আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ বন্ধুরা আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন,বন্ধুরা আজ থেকে চৌদ্দশ বছর পূর্বে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তাআলা পক্ষে থেকে কুরআনে যে সমস্ত তথ্য দিয়েছেন তা আজ বিজ্ঞান বিভিন্নভাবে গবেষণা করে প্রমাণ করতেছে,বন্ধু রা জীব বিজ্ঞানীগণ একটা পরীক্ষা করে দেখেছেন. একটা গাভী খাদ্যের মাধ্যমে যেসব প্রোটিন খাই, যে পরিমাণ প্রোটিন খাই, তা হিসেবে এবং ওজন করেছেন এবং গাভী থেকে যে দুধ বেরিয়ে আসে, সেই দুধের প্রোটিন এই প্রোটিনের ওজন করেছেন এবং পরিমাপ করেছেন.
পরে দেখা গেছে যে দুধের থেকে যে প্রোটিন পাওয়া গিয়েছে তার ওজন ওইসব প্রোটিন যা গাভী তার খাদ্যের মাধ্যমে ভক্ষণ করেছে তার থেকে অনেক বেশি. অর্থাৎ গাভি যে পরিমাণ প্রোটিন খেয়েছে. আর গাভী যে পরিমান দুধ দিচ্ছে সেই দুধের প্রোটিন অনেক বেশি.
তাহলে এখানে প্রশ্ন হল, এই অতিরিক্ত প্রোটিনটা আসলো কোথা থেকে? আধুনিক বিজ্ঞান বর্ণনা করছে যে প্রাণীর পাকস্থলীতে বেশ কিছু ক্ষুদ্র জীবাণু রয়েছে. সেই সব জীবাণু এমন খাদ্য গ্রহণ করে যেগুলোতে প্রোটিন নেইব য়ে চলে. সেই জীবাণুগুলো এই খাদ্যকে প্রোটিনে রূপান্তর করে.
যা মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী. এই দুধে মানব শরীরের প্রয়োজনীয় সব ধরনের উপাদান রয়েছে. তাই এই দুধ সন্তানের জন্য যেমন উপকারী তেমনি উপকারী যুবক বৃদ্ধ সহ সকল মানুষের জন্য. আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি এই দুধ আসলে সৃষ্টি হয় কিভাবে প্রথমেই আসুন দেখি যে দুধ উৎপাদন করার প্রসেসটা আসলে কেমন একটা প্রাণী দেহে কিভাবে দুধ উৎপন্ন হয়.
গরু, মহিষ, উট, ছাগল, দুম্বা ইত্যাদি দুধ প্রদানকারী প্রাণী ঘাস এবং তৃনলতা থেকে খাদ্য গ্রহণ করে যা তাদের পরিপাকতন্ত্রে হজম হয়. খাদ্যের পরিত্যাজ্য বস্তু গুলো মল বা গোবর হিসাবে পরিত্যাক্ত হয় আর গ্রহণযোগ্য বস্তু গুলো ইন্টারস্টাইন বা অন্তর থেকে রক্তে প্রবেশ করে.
রক্ত শরীরের সকল কোষকে প্রয়োজনীয় রাসায়নিক দ্রব্যাদি সরবরাহ করে থাকে. ও কোর্স থেকে সমস্ত দূষিত পদার্থ গ্রহণও করে. গ্রহণ করার পর রক্ত এই ক্ষতিকর বা অপ্রয়োজনীয় পদার্থগুলোকে শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে এবং মুত্রের মাধ্যমে বের করে দেয়.
সুতরাং পুষ্টিকর বস্তুগুলো রক্তে প্রবাহিত হয়. যে সমস্ত গ্রন্থি দূত সৃষ্টিতে অংশগ্রহণ করে যেমন দুধের বাট, পিটু, হটারি এই গ্রন্থিগুলোর জীব কোষ সম এ তাদের প্রয়োজনীয় বস্তু গুলো রক্তের মাধ্যমে পেয়ে থাকে. এমনিভাবে দুধের মাখন, চিনি, ভিটামিন, প্রোটিন ইত্যাদি রক্ত দ্বারা সরবরাহ করা হয়. রক্তের বস্তুগুলো খাদ্য থেকে তা থেকে মল ও মূত্র পরিত্যক্ত হয়.
আর রক্ত দুধের প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করে সেই সমস্ত গ্রন্থিতে নিয়ে চলে যায়. সুতরাং মল, মূত্র ও রক্তের মধ্যবর্তী অবস্থা থেকে দুধের সৃষ্টি হয়.
এবার আসুন দেখি পবিত্র কোরান আমাদেরকে কি বলছে গবাদি পশুর শরীরে দুধ উৎপাদন সম্পর্ক প্রথমেই আল্লাহ তায়ালা বলছেন নিশ্চয়ই চতুষ্পদ ও প্রাণীর মধ্যেও তোমাদের জন্য শিখবার বিষয় রয়েছে. আমি তোমাদেরকে পান করায় এদের শরীর থেকে তাদের মলমূত্র ও রক্তের মধ্যবর্তী বস্তু থেকে মিশ্রিত যা পানকারীদের জন্য উপাদেয়.
অর্থাৎ আমরা আগে দুধ উৎপাদনের যে প্রক্রিয়াটি সংক্ষেপে বর্ণনা করেছিলাম পবিত্র কোরানের এই আয়াত. তার সঙ্গে হুবহু মিলে যায়.
অর্থাৎ, দুধ তৈরি হয় একটা প্রাণীর. রক্ত এবং মলমূত্রের মধ্যবর্তী স্থান থেকে. প্রাণীর ম মূত্র ও রক্তের মধ্যবর্তী অবস্থা থেকে দূর সৃষ্টির কথাটি সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক তথ্য ভিত্তিক যদিও বিজ্ঞান এই ব্যাপারে জ্ঞান অর্জন করেছে কোরান নাজিলের বারোশো বছর পর পবিত্র কোরানে কি এই কথা কোনো সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে বলা সম্ভব যে একটা গবাদি পশুর রক্ত এবং গোবরের মধ্যবর্তি স্থান থেকে দুধ তৈরী হয় কত সুন্দর করে এবং কত সংখ এই কুদরতের বর্ণনা দিলেন.
কোরানের এই ধরনের আয়াত বৈজ্ঞানিকদের কাছে আরো গবেষণা এবং প্রেরণা দেবে. স্মরণ রাখা প্রয়োজন এই ব বৈজ্ঞানিক তথ্যটি প্রায় চোদ্দোশো বছর পূর্বে নাজিল হওয়া পবিত্র কোরানে সর্বপ্রথম উদঘাটিত বিষয়. এমনিভাবে আল্লাহ মানুষকে বস্তুজগতে বহু বিষয়ের অর্থাৎ জ্ঞান সম্বন্ধে ইঙ্গিত করেছেন, যা কোরানের অন্যতম,
পরিশেষে একটি কথাই বলতে চাই আল্লাহ তা'আলা কুরআনুল কারীমের মধ্যে আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন তোমরা গবেষণা করো তোমরা অনুসন্ধান করো তোমরা আল্লাহর সৃষ্টিকে নিয়ে চিন্তা করো,মহান আল্লাহ তা'আলার কাছে একটা চাওয়া হে আল্লাহ আপনি আমাদের সবাই কে আপনার নির্দেশ অনুযায়ী সব সময় চলার তাওফিক দান করুন, আমিন
বন্ধুরা তাহলে আজ এই পর্যন্তই সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং আমাদের পোষ্ট টি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করুন আল্লাহ হাফেজ।
প্রিয় পাঠকগণ এখানে কোন ধরনের বানান ভুল ত্রুটি থাকলে সুন্দর ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন । সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন , পাশে থাকা কালো বেল আইকন এ ক্লিক allow button এ ক্লিক করে রাখতে পারেন । যাতে আমাদের প্রত্যেকটি পোস্ট আপলোড করার সাথে সাথে আপনি পেয়ে যান । সবাইকে ধন্যবাদ আল্লাহ হাফেজ
0 Comments