পৃথিবীর সবচেয়ে গভীরতম স্থান কোনটি জানা আছে কি কারো। ---- Alhadi HB

 

পৃথিবীর সবচেয়ে গভীরতম স্থান কোনটি,মারিয়ানা ট্রেঞ্চ এর গভীরতা কত,পৃথিবীর সবচেয়ে অঞ্চল কোনটি,পৃথিবীর সবচেয়ে নিচু স্থান কোনটি,Alhadi hb,sm nahid,nhd


বন্ধুরা আপনাদের কাছে যদি জানতে চাই বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু তম স্থান কোনটি? আপনারা খুব সহজেই সেটি বলতে ড়বেন. তবে যদি জানতে চাই বিশ্বের গভীরতম স্থান কোনটি তাহলে নিশ্চয়ই সহজেই মবে পাড়ার কথা নয়. উত্তরটাজানতে হলে আগে  কিছু ইতিহাস এবং প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে হবে. ষোলোশো আটষট্টি সাল, তখন প্রশান্ত মহাসাগরের, পশ্চিমের দ্বীপপুঞ্জে কলোনি স্থাপন করলো স্পে ীয়রা. কেবল শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেই ক্ষান্ত হলো না. স্পেনের রাজা চতুর্থ ফিলিপের বিধবা স্ত্রী রানী য়ারিয়ানা অফ অস্ট্রিয়ার নামধারী দ্বীপের নামকরণও তারা করলো মারিয়ান আইল্যান্ড. 

তবে ওই পরিবেশিক শাসকরা নিশ্চয়ই কল্প পোনাও করতে পারেনি মারিয়ানা আইল্যান্ডের দ্বীপগুলোর পূর্ব পাশের জায়গাটি পৃথিবীর গভীরতম স্থান. সুগভীর খাতটির অবস্থান মহাসাগরের ঠিক পশ্চিমে. দীর্ঘ গবেষণার পর আধুনিক বিজ্ঞানীরা জেনেছেন প্রাকৃতিক নানা বিপর্যয়ে, সমুদ্রের তলদেশে শত শত বছরে সংগঠিত আগ্নে গিরির অগ্নি উৎপাতে, তৈরি হয়েছে মারিয়ানা প্লেট. দ্বীপগুলোর অবস্থান এসব প্লেটের উপরেই. 

আর দ্বীপের খুব কাছাকাছি হওয়ায় সবচেয়ে গভীর খাদ মারিয়ানা ট্রেনের নামও স্বাভাবিকভাবেই হয়ে গেছে রানী মারিয়ার নামেই. মারিয়ানের ট্রেন নিয়ে মানুষের অপার উৎসাহ বহু আগে থেকেই. তবে এটির গভীরতা মাপার তোড়জোড় শুরু হয় প্রায় দেড়শ বছর আগে. য়শ বাহাত্তর সালের ডিসেম্বর থেকে আঠেরশো ছিয়াত্তর সালের মে মাসের মধ্যে বেশ কয়েকবার চ্যালেঞ্জার এক্সপিরিশন নামের পরীক্ষামূলক অভিযানের মাধ্যমে গভীরতা মাপার চালানো হয় খাদ্যের. 

এব্রতিব্র বিশাল এই এলাকায় সেই আমলের সীমিত প্রযুক্তিক সুবিধা নিয়ে অভিযানটি সফল করতে সময় লেগেছিল কয়েক বছর. তখন জানা গিয়েছিল খাদটির সর্বোচ্চ গভীরতা প্রায় চব্বিশ হাজার আটশো পঞ্চাশ ফুট. অভিযানের প্রধান বিজ্ঞানী ছিলেন ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ এডিন বার্গের প্রাকৃতিক ইতিহাসবিদ এবং সামুদ্রিক প্রাণী বিজ্ঞানী স্যার চালস ওয়াইডেল থমসম. 

এরপর আঠেরোশো নিরানব্বই সালে চালানো আরেক অভিযানে পাওয়া গেল নতুন তথ্য মারিয়ানা ট্রেন্ড প্রায় একুত্রিশ হাজার ছয়শো চোদ্দ ফুট গভীর বিজ্ঞানীরা সে আমলে খাদের গভীরতা মাপার জন্য ব্যবহার করেছিলেন বিভিন্ন ধরনের, সাউন্ডিং মেশিন বা শব্দ উৎপাদক যন্ত্র. পরে উনিশশো একত্রিশ সালে, সহজ এবং, আগের তুলনায় নির্ভুলভাবে বিজ্ঞানীরা মাপার চেষ্টা করেন বিশ্বের সবচেয়ে গভীরতম স্থান.



 আসলে কতটা গভীর. পরীক্ষায় ব্যবহার করা হয় challenger two নামের একটি জাহাজ এতে চড়ে বিজ্ঞানীরা মারিয়ানা খাদের গভীরতা মাপেন Eco বা প্রতিধ্বনি গ্রহণ পদ্ধতিতে, সেই দুঃসাহসিক অভিযানে জানা গেল খাতটির সর্বোচ্চ গভীরতা পঁয়ত্রিশ হাজার সাতশো সাতান্ন ফুট. এরপর চালানো হয়েছে আরো অভিযান এবং ভুল প্রমাণিত হয়েছে আগের মাপা, গভীরতা গুলো.

 বন্ধুরা বর্তমানে বিজ্ঞানীরা বলছে খাটটি প্রায় দুই হাজার পাঁচশো পঞ্চাশ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং অবিশ্বাস্য হলেও সত্য চওড়া এটি মাত্র ঊনসত্তর কিলোমিটার. এখনো পর্যন্ত খাদের সর্বোচ্চ গভীরতা জানা গেছে প্রায় এগারো কিলোমিটার বা ছত্রিশ হাজার সত্তর ফুট। 

অবশ্য গভীর সাগরের তলদেশে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারে এখনো রয়ে গেছে নানা সমস্যা. ফলে বিজ্ঞানীদের ধারণা খাদ্যের গভীরতা আরো বেশি হতে পারে সে জন্যই তারা চালাচ্ছেন নিত্যনতুন অভিযান.

 মারিয়ানা ট্রেনচের সবচেয়ে গভীর অংশটি প্রশান্ত মহাসাগরের নিচে চ্যালেঞ্জার দ্বীপ নামের ভ্যালিটি গিয়ে. খাদের শেষ অংশে পানের চাপ এতটাই যে সমুদ্র পৃষ্ঠের স্বাভাবিক বায়ুচাপের তুলনায়. তাই এক হাজার গুণেরও বেশি য়সী. এই কারণেই এখানে স্বাভাবিকের চেয়ে পানির ঘনত্বও প্রায় পাঁচ শতাংশ বেশি. স্থানটির তাপমাত্রা এতই কম যে বিজ্ঞানীরা বলেন সাগরতলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার স্থান এটি. 

বন্ধুরা, এই ভূমণ্ডল ও নবমণ্ডলের যা কিছু আছে তা সবই মহান আল্লাহর সৃষ্টি. পবিত্র কোরানে  আল্লাহতালা বলেন তোমরা পৃথিবীতে পরিভ্রমণ করো এবং অনুধাবন করো, কিভাবে তিনি সৃষ্টির সূচনা করেছেন. অতঃপর আল্লাহ সৃজন করবেন পরবর্তী সৃষ্টি আল্লাহ তো বিষয়ে সর্বশক্তিমান. 

 পরিশেষে একটি কথাই বলতে চাই এই মারিয়ানা ট্রেঞ্চ এর গভীরতা কত তা আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন তবে বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন এর আসল গভীরতা জানার জন্য, যদি মহান আল্লাহ তা'আলা ইচ্ছা পোষণ করেন আল্লাহ তাআলা চান তাহলে অবশ্যই একদিন বিজ্ঞানীরা মারিয়ানা ট্রেঞ্চ এর আসল গভীরতা জানতে পারবে। তাহলে আজ এই পর্যন্তই সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পোস্ট টি যদি ভালো লাগে শেয়ার করুন আল্লাহ হাফেজ। 

Post a Comment

0 Comments