আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা কেমন আছেন আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। বন্ধুরা মহান আল্লাহ তায়ালা হলো সমগ্র মহাবিশ্বের সমগ্র জাহানের সমগ্র সমস্ত কিছুর মালিক তিনি সমস্ত কিছুর সৃষ্টি কর্তা। মহাকাশের যত গ্রহ উপগ্রহ নক্ষত্র যা কিছু আছে সবই আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি। তো বন্ধুরা আজ আলোচনা করব বৃহস্পতি গ্রহ কে নিয়ে। বৃহস্পতি আমাদের সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ এটা এত বড় যে এটার সামনে আমাদের পৃথিবী একটা কাঁচের গুলির মতো লাগে. এক গবেষণা থেকে জানা গেছে, বৃহস্পতি সৌরজগতের সবচেয়ে পুরনো গ্রহ যদি আমরা সব গ্রহ গুলোকে একসাথে ওজন করি তারপরও বৃহস্পতির ওজন আড়াই গুণ বেশি হবে. বন্ধুরা আজ আমরা আলোচনা করব বৃহস্পতি গ্রহের কিছু অজানা তথ্য নিয়ে । তো বন্ধুরা চলুন দেরী না করে শুরু করা যাক।
সূর্য থেকে দূরত্বের বিচারে বৃহস্পতি গ্রহ পঞ্চম স্থানে অবস্থান করতে এবং আকার আয়তনের দিক থেকে সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ নিরক্ষরেখা বরাবর এটার পরিধি এক লক্ষ বেয়াল্লিশ হাজার নশো চুরাশি কিলোমিটার. এটি পৃথিবীর আকাশে তৃতীয় উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক.
চাঁদ এবং শুক্র পরে বৃহস্পতি সবচেয়ে উজ্জ্বল গ্রহ বিশাল আয়তন এবং উজ্জ্বলতার কারণে পৃথিবী থেকে অনেক দূরে অবস্থিত হলেও বৃহস্পতিকে দূরবীন ছাড়াই খালি চোখে পৃথিবী থেকে দেখা যায়. বৃহস্পতির দৈর্ঘ্য অন্যান্য সব গ্রহের থেকে কম. যেমন পৃথিবী নিজের অক্ষের চারদিকে এক পা ঘুরে আসতে সময় নেয়. প্রায় চব্বিশ ঘন্টা সেখানে বৃহস্পতি গ্রহ সময় নেয় মাত্র ন ঘন্টা পঞ্চান্ন মিনিট.
যেটা অন্য গ্রহদের থেকে কম, বৃহস্পতি সূর্যের চারদিকে এক পা ঘুরে আসতে সময় নেয়. চার হাজার তিনশো ঊনত্রিশ দিন, অর্থাৎ পৃথিবীর এগারো দশমিক ছিয়াশি বছর সমান বৃহস্পতির এক বছর. আর এত সময় নেওয়া কারণ হলো সূর্য থেকে দূরত্ব সূর্য থেকে বৃহস্পতির দূরত্ব প্রায় সাতাত্তর দশমিক আট কোটি কিলোমিটার বৃহস্পতি একটি গ্যাসীয় দানব অর্থাৎ এটির গঠন মূলত গ্যাস দিয়ে হয়েছে.
সেই ড়নে এই গ্রহের ঘনত্ব অনেক কম. প্রতি কিউবিক সেন্টিমিটারে মাত্র এক দশমিক তিনশো ছাব্বিশ গ্রাম বৃহস্পতি পুরোপুরি মেঘ দ্বারা ঢাকা বৃহস্পতি বায়ুমণ্ডল গঠিত হয়েছে উননব্বই শতাংশ হাইড্রো েন দশ শতাংশ হিলিয়াম এবং বাকি এক শতাংশ অন্যান্য গ্যাস দিয়ে মেঘের নিচের স্তরের ঘনত্ব কিছুটা বেশি. তবে পুরোপুরি কঠিন পদার্থের অস্তিত্ব হয়তো বৃহস্পতিতে নেই. বৃহস্পতির এক অর্থাৎ বায়ুমণ্ডল, মেঘের অনেকগুলো স্তর দিয়ে গঠিত.
এই গ্রহের কোর, বা কেন্দ্র খুবই ছোট. আর তার উপর এক বিশাল গ্যাসের স্তর রয়েছে. এই গ্যাসের মধ্যে হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম ছাড়াও কম পরিমাণে মিথেন, আমোনিয়া, হাইড্রজেন সালফাইড রয়েছে. আর এই গাছগুলোই মিলিতভাবে বৃহস্পতিকে এত colorful বানিয়েছে.
একটা ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে. বৃহস্পতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং ভিন্নধর্মী বৈশিষ্ট্য হলো এই গ্রহের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত the great red spot. বিজ্ঞানীরা বলেছেন এটা একটা বিশাল আয়তনের দ্বৈত ঝড়. যেটা মূলত সপ্তদশ সতাব্দি থেকে একটানা বয়ে চলেছে বলে ধারণা করা হয়. ঝড়টা এত বিশাল এলাকা জুড়ে অবস্থিত যার মধ্যে দুটো আস্ত পৃথিবী সহজেই ঢুকে যাবে. এই ঝড়ে হওয়া পাঁচশো থেকে ছশো কিলোমিটার বেগে
প্রবাহিত হয়. এই red spot আজও আমাদের কাছে এক রহস্যের বিষয়. বৃহস্পতি মূলত একটা ঠান্ডা গ্রহ. যেখানে মেঘের তাপমাত্রা মাইনাস একশো পঁয়তাল্লিশ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়.
এমনটা হওয়ার কারণ হলো সূর্য থেকে বৃহস্পতি অনেক দূরে অবস্থিত. অন্যদিকে বৃহস্পতির কেন্দ্রের তাপমাত্রা খুব বেশি. এর কেন্দ্রের তাপমাত্রা চব্বিশ হাজার ডি জি সেলসিয়াস. আমাদের সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহের তুলনায় বৃহস্পতির মাধ্যাকর্ষণ শক্তি সবচেয়ে বেশি.
পৃথিবীর তুলনায় বৃহস্পতির মাধ্যাকর্ষণ শক্তি প্রায় আড়াই গুণ বেশি. অর্থাৎ যদি কোন ওজন পৃথিবীতে একশো কেজি হয় গৃহস্থিতে তার ওজন হবে আড়াইশো কেজি. বৃহস্পতি গ্রহের ম্যাগনেটিক ফিল্ড অর্থাৎ চুম্বকীয় ক্ষেত্র অন্যান্য গ্রহের তুলনায় অনেকটাই বেশি.
এই গ্রহের ম্যাগনেটিক ফিল্ড, পৃথিবী তুলনায় চৌদ্দগুণ বেশি শক্তিশালী. বৃহস্পতি গ্রহের ভার পৃথিবীর তুলনায় তিনশো আঠেরো গুণ বেশি. আর আমাদের সৌরজগতের সবচেয়ে ভারী গ্রহ হল বৃহস্পতি. যদি আমাদের পৃথিবীর সাথে প্রতি তুলনা করি তাহলে এগারোটা পৃথিবী লাইন দিয়ে রাখার পর বৃহস্পতির পরিধির সমান হবে.
আমরা আগেই জেনেছি যদি সব গ্রহ গুলো ওজন করা হয়. তারপরেও এই গ্রহের ওজন আড়াই গুণ বেশি হবে. ড়ো হওয়ার পরও যদি সূর্যের সাথে তুলনা করা হয় তাহলে বৃহস্পতির সমস্ত দাদাগিরি ছুটে যাবে কারণ এটা সূর্য থেকে এত ছোট যে সূর্যের ভিতর প্রায় এক হাজার বৃহস্পতি রাখা যাবে.
একটা দুটো নয়, কমপক্ষে সাতষট্টি খানা উপগ্রহ বা চাঁদ আছে. পরবর্তীতে সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে. যাদের মধ্যে চারটি উপগ্রহ বৃহৎ আকৃতির. এই চারটিকে গ্যালোলিও উপগ্রহ বলা হয়. ষোলশ দশ সালে গ্যালোরিও প্রথম এই চারটে উপগ্রহ আবিষ্কার করেছিলেন. এর মধ্যে বৃহস্পতি সবচেয়ে বড় চাঁদ হলো মিদ. যেটা সৌরজগতের সবচেয়ে বড় উপগ্রহ এটা ডায়ামিটার পাঁচ হাজার দুশো আটষট্টি কিলোমিটার.
যেটা আমাদের চাঁদের প্রায় দ্বিগুণ. আরো জানলে অবাক হবেন, এটা বুধ গ্রহের থেকেও বড়. যদি জ্ঞানী মিট বৃহস্পতির চারদিকে না ঘটতো তাহলে খুব সহজেই এটাকে গ্রহ হিসেবে গণ্য করা হতো।
বন্ধুরা আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে সঠিক তথ্য তুলে ধরার জন্য যদি কোনো ধরনের তথ্য ভুল হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবে। আর কি তথ্য ভুল আছে তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন আর আমাদের পোস্ট টি ভালো লাগে তাহলে শেয়ার করুন সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
0 Comments