মানব শরীর সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য। ----Alhadi HB




 মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবার সৃষ্টি কর্তা তিনি আমাদের সবাই কে সৃষ্টি করেছেন আজ আলোচনা করব আমাদের মানব শরীরের পাঁচটি অজানা আশ্চর্যজনক ঘটনা নিয়ে।  মানব শরীর এক জটিল যন্ত্র, এখানে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটে চলেছে. যা ব্যাখ্যা করা অসম্ভব. তার মধ্যে থেকেই সেরা পাঁচটি আশ্চর্যজনক ঘটনা নিয়ে আলোচনা করব আজ. চলুন শুরু করা যাক.

 number one মস্তিস্ক হলো মানব দেহের সবচেয়ে জটিলতম অঙ্গ অনেক সময় এটাকে আমরা জটিলতম যন্ত্রও বলতে পারি স্বাভাবিকভাবেই আমরা সবাই মনে করি যে বা আমাদের মনে হতে পারে যে দিনের বেলাতে আমরা যে সমস্ত জটিল কাজ করি বা দৈনন্দিন কাজ কর্মের সময়ে আমাদের মস্তিষ্ককে বেশি কাজ করতে হয়.

 অর্থাৎ ঘুমন্ত অবস্থায় থাকার চেয়ে মস্তিষ্কে অনেক বেশি সক্রিয় থাকে, যখন আমরা জেগে থাকি, কিন্তু না বৈজ্ঞানিক গবেষণায় জানা গেছে, আমরা যখন বাহ্যিক কাজ তখনই শুরু হয় আমাদের মস্তিষ্কের আসল জটিলতম কাজের. 

গবেষণায় দেখা গেছে মানুষের মস্তিষ্ক স্পষ্টভাবে ঘুম দ্বারা প্রভাবিত হয়. আমাদের ঘুমিয়ে থাকা আমাদের মস্তিষ্ক কে নানান কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়. জেগে থাকা অবস্থায় যে ঘটনাগুলি আমাদের কাছে অস্পষ্ট থাকে অর্থাৎ আমরা সঠিকভাবে যে ঘটনাগুলিকে জেগে থাকা অবস্থায় বুঝতে সেগুলি স্পষ্টভাবে বুঝতে চেষ্টা করে আমাদের মস্তিষ্ক আমাদের ঘুমন্ত অবস্থায়.

 এটি আমাদের স্বপ্ন দেখার অন্যতম একটি কারণও বটে. ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় মস্তিষ্ক কিভাবে এত কাজ করে? তা সত্যিই আশ্চর্যজনক. এর কারণ বিজ্ঞানীরা এখনো খুঁজে বের করতে পারেনি. তবে আমরা আমাদের মস্তিষ্ককে অনেক ধন্যবাদ জানাতে পারি যে, সে আমাদের ঘুম পাড়িয়ে নিজে নানা জটিল কাজ সম্পন্ন করছে আমাদের অজান্তেই. 


Number two আমরা অনেক সময় লক্ষ্য করি বিভিন্ন মানুষের চোখের মনির রং ভিন্ন ভিন্ন হয়. ারো, কালো, কারো আবার বাদামী আবার কিছু কিছু মানুষের চোখের মনির রং হালকা নীলাভ হয়. তবে বেশিরভাগ মানুষের চোখের মনি গারো বাদামী বা কালো রঙের হয়. একথা শুনে আপনারা আশ্চর্য হবেন যে প্রত্যেকটি শিশুই জন্মগ্রহনের সময় নীল চোখ নিয়ে জন্মায়. 

অর্থাৎ শিশুর জন্মগ্রহনের সময় তার চোখের মনির রঙ থাকে নীল. পরে তা কালো বা গারো বাদামী বর্ণ ধারণ করে. মনির বর্ণের পরিবর্তন, এতটা দ্রুত হয় যে আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই নীলাভ বর্ণটি দেখতে পাই না. তবে কোন কোন শিশুর মনির রং নীল দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই. 

এটি স্বাভাবিক ব্যাপার. তাছাড়া বেশিরভাগ কালো চামড়ার মানুষের ক্ষেত্রে শিশুদের চোখের মনির রং কালোই হয়. বা হালকা বাদামী বর্ণের হয়. বিজ্ঞানীদের মতে এর কারণ হলো যথেষ্ট পরিমান মেলানিনের উপস্থিতি অর্থাৎ মানবদেহে মেলানিনের উপস্থিতি এই মেলানিনের কাজ হলো চোখ চুল এবং ত্বক বা চামড়ার বর্ণ নির্ধারণ করা.

 কালো চামড়ার মানুষের ক্ষেত্রে এই মেলানিনের পরিমান বেশি থাকে. তবে সাদা চামড়া যুক্ত মানুষের দেহে মেলানের পরিমান কম থাকায় তাদের চুল বাদামী বর্ণের এবং শিশুরা জন্মগ্রহনের সময় নীল চোখ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে. 

Number three আমরা সবাই জানি acid একটি ক্ষতিকারকরা য়নিক পদার্থ. যা আমাদের শরীরে লাগলে বা কোথাও পড়লে যে সেই অংশটি পুড়ে যায়. তাছাড়া অ্যাসিড যদি কোনভাবে আমাদের শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে, তাহলেও ভীষণ ক্ষতিকারক.

 কিন্তু আমরা কি জানি আমাদের শরীরের অভ্যন্তরেও তৈরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত এক শক্তিশালী অ্যাসিড যা জিঙ্কের মত শক্ত ধাতুকেও গলিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে আমাদের পাকস্থলীতে যে হাইড্রোক্লোডিক অ্যাসিড তৈরি হয় তা এতটাই শক্তিশালী হয় তার প্রভাবে জীন ধাতু গলে যেতে পারে.

 আশ্চর্যের বিষয় হলো এত শক্তিশালী অ্যাসিড আমাদের পাকস্থলীতে উৎপন্ন হওয়া সত্ত্বেও, পাকস্থলীর কোন ক্ষতি হয় না. বরং সে তার কাজ সঠিকভাবে করেই চলেছি কখনো কি ভেবে দেখেছেন কেন এমন হয়?  পাকস্থলী মানবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, এটি খাদ্যবস্তু হজমে সাহায্য করে, এবং পাচনে সাহায্য করে. 

আমরা জানি আমাদের শরীরে প্রত্যেক মুহূর্তে খুশির বিন্যাস ঘটে এবং তার উৎপত্তিও হয় পাকস্থলী মানবদেহের এমন একটি অঙ্গ যেখানে যত সংখ্যক খুশির মৃত্যু ঘটে সঙ্গে সঙ্গে তার চেয়ে বেশি সংখ্যক কোষের জন্ম হয়. ফলে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের প্রভাবে কোষের মৃত্যু হলেও স্বাভাবিক যৌবনিক প্রক্রিয়ায় কোষের অত্যাধিক উৎপত্তির ফলে পাকস্থলী সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকে এবং আমাদের খাদ্যবস্তুকে করি. 



Number four খাদ্যই আমাদের শরীরের জ্বালানি হিসাবে কাজ করে. অক্সিজেন ছাড়া আমরা যেমন এক মুহূর্তও বাঁচতে পারি না তেমনি খাদ্য ছাড়া তাও খুব বেশি দিন বেঁচে থাকা সম্ভব নয়. খাদ্য খাবারও কিছু নিয়ম আছে. আমরা যদি খুব বেশি খাবার একসঙ্গে খেয়ে নি তবে শরীরে বিভিন্ন অস্বস্তির সৃষ্টি হয়. বেশি খাবার একসঙ্গে খেলে আশ্চর্যজন যে বিষয়টি ঘটে তা হল কানে কম সোনার প্রভাব.

 এটা কি আপনারা কখনো লক্ষ্য করে দেখেছেন? অর্থাৎ আমরা যদি কখনো খুব বেশি খাবার একসঙ্গে খেয়ে নি, তবে কানে কম শুনতে শুরু করব. যত পেট ভরা থাকবে এবং আবার স্বাভাবিক শোনা যাবে যখন পেট একটু খালি হয়ে যাবে এটি সত্যিই আশ্চর্যজনক মানবদেহে এমন অনেক আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটে যেগুলি আমরা লক্ষ্য করি না.

এই বিষয়টি আপনারাও লক্ষ্য করে দেখতে পারেন. তবে আমি খুব বেশি খাবার একসঙ্গে খেতে বারণী করবো. কারণ এক্ষেত্রে আরো অনেক সমস্যা যেতে পারে 

number 5 . আমাদের চোখ আমাদের সঙ্গে পরিবেশের এক মেলবন্ধন সৃষ্টি করে. চোখের সাহায্যেই আমরা এই পরিবেশের রঙিন ও অপূর্ব সৌন্দর্যকে উপভোগ করি. একটি শিশু বড় হওয়ার সাথে সাথে দেহের প্রত্যেকটি অঙ্গেরই বৃদ্ধি হতে থাকে. কিন্তু আমরা কি জানি আমরা যত বড়ই হই না কেন আমাদের চোখের আকার সারা জীবন একই থাকে হ্যাঁ একথা সত্য. 

একটি শিশুর জন্মের সময় চোখের যে আকার থাকে সেই একই আকার থাকে যখন সে বড় হয়ে ওঠে. অর্থাৎ আমাদের বড় হওয়ার সাথে সাথে প্রত্যেকটি অঙ্গের বৃদ্ধি ঘটলেও চোখের আকার সারাজীবন একই থেকে যায়. আমরা জানলাম আমাদের শরীরের পাঁচটি অজানা এবং আশ্চর্যজনক ঘটনা. 

তো বন্ধুরা পরিশেষে একটি কথাই বলতে চাই আল্লাহ তা'আলা আমাদের সৃষ্টি করেছেন আমাদের মানবদেহে কে সৃষ্টি করেছেন তিনিই আমাদের শরীরে আরও কত আশ্চর্যজনক সৃষ্টি রেখেছেন তা তিনিই ভাল জানেন আস্তে আস্তে দেখা যাবে আরো অনেক আশ্চর্যজনক বিষয় আমাদের শরীরের ব্যাপারে জানা যাবে।  তাহলে আছে এই পর্যন্তই সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করুন আল্লাহ হাফেজ। 


Post a Comment

0 Comments