রাতের বেলা কুকুর কাঁদে কেন ?এই কান্নার কারণ কি? ----Alhadi HB

রাতের বেলা কুকুর ডাকে কেন,রাতের বেলা কুকুর কাঁদে কেন,কুকুর কি সব দেখতে পাই,কুকুর পালন করা কি জায়েজ,কুকুর রাতের বেলা কান্নাকাটি করে কেন,Alhadi hb,nhd5


আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, বন্ধুরা কেমন আছেন?  আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব গভীর রাতে বা  মাঝ রাতে আকাশের দিকে তাকিয়ে কুকুর কাঁদে কেন? কাঁদার কারণ কি? সব কুকুর রা  কান্দে নাকি কোন বিশেষ আলাদা কুকুররা কাাঁদে? তাহলে চলুন দেরী না করে শুরু করা যাক। 

রাতের বেলা কুকুর ঘেউ ঘেউ করে. এই বিষয়ে হাদিস এসেছে আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন রাতের বেলা তোমরা যখন কুকুর ঘেউ ঘেউয়ের শব্দ শোনো, এবং গাধার ডাক শুনতে পাও, তখন আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করো. কারণ এরা এমন কিছু দেখতে পায়, যা তোমরা দেখতে পাও না. 

রাতের বেলা তোমরা আল্লাহর নাম স্মরণ করে ঘরের দরজা বন্ধ করে দাও কারণ আল্লার নাম স্মরণ করে বন্ধকিত দরজা শয়তান খুলতে পারে না. তোমরা কলসি গুলোর মুখ ঢেকে দাও. মশকের অর্থাৎ চামড়ার তৈরি পাত্রের মুখ বেঁধে দাও, এবং পাত্রগুলো উপর করে রেখে দাও. আবু দাউদ হাদিস নং এক হাজার দুইশ ছিয়াশি.

 কুকুর শয়তানকে দেখতে পায়. এইজন্যই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরক্ষণ বলেছেন অবশ্যই তোমরা দরজা সমূহ বন্ধ করে দাও বিসমিল্লাহ বলে এমনও হতে পারে কোনো ব্যক্তির কবর এর আজাব হতে থাকলে তা কুকুর দেখতে এবং শুনতে পায়. বলেছেন বা জীবজন্তু এবং পশুপাখি কবর এর দেখতে এবং শুনতে পায়. 

অতএব রাতে যখন কুকুরের আওয়াজ শোনা যাবে তখন এই দোয়া করতে থাকবে. দেশে যত জানোয়ার আছে তাদের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানের জানোয়ার হচ্ছে কুকুর এবং শুকর আমরা কুকুরকে দেখলেই অবহেলা করে সড়িয়ে দিই অথচ কুকুরের একটি ইতিহাস রয়েছে যা নামক কিতাবে উল্লেখিত রয়েছে. 



একজন আল্লাহর বান্দা কোথাও যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন. যেতে যেতে কিছু দূর যাওয়ার পর সে ব্যক্তি পথের ধারে একটি বিল্ডিং দেখতে পেলে, তার প্রতি উৎসুক হয়ে পড়েন. এই স্থাপত্যটি তিনি আগে কখনোই দেখেন নাই. অনেক পুরাতন একটি বিল্ডিং যা প্রায় দুই চারশো বছর আগের তো হবেই. সেই ব্যক্তিটি পুরাতন বিল্ডিংটিকে ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলো. হঠাৎ তার চোখ পড়ল একটি শীলা লিপির দিকে. 

যেখানে খোদাই করা আছে এই বিল্ডিং তৈরির ইতিহাস জানতে হলে অমুক গ্রামে যেতে হবে. এটি দেখে সেই ব্যক্তির মনে ইতিহাস জানার প্রবল ইচ্ছা জাগ্রত হলো সে উক্ত গ্রামের খোঁজে যেতে যেতে দুই তিন কিলোমিটার পথ চলে গেল. অথঃপর আল্লাহর বান্দাটি সেই গ্রামে একজন ব্যক্তিকে ওই বিল্ডিংয়ের ইতিহাস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন অতঃপর লোকটি বলল জন্মের পর থেকে সবাই এই বিল্ডিংটাকে এভাবে দেখে আসছে এর ইতিহাস সম্পর্কে কারোতো তেমন কিছুই জানা নেই এমনকি আরো কিছু সংখ্যক মানুষের সঙ্গে এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরেও তিনি এই প্রশ্নের কোনো সুরাহা করতে পারলেন না। 

 

 অতঃপর সেই ব্যক্তিটি মন খারাপ করে চলে আসছিলেন এবং ভাবছিলেন খোদাই করে কি তাহলে মিথ্যা কথা লেখা হয়েছে ভাবতে ভাবতে যখন গ্রামের শেষ প্রান্তে চলে আসে তখন তিনি এক বৃদ্ধকে দেখতে পেলেন, আল্লার ওই বান্দা বৃদ্ধর কাছে গেলো এবং জিজ্ঞাসা করলো এই গ্রামের নাম কি এটা, উত্তরে বৃদ্ধটি, হ্যাঁ সূচক জবাব দিল, এবং জিজ্ঞাসা করলো কিন্তু তুমি কোথায় কে এসেছো? উত্তরে লোকটি বলল, আমার বাড়ি অনেক দূরে, তারপর লোকটি বৃদ্ধাকে সবকিছু খুলে বললেন বৃদ্ধা ব্যক্তিটি মুচকি হেসে দিয়ে বললেন, তুমি কাদের জিজ্ঞাসা করছো উত্তরে লোকটি বললেন যুবকদেরকে বৃদ্ধ বললেন তারা কিভাবে বলবে? 

তারা তো এই জামানার লোক, আমার বয়স দুইশো পার হয়ে গিয়েছে. আমি তো নিজেই বিল্ডিংরা তৈরী হতেই দেখি নাই. শুনেছি আমার দাদার কাছে. বৃদ্ধার কথাগুলো শুনে যুবকের মনে স্বস্তি ফিরে আসে বৃদ্ধা বলতে লাগলেন এই রাস্তা দিয়ে আসার সময় যত গ্রাম মহল্লা তুমি দেখেছো সব জমি জমার মালিক ছিলেন এক জমিদার সেই জমিদারের অনেক চাকর নকর ছিল. খাদিমের কোন অভাব ছিল না. 

জমিদারের স্মরণীয় বস্তুর ভেতরে ছিল একটি পালিত কুকুর. কুকুরটা মালিককে খুবই মোহাব্বত করত এক মুহূর্তের জন্য কুকুরটা জমিদারকে ছেড়ে যেত না একদিন জমিদারের এক ভিআইপি মহলে যাওয়ার কথা য়েছে. তখন জমিদার চিন্তা করলেন কুকুরটা আমাকে ছাড়া এক মুহূর্ত থাকতে পারে না. আমি সেই জরুরী মিটিংয়ে গেলে এবং কুকুরটি আমার সাথে গেলে আমার মান সম্মানের কোন বালাই থাকবে না. 

এজন্য সে বুদ্ধি করে একটি ঘরের ভেতরে ঢুকলো কুকুরটি তার সাথে সাথেই ঘরের ভেতরে ঢুকলো অতঃপর সে নিজের চাকরদেরকে বললো ঘরের দরজা বন্ধ করে দিতে অতঃপর কুকুরের গলায় শেকড় লাগিয়ে দেওয়া হলো এবং শক্ত পিলারের সাথে বেঁধে য়া হলো. তারপর জমিদার বাবুর্চিকে বলল আমি ভি আইপি মহলে চলে যাচ্ছি. তুমি আমার জন্য কিছু খাবার তৈরি করে রেখো. তারপর মালিক যখন চলে যেতে লাগলো তখন কুকুরটি মালিকের সাথে যেতে না পেরে খুব লম্ফো ঝমফ করতে শুরু করলো, 

অথঃপর কুকুররা বিকট আওয়াজে মালিককে ডাকতে শুরু করলো তার ডাক শুনে প্রতিবেশীরা সকলেই জামায়েত হয়ে যায় এবং কিছুক্ষণ পর চলেও যায়. জমিদারের এক বোবা কাজের এ কুকুরটির কার্যকলাপ প্রত্যক্ষ করছিলো. এই সময় বাবর চেক খাবার তৈরি করে ওই ঘরে তাঁকের উপর রেখে দেয়. ঘরের মধ্যে কুকুর এবং বোবা মেয়েটি ছাড়া আর কেউই ছিল না. 

এর কিছুক্ষণ পরেই হঠাৎ করে দেখা গেল একটি কালো সাপ সেখানে উপস্থিত হয়ে বাবুর্চীর রেখে যাওয়া খাবারে মুখ দিয়ে কিছুক্ষণ থাকার পর আবারো কোথায় যেন উবে গেলো মেয়েটি চিন্তা করতে লাগলো এখন আমি যদি এখান থেকে চলে যায় এবং মালিক পাত্রে রাখা খাবারটি খেয়ে ফেলে, তাহলে সেহেরের প্রভাবে মালিক ইন্তেকাল বরণ করবে. 



সে কারণেই বোবা মেয়েটি সেখানেই বসে রইল. কিছুক্ষণ পর মালিক আসলেন এবং বোবা মেয়েটি কথা বলতে না পেরে অঙ্গ ভঙ্গির মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করতে লাগলো কিন্তু মালিক তার কথায় কোনো কর্ণপাত না করে নিজ গতিতে খাবারে হাত দিলেন এবং যেই না তিনি পাত্রে হাত দিলেন কুকুরটি পাগলের মতো লাফালাফি করতে শুরু করলো. 

অতিরিক্ত পাগলামি দেখে, মালিক কুকুরটিকে ধমক দিলেন. মালিক তার কুকুরের ভাষা বুঝলো না এক পর্যায়ে যখন মালিক পাঁচশোটি নিয়ে মাটিতে রাখলেন তখন কুকুর মাথা ছিঁড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা করতে লাগলো. সে কোনরকমে পা দিয়ে ঠেলে কিছু খাবার মাটিতে ফেলে দেয়. এক পর্যায়ে মালিক ক্রধান্বিত হয়ে কুকুরটিকে আঘাত করতে লাগলেন এবং করলেন. এরপরেও কুকুর থামে নাই এক পর্যায়ের মালিক প্রধানিত অবস্থায় চিন্তা করতে লাগলেন যে খাবারের মধ্যে কুকুরের পায়ের ছোঁয়া লেগেছে, 

সে খাবার তো খাওয়া যাবে না. এরপর কুকুরের লম্ফো জমফ দেখে মালিক চাকরদের বলল শিকল খুলে দিতে এবং শিকল খুলে দেওয়া হল, কুকুরের বাঁধন যখন খুলে দেওয়া হয় তৎক্ষণাৎ কুকুর খাবারে মুখ দিয়ে খাবার খেয়ে ফেলল, এটি দেখে মালিকের রাগ যেন আরো অধিক পরিমাণে বেড়ে যায়. হঠাৎ এসে দেখতে পায় দুই মিনিটের মধ্যে কুকুরটা আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে. এবং এক পর্যায়ে কুকুরটির ইহলিলা সাঙ্গ হয়ে গেল. 

মালিক তখন চিন্তা করতে লাগলেন কি হয়েছে. কুকুর খাবার খেয়ে এভাবে নিস্তে ছুঁয়ে গেল কেন? এরপর মালিক বোবা কাঁচের মেয়েটির দিকে মনোযোগী হলেন এবং কি হয়েছে জিজ্ঞাসা করলেন তখন মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে অঙ্গ ভঙ্গিমায় পুরো ঘটনা বুঝিয়ে বললেন, ঘটনা শুনে মালিক তখন অনেক ময় ধরে ক্রন্ধন করলেন.

 জমিদার এরপর ঘোষণা দিলেন যে কুকুর তার নিজের জীবন বিসর্জন দিয়ে আমার জীবন রক্ষা করার চেষ্টা করলো সেই কুকুরের দেহাবশেষ যেখানে সেখানে ফেলে দেওয়া যাবে না যত পরিমান অর্থই খরচ হোক. তার স্মৃতিচারণের জন্য রাস্তার ধারে একটি বিল্ডিং বানিয়ে দাও. এই বিল্ডিং এর ভেতরে তাকে দাফন করা হবে. যাতে করে শত বছর পর্যন্ত প্রভুভক্ত কুকুরের স্মৃতি দুনিয়ায় টিকে থাকে. 

এতে ছিল সেই প্রভুভক্ত কুকুরের বিস্ময়কর কাহিনী, আল্লাহ রাবুল আলামিন আমাদের এই ঘটনা থেকে সঠিক শিক্ষা গ্রহণের তৌফিক দান করুন,

পরিশেষে একটি কথাই বলতে চাই আমাদের এই পৃথিবীতে কুকুর হলো অনেক ওয়াফাদার প্রাণী যে   নিজের জীবন দিয়ে হলেও মালিকের জীবন রক্ষা করার চেষ্টা করে। আজকের সম্পূর্ণ আলোচনা থেকে আমাদের অনেক কিছু শিক্ষা গ্রহণ করার রয়েছে যেমন রাতে বেলা আমাদেরকে রাসুলুল্লাহ যে নির্দেশ দিয়েছেন অবশ্যই আমাদেরকে বিসমিল্লাহ বলে দরজা বন্ধ করতে হবে এবং সবসময় আল্লাহর নাম মুখে রাখতে হবে এবং আল্লাহর নাম জপতে জপতে ঘুম যেতে হবে।হে আল্লাহ আপনি আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দেখানো পথে চলার তৌফিক দান করুন, আমিন 

প্রিয় পাঠকগণ এখানে কোন ধরনের বানান ভুল ত্রুটি থাকলে সুন্দর ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন । সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন , পাশে থাকা কালো বেল আইকন এ ক্লিক allow button এ ক্লিক করে রাখতে পারেন । যাতে আমাদের প্রত্যেকটি পোস্ট আপলোড করার সাথে সাথে আপনি পেয়ে যান । সবাইকে ধন্যবাদ আল্লাহ হাফেজ

Post a Comment

0 Comments