রাসুল সাঃ কেন আমাদের কে পানিতে মাছি পরলে তা সম্পূর্ণ পানিতে ডুবিয়ে খেতে বলেছেন? ----Alhadi HB

 

কোরআন ও বিজ্ঞানের মিল,মাছি পানিতে পড়লে তা সম্পূর্ণ ভিজিয়ে খেতে বলছেন কেন,রাসুলুল্লাহ সাঃ এর ভবিষ্যৎ বাণী প্রমাণিত,alhadi hb,alhadi999,nhd501,sm nahid


আসসালাম ওয়ালাইকুম.কেমন আছেন বন্ধু রা, আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন,রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি সালাম বলেছেন, যদি তোমাদের কারো পাত্রে মাছি পতিত হয়, সেই উক্ত মাছিটিকে ডুবিয়ে দাও. কেননা তার এক ডানায় রয়েছে রোগ জীবাণু অপরটিতে রয়েছে য়ে রোগ নাশক ঔষধ. মহানবী হজরত মহম্মদ চোদ্দশ বছর আগে মাছি প্রসঙ্গে যে কথাটি বলেছিলেন তা আমাদের আধুনিক বিজ্ঞান আজ প্রমাণ করছে. আমরা কি কখনো ভাবতেও পারি উক্ত রোগ জীবানুর কথা.

 অথচ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  বলেছেন আজ থেকে চোদ্দোশো বছর আগে মাছির ডানায় রোগ জীবাণু রয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই. তাই যদি হয় তাহলে কিভাবে রোগ জীবাণু বহনকারী মাঝিকে ডুবিয়ে নেওয়ার আদেশ করেন এ বিষয়ে কিং আব্দুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ডক্টর ওয়াজি বায়শ্রী হাদিসটির আলোকে মাছি নিয়ে কয়েক য়েকটি পরীক্ষা চালান. জীবাণু মুক্তকরণ কিছু পাত্রের মধ্যে কয়েকটি মাছি ধরে নিয়ে জীবাণু মুক্ত test tube এর মধ্যে আবদ্ধ করে রাখেন. 

তারপর নলটি একটি পানির glass এ উপুর করেন. মাছিগুলো পা তে পতিত হওয়ার পর উক্ত পানি থেকে কয়েক ফোঁটা পানি নিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে পান সেই পানিতে অসংখ্য জীবাণু রয়েছে. তারপর জীবাণু মুক্ত একটি সুচ দিয়ে মাছিকে ওই পানিতে ডুব য়ে দেন. তারপর কয়েকফোঁটা পানি নিয়ে পরীক্ষা করে দেখেন সেই পানিতে আগের মতো আর জীবাণু নেই. বরং কম. তারপর আবার ডুবিয়ে দেন. তারপর কয়েকফোঁটা পানি নিয়ে আবার পরীক্ষা করেন. 

এভাবেই য়েকবার পরীক্ষা করে দেখতে পান যে, যতবার মাছিকে ডুবিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছেন ততবারই জীবাণু কমেছে. অর্থাৎ তিনি প্রমাণ পেলেন মাছির একটি ডানায় রোগ জীবাণু রয়েছে এবং অপরটিতে রোগ নাশক ওষুধ রয়েছে. সম্প্রতি সৌদি আরবের রিয়াদ অনুষ্ঠিত চিকিৎসা সম্মেলনে কানাডা থেকে দুটি গবেষক report পাঠিয়েছে। 

 যাতে বলা হয়েছে যে মাছিতে এমন কোন বস্তু রয়েছে যা জীবাণুকে দূর করে দেয় একই বিষয় জার্মান ও ব্রিটেন থেকে প্রাপ্ত রিসার্চ গুলো ধারাবাহিক সংগ্রহের মাধ্যমে সম্প্রতি একটি বই বেরিয়েছে যেখানে বলা হয়েছে যে মাছি যখন কোন খাদ্যে বসে তার জীবাণুযুক্ত ডানাটিকে খাদ্যে ডুবিয়ে দেয়.

 অথচ তার অপর ডানায় থাকে প্রতিরোধক ওষুধ. ফলে মাছিকে ওই খাবারে ডুবিয়ে দেওয়া হলে অপর ডানায় জীবাণু প্রতিরোধক ক্ষমতার সঙ্গে মি য়ে মারাত্মক জীবাণু গুলোকে ধ্বংস করে দেয় এবং সেই খাদ্য স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য অনুকূলে থাকে সেই চোদ্দোশো বছর পূর্বে এই ক্ষুদ্র জীবাণু দেখার শক্তি মানুষের ছিল না. অথচ সেগুলোর দিকেই ইঙ্গিত করেছেন সে সম্পর্কেই কথা বলেছেন এবং ওই বিপদজনক দিক বর্ণনা করেছেন যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর.

 



বন্ধু রা শুধু একটা ডাব, আর এক চামচ মধু, প্রতিদিন সকালে নাস্তার আগেই এক গ্লাস ডাবের পানিতে এক চামচ মধু মিশিয়ে যদি পান করা যায় তাহলে ছোট বড় কোন রোগই আপনার ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না. সেই সঙ্গে শরীরের কর্মক্ষমতাও মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পায়. এখানেই শেষ নয়. আরো নানাভাবে এই পানিওটি শরীরে কাজে লেগে থাকে.

 নাম্বার ওয়ান, হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ে ডাবের পানিতে এক চামচ মধু মিশিয়ে নিয়মিত খাওয়া শুরু করলেই শরীর পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়. সেই সঙ্গে heart এর পেশির কর্মক্ষমতাও বাড়তে থাকে. ফলে কোন ধরনের heart এর রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়. সেই সঙ্গে blood pressure ও নিয়ন্ত্রণে চলে আসে.

 Number two energy র ঘাটতি দূর হয়. সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এই পানীয়টি খেলে শরীরের বিশেষ কিছু খনিজের মাত্রা বাড়তে শুরু করে. ফলে দেহের ক্ষমতা মারাত্মকভাবে বেড়ে যায়. সারাদিন ধরে ক্লান্তিও ধারের কাছে ঘিষতে পারে না.

 Number three রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে. এই পানিওটিতে উপস্থিত ভিটামিন এবং কোশকে উজ্জীবিত করে. ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে কোন রোগী আপনাকে ছুঁতে পারবে না.

 Number four শরীর এবং ত্বকের বয়স কমায়. ডাবের পানি ও মধু মিশিয়ে বানানো পানীয়টিতে প্রচুর মাত্রায় antioxidant এবং vitamin A রয়েছে যা শরীরের নানা রকম ক্ষতিকর উপাদানের প্রভাব থেকে বাঁচায়. ফলে শরীর ভেতর থেকে চাঙ্গা হয়ে ওঠে. শরীরের উপর যেমন বয়সের ছাপ পড়ে না, তেমনি চোখে পড়ার মতো ত্বকের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে.

 Number five, হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে. প্রতিদিন ডাবের পানির সঙ্গে মধু খেলে এসিড উৎপাদনের পরিমান কমতে শুরু করে ফলে বদহজম এসিডিটি এবং কনসেপশনের মত সমস্যা দূরে থাকে.

 number six. খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়. এই পানিটি খেলে level একেবারে normal হয়ে যায়. রক্ত নালীতে জমতে থাকা cholesterol বা ময়লা ধুয়ে যায়. ফলে heart attack সহ একাধিক জটিল রোখার আশঙ্কা কমে যায়. 

Number seven, সংক্রম আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে. শরীরে প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি যেকোনো ধরনের সংক্রমণের প্রকোপ কমাতে ডাবের পানি এবং মধুর কোন বিকল্প হয় না. কারণ এই দুটিতেই রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক প্রপার্টি যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত লড়াই চালিয়ে যায়. 

Number eight, কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়ে. শরীর থেকে ময়লা এবং ক্ষতিকর tixin বের করে দেয় কিডনি. এই পানীয়টি কিডনিকে পরিষ্কার রাখে. ফলে শরীর থেকে বেড়ে যায়, সেই সঙ্গে কিডনিও চাঙ্গা হয়ে ওঠে. 

তো বন্ধু রা আজ এই পর্যন্তই, সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, আর পোস্ট টি ভালো লেগে থাকলে সেয়ার করুন, আল্লাহ হাফেজ। 


প্রিয় পাঠকগণ এখানে কোন ধরনের বানান ভুল ত্রুটি থাকলে সুন্দর ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন । সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন , পাশে থাকা কালো বেল আইকন এ ক্লিক allow button এ ক্লিক করে রাখতে পারেন । যাতে আমাদের প্রত্যেকটি পোস্ট আপলোড করার সাথে সাথে আপনি পেয়ে যান । সবাইকে ধন্যবাদ আল্লাহ হাফেজ



Post a Comment

0 Comments