মাধ্যাকর্ষণ শক্তি সম্পর্কে কুরআন কি বলে? পৃথিবীতে কি এমন কোন জায়গা আছে যেখানে মাধ্যাকর্ষণ কাজ করে না? ------ alhadi HB

(📌📌Dear readers, for the convenience of your reading, we have uploaded an Post on our website in two languages. English & Bangla

প্রিয় পাঠকগণ আপনাদের পড়ার সুবিধার্থে আমাদের ওয়েবসাইটে আমরা একটি পোষ্ট বা আর্টিকেল দুটি ভাষায় আপলোড করে থাকি । ইংরজি & বাংলা)


আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ , প্রিয় পাঠকগণ কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন । আজ আমরা আলোচনা করব 




 মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ও আল কুরআন : বর্তমান আধুনিক বিজ্ঞান আবিষ্কার করেছে যে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি রয়েছে । তবে প্রত্যেকেই জানতে চায় কোন জিনিসে আকর্ষণ সৃষ্টি করে ? এই আকর্ষণের কারণ কি ?


 বিজ্ঞানীগণ গবেষণার মাধ্যমে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণ হিসাবে বর্ণনা করেছেন যে পৃথিবীর অভ্যন্তর হচ্ছে অত্যধিক ভারী এবং যার ওজন যত ভারী হবে তার আকর্ষণ তত শক্তিশালী হবে । তারা বলছেন আমরা যত মাটির নিচে নেমেছি ওজন তত বেড়েছে , তারা জমিনের অভ্যন্তরে ঠিক মাঝামাঝিতে এক প্রকার ভারী তরল পদার্থ পেয়েছেন যা সেখানে ঘুরছে । তার এই চলাচলটা একটা পথে পরিণত হয়েছে । 


আর এই হচ্ছে ম্যাগ্নেটিস যা প্রত্যেক বস্তুকে টেনে নেয় বা আকর্ষণ করে । তারা আরও বর্ণনা করেছে যে এই মাধ্যাকর্ষণ শক্তি থাকার কারণেই মানুষ পৃথিবীর উপর চলাফেরা করতে পারছে , বৃষ্টির পানি নিচে মাটিতে আসে , গাছের ফল জমিনে পড়ে , বাতাস পৃথিবীর সাথে লেগে থাকে । 



শুধু তাই নয় পৃথিবী হতে কোন বস্তুর দুরত্ব যতই বাড়তে থাকে ততই তার ওজন কমতে থাকে । আর যদি মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ব্যবস্থা মহান স্রষ্টা না করতেন তবে পৃথিবীর সব কিছু মহাশূন্যে হারিয়ে যেত , তা আর পাওয়া যেত না । আলাহ তাআলা বলেনঃ ( Nema যখন পৃথিবী তার কম্পনে প্রকম্পিত হবে । যখন সে তার বোঝা বের করে দিবে । সৃষ্ট অনয 3.2 ) এই আয়াত দুইটির ব্যাখ্যায় একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছিল । 


সেই সেমিনারে মুসলিমদের সাথে উপস্থিত হয়েছিলেন আমেরিকার অধিবাসী সাতিকলাজ । তিনি বলেন : পৃথিবীর অভ্যন্তরে ভারী বোঝা রয়েছে । আর এই বোঝাগুলো অনতিবিলম্বে বেরিয়ে আসবে । যখন সেগুলো বের হয়ে আসবে তখন অবস্থা কি হবে ? আলাহ তাআলা অন্য আয়াতে বলছেন : ( 113 যখন পৃথিবীকে সম্প্রসারিত করা হবে এবং পৃথিবীর গর্ভস্থিত সবকিছু বাইরে নিক্ষেপ করবে ও তা শূন্যগর্ভ হয়ে যাবে । ( সূরা ইনসিকাক ৩-৪ ) পৃথিবীর গর্ভস্থিত সবকিছু যখন বের হয়ে যাবে তখন আর তার মাধ্যাকর্ষণ থাকবে না এই মহা বিশ্বের সুন্দর আইন শৃঙ্খলা ও নিয়ম নীতি আর থাকবে না । 


এ সব কিছুই হবে কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার পূর্বে । ডা . হেমায়েত স্বীয় কিতাবে আরও বর্ণনা করেছেন । পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ টান না থাকলে অথবা কম হলে জলীয় বাষ্প উপরের দিকে চলেই যেত । আবার উপরে ঠান্ডা বাতাস জলীয় বাষ্পকে ঘনীভূত করতে না পারলে জলকণা তৈরি হত না ফলে বৃষ্টিও হত না তাহলে একদিন পৃথিবীর সব পানিই বাষ্প হয়ে আকাশে উড়ে বেড়াত । আর ফিরে আসত না ফলে পৃথিবীতে কোন পানিই খুঁজে পাওয়া যেত না যার ফলে নিঃশেষ হয়ে যেত জীবনের অস্তিত্ব । তিনি আরও বলেন : পৃথিবী যদি চাঁদের মত ছোট অর্থাৎ বর্তমান আয়তনের চারভাগের একভাগ হত তবে এর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি হত বর্তমানে যা আছে তার ৬ ভাগের ১ ভাগ । 


তাহলে সূর্যের তাপে পানি বাষ্প হয়ে উপরের দিকে চলে গেলে আর ফিরে আসত না কোনদিন । মাধ্যাকর্ষণ কম হওয়ার কারণে চলে যেত তো চলেই যেত  । ফলে দ্রুত শেষ হয়ে যেত পৃথিবীর সমুদয় পানি । ' এবং আমি আকাশ থেকে বারি বর্ষণ করি পরিমিতভাবে ; অতঃপর আমি উহা মৃত্তিকায় সংরক্ষণ করি ; আমি উহাকে অপসারিত করিতেও সক্ষম । ' ( সূরা মু'মিনূন ২৩৪ আয়াত ১৮ ) চাঁদ সবসময় পৃথিবীর দিকে একদিক মুখ করে ঘুরে । চাঁদের মত পৃথিবীও যদি সূর্যের দিকে একদিকে হত তাহলে সেই দিক হতো তীব্র শীত , যার কারণে পানি বরফ হয়ে যেত আর অন্যদিকে প্রখর গরমের জন্য পানি বাষ্পীয় অবস্থায় বিদ্যমান থাকত অতি গরম ও অতি শীত কোন অবস্থায়ই পানি পাওয়া সম্ভব হত না ।



 পৃথিবী যদি সূর্যের সমান বড় হত তবে এর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি হত বর্তমানের ১৫০ গুণ । যার কারণে বায়ুমণ্ডলের উচ্চতা ৪ মাইলের চেয়েও কমে যেত । তাহলে পানি আর বাষ্পীভবন হত না । সারা পৃথিবী ডুবে যেত পানিতে সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব যদি বর্তমানের দ্বিগুণ হত তাহলে সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব বৃদ্ধির ফলে পৃথিবীর তাপ কমে গিয়ে দাঁড়াত বর্তমানের ৪ ভাগের ১ ভাগে । তদুপরি কক্ষপথ বৃদ্ধির কারণেও শীতকালের পরিমাণ হত বর্তমানের চার গুণ । কাজেই সারা পৃথিবীর পানি বরফে পরিণত হয়ে যেত । এমনকি গ্রীষ্মকালেও মুক্ত পানি পাওয়া যেত না । তীব্র শীত ও মুক্ত পানির অভাবে উদ্ভিদ ও প্রাণীকুল নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত অতি সহজেই 

প্রিয় পাঠকগণ এখানে কোন ধরনের বানান ভুল ত্রুটি থাকলে সুন্দর ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন । সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন , পাশে থাকা কালো বেল আইকন এ ক্লিক allow button এ ক্লিক করে রাখতে পারেন । 📌 অথবা follow বাটনে ক্লিক করে follow দিয়ে রাখেন , যাতে আমাদের প্রত্যেকটি পোস্ট আপলোড করার সাথে সাথে আপনি পেয়ে যান । সবাইকে ধন্যবাদ আল্লাহ হাফেজ 


মানুষ আরো যা জিজ্ঞেস করে বা জানতে চাই : মধ্যাকর্ষণ শক্তি মধ্যাকর্ষণ শক্তি কে আবিষ্কার করেন মধ্যাকর্ষণ শক্তি কাকে বলে মধ্যাকর্ষণ শক্তি কি মধ্যাকর্ষণ কাকে বলে মধ্যাকর্ষণ শক্তি in english নিউটন কত সালে মধ্যাকর্ষণ শক্তি আবিষ্কার করেন মধ্যাকর্ষণ মধ্যাকর্ষণ বল কাকে বলে মধ্যাকর্ষণ শক্তি আবিষ্কার করেন কে মাধ্যাকর্ষণ মাধ্যাকর্ষণ মাধ্যাকর্ষণ শক্তি মাধ্যাকর্ষণ বল কাকে বলে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কি মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কে আবিষ্কার করেন মাধ্যাকর্ষণ সূত্র মাধ্যাকর্ষণ বানান মাধ্যাকর্ষণ শক্তি english meaning পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ভিতরে গেলে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি মাধ্যাকর্ষণ ও অভিকর্ষ মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কে আবিষ্কার করেন মাধ্যাকর্ষণ বানান মাধ্যাকর্ষণ শক্তি english meaning পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ভিতরে গেলে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি মাধ্যাকর্ষণ ও অভিকর্ষ নিউটনের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি মাধ্যাকর্ষণ ত্বরণ মাধ্যাকর্ষণ বলের প্রভাবে গতি বৃদ্ধি


Post a Comment

0 Comments