মহান আল্লাহ তায়ালার এক রহস্যময় সৃষ্টি পিঁপড়া। পিঁপড়া সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য। ----Al Hadi




মহান আল্লাহ তালার এক বিস্ময়কর সৃষ্টি হচ্ছে পিঁপড়া. রেন নামে পবিত্র কোরানে একটি সুরার নামকরণ করা হয়েছে সুরা নামল নামে. বিভিন্ন হাদিসেও উদাহরণস্বরূপ পিঁপড়ার আলোচনা করা হয়েছে. একবার রসুল সাল্ললাহ আলেহু অসাল্লাম হজরত শিরোগের ব্যাপারে সতর্ক করতে গিয়ে বলেছেন নিশ্চয়ই শিরোক, পিপিলিকার পদাচারণ থেকেও সন্তর্পণে তোমাদের মধ্যে লুকিয়ে থাকে. দর্শক প্রায় চোদ্দ কোটি বছর আগে ক্রিটেশিয়াস যুগে পিঁপড়ার উদ্ভব. পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত প্রায় বারো হাজারেরও বেশি প্রজাতির পিপড়ার সন্ধান পাওয়া গেছে. হয়তো য়া আরো অনেক প্রজাতির পিঁপড়া আমাদের অগোচরেই থেকে গেছে. পোকামাকড়দের মধ্যে সবচেয়ে বড় মস্তিষ্কের অধিকারই হলো পিঁপড়া. 

বন্য প্রাণীদের তুলনায় এদের মস্তিষ্কে প্রায় আড়াই লাখ কোষ বেশি রয়েছে. মহান আল্লাহ তাআলা ছোট্ট এই প্রাণীকে দিয়েছেন দুটি পাকস্থলী. যার একটির মাধ্যমে তারা নিজেরা খাবার খায়. এবং অন্যটিতে অপর ড়ার জন্য খাবার জমা করে রাখেন. মানুষের মতো তারাও খাবার সংগ্রহ করে জমিয়ে রাখতে পছন্দ করে. জানলে অবাক হবেন যে, পিঁপড়ার কোনো ফুসফুস নেই.

 অক্সিজে চলাচলের জন্য তাদের শরীরে মহান আল্লাহতালা সৃষ্টি করে রেখেছেন অসংখ্য সুক্ষ সুক্ষ ছিদ্র. এদের মধ্যে কিছু প্রজাতি এমন রয়েছে যাদের বংশ বিস্তার করতে যৌন প্রয়োজন হয় না. বিশেষ এক clonic প্রক্রিয়ায় এরা বংশবিস্তার করে, নিষেক ডিম, নারী পিঁপড়ার দেহে বেড়ে ওঠে. আর অনিশ্চিক্ত ডিম পুরুষ পিঁপড়দেহে. হয়তো ধরণের প্রাণীর উপর গবেষণা করেই বর্তমান যুগে যৌন মিলনহীন টেস্টটি পদ্ধতি আবিষ্কার করা হয়েছে.

 সুরা বাকারার দুইশো পঞ্চান্ন নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ তাআলা নিজের ড়কে পরিচয় দিতে গিয়ে বলেন তন্দ্রা ও নিদ্রা তাকে স্পর্শ করে না.বন্ধু রা  অনেক অবিশ্বাসীর কাছে হয়তো এই বিষয়টি অসম্ভব বলে মনে হতে পারে. কিন্তু মহা আল্লাহ তাআলা তার ক্ষুদ্র একটি প্রাণীকে ঘুম ছাড়ায় আঠাশ থেকে তিরিশ বছর বাঁচিয়ে রাখেন আর সেই প্রাণীটি হলো পিঁপড়া.


মানুষের মতো পিঁপড়ের কিন্তু কোনো কান নেই. তাদের হাঁটু আর পায়ে আছে বিশেষ sen এর মাধ্যমে আশেপাশের পরিস্থিতি তারা বুঝতে পারে, পিঁপড়ারাও কথা বলে, তবে তাদের কথা বলার ধরন ভিন্ন. তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত উন্নত. খাবার সংগ্রহ প্রযোজন, সন্তান লালন এমনকি যুদ্ধ করার ক্ষেত্রেও তাদের যোগাযোগের ধরন ভিন্ন. প্রধানত তিনভাবে এরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখে. 

তদের যোগাযোগ ব্যবস্থার একটি প্রক্রিয়া হলো সে রোমন কাজের প্রকৃতির দিক থেকে দুই ধরনের. প্রথমটি হলো trail feramon আর অপরটি হচ্ছে alarm মন. প্রথমটির মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ, খাবারের খোঁজ করা খাবার নিয়ে আসা প্রজনন কলোনির শিমার নির্দেশ, এরকম নানা ধরনের কাজ হয়. 

আর দ্বিতীয়টি হয় সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে সহকর্মীদের সাবধান করা ও যুদ্ধের জায়গায় ডেকে আনা আর শত্রুকে তাড়ানো. এ পদ্ধতিতেই পিঁপড়াদের রানী সুলেইমান আলেহিসালাতুয়া সালামের সৈন্য বাহিনী সম্পর্কে, নিজের প্রজাদেরকে সাবধান করেছিল. আর সালামকে যেহেতু মহান আল্লাহ তাআলা সব প্রাণীর ভাষা বোঝা সত্যি দিয়েছিলেন তাই তিনি তার কথা শুনে হাসলেন.



 পবিত্র কোরানে ইরশাদ হয়েছে, অবশেষে যখন তারা পিঁপড়ার উপত্যকায় পৌঁছালো. তখন এক পিঁপড়ে বলল, হে পিঁপড়া দল, তোমরা তোমাদের বাসস্থানে প্রবেশ করো, সোলাইমান ও তার বাহিনী তোমাদেরকে যেন অজ্ঞাত স্বরে পিষ্ট করে মারতে না পারে. তারপর সুলেমান তার কথা মুচকি হাসলো 

পৃথিবীর বৃহত্তম এবং অন্যতম জনপ্রিয় university হাড়বার্ট ইউনিভার্সিটির প্রাণী বিজ্ঞানী অধ্যাপক অ্যাডভার্ট ওসব উইলসন সারাজীবন কাটিয়েছেন পিঁপড়ার চরিত্র অনুসন্ধান করে. অনেক বই লিখেছেন তিনি. এই একটি বই উনিশশো চুরানব্বই সালে প্রকাশিত হয়েছে জার্নি to the নামের. এই বইয়ের লেখক হেরো মনের কাজের পদ্ধতি সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন.বন্ধু রা পিঁপড়াদের যোগাযোগের আরেকটি মাধ্যম হলো স্পর্শ. এটা হয় এন্টেনা আর প্রথম জোড়া পায়ের মাধ্যমে. 

পিঁপড়া খাবারের সন্ধান পেলে, একে অন্যের এন্টেনায় এবং প্রথম জোড়া পা দিয়ে অন্যের মাথায় স্পর্শ করে, কখনো কখনো মুখে করে খাবারের একটু নমুনাও নিয়ে আসে. অন্য পিঁপড়ারা সেটা পরখ করে দেখে এভাবে খাবারের মানও বুঝিয়ে দেয়. পিঁপড়াদের অ্যান্টেনার স্পর্শের মাধ্যমেও এরা পরস্পর পরস্পরকে চিনতে পারে. শুধু তাই নয় পিঁপড়েরা মহান আল্লাহর নামে তাজবীহ পড়ে. তারা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে. 

বলেছেন তোমাদের সাধারণ ব্যক্তির ওপর আমার যতখানি মর্যাদা ঠিক তেমনি একজন আলেমের মর্যাদা একজন আবেগের ওপর, তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তার ফেরেস্তারা এবং আসমান জমিনের অধিবাসীরা এমনকি গর্তের পিঁপড়া এবং পানির মাছ পর্যন্ত সেই ব্যক্তির জন্য দোয়া করে যে মানুষকে কল্যাণকর জ্ঞান শিক্ষা দেয়. 

বন্ধুরা আমরা অনেক সময় অযথা অহেতুক অনেক পিঁপড়াকে মেরে ফেলি আসলে অহেতুক পিপড়াদেরকে হত্যা করা উচিত নয়. হযরত আবু হুরাইরা রোদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহ থেকে বর্ণিত আছে. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন এক নবীকে একটি পিঁপড়া দংশন করলে তিনি সেই পিঁপড়ার বস্তি জ্বালিয়ে দেওয়ার আদেশ দেন এবং তা জ্বালিয়ে দেওয়া হয়. 

তখন মহান আল্লাহ তাআলা তার প্রতি অহী প্রেরণ করে বললেন তোমাকে তো একটা পিঁপড়া দংশন আছে আর তুমি এমন এক জাতিকে ধ্বংস করলে যারা আল্লাহর মহিমা ও পবিত্রতা ঘোষণা করত সম্মানিত দর্শক মন্ডলী পিঁপড়া মহান আল্লাহ তাআলার একটি আশ্চর্য সৃষ্টি তাই আমাদের উচিত হবে অহেতুক পিঁপড়াদেরকে হত্যা না করা কিন্তু যদি পিঁপড়া কারো জন্য ক্ষতির কারণ হয় তবে তা হত্যা করা জায়েজ হবে. অন্যথায় তাদেরকে হত্যা না করাই  ভালো।

প্রিয় পাঠকগণ এখানে কোন ধরনের বানান ভুল ত্রুটি থাকলে সুন্দর ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন । সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন , পাশে থাকা কালো বেল আইকন এ ক্লিক allow button এ ক্লিক করে রাখতে পারেন । যাতে আমাদের প্রত্যেকটি পোস্ট আপলোড করার সাথে সাথে আপনি পেয়ে যান । সবাইকে ধন্যবাদ আল্লাহ হাফেজ

Post a Comment

0 Comments