কি এমন উপায় আছে যেটি অবলম্বন করলে আমরা বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাবো। ----Alhadi hb

পানি খাওয়ার উপকারিতা,পানি খেলে আমাদের শরীরে কি কি উপকার হয়,পানির অপর নাম জীবন কেন,একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের কতটুকু পানি খাওয়া প্রয়োজন,alhadi hb,n



বন্ধুরা তা'আলা আমাদের সবাইকে সৃষ্টি করেছেন আল্লাহ তা'আলা আমাদের সকলের সৃষ্টিকারী তিনি। আমাদের সবার শরীরে রোগ  হবে কিন্তু এই রোগ থেকে বাঁচার উপায় অনেক উপায় রয়েছে। বন্ধু রা এমন একটি উপায় আছে যা অনুসরণ করলে আপনি রোগে থেকে বেচে জাবেন তা নয়, তবে এই উপায় টি অনুসরণ করলে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক কি সেই উপায় যেটি অনুসরণ করলেই সারা সুস্থ থাকা যাবে জি হ্যাঁ এমন একটি মহাকুশল এর নাম সঠিক নিয়মে পানি পান. আমরা সবাই জানি পানির অপর নাম জীবন. 

আবার জীবনের অপূর্ব পানি. ভুল নিয়মে পানি পান করলে শরীরে উপকারের চাইতে ক্ষতি বেশি হয়. আর এই কারণেই প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হন. এমনকি মৃত্যুবরণ পর্যন্ত করেন. তাই সুস্থ ও সবলভাবে বেঁচে থাকার জন্য সঠিক নিয়মে পানি পানের কোনো বিকল্প নেই. পানি কিডনির মাধ্যমে এ আপনার শরীরের সব ক্ষতিকারক উপাদান দূর করে দেয়. 

তবে পানী পান করার কিছু বিশেষ নিয়ম আছে. অনেকেই দাঁড়িয়ে পানি পান করে থাকেন. যেকারণে উল্টো নানা ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হন. কেউ যদি শুধুমাত্র নিয়ম মেনে সারাজীবন পানি ও জল বিয়োগ করতে পারেন তবে তাকে কখনোই কোনো রোগ বালাই স্পর্শ পর্যন্ত করতে পারবে না. এমনকি কেও ইতিমধ্যে রোগ আক্রান্ত হলেও যেদিন থেকে এই নিয়ম মানতে শুরু করবেন একশো পার্সেন্ট নিশ্চয়তা দিয়ে বলছি. 

সেদিন থেকে রোগের মাত্র ড়া উল্টো কমতে শুরু করবে. বিশেষ করে চার থেকে ছয় মাসের মধ্যে অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে. এছাড়া gastric ulcer, উচ্চ রক্তচাপ high cholesterol থাকলে কমে যাবে.

 ঠিকভাবে খাদ্য হজম, কিডনির দুর্বলতা সস্থি লাগা বিভিন্ন রোগের কারণে শরীরের ওজন কমে যাওয়া বার বার অসুখ হওয়া, skin এলার্জি, চুলকানি, মুখে ব্রণ এবং দাগের জ্বালাপোড়া, white heads, black heads, skin অনেক বেশি তৈলাক্ত হয়ে যাওয়া, অনেক শুষ্ক য়া অনেক খাবার পরেও মোটা না হওয়া joint এ ব্যথা শরীরে চর্বি জমে যাওয়া মাথা ব্যাথা, চুল পরে যাওয়া, রাতে ঘুম না আসা এগুলো ক্রমশ ঠিক হতে শুরু করবে. আর এর জন্যই এসব অসুখ নিরাময়ের একমাত্র হাতিয়ার হতে পারে সঠিক নিয়মে পানি পান করা.

 যদি পানি খাওয়ার পরিমান খাওয়ার সঠিক সময় আর পানি কিভাবে খেলে কি কি উপকার হয় অথবা কি কি ক্ষতি হয় এটা সম্পর্কে যদি আপনার না জানা থাকে, তবে আপনি যত ভালো খাবার খান কেন? এতে আপনার শরীরের কোন উপকার হবে না. যার ফলে ভবিষ্যতে আপনার অনেক শারীরিক প্রবলেম এর শিকার হতে হবে.

 প্রথমে আমরা পানির অপর নাম জীবন বলা হয় কেন এবং দেহকে সুস্থ রাখতে পানির ভূমিকা কি কি একদিনে প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন কতটুকু পরিমাণ পানি পান করতে হবে একবারে কয় পান করা উচিত এবং কিভাবে পান করতে হয় পানি কখন পান করা উচিত এবং কখনো উচিত নয় পানি ওজন বাড়ানো এবং কমানোতে কিভাবে সাহায্য করে এই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে আজকে জানবো.

 তো সবার প্রথম আলোচনা করা যাক পানির ওপর নাম জীবন বলা হয় কেন? এর কারণ জীবনের জন্য অক্সিজেনের পরেই পানির স্থান. পৃথিবীর মতো প্রত্যেকটি মানুষের শরীরের বাহাত্তর পার্সেন্ট হলো পানি. এমনকি হাড়ের এক চতুর্ধাংশ পেশির তিন ও মস্তিষ্কের পঁচাশি percent পানি দিয়ে গঠিত. আমাদের রক্ত ও ফুসফুসের আশি পার্সেন্ট পানি দিয়ে তৈরি.

 আমাদের পান করা পানি দিয়ে শরীরের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ যেমন কিডনি, লিভার, লাঞ্চ, পাচনতন্ত্র, সাথে সাথে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ঠিক ভাবে কাজ করা এবং আমাদের শরীরের কোষপাচিরকে জীবন্ত রাখতে পানি অপরিসীম ভূমিকা পালন করে. জেনে রাখুন পানির কার্যকারিতা রয়েছে যেমন ফ্লুইড ভারসাম্য রক্ষা করা calorie নিয়ন্ত্রণ করা পেশির শক্তি সঞ্চয় করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে কিডনিকে সুস্থ রাখে। 



এখন চলুন জেনে নিই একদিনে প্রাপ্তবয়স্ক ও প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন কতটুকু পরিমাণ পানি পান করতে হবে প্রত্যেক পূর্ণবয়স্ক মানুষের শরীরে প্রতিদিন কমপক্ষে দুই থেকে আড়াই লিটার পানির প্রয়োজন পানি পানির মাত্রা সঠিক আছে কিনা বোঝার উপায় প্রসাবের রঙ খেয়াল করা. প্রসাবের রঙ যত গাঢ় হবে, তত বেশি পানির ঘাটতি আছে শরীরে. 

ফলে অবিলম্বে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে. সারাদিনে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি পান করুন. যত বেশি পরিমাণে পানি পান করতে পারবেন কিডনি দয় তত বেশি সক্রিয় থাকবে এবং রক্তকে পরিশোধন করে শরীরের সকল দূষিত পদার্থ বের করে আনবে রোগ জীবাণুর শরীরের ভেতরে বেশিক্ষন অবস্থানের সুযোগ না পেলে রোগ বাসা বাঁধারও সুযোগ পাবে না.

 আমাদের মূত্র ঘাম থেকে প্রতিদিন আমাদের শরীর থেকে দুই লিটারের মতো পানি বেরিয়ে যায়. এবং তার restore করাটাও খুবই প্রয়োজনীয়. তাই দিনে কোন ব্যক্তির আড়াই থেকে তিন লিটার পানি পান করা খুবই জরুরী. যা একটি average গ্লাসের আট থেকে বারো গ্লাস পর্যন্ত হয়ে থাকে. আর গরমের দিনে প্রচুর পরিমাণে ঘাম নির্গমনের কারণে পানি পানের পরিমান কিছুটা বাড়াতে হবে. 

যারা নিয়মিত এক্সারসাইজ করে থাকে তাদের পানি আরো বেশি করে পান করা উচিত. কারণ শরীর থেকে পানি একটু বেশি পরিমাণে নির্গমন হয়.

 এবার আলোচনা করব  হঠাৎ করে যদি পানি শুন্যতা দেখা দেয় তবে কি ক্ষতি হতে পারে. শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিলে সাধারনত মাথা ব্যথা সহজে ক্লান্তি, মধুর সময় জ্বালা কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে. এছাড়াও সহজেই আক্রান্ত হতে পারেন বাইরের ভাইরাসে. এবার চলুন জেনে নিই একবারে কয়গ্রাস পানি পান করা উচিত এবং কিভাবে পান করতে হয়. হ্যাঁ পানি করারও নিয়ম আছে. 

আর এতে আপনার শরীরের অনেক উপকার হবে. গরগর করে নয়. চুমুক দিয়ে পানি পান করুন আয়ুর্বেদ মতে. চুমুক দিয়ে পানি পান করাই হল পানি পান করায় সর্বোত্তম উপায়. আমাদের মুখে আমরা প্রচুর পরিমাণে উৎপর্ন করি. লালা খড়ি ঐক্য উপাদান এবং আমাদের পেটে হাইড্রোকৌরিক এসিড আছে. আমাদের মুখে লালা সেই এসিডকে ইস্ত্রি রাখে. ডগ ডগ করে পানি পান করলে শুধু মাত্র পানি পান করাই হয়.

 সেটা আমাদের পাকস্থলী পর্যন্ত পৌঁছায় না, সম্পূর্ণ পরিবেশটাই AC যুক্ত হয়ে থাকে সুতরাং অল্প অল্প চুমুক দিয়ে পানি পান করুন আর অবশ্যই পানি বসে পান করতে হবে. দাঁড়িয়ে থেকে খুব তাড়াতাড়ি পানি পান করলে আমাদেরকেই ঠিকভাবে filter করতে bed হয় আর মুখের ওপর থেকে পানির বোতল নিয়ে ঢেলে পানি পান করলে পানির সাথে সাথে বাইরের আরো অনেক ঘ্যাস এবং জীবাণু আমাদের পেটে চলে যাবার সম্ভাবনা থাকে.

 এতে পরবর্তিতে আমাদের শরীরের জোড়ায় জোড়ায় ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়. এর জন্যই আমাদের উচিত বসে থেকে ধীরে ধীরে আর তিন থেকে চারনিশেষে পানি পান করা. আর একবারে যতটুকু পান করা প্রয়োজন তার থেকে বেশি পান করা উচিত নয়.একবারে এক থেকে দুই গ্লাস পানি পর্যন্ত পান করা উচিত. পুরো মুখে পানি নিয়ে পান করুন. আপনি যদি ওজন কমানোর পরিকল্পনা থাকে তবে এটি আপনার প্রিয় টিপস হতে পারে.

 এখন জানবো পানি খনন পান করা উচিত এবং কখন উচিত নয়. খাওয়ার সময় পানি পান স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়. এসময় পানি পান করলে হজমে সহায়ক অ্যানজাইম এবং এসিড গুলির কার্যক্ষমতা কমে যায়. ফলে খাবার হজম হতে সমস্যা হয়. বদহজমের মতো সমস্যা. ভারী খাবার যেমন breakpast, lunch অথবা dinner এর আগে পানি খেতে পারেন. 

কিন্তু খাবার পরে একেবারেই নয়. তবে খাবার খাওয়ার আগে অল্প করে পানি পান করতে পারেন. বেশি পানি পান করতে আবার খেতে পারবেন না. ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস হালকা কুসুম গরম পানি খেয়ে ঘুমোতে যান. এতে করে আপনার ইস্টোক হওয়ার ঝুঁকি থাকবে না. ব্যাম করার পরে সঙ্গে সঙ্গে পানি পান করবেন না. হালকা ব্যামের পর অল্প করে পা পান করা যেতে পারে. কিন্তু ভারী ব্যামের পর পানি পান করা একদমই উচিত নয়. 

যেহেতু শরীরচর্চা করার সময় ঘামের সঙ্গে অনেক পরিমাণে মিনারেল বেরিয়ে যায়, তাই এই ঘাটতি মেটাতে শরীরচর্চার পর glucose অথবা ডাবের পানি পান করা যেতে পারে সকালে ঘুম থেকে উঠেই পানি খেতে হবে. গবেষণায় দেখা গেছে সকালে ঘুম থেকে উঠেই এক থেকে দুই গ্লাস পানি পান করলে দেহের কর্মক্ষমতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়.বন্ধুরা তাহলে আজ এই পর্যন্তই সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ আর আমাদের পোস্টটি যদি ভালো লাগে তাহলে শেয়ার করুন। 

Post a Comment

0 Comments