সমুদ্রের নিচে পাওয়া হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ। ----- Al Hadi

 

সমুদ্রের নিচে পাওয়া সম্পদ, সমুদ্রের নিচে পাওয়া হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ,সাগরের নিচে পাওয়া  মহামূল্যবান সম্পদ, সাগরের নিচে পাওয়া হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ, সাগরের নিচের রহস্য, সমুদ্রের নিচের রহস্য, সমুদ্রের নিচে কি আছে ,smdihan,sm dihan, al hadi,alhadi,sm nahid

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা,বন্ধুরা  আমাদের এই পৃথিবী কত বড় তা হয়তো বা  আমরা জানি না, আমাদের এই পৃথিবী  মূলত চার ভাগে ভাগ করা হয়. এর তিন ভাগই পানি এবং বাকি এক ভাগ স্থল যা সারা পৃথিবী জুড়েই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য সমুদ্র আর এগুলো নিয়ে সবার মনেই রয়েছে কৌতূহল. তবে এর মাত্র কয়েক শতাংশ রহস্যই সামনে এসেছে সবার. আর এতেই পাওয়া গিয়েছে সমুদ্রের অনেক প্রাণের খোঁজ. এছাড়াও মিলেছে পানির নিচে থাকা সম্পদের খোঁজ. বন্ধুরা আজকে আমরা জানবো সমুদ্রের নিচে পাওয়া মূল্যবান সম্পদের কিছু ঘটনা যা বিজ্ঞানীদেরও করেছে হতবাক, তো বন্ধরা চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।      

নাম্বার এক, লেক, বৈকাল, এটি রাশিয়ার অন্যতম প্রাচীন একটি লেক. সাইবেরিয়ার দক্ষিন ভাগে অবস্থিত একটি সূপেও পানির হ্রদ. এটি. সারা পৃথিবীর প্রায় বাইশ শতাংশ বিশুদ্ধ প্রাণী রয়েছে এই লেকে. যেখানে গাড়ি য়েই আটকে যায়. এরপর পানির নিচে ডুবে যায় কারণ শীতের সময়টায় এখানে প্রচুর বরফ পড়ে. বোঝাই যায় না কোনটা রাস্তা আর কোনটা লেক ঢাকা থাকে বরফের চাদরে. সাইবেরিয়ান নীল নয়ন বা সাইবেরিয়ান মুক্তা নামে পরিচিত এই লেক প্রচন্ড ঠান্ডায় জমে বরফ হয়ে যাওয়া এই হ্রদ পৃথিবীর প্রাচীনতম গভীরতম. এর বয়স হবে প্রায় দুই কোটি পঞ্চাশ লাখ বছর. আর এর গভীরতা প্রায় পাঁচ হাজার ফুট. 

ধারণা করা হয় এটি সাধারণ লেক নয়. স্থানটিতে রয়েছে অলৌকিক কোনো ক্ষমতা এই লেকের পানিতে এখন পর্যন্ত বিরানব্বইটি গাড়ি আঠারোটি boat পঞ্চান্নটি mobile দুইটি motorcycle এমনকি একটি বিমান হেলিকপ্টার ও ট্যাংকারও ডুবে গিয়েছে. আর এটা গত পনেরো বছরের মধ্যেই. তবে দ্রুতই এগুলো পানি থেকে উঠিয়ে আনা জরুরি. কারণ এর থেকে য়েল পানিতে ছড়িয়ে দূষিত হতে পারে. সাধারণত ডুবুরিয়া পানির নিচের সম্পদ বা প্রাণীর খোঁজে যায়. তবে এসব জিনিস তাদের হতবাক বহুগুণ. 

এই লেকের নিচে ডুবুরিয়া কোন মাছের অস্তিত্ব খুঁজে পাননি. তারা পেয়েছিল ডাইনোসরের ফসিল. কিভাবে সেখানে প্রায় দশ ফিট লম্বা ডাইনোসর গেল দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় বিজ্ঞানীদের কাছে. এছাড়াও এই লেকের নিচে পাওয়া যায় কাঠের তৈরি ঘর বাড়ি. এই লেকের নিচে পাওয়া যায় বিভিন্ন দামী সম্পদ.


নাম্বার দুই সমুদ্রের নিচে তলিয়ে যাওয়া  হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ  সমুদ্রতলে পাওয়া সম্পদ. পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া স্প্যানিশ এক জাহাজে পাওয়া যায় মূল্যবান অনেক সম্পদ. খোঁজ মেলে উনিশশো পঁচাশি সালে এটি আবিষ্কার করেছিলেন অ্যাডভেঞ্চার মেল ভিসার এই সম্পদ পাওয়ার পর তিনি বেশ ধনী হয়ে গিয়েছিলেন. এই জাহাজটি ষোলোশো বাইশ সালে দুর্ য়োগের কবলে পড়ে ডুবে যায়. এতে ছিল সোনা ও রুপার বহুমূল্যবান প্রায় চল্লিশ টন সম্পদ. এখান থেকে চারশো পঞ্চাশ মিলিয়ন ডলারের সম্পদ উদ্ধার করা গিয়েছিল আর বাকি অনেক কিছুই হারিয়ে গিয়েছিল সমুদ্রের নিচে রয়ে গেছে এখন। না জানি এই সম্পত্তির মূল্য কত হতো যদি সম্পূর্ণ সম্পদ উত্তোলন করা যেত। 


নাম্বার তিন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে হারিয়ে যাওয়া জাহাজের গল্প সুইবি স্ট্রিক জাহাজ কোন কোন জাহাজ দুর্যোগের কবলে পড়ে সমুদ্রে হারিয়ে যায় এটি নতুন কিছু নয় বরং সমুদ্রের নিত্য ঘটনা এমনটাই ঘটেছিল এই জাহাজের সঙ্গেও. আঠারোশো পঁচাশি সালে এটি কানাডার আন্ডারে কয়লা নিতে যাচ্ছিল এই জাহাজটি সামুদ্রিক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এটি ডুবে যায়. এরপর একে তেড়ে নিয়ে আসা হয় তবে উপরে তোলা সম্ভব হয়নি. আর এখনো এটি পানির উপর থেকে স্পষ্ট দেখা যায়. জাহাজটি এখন পর্যটকদের  আকর্ষণের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে. সারা বছরই সেখানে মানুষের ভিড় লেগে থাকে. 

আগে এখানে driving এবং জাহাজের ভেতরে ঢোকার অনুমতি ছিল. তবে এটিকে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জন্য সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেখানকার কর্তৃপক্ষ. তাই জাহাজের ভেতরে ঢোকা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে. 


নাম্বার চার, কলম্বিয়ান সম্পদ. যখন আমাদের এই পৃথিবীতে উড়োজাহাজ আবিষ্কার হয়নি তখন এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে ব্যবহার করা হতো জাহাজ, এছাড়াও অন্য দেশের সঙ্গে যুদ্ধ করতেও ব্যবহার করা হতো জাহাজ প্রায়  তিনশো বছর আগে কলম্বিয়ার সঙ্গে যখন আমেরিকা আর স্প্যান যুদ্ধ লাগে সেই সময় স্পেনের সেল হোগি নামক একটি জাহাজ ডুবে গিয়েছিল সেটা ছিল স্পেনের জন্য অনেক বড় লোকসানের ব্যাপার. কারণ এই জাহাজেই ছিল মহামূল্যবান সম্পদ. South ড়িকা থেকে সম্পদ নিয়ে স্প্যান এর দিকে যাচ্ছিল সেলহগি নামক জাহাজটি. এই জাহাজটিতে ছিল হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি 

আজকের দিনের মূল্যে যদি হিসাব করা হয় তাহলে প্রায় সতেরো মিলিয়ন ইউ এস ডলারের সমান সম্পদ ছিল জাহাজটিতে সবকিছু নিয়েই ডুবে যায় সেটি সমুদ্রে. দু হাজার পনেরো সালে কলম্বিয়া এই জাহাজের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায়. বিশেষজ্ঞদের ধারণা এটি এখন পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে মূল্যবান সামুদ্রিক সম্পদ. তবে এই সম্পদের মালিক কে হবে? Sp নাকি কলম্বিয়ানরা এ দ্বন্দ্বের মীমাংসা এখন পর্যন্ত হয় নি. তাই কলম্বিয়ান সরকার এই সম্পদ উদ্ধারের কাজ স্থগিত রেখেছেন . তবে এখন পর্যন্ত কাউকে জানানো হয়নি এটির সঠিক অবস্থান সম্পর্কে, এমনই আরো অনেক কিছুই আবিষ্কৃত হয়েছে সমুদ্রের নীচে। না জানি আরো কত মূল্যবান সম্পদ সমুদ্রের নিচে পড়ে আছে। 

বন্ধুরা আজ এই পর্যন্ত দেখা হবে আবার ও ততক্ষণ পর্যন্ত সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন আর আমাদের পোস্টগুলো আর্টিকেলগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ আল্লাহ হাফেজ। 

Post a Comment

0 Comments