জিন জাতিকে কখন সৃষ্টি করা হয়েছিল ? জিনরা কি মৃত্যুবরণ করে? ----Alhadi

জিন কখন সৃষ্টি করা হয়েছিল,জ্বীনদের খাবার কি,জিনরা কি খাই,জ্বীনরা কি মারা যায়,জিনদের হায়াত কত হয়,জিনদের কে কিভাবে সৃষ্টি করা হয়েছিল,alhadi hb,al hadi


আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আজ আলোচনা আলোচনা হবে জিন সম্পর্কে আজ। আমাদের মধ্যে কম বেশি সবারই মনে একটি প্রশ্ন আসে আর সেটি হল জিনরা কি কখনো মৃত্যু গ্রহণ করে তাদের কে  আমরা দেখতে পাই না কেন?  জিনেরা কত বছর হায়াত পায় তাদেরকে আল্লাহ কখন সৃষ্টি করেছিলেন এরকম অনেক প্রশ্নের উত্তর জানতে পড়তে থাকুন। 

জিনেরা  মৃত্যু বরণ করে জিন জাতি কিভাবে মারা যাবে হযরত আদমআলাই সালামের সৃষ্টির প্রায় দুই হাজার বছর পূর্বে জিনের সৃষ্টি হয়েছিল জিনের আদি পিতা হলো সাম্. জীন তৈরী করে সাম  কে আল্লাহ তায়ালা  জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তুমি আমার নিকট কিছু কামনা করো. তখন সে বলে, আমার কামনা হলো, আমরা সবাইকে দেখবো. কিন্তু আমাদেরকে কেউই দেখতে পারবে না. আর আমাদের বৃদ্ধরাও যেন যুবক হয়,

 মৃত্যুর পূর্ব তো. মহান আল্লাহতালা জিনদের এই দুইটি ইচ্ছেই পূরণ করেন. জিনরা বৃদ্ধ বয়সে মৃত্যুর পূর্বে আবার যুবক হয়. অনেকের মাঝেই একটা প্রশ্ন আসে. যে জিনরা যদি আগুনে তৈরি হয়ে থাকে, তাহলে কিভাবে জিনরা জাহা আগুনে পুড়বে. জীন জাতির সৃষ্টি হয়েছে উত্তপ্ত, অগ্নিশীলা থেকে. জিনদের বিবেক বুদ্ধি এবং অনুভূতির শক্তি আছে. তাদের আছে ভালোমন্দ পার্থক্য করার ক্ষমতা. 

তাদের মধ্যে রয়েছে ভালো জিন এবং মন্দ জিন. পবিত্র কোরানে জিনদের বক্তব্য উল্লেখ করে বলা হয়েছে, নিশ্চই আমাদের কিছু সৎ কর্মশীল ও কিছু এর ব্যতিক্রম. আমরা ছিলাম ভিন্ন মত ও পথে বিভক্ত. আসমানী কিতাবে যারা বিশ্বাস করে যেমন ইহুদি, Christian ও তারা সবাই জিনের অস্তিত্বে বিশ্বাসী. বোতলিক কিছু দার্শনিক ও বস্তুবাদী গবেষক জিনের অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন না. দার্শনিকদের একটি দল বলে ফেরেস্তা ও জিন রূপকর্থে ব্যবহৃত হয়. 

ভালো চরিত্র ফেরেস্তা ারাপ চরিত্র জিন বা শয়তান শব্দ দিয়ে বোঝানো হয়. তাদের বক্তব্য কোরআন এবং সুন্নার পরিপন্থী. হাদিসে বর্ণিত রয়েছে জীন আগুনের তৈরি. মানুষ মাটির তৈরি. এবং ফেরেস্তা নূরের  দ্বারা তৈরি. মুসলিম শরীফ. 

 পবিত্র কোরানে ইরশাদ হয়েছে আর তিনি জিনকে সৃষ্টি করেছেন আগুনের শিখা দিয়ে আরো ইরশাদ হয়েছে আর আমি এর আগে জীন সৃস্টি করেছি প্রখর আগুন দিয়ে জীনে শরীর মূলত সূক্ষ্ম জিনেরা চাইলেই যে কোন রূপ ধারণ করতে পারে. জিনের সবচাইতে প্রিয় আকার হল সাপ এবং কুকুরের রূপ ধারণ করা. তবে জিনেরা সাপের আকারে চলতে পছন্দ করে. 

তবে সাপ দেখলেই জিন মনে করার কোনই কারণ নেই. প্রাচীন আরবদের মতে জিন আগুনের তৈরি ঝড় এবং বাদলের দিনে যিনা চলতে পারে না. কারণ তারা আগুনের তৈরি এই কারণেই বৃষ্টির সময় eyezation ও বজ্রপাতের তীব্র আলোক ছটায় তাদের ক্ষতি হয়ে থাকে.


 এবং কোনো ঘরে যদি নির্দিষ্ট কিছু দোয়া এবং কাঁচা লেবু থাকে তাহলে ওই ঘরে জীন প্রবেশ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে আর একটি কথা মানুষ মাটি দিয়ে সৃষ্টি হলেও শেষ পর্যন্ত এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি. 



কারণ মানুষ মূলত মাটি পানি বায়ু অগ্নি সংমিশ্রণ. আর তাই জীন আগুনের শিখা দিয়ে তৈরি হলেও তাদের দেহে জলীয় পদার্থের সমাবেশ লক্ষণীয়. এর সপক্ষে যুক্তি হলো একদিন উল্লেখ করেছিলেন শয়তান বলে একটি জীন একদিন সময় তার সাথে মোকাবিলা করতে এলে তিনি ওই জীনকে গলা টিপে ধরলে সেই ক্ষণে জিনের থুতুতে শীতলতা অনুভব করেছিলেন. 

বলেছেন, তিন ধরনের জিন রয়েছে. এক, এক প্রকারের জীন মাধ্যমে বাতাসে ওড়ে. দুই আরেক প্রকারের জিন সাপ পোকামাকড় ও মাকড়সার আকারে থাকে. তিন আর নম্বর তিনে রয়েছে সাধারণ জিন. তারা সাধারণ থাকে এবং মানুষের সাথে চলাচল করে. 

 এইজন্য রাতের বেলায় সাপ দেখলে প্রথমে তিনটে আওয়াজ করতে হয়. তিনটে আওয়াজের পর সে সাফ যদি স্থান ত্যাগ না করে তাহলে সাপটি মারতে হয়. কুকুর এবং গাঁধা রাতের বেলায় জিনের উপস্থিতি সবচাইতে বেশি অনুভব করে. জিনের পছন্দনীয় খাবার হল শুকনো গোবর ও শুকনো হার. এজন্য আল্লাহ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুকনো গোবর এবং হাড়ের ওপর মূত্রতায় করতে নিষেধ করেছেন. 

জিনের সাথে মানুষের বিয়ে হালাল না হারাম, এ নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে. তবে বর্ণিত হয়েছে, রানী বিল্কিজের পিতা মাতার মধ্যে একজন জীন ছিলেন. এছাড়া তাদের অনেক অন্ধ বুজুর্গ চলাফেরার সুবিধার্থে, জিন মেয়েকে বিয়ে করার ঘটনা শোনা যায়. জিনের অস্তিত্ব স্বীকার করা ইমান বিল গায়েব, বা অদৃশ্যের প্রতি ইমান আনার অন্তর্ভুক্ত. আল্লাহর রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরানে প্রায় দশবার জিন সম্পর্কে আলোচনা করেছেন.

 জিন জাতির সৃষ্টি তাদের ইসলাম গ্রহণ মানুষের আগে তাদের সৃষ্টি ইত্যাদি বিষয়ে একাধিক আয়ত অবতীর্ণ হয়েছে. সুরা রহমানে  জিন এবং মানুষকে একসঙ্গে সম্বোধন করা হয়েছে. হযরত সুলেমান আলাই সালামের আমলে জিনদের  কাজকর্ম করার তথ্য পবিত্র কোরানে উল্লেখ রয়েছে. জীন জাতি সম্পর্কে আল্লাহতালা জিন নামে একটি পূর্ণাঙ্গ সুরা নাজিল করেছেন. তাই জিনের অস্তিত্ব অস্বীকার করা, কোরআন অস্বীকার করার নামান্তর. 

এখন প্রশ্ন হলো জিন রা কি মানুষের মতো মৃত্যুবরণ করে এর জবাব হলো আহালে সুন্নাওয়াল জামাতের আকিদা এবং বিশ্বাস মতে, জিনেরা মৃত্যুবরণ করে. হাদিস শরীফে বর্ণিত হয়েছে আমি চিরঞ্জিত যিনি কখনো মৃত্যু বরণ করেন না অথচ মানুষ এবং জিন মৃত্যুবরণ করে. বুখারী হাদিস নাম্বার সাত হাজার তিনশো তিরাশি. 

তবে জিনদের  মৃত্যুর উপলক্ষ মানুষের মৃত্যুর উপলক্ষের সঙ্গে মিল নাও থাকতে পারে. সাধারণ জিনেরা জ্বলন্ত অগ্নিশিখায় পুড়ে মারা যায়. হত্যা এবং লড়াইয়েও অনেকের মৃত্যু ঘটে. তাদেরও অসুখ হয়. অসুখের মাধ্যমে অনেকের মৃত্যু হয়ে থাকে. আবার অনেকেই সাগরে ডুবেও মারা যায়. সাগরের তলদেশে চলে গেলে তারা আর ফিরে আসে না, 

কেউ কেউ মহাশূন্যে হারিয়ে যায়. জিনরা যেহেতু বিভিন্ন আকৃতি ধারণ করতে পারে, তাই ধারণকৃত আকৃতিতেও তাদের মৃত্যু হতে পারে. শয়তান ও জিন জাতির অন্তর্ভুক্ত. কিন্তু অন্য জীন তার মতো নয়. তাকে কেয়ামত পর্যন্ত হায়াত দেওয়া হয়েছে. এই সুযোগ অন্য কোন জীনকে দেওয়া হয়নি. প্রসঙ্গত আরেকটি প্রশ্ন এসে যায়, আর সেটি হচ্ছে মৃত জিনদের কোথায় দাফন করা হয়? 

এর জবাব হলো যেহেতু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিন জাতির জন্যও প্রেরণ করা হয়েছে অতএব তারাও কবর দেওয়ার ব্যাপারে ইসলামের ইতি অবশ্যই মেনে চলতে বাধ্য তবে জিনদের কবর দেওয়ার ধরণ মানুষের কাছে সত্যিই অজানা। 

বন্ধুরা আল্লাহ তাআলার জিন জাতি সৃষ্টি করেছেন এ কথাটি আমাদেরকে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতে হবে। জিন জাতি আছে এটি আমাদেরকে বিশ্বাস করতে হবে কারণ হাদিস ও কোরআন দ্বারা প্রমাণিত যে জিন জাতি আল্লাহর সৃষ্টি করেছিলেন, এবং তারা আজও এ পৃথিবীতে আছে । তাহলে আজ এই পর্যন্তই সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করুন আল্লাহ হাফেজ। 

Post a Comment

0 Comments