আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ বন্ধুরা কেমন আছেন আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভাল আছেন আজ আলোচনা করব বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন কে নিয়ে, তো বন্ধুরা চলুন দেরী না করে শুরু করা যাক আলবার্ট আইনস্টাইন সম্পর্কে অনেক কিছু জেনে নেওয়া যাক।
বন্ধুরা যে মানুষটি আজ অবধি কোনো ভুল করেনি, আপনি বলতে পারেন সে আজ অব্দি নতুন কিছু করার প্রচেষ্টায় করেনি. এরকমই কিছু মানতেন দুনিয়ার সবচেয়ে মহান scientist আলবার্ট ১৮৭৯ সালে জার্মানির উল শহরের এক ইহুদি পরিবারে জন্ম নিয়েছিলেন অ্যালবার্ট . তিনি জন্ম হওয়ার সময় ডাক্তাররা এটা নোটিশ করেছিলেন যে তার মাথার খুলিটি সাধারণ বাচ্চাদের থেকে অনেক বড়. তিনি একটা normal বাচ্চার মত জন্ম নিয়েছিলেন.
তবে তা সত্ত্বেও তার ব্রেন এতই শক্তিশালী ছিল যে আজ অব্দি কোন মানুষ তার সাথে মোকাবিলা করতে পারেনি. আজ প্রায় ৭০ বছর হয়ে গেছে. তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেয়েছেন. তবে আজকেও সায়েন্স তার থিসেস গুলো ছাড়া কিছুই নয়. তাই এটিই কারণ যে সবাই আইসটাইনের ব্রেনের ব্যাপারে জানতে চায়. তার ব্রেনে এমন কি ছিল, যার জন্য তিনি এত উন্নতি অর্জন করতে পেরেছিলেন.
পৃথিবীতে তাকে one of the greatest scientist হিসাবে জানা হয়. তার ব্রেনে কি কোন সুপার natural power ছিল? তাহলে আজ আমরা এই বিষয়টির ওপরেই আলোচনা করব. আসলে আইনস্টাইনের যখন জন্ম হয়েছিল তার মাথার খুলিটি সাধারণ বাচ্চাদের থেকে অনেক বড় ছিল. সাধারণত বাচ্চারা এক থেকে দু বছর বয়সের মধ্যে একটু আধটু কথাবার্তা বলতে শিখে যায়.
তবে তার ৪ বছর বয়স অব্দি কিছুই বলতে পারতো না. তবে একদিন যখন তিনি তার মা বাবার সাথে রাতে dinner টেবিলে বসে ছিলেন তখন চার বছরের আইনস্টাইন হঠাৎ বলে উঠে খাবারটি অনেক গরম. নিজের ছেলেকে প্রথমবারের জন্য পরিষ্কার ভাবে কথা বলতে দেখে তার মা বাবারা অবাক হয়ে যান এবং অনেক খুশিও হয়ে ছিলেন. তবে পরে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে আজ অব্দি সে কেন কথা বলেনি, তখন তার একটা অদ্ভুত উত্তর দেয় সে.
তার উত্তরটি ছিল, আজ অব্দি তো সব কিছুই ঠিক ছিল. আইনস্টাইনের সারা জীবনের অদ্ভুত ঘটনা গুলি শুধুমাত্র এখানেই শেষ হয়ে যায়নি. তিনি বড় হওয়া সত্ত্বেও তার এমনও কিছু অভ্যেস ছিল যেগুলো শুনে অনেক মানুষই অবাক হয়ে যান. যেমন কি স্যার অ্যালবার্ট অ্যানিস্টাইনের ফোন নাম্বার মনে রাখতে অনেক অসুবিধা হত.
এমনকি তার নিজের টেলিফোন নাম্বারটিও তার মনে থাকতো না. একবার তো তার সহকর্মী তার টেলিফোন নাম্বার চাওয়াই তার নিজের ফোন ডাইরিটা বের করে নিজের number টি পরে পরে বলেন. আর এটা দেখেই তার সহকর্মী জিজ্ঞাসা করেন আপনি কেন আপনার ফোন number মনে রাখেন না?
তখন তিনি তার উত্তর এরকম ভাবে দিয়েছিল আমি কেন এরকম জিনিসকে মনে রাখবো যেটি বইয়ে খুঁজলে খুব সহজেই পাওয়া যায়.e জুতোর ভেতরে মোজা পরতেন না. কেননা তার পায়ের আঙ্গুল গুলি এতটাই লম্বা ছিল, জুতোর ভেতরে মোজা পড়লে সেই লম্বা আঙ্গুলের জন্য মজা খুব জলদি ছিঁড়ে যেত. আর এই জন্যে তিনি মোজাপড়া ছেড়েই দেন.
এমনকি তার জুতোর ফিতে গুলিও অন্যকে দিয়ে বাঁধা করাতেন. কেননা সেগুলিও তিনি বানতে জানতেন না. আইনস্টাইন প্রায় এই কথাটি সব সময় বলতেন আমি একজন মানুষই. তবে আমার মধ্যে জানার ইচ্ছা রয়েছে অফুরন্ত. তবে আপনি জেনে অবাক হবেন তিনি সর্বকালেই এত বুদ্ধিমান ছিল না. এমনকি তিনি ছোটবেলায় পড়াশুনাতে অনেক খারাপ ছিলেন. তাই ছোটোতে তার গণনা করা হতো বোকা ছেলেদের মধ্যেই.
তার কিছু কিছু কাজের জন্য অনেক মানুষ তো তাকে শারীরিকভাবে বিকলাঙ্গ বলতে শুরু করে দেন. আর তার টিচার গুলিও তাকে অতটা পছন্দ করতেন না. কেন না তিনি বিজ্ঞান এবং গণিত ছাড়া তিনি প্রায় সব সাবজেক্টেই ফেল করে যেতেন প্রথম থেকে তিনি বইয়ের মধ্যে থাকা জ্ঞানের রুচি একদমই ছিল না. তবে এগুলি সত্ত্বেও তিনি দুনিয়ার সামনে সাইন্সের এমনই কিছু থিয়োরি রেখেগেছেন .
যে গুলো ছাড়া আজকের science মেরুদণ্ডহীন প্রাণী আর এটিই হচ্ছে কারণ আজকেও তার ব্রেনটি মানুষের কাছে একটা চর্চার বিষয়. আঠেরো এপ্রিল উনিশশো পঞ্চান্ন. আইনস্টাইনের মৃত্যুর পর প্যাথলোজি ডক্টর থমাস হারবে আইস টিনের পরিবারের অনুমতি ছাড়াই তাার মাথার খুলিটি খুলে তার ভেতর থেকেই আইনস্টাইনের ব্রেনটি বার করে নেয়.
আর তিনি তার ব্রেনটিকে নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান. এই কাজটির জন্য ডক্টর হারবা চাকরি থেকে তো বিতাড়িত করা হয়েছিল. তবে ডক্টর হারবে এরকম বলেন যে তিনি এরকম কাজ শুধুমাত্র রিসার্চ করার জন্য করেছেন. আর তিনি কথা দেন যে আইস্টাইনের ব্রেনের উপর, তিনি কোন না কোনদিন রিসার্চ করবেনই. যেটি scientist দের জন্য একটা খুবই প্রেরণার বিষয় হবে, তবে research করার পারমিশন না পাওয়ার দরুন ডক্টর হারবে আইসটাইনের ব্রেইনটিকে একটি জারের মধ্যে রেখে তার নিজের বাড়ির বেসমেন্টে রেখে দেন.
পরে আইনস্টাইনের ছেলে অনুমতি নিয়ে ডক্টর হার্ভেল রিসার্চ করতে শুরু করেন. প্রথমে তিনি আলবার্ট আইনস্টাইনের ব্রেনটির ওজন করেন. ওজন হয়েছিল বারোশো তিরিশ গ্রাম. যেটি সাধারণ মানুষের ব্রেনের থেকে অনেক ছোট ছিল. কেননা একজন সাধারণ মানুষের ব্রেনের ওজন হয় প্রায় চোদ্দশো গ্রাম. আর এরপর ডক্টর হার্ভে আনস্টাইনের ব্রেন টিকে দুশো চল্লিশটি খন্ডে বিভক্ত করেন. আর ওই খন্ড গুলোকে পৃথিবীর অনেক নামিদামি সাইন্টিস্টদের কাছে পাঠিয়ে দেন.
যাতে তারা সহজ পরীক্ষা করতে পারেন, যে আইনস্টাইনের মাথার ভেতর এমন কি ছিল যেটি সাধারণ মানুষের থাকে না. আর তারপর ডক্টর হারবে আইনস্টাইনের ব্রেনের টিস্যু গুলি নিয়ে হাজার হাজার মাইক্রোস্কোপিক স্লাইট দুর্বল. যাতে আলস্টেনের মাথাটি খুব ভালোভাবে পরীক্ষা করা যায়. রিসার্চের ফলে এটা পাওয়া যায় আইস্ট্যানের মাথার ভেতর সাধারণ মানুষের থেকে বেশি পরিমাণ কোষ ছিল.
আইস্ট্যানের ব্রেনের ভেতর সেরিব্রাল কনটেক্সটি সাধারণ মানুষের থেকে একদমই আলাদা ছিল সেরিব্রাল হচ্ছে আমাদের ব্রেনের একটা খুবই জরুরী বস্তু. যার জন্যই আমরা critical thinking করতে পারি. আর এটিই ছিল একমাত্র কারণ যেটি স্যার অ্যালবার্t আইনস্টাইনের একটু আলাদাভাবে তৈরি করেছিল.
তো বন্ধুরা সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন দোয়া করবেন আর আমাদের পোস্টটি যদি ভালো লাগে তাহলে শেয়ার করুন আল্লাহ হাফেজ।
0 Comments