি Greenwich book of record এ নাম আসতে থাকে সেসব ছেলে মেয়েদের যারা দ্রুত এটি সমাধান করতে সক্ষম হয়. বিভিন্ন সংস্কৃতিতেও দেখা যায় এর অনুপ্রবেশ. 

উনিশশো আশি সাল থেকে বিভিন্ন ফিল্মে দেখানো হয় রুবির স্কিউবকে. অধিকাংশ ফিল্মেই যারা সেসব চরিত্র রুবিস্কুল সমাধান করতে পারে তাদেরকে বুদ্ধিমান হিসেবে দেখানো হয়. এতে সবার মনে একটি ধারণা জন্মে যায় রুবিক স্কিউব হাতে, যেকোনো সুপার চিনিয়াস. উনিশে মে দু হাজার চোদ্দ সালের রবিউল scree চল্লিশতম বার্ষিকীতে, গগুর একটি introductive যুগল তৈরি করে. 

রবিক স্কিউবের সেখানে ব্যাবহারকারীদের বিভিন্ন অংশ নাড়িয়ে, মোবাইল দিয়ে রুবিক স্কিউব বা সমাধান করতে পারবেন. এভাবে রবিকস্কিউ প্রায় অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের ওপর প্রভাব ফেলে চলছে. এখনো অনেক গবেষক বাচ্চাদেরকে খেলনা হিসেবে রবিক স্কিউট দিতে বাবা মাকে পরামর্শ দিয়ে থাকেন. 

📌📌 আরো পড়ুন : আল্লাহ তায়ালা একটি মশার মাধ্যমে নমরুদকে যেভাবে ধ্বংস করেছিল সত্য কাহিনী। 

কারণ রুবিস কিউব সমাধানের শিশুদের স্মৃতিশক্তি, ধৈর্যশক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে, এমনকি এটি বাচ্চাদেরকে প্রবলেম solving এর দক্ষতাও বাড়িয়ে দেয়. যা খুবই প্রয়োজনীয় বাচ্চাদের মেধাবিকাশের জন্য. তবে যেকোনো কিছুরই যেমন ভালো থাকে তেমনি খারাপ দিকও থাকতে পারে. 

কোন কিছুরই মাত্রা অতিরিক্ত ব্যবহার নিয়ে আসতে পারে কিছু ক্ষতিকর সম্ভাবনা. রবিস কিউব মাত্রা অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে হতে পারে রবিক্স রেস্ট কিউবিস ধাম সহ ক্ষতিকর কিছু শারীরিক সমস্যা যেখানে রুগীর হাতের কব্জি বা বৃদ্ধাঙ্গুলিতে দেখা যায় প্রচণ্ড রকমের ব্যথা. তাই মায়ের উচিৎ সন্তানদের এ বিষয়টি খেয়াল রাখা. সৃজনশীল মানসিকতা আর ডিজাইনের প্রতি, তাঁর অধীর ভালোলাগায় হয়তো আমাদেরকে এনে দিয়েছে আজকের এই রুবিক্স কিউব. 

তো বন্ধু রা তাহলে আজ এই পর্যন্তই সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন দোয়া করবেন এবং আমাদের পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করুন আল্লাহ হাফেজ 


Post a Comment

0 Comments