আসসালামু আলাইকুম, বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন আজ আপনাদের সাথে এমন একটি বিশেষ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো যা হয়ত কমবেশি সবার মনে প্রশ্ন জেগেছিল আর তা হলো যদি আমাদের পৃথিবীতে এক ফোটা পানি না থাকতো তাহলে আমাদের জীবন অবস্থা কেমন হতো আমার কি বেঁচে থাকতাম আমাদের কি অবস্থা হতো? এরকম আরো অনেক প্রশ্ন আমাদের মনে আসে।
বন্ধু রা পানি হলো জীবনদায়ী পদার্থ, জল ছাড়া পৃথিবীর যেকোন জীবের অস্তিত্ব সম্ভবই ছিল না. এটা ভীষণই আশ্চর্য যে দুটো হাইড্রোজেন পরমাণু এবং একটি অক্সিজেন পরমাণুর মিলনের তৈরি পানি আজ পৃথিবীর রন্দ্রে রন্দ্রে একটি মানুষের গোটা শরীরে কিংবা সম্পূর্ণ পৃথিবী পৃষ্ঠের উপরে শুধু জলের পরিমাণই হলো সত্তর শতাংশ. তো প্রশ্ন হলো কি হবে যদি এই জল পৃথিবীতে এক ফোটাও না থাকে. আমাদের প্রাণীজগত কিংবা উদ্ভিদ জগৎ কি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে?
যদি পৃথিবীর সব জল, উধাও হয়ে যায়, তবে আমরা কিছু নতুন বিশেষ তথ্য জানব, যেমন পৃথিবীর সব থেকে কতটা নিচে জীবন রয়েছে দেখব কিছু অজানা সমুদ্রের গভীরে থাকা প্রাণীদের তারা মনস্টারও হতে পারে. অনেক অনেক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ এবং দামি খাজানারও সন্ধান পাব. পৃথিবীর সবচেয়ে নিচের ভূমি থেকে পৃথিবীর সবথেকে উপরে থাকা mount এভারেস্ট এর আসল উচ্চতা কত? তাও জানতে সক্ষম হবো.
জল ছাড়া আমাদের ক্ষতি কি হবে? ক্ষতি জানার আগে আমাদের এটা জানা অতি আবশ্যক যে জল ছাড়া পৃথিবী দেখতে কেমন হবে. আসলে জল ছাড়া পৃথিবীকে দেখতে হাত দিয়ে চাপ কেন কমলালেবুর মতো হবে. কারণ মহাকাশ থেকে পৃথিবীর যে রূপ দেখা যায় তাতে অধিকাংশটাই থাকে জল এবং কিছুটা থাকে ভূমি তাছাড়া কিছু আইল্যান্ড কারণ পৃথিবীর মাত্র ঊনত্রিশ শতাংশই ভূমি, এটা ঠিকই মানুষ আজও সমুদ্র গভীরে থাকা সব কিছুর সন্ধান করতে পারেনি.
কিন্তু সমুদ্রের সবচেয়ে গভীর স্থান মারিয়ানা ট্রাইএঙ্গেল এর গভীরতা এগারো কৃমি. সেই তুলনায় পৃথিবী তেরো হাজার কিলোমিটার চওড়া. এই দুটিকে তুলনা করলে এটা যা স্বাভাবিক, যে জল পৃথিবীর বেশি গভীরে নয়, ছড়িয়ে বেশি রয়েছে. সহজ কথাই বলা যেতে পারে যদি পৃথিবীকে একটি গোটা কমলালেবু ধরি, তবে জল কমলালেবুর খোসা, অর্থাৎ, জল পৃথিবীর উপরে একটি পাতলা খোসার মতো.
তাই পৃথিবীতে জল যদি নাই থাকতো পৃথিবী আজকের মতো প্রায় গোলাকারী হত. কিন্তু জল ছাড়া পৃথিবীর আকৃতি নিয়ে এতগুলো কথা বলার কারণই হলো, আপনারা মঙ্গল গ্রহ এবং শুক্র গ্রহকে ভালো করে বুঝতে পারেন. বাইরে থেকে দুটি গ্রহ গোলাকার হলেও এই দুটি গ্রহতেই একসময় জল ছিল. কিন্তু আজ নেই. অর্থাৎ এই দুটি গ্রহ থেকে আমরা বোঝার চেষ্টা করবো আদৌ কি পৃথিবীতে কোনদিন জল শেষ হবে? শুক্র গ্রহ যাকে আপনি ডেভিল গ্রহ বলতে পারেন.
কারণ পৃথিবী যদি স্বর্গ হয়, তবে এই গ্রহ মর্ত্য. কিন্তু আপনি জেনে অবাক হবেন একসময় এখানে িল. হয়তো জীবনও ছিল. তবে কি করে সব জল উধাও হলো. তার প্রধান কারণ সূর্য. শুক্র গ্রহ এক তৃতীয়াংশ সূর্যের কাছাকাছি পৃথিবীর তুলনায়. তাই সোলার রেডিয়েশনও পৃথিবীর তুলনায় শুক্র গ্রহ দুই গুণ বেশি গ্রহণ করে. যার ফলে গ্রহটি উষ্ণ থেকে উষ্ণতর হতে শুরু করে.
আল্ট্রা ভায়োলেট লাইট. কার্বন ডাই অক্সাইড এবং অক্সিজেনকে ভাঙতে থাকে. ফলে কার্বন ডাই অক্সাইড মহাকাশে উড়ে যায় এবং অক্সিজেন কার্বনের সাথে মিলে ডেন্ট অ্যাটমোস্ফিয়ার তৈরি করে. এই মেঘ গুলি সমস্ত শুক্র গ্রহকে চাদরের মতো ঢেকে রেখেছে যাকে বিজ্ঞানীরা গ্রীন হাউস এফেক্টও বলে থাকে. আর এই ঘটনা পৃথিবীর কাছে দুঃখজনক. কারণ সূর্য কয়েক লক্ষ কোটি বছরের মধ্যে আকারে বাড়বে.
এবং তার প্রভাব পৃথিবীতেও পড়বে অতি উষ্ণতার সাথে পৃথিবীর জল ও শুক্র গ্রহের মতো শেষ হয়ে যাবে তবে হ্যাঁ এটা ঘটতে সময় লেগে যাবে কয়েক লক্ষ কোটি বছর অর্থাৎ ভয় পাবেন না কিন্তু মঙ্গল গ্রহের জল শেষ হয়ে যাওয়ার কারণটা কিন্তু ছিল ভিন্ন, মঙ্গল গ্রহের শেষ নদী উবেছিল বিজ্ঞানীদের মতে, আজ থেকে প্রায় দু হাজার বছর আগে. এর থেকে অনুমান করাই যায় হয়তো মানব সভ্যতার শুরুর সময়ে মঙ্গলের সব সভ্যতার বিনাশ হয়েছিল. মঙ্গল গ্রহের ছবি থেকে বোঝা যায়,
এখানে বড় বড় মাপের সমুদ্র ছিল. যার গভীরতার হাইট বিজ্ঞানীদের অনুমতে একুশ কিলোমিটার. পৃথিবীর তুলনায় সাত গুণ একসময় মঙ্গলে ছিল কিন্তু আজ সেখানে রয়েছে শুধু মাত্র ভূমি খার এবং নিচু নিচু রেস ট্র্যাকের মতো দেখতে ভূমি এখান থেকেই প্রশ্ন তৈরী হয় আসলে মঙ্গলের জল গেল কোথায়? সূর্যের তাপমাত্রা যখন মঙ্গলেও ক্রমশ বা ড়তে থাকে তখন জল একইভাবে উড়তে শুরু করে.
এবং মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে মেঘে পরিণত হয়. আবার তাপমাত্রা কমে জিরো ডিগ্রিতে যখন আসে, তখন মেঘ বরফে পরিণত হয়. হয়তো তখনই মাটির নিচে চলে যায় কিংবা হাইড্রজেন বা অক্সিজেনের পরমাণু ভেঙ্গে যায়. যেহেতু মঙ্গল গ্রহের আকর্ষণ পৃথিবীর তুলনায় কম. তাই হয়তো তা উবেও যায়.
তবে মঙ্গলে জল শেষ হবার আসল কারণ আজও সব বিজ্ঞানী ব্যর্থ তবে বিজ্ঞানীরা প্রায় নিশ্চিত, মঙ্গল গ্রহে আজও জল আছে. যা মঙ্গল গ্রহের উপরে এবং নিচে অবস্থান করে রয়েছে. তাদের এটা মনে হওয়ার কারণ, সেখানে সূর্যের তাপমাত্রা বৃদ্ধি কমের খুব একটা প্রভাব পড়েনি, এবং কয়েকটি স্যাম্পেল ও পাওয়া গেছে যার অনুমানে পৃথিবীর মানুষ যেমন NASA, Google Space,
দ্বিতীয় পৃথিবী বা দ্বিতীয় বাসস্থান ভেবে নিয়েছে মঙ্গল গ্রহকে. কিন্তু আমাদের সেই প্রথম প্রশ্নটি জল ছাড়া আমাদের কি হবে? সেটাই তো জানা হলো না? আসলে আমরা জেনেই ফেলেছি যদি নেহাতই আপনি নাই বুঝে থাকেন তাহলে বলে রাখি আমাদের অবস্থাও তেমনই হবে যেমনটা মঙ্গল গ্রহে শুক্র গ্রহে ঘটেছে.
শুক্র গ্রহ এবং মঙ্গল গ্রহ কে নিয়ে কথা বলার কারণটাই ছিল এটা বোঝা. কারণ মঙ্গল ও শুক্র গ্রহ একসময় পৃথিবীর মতোই ছিল আজ আর নেই. মোটামুটি আমরা এটা বলতেই পারি যে জল ছাড়া এই পৃথিবীতে পড়ে থাকবে. ভূমি আর ভূমি একটিও জীব জীবিত থাকবে না এই পৃথিবীতে।
পরিশেষে একটি কথাই বলতে চাই আল্লাহতালা সবকিছু ভাল জানেন তিনি কখন কী করবেন। আমাদের এই মহাবিশ্ব ও আমাদের পৃথিবী আমাদের কা আকাশ জমিন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালুকণা আল্লাহ তাআলার হুকুম ছাড়া এদিক-ওদিক হয়না তাই আমাদের সবার বিশ্বাস রাখা উচিত আল্লাহ তায়ালার উপর। বন্ধুরা আজ তাহলে এ পর্যন্তই, সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করবেন, আল্লাহ হাফেজ।
প্রিয় পাঠকগণ এখানে কোন ধরনের বানান ভুল ত্রুটি থাকলে সুন্দর ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন । সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন , পাশে থাকা কালো বেল আইকন এ ক্লিক allow button এ ক্লিক করে রাখতে পারেন । যাতে আমাদের প্রত্যেকটি পোস্ট আপলোড করার সাথে সাথে আপনি পেয়ে যান । সবাইকে ধন্যবাদ আল্লাহ হাফেজ
0 Comments