কিভাবে প্রমাণিত হয় যে কুরআন কোনও মানুষের রচিত ধর্মগ্রন্থ নয়? How is it proven that the Qur'an is not a man-made scripture? -----alhadi hb

 


*কুরআনের মত কোন কিতাব পৃথিবীতে নেই*

সর্বপ্রথম কে কুরআন একত্রিত করেন,কুরআনকে কুরআন বলার কারণ কি,কোরআন নাজিল হয়েছে কত রমজানে,কোরআন কি মানব রচিত?,কোরআন আল্লাহর বাণী - তার প্রমাণ কি ,alhadi


 ১। মহান আল্লাহ তা'আলা বালেন  : বলঃ এ কুরআনের মত একখানা কুরআন আনার জন্য যদি সমগ্র মানব আর জিন একত্রিত হয় তবুও তারা তা আনতে পারবেনা , যদিও তারা পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য ও সহযোগিতা করে । [ সূরা বানী ইসরাইল -৮৮ ] 


২। তাহলে কি তারা বলে যে , ওটা সে নিজেই রচনা করেছে ? তুমি বলে দাও  ঃ তাহলে তোমরাও ওর অনুরূপ রচিত দশটি সূরা আনয়ন কর এবং ( নিজ সাহায্যার্থে ) যে সমস্ত গাইরুল্লাহকে ডাকতে পার ডেকে আন , যদি তোমরা সত্যবাদী হও । [ সূরা হুদ -১৩ ] 


৩। আমি আমার বান্দার প্রতি যা নাযিল করেছি তাতে তোমাদের কোন সন্দেহ থাকলে তোমরা তার মত কোন সূরা এনে দাও । আর তোমরা যদি সত্যবাদী হও তাহলে আল্লাহ ছাড়া তোমাদের সকল সাহায্যকারীকে আহ্বান কর । যদি তোমরা না পার এবং কক্ষনো পারবেনা , তাহলে সেই আগুনকে ভয় কর যার ইন্ধন হবে মানুষ এবং পাথর , যা প্রস্তুত রয়েছে কাফিরদের জন্য । [ সূরা বাকারা - ২৩-২৪ ]


আরো পড়ুন ::: কখন আলহামদুলিল্লাহ বলতে হয় , আলহামদুলিল্লাহ বলার গুরুত্ব ও ফজিলত



 ৪। নাবী সাল্লাল্লাহু ' আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কুরআন তিলাওয়াত করে তার উদাহরণ হচ্ছে ঐ লেবুর ন্যায় যা সুস্বাদু এবং সুগন্ধযুক্ত । আর যে ব্যক্তি ( মু'মিন ) কুরআন পাঠ করেনা তার উদাহরণ হচ্ছে এমন খেজুরের মত যা সুগন্ধহীন কিন্তু খেতে সুস্বাদু । 


আর ফাসিক - ফাজিল ব্যক্তি যে কুরআন পাঠ করে তার উদাহরণ হচ্ছে রায়হান জাতীয় গুল্মের মত যার সুগন্ধ আছে কিন্তু খেতে বিস্বাদযুক্ত । আর ঐ ফাসিক যে কুরআন একেবারেই পাঠ করেনা তার উদাহরণ হচ্ছে ঐ মাকাল ফলের মত যা খেতেও বিস্বাদ এবং যার কোন সুঘ্রাণও নেই । [ বুখারী / ৪৬৪২ - আবূ হুরাইরা ( রাঃ ) ] 


মহান আল্লাহ তায়ালা এই পৃথিবীতে 104 খানা কিতাব নাযিল করেছেন তার মধ্যে বড় চারটি কিতাব হলো বড় চারটি কিতাব হলো তাওরাত, জাবুর, ইঞ্জিল ও কোরআন। এই চার বড় গ্রন্থ নাজিল হয়েছে বিশিষ্ট চারজন নবী ও রাসুলের প্রতি। 


যথা: তাওরাত হজরত মুসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম–এর প্রতি ইবরানি বা হিব্রু ভাষায়, জাবুর হজরত দাউদ (আ ঃ)–এর প্রতি ইউনানি বা আরমাইক ভাষায়, ইঞ্জিল হজরত ঈসা (আ.)–এর প্রতি সুরিয়ানি ভাষায় এবং কোরআন হজরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি আরবি ভাষায় অবতীর্ণ করা হয়।



 সহিফাগুলো অবতীর্ণ হয়েছে হজরত আদম (আ.)–এর প্রতি ১০টি, হজরত শিশ (আ.)–এর প্রতি ৫০টি, হজরত ইদরিস (আ.)–এর প্রতি ৩০টি ও হজরত ইব্রাহিম (আ.)–এর প্রতি ১০টি। সহিফা ও কিতাবের মধ্যে কোরআন হলো সর্বশেষ আসমানি কিতাব। এরপর আর কোনো কিতাব বা সহিফা নাজিল করা হবে না। 

কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে সর্বশেষ সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম–এর প্রতি। এরপর আর কোনো নবী ও রাসুল আসবেন না

কুরআন অবতীর্ণ হওয়ার পর থেকে শত শত বৎসর পর্যন্ত কুরআন তো দূরের কথা , কুরআনের একটি আয়াতের মত আয়াতও কেহ রচনা করতে সক্ষম হয়নি । কিন্তু শত শত বৎসর পর মারগানের অধিবাসী বুরহানউদ্দীন মারগানী হিদায়া নামক কিতাব রচনা করে ঘোষণা দিল  ঃ “ নিশ্চয়ই হিদায়া কিতাব কুরআনের মত , নাউজুবিল্লাহ মিন জালেক ।  নিশ্চয়ই এটা তার পূর্ববর্তী রচিত সকল গ্রন্থরাজীকে রহিত করে ফেলেছে । ” ( হিদায়া , মুকাদ্দামা অধ্যায় , ১ ম খন্ড ) । 


পাঠকবৃন্দ একটু চিন্তা করে দেখুন , কুরআনকে পৃথিবী থেকে মুছে ফেলার জন্য কুরআনের মত কিতাব দাবী করতেও দ্বিধাবোধ করেনি । এমনকি পূর্বের সমস্ত কিতাবও রহিত করে ছেড়েছে । 


অথচ এই হিদায়ার মধ্যে অনেক হারামকে হালাল এবং হালালকে হারাম ফাতওয়া দেয়া হয়েছে এবং ইমাম আবূ হানীফার নামে মিথ্যা কথা পর্যন্ত লিখেছে । এটা মাযহাব / বিশেষ মত প্রতিষ্ঠার হীনতম চক্রান্ত । 


কিন্তু আল্লাহর ঘোষণা অনুযায়ী কুরআন আজও নির্ভুল , অপরিবর্তিত অবস্থায় বিদ্যমান আছে । ভবিষ্যতেও থাকবে ।  আল্লাহ বলেন  ঃ আমিই কুরআন অবতীর্ণ করেছি এবং আমিই এর সংরক্ষণকারী । [ সূরা হিজর -৯ ] আল্লাহ আমাদেরকে এ সকল দল / মতের কু - চক্রের কবল থেকে রক্ষা করুন । আমিন 


প্রিয় পাঠকগণ এখানে কোন ধরনের বানান ভুল ত্রুটি থাকলে সুন্দর ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন । সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন , পাশে থাকা কালো বেল আইকন এ ক্লিক করে allow button এ ক্লিক করে রাখতে পারেন । যাতে আমাদের প্রত্যেকটি পোস্ট আপলোড করার সাথে সাথে আপনি পেয়ে যান । এবং পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন । সবাইকে ধন্যবাদ আল্লাহ হাফেজ

Post a Comment

0 Comments