মৃত সাগরে মানুষ ডোবে না যাওয়ার কারণ কি? ----Alhadi HB

মৃত সাগরে মানুষ ডুবে না কেন,মৃত সাগরে মানুষ না ডুবার কারণ কি,মৃত সাগর কোথায় অবস্থিত,লোহিত সাগর কোথায় অবস্থিত,মৃত সাগর কোন দেশে অবস্থিত,alhadi hb,nhd



 আসসালামু আলাইকুম,  কেমন আছেন?  আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন? আপনি কি সাঁতার কাটতে পারেন না? সাঁতার কাটতে ভয় পান?  পুকুরে নামলে অথবা সমুদ্রের ধারে গেলেই ভয় পেয়ে যান? এই বোধহয় ডুবে যাব, এই বোধহয় ডুবে যাব.বন্ধু রা আজ আপনাদের কে একটা জল ভান্ডারের সন্ধান দেবো এমন একটি সাগরের কথা বলবো যেখানে নিশ্চিন্তে ভেসে থাকতে পারবেন ভেসে থাকার জন্য দরকার হবে না সাঁতার কাটার অথবা লাইফ jacket পরার জলে ভেসে ভেসেই আপনি যে কোনো কিছু করতে পারবেন.

 সেই বিস্ময়কর সাগরটির নাম আমাদের অনেকেরই জানা. মৃত সাগর বা death sea সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য আলোচনা করবো আজ,  যেমন, সাগরের অবস্থান প্রকৃতি কিভাবে এই সাগর সৃষ্টি হল কেনই বা মানুষ এখানে ভাসে এই সাগরের নাম মৃত সাগর কেন? আর death sea র উপকারিতা. তো চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক। 


📌📌আরো পড়ুন : স্যার আইনস্টাইন আমাদের থেকে আলাদা ছিলেন কেন? কী এমন ছিল তার মধ্যে ?? 


  মৃত সাগর জর্ডন ও ইজরাইল সীমান্তে অবস্থিত. এটি নিম্নতম স্থলভূমি. অর্থাৎ স্থল ভাগের সবচেয়ে নিচু স্থান. যা সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে প্রায় চোদ্দোশো ফুট নিচে অবস্থান করছে. এই সাগরের অববাহিকার আয়তন একচল্লিশ হাজার ছয়শো পঞ্চাশ বর্গকিলোমিটার. Death sea  একটি অতি লবণাক্ত হ্রদ. পৃথিবীতে এরকম বেশ কিছু সাগর হ্রদ ও পুকুর আছে যেখানে অতিমাত্রায় লবন পাওয়া যায়. সাধারণত সমুদ্রের জলে লবণের পরিমান তিন থেকে ছয় শতাংশ হয়ে থাকে. কিন্তু মৃত সাগরে পরিমাণ চৌত্রিশ শতাংশ. 

আরো পড়ুন ::::: সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর শ্রেষ্ঠ কিছু অভ্যাস।


যেটা সাধারণ সমুদ্র জলের লবণতা থেকে নয় থেকে দশ গুণ বেশি. এটাই কারণ death sea তে মানুষ না ডোবার. জলের ঘনত্ব এতো বেশি মানুষ সহজেই জলে সাঁতার না কেটে ভেসে থাকতে পারে. কিভাবে এই মৃত সাগর সৃষ্টি হল তা নিয়ে একাধিক theory আছে. সংক্ষেপে সহজ ভাষায় এই সাগর সৃষ্টির ইতিহাস আপনাদের সামনে তুলে ধরবো. 

প্রায় সাঁইত্রিশ লক্ষ বছর আগে বর্তমান জর্ডন নদী ও মৃত সাগর পার্শ্ববর্তী ভূমধ্যসাগরের জল দ্বারা প্লাবিত হতো. সেই সময় ভূমধ্যসাগর থেকে জেজরিল উপত্যকার মধ্য দিয়ে একটি সরু সংযোগের মাধ্যমে মৃত সাগরে জল আসত. ওই সময় মৃত সাগরের জলের লবণতা অনেক কম ছিল. পরবর্তীতে প্রায় কুড়ি লক্ষ বছর আগে ভুমধ্যসাগর ও মৃত সাগরের মধ্যবর্তী জেজরিল উপত্যকা উচ্চতা লাভ করে.

 অর্থাৎ মধ্যবর্তী উপত্যকা উঁচু হয়ে যায়. ফলে ভূমধ্যসাগর থেকে সাগরের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়. তারপর থেকে মৃত সাগরে জলের যোগান কমতে থাকে. প্রধানত জর্ডন নদী ও অন্য কয়েকটা ছোট ছোট নদী এই সাগরে এসে পড়েছে. যে পরিমান জল নদীগুলো থেকে সাগর তার থেকে অনেক বেশি পরিমাণ জল বাষ্পীভূত হয়ে চলে যায়. 

📌📌আরো পড়ুন : সমুদ্রের নিচে পাওয়া হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ। যার পরিমাণ শুনলে আপনি অবাক হবেন। ----- Al Hadi

আমরা জানি জল বাষ্পীভূত হলেও, জলের সাথে মিশে থাকা লবন ও অন্যান্য খনিজ উপাদান বাষ্পীভূত হতে পারে না. তাই যত দিন যেতে থাকে একদিকে সাগরের জলের পরিমাণ কমতে থাকে এবং অন্যদিকে জলে লবণের পরিমান বাড়তে থাকে. এইভাবে বাড়তে বাড়তে বর্তমানে জলে লবণের পরিমান চৌত্রিশ শতাংশ. 



অর্থাৎ এক কেজি জলের মধ্যে তিনশো চল্লিশ গ্রাম লবণ রয়েছে. ভাবা যায় এই সাগরের জলে মিশে থাকা লবণের পঞ্চাশ শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড. তিরিশ শতাংশ সোডিয়াম ক্লোরাইড, চোদ্দ শতাংশ ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড, এবং চার শতাংশ পটাশিয়াম ক্লোরাইড রয়েছে. 

আরো পড়ুন ::::: রুহ কি ? মৃত্যুর পর মুমিনের আত্মার কি হয় ? 

কেন এই সাগরের নাম মৃত সাগর হলো death sea তে প্রচন্ড লবণতার কারণে কোনো উদ্ভিদ ও প্রাণী বাঁচতে পারে না একে মৃত সাগর বলা হয়ে থাকে. এমনকি মানুষও এই সাগরে ডুব সাঁতার দিতে গিয়ে জল খেয়ে ফেললে শ্বাস আটকে মারা যেতে পারে. তবে কয়েক বছর আগে এই সাগরের তলদেশে ডাইপ করে বিজ্ঞানীরা কিছু ব্যাকটেরিয়ার স্তর পেয়েছেন এই সাগরের জলে অনেক ধরনের খনিজ পদার্থ আছে যা বিভিন্ন রোগ নিরাময় করে থাকে.

 উচ্চ বায়ুমণ্ডলীয় চাপ শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকা রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী. বর্তমানে মৃত সাগর অঞ্চলটি চিকিৎসা শাস্ত্রের গবেষণা কেন্দ্র হয়ে উঠেছে. বিভিন্ন চর্মরোগ যেমন সোরিয়াসিস, দাঁত চুলকোনা প্রভৃতি সারানোর জন্য এই সাগরের জল ভীষণ উপকারী. এই সাগর কাদা screen ভালো রাখার জন্য বিশেষ সুনাম অর্জন করেছে.


📌📌আরো পড়ুন : মহান আল্লাহ তায়ালার সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে ধ্বংস হওয়া এক বাদশাহ এর কাহিনী। 

 মৃত সাগর চিকিৎসা গুনের কারণে দিনে দিনে এশিয়া মহাদেশের চিকিৎসা পর্যটন কেন্দ্রতে পরিণত হচ্ছে. So friends এই ছিল death sea র সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা। তো বন্ধুরা তাহলে আজ এই পর্যন্তই সবাই  ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন বন্ধুরা আমাদের ওপরের আলোচনার মধ্যে কোন ধরনের তথ্য ভুল থাকলে তা কমেন্ট করে জানাবেন আর কি তথ্য ভুল আছে তাও কমেন্ট করে জানাবেন, সাবাই ভালো  থাকবেন সুস্থ থাকবেন দোয়া করবেন আল্লাহ হাফেজ। 

প্রিয় পাঠকগণ এখানে কোন ধরনের বানান ভুল ত্রুটি থাকলে সুন্দর ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন । সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন , পাশে থাকা কালো বেল আইকন এ ক্লিক allow button এ ক্লিক করে রাখতে পারেন । যাতে আমাদের প্রত্যেকটি পোস্ট আপলোড করার সাথে সাথে আপনি পেয়ে যান । সবাইকে ধন্যবাদ আল্লাহ হাফেজ


Post a Comment

0 Comments