বিমান আকাশে উঠলে নিচ থেকে পৃথিবী সরে যায় না কেন ❓❓ পৃথিবী যদি ঘুরতে থাকে তাহলে আকাশে বিমান উঠার পর বিমানের নিচ থেকে পৃথিবী ঘুরে যায় না কেন ❓❓-------Alhadi HB

(📌📌Dear readers, for the convenience of your reading, we have uploaded an Post on our website in two languages. English & other languages 

প্রিয় পাঠকগণ আপনাদের পড়ার সুবিধার্থে আমাদের ওয়েবসাইটে আমরা একটি পোষ্ট বা আর্টিকেল দুটি ভাষায় আপলোড করে থাকি । ইংরজি & বাংলা)


আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ , প্রিয় পাঠকগণ কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন । আজ আমরা আলোচনা করব 




  আমরা জানি পৃথিবী নিজ অক্ষের উপর আবর্তন করে. পৃথিবীর এই গতিকে বলা হয় আনহিং গতি. আবার সূর্যকেও প্রদক্ষিণ করে পৃথিবী. পৃথিবীর এই গতিকে বলা হয় বার্ষিক গতি. আপনি কি জানেন পৃথিবী কত বেগে নিজ অক্ষের উপর আবর্তন করে?


 পৃথিবীর প্রতি ঘন্টায় নিজ অক্ষের উপর প্রায় ষোলশো সত্তর কিলোমিটার বেগে ঘুরছে. সেকেন্ডের হিসাবে যা প্রায় চারশো চৌষট্টি মিটার. এর অর্থ আপনি পৃথিবীর যেখানে অবস্থান করছেন সেই স্থানটি প্রতি সেকেন্ডে চারশো চৌষট্টি মিটার বেগে ঘুরছে. 


আপনার মনে কি কখনো প্রশ্ন এসেছে? পৃথিবী যদি সত্যিই এত বেগ ঘোরে তাহলে আমরা মাটিতে স্থির থাকি কি করে? বা বিমান যখন আকাশে উড়ে তখন নিচ থেকে পৃথিবী সরে যায় না কেন? পৃথিবী যে গতিতে ঘুরছে তাতে তো বিমান আকাশে উঠলে নিচ থেকে পৃথিবী সরে যাওয়ার কথা. কিন্তু এমনটি কেন হয় না?


 তাহলে কি পৃথিবী ঘোরে না? বিজ্ঞানীদের কথা মিথ্যা? 


 সকল রহস্য এখানেই. একটা গল্প শোনা যাক, একবার রাশিয়ায় একজন লোক দাবি করলেন, তিনি খুব সহজে ভ্রমণ করার একটি কৌশল বের করেছেন. দরকার হবে শুধু একটি বেলুন. ধরা যাক কেউ বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে যেতে চাইছেন. 


তাহলে বাংলাদেশ থেকে একটি বেলুনে চেপে উপরে উঠে যেতে হবে. এরই মধ্যে পৃথিবী ঘুরতে ঘুরতে বেলুনের নিচে ইউরোপ এসে যাবে. এখন নেমে পড়লেই হল. খুব সহজেই ভ্রমণ করা হয়ে যাবে. দীর্ঘ পথ ভ্রমণের জন্য বেমানের কোন প্রয়োজনই হবে না. 



কিন্তু রাশিয়ার লোকের এই গল্পটি বাস্তবে কাজ করে না. এর কারণ হলো আমরা যখন বেলুনে চেপে উপরে উঠবো তখন আমরা পৃথিবীর মহাকর্ষ ক্ষেত্রের মধ্যেই থাকবো. ঘুরতে থাকবো পৃথিবীর সাথেই এটা যদি না হতো তাহলে আমাদের কষ্ট করে বেলুনে চড়ার দরকার ছিল না. 



মাটি থেকে এক লাফ দিয়ে উপরে উঠে তিন সেকেন্ড পর নামলেই দেখা যেত এক কিলোমিটারের বেশি পশ্চিমে চলে গেছে. বাস্তবে আমরা প্লেনে যখন আকাশ পথে ভ্রমণ করতে থাকি তখনও আমরা পৃথিবীর সাথে সাথেই ঘুরতে থাকি. 


অর্থাৎ পৃথিবী যখন নিজ অক্ষের উপর ঘোরে তখন তার মহাকর্ষ বলয়ের মধ্যে সমস্ত কিছুকে নিয়েই ঘোরে. পৃথিবীর অভিকর্ষ বল এতটা শক্তিশালী যে আমরা এর থেকে অনেক উপরে উঠলেও এর অভিকর্ষিও টানের সীমানার মধ্যেই থেকে যাই. এই টানের কারণেই পৃথিবীতে বায়ুমণ্ডল আছে. আমাদের মাথার উপর যে বায়ুমণ্ডল সেটিও পৃথিবীর সাথে সাথে ঘুরছে.



 পৃথিবীর এই অভিকর্ষ বলের কারণেই আমরা মাটিতে স্থির থাকতে পারি. আর বিমান যখন আকাশে ওঠে তখন নিচ থেকে পৃথিবী সরে যায় না. 


📌তথ্যটি সবাইকে জানাতে সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করুন। প্রিয় পাঠকগণ এখানে কোন ধরনের বানান ভুল ত্রুটি থাকলে সুন্দর ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন । সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন , পাশে থাকা কালো বেল আইকন এ ক্লিক allow button এ ক্লিক করে রাখতে পারেন । 🙏🙏 অথবা follow বাটনে ক্লিক করে follow দিয়ে রাখেন , যাতে আমাদের প্রত্যেকটি পোস্ট আপলোড করার সাথে সাথে আপনি পেয়ে যান । সবাইকে ধন্যবাদ আল্লাহ হাফেজ 


Dear readers, if there is any kind of spelling mistake here, you will see it with beautiful forgiveness. Everyone will be fine and healthy, you can click on the black bell icon next to the allow button. 📌 Or click follow button and keep following, So that you get as soon as you upload each of our posts. Thank you all 

Post a Comment

0 Comments