বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম পরম করুনাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করতেছি। জেনি আকাশের মালিক জমিনের মালিক সমস্ত দুনিয়ার মালিক সমস্ত কিছুর মালিক।বন্ধুরা মুসলিম হিসেবে একজন মুমিন হিসেবে আল্লাহ ভালোবাসা ও সন্তুষ্টি অর্জনে আমাদের জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য হওয়া উচিত. বিশ্বনবী মোহাম্মদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র জবানে জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি কাদেরকে ভালোবাসেন.
কোরান এবং সুন্নায় ঘেঁটে ঘেঁটে আমরা এমন দশ শ্রেণীর মানুষের পরিচয় পেয়েছি. যাদেরকে আল্লাহ পাক ভালোবাসেন. আছে এই পোস্টে এমন শ্রেণীর মানুষের ব্যাপারে আলোচনা করব যাদেরকে আল্লাহ তায়ালা ভালোবাসেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভালোবাসেন। তো বন্ধুরা চলুন দেরী না করে শুরু করা যাক
এক নম্বর হলো যারা সৎকর্ম করে, যারা এহসান করে, যারা অনুগ্রহ করে, যারা সৃষ্টি জীবের প্রতি দয়া প্রদর্শন করে, তাদেরকে আল্লাহ ভালোবাসেন. যেমনটি মহাগ্রন্থ আল কোরআনোল কারিমের একশত পঁচানব্বই নম্বর আয়াতে করিবার মধ্যে আলাপ জানিয়ে দিয়েছেন.
ইরশাদ হয়েছে নিঃসন্দেহে কর্মপরায়ণ সিদ্ধিলকে ভালবাসেন. কাজেই আমরা যদি সৎ কর্ম করি ভালো কাজ করি ভালো কর্ম করি. দুঃস্থ অসহায়, দুঃখী মানুষের, দুঃখ, লাঘবের জন্য চেষ্টা করি তাহলে আমরা এই কাফেলায় সামিল হতে পারব.
দুই নম্বর হলো তৌবাকারীদেরকে ভালবাসেন পছন্দ করেন. আমরা প্রত্যেক মানুষই তার জীবন চলতে গিয়ে কোন না কোন খুলসি করে ফেলে কোনো না কোনো গুনাহ সে করে ফেলে কখনো ইচ্ছায় অনিচ্ছায় শয়তানের ধোঁকায় পরে আমরা গুনাহে কিন্তু লিপ্ত হয়ে পড়ি. কিন্তু যে সকল বান্দারা গুনাহ করার পরে তওবা করে তাদেরকে ভালোবাসেন পছন্দ করেন. আল্লাহ পাক জানিয়ে দিয়েছেন. নিঃসন্দেহে তওবাকারীদেরকে ভালোবাসেন.
তিন নম্বর হলো যারা পবিত্র জীবন যাপন করে তাদেরকে আল্লাহ ভালোবাসেন. পবিত্রতা দুভাবে হতে পারে. আত্মিক পবিত্রতা অর্থাৎ চিত্রকে পরিষ্কার এখানে হিংসা বিদ্বেষ শিরিক বিদাত, কুফুর কুসংস্কার এগুলো থেকে অন্তরকে পরিশুদ্ধ রাখা, এবং শারীরিকভাবে দৈহিকভাবে আ পবিত্রতা অর্জন করা, উভয় দিক থেকে যারা পবিত্রতা অর্জন করবে, তারা আল্লাহ ভাজন হতে পারবে যেমনটি তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যারা পবিত্র অর্জনকারী যারা পবিত্র জীবন যাপনকারী তাদেরকে ভালোবাসেন.
চার নম্বর হলো যারা তাকোয়া অবলম্বন করবে অর্থাৎ মূর্তাকি হবে. আর তাদেরকে আল্লাহ ভালোবাসবেন. অর্থাৎ আল্লাহ সুবহানুতায়ালা যাক ড়তে বলেছেন তা করবে, যা করতে নিষেধ করেছেন তা থেকে বিরত থাকবে. বিশেষ করে গুনাহের কাজগুলো থেকে যারা বিরত থাকবে. আল্লাহর ভয়ে আ তারা মুত্তাকী তাদেরকে আল্লাহ ভালোবাসেন. আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন , নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকওয়া কারীকে পছন্দ করেন কে পছন্দ করেন।
পাঁচ নম্বর হলো যারা ধৈর্যশীল, ধৈর্য ধারণ করে, প্রিয় ভাই ও বোনেরা. জীবন চলার পথে কত বিপদ, কত মুসিবত, কত দুর্যোগ কত কিছুরই আমরা সম্মুখীন হই আমাদের জীবনের পরতে পরতে আর নানা বিপদ আ দুঃখ কষ্ট এগুলো আমাদেরকে ঘিরে থাকে সুতরাং এই মুহূর্তগুলোতে অবশ্যই আমাদেরকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে.
শো কে ধৈর্য ধারণ করতে হবে বিপদ আপদে ধৈর্য ধারণ করতে হবে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে অনেক সময় কষ্ট হয় সেখানে ধৈর্য ধারণ করতে হবে ইবাদৎ করতে কষ্ট হয় তার ওপরেও ধৈর্য ধারণ করতে হবে. যদি আমরা ধৈর্যশীল দের কাতারে সামিল হতে পারি তাহলে প্রিয় ভাজন হতে পারবো, এবং তিনি যাদেরকে ভালোবাসেন তাদের কাফেলায় সামিল হতে পারবো,
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন নিশ্চয় আল্লাহ পাক ধৈর্যশীল দের কে ভালোবাসেন, আর ধৈর্যশীল দের জন্য মহা সুসংবাদ রয়েছে।
ছয় নম্বর হলো যারা আল্লাহ সুভানহু তায়ালার ওপরে ভরসা করে তাদেরকে আল্লাহ পছন্দ করেন. আপনি দুনিয়ার আসবাব উপকরণ শেয়ার করবেন পছন্দ করবেন এগুলো করতে হবে খুদা লাগলে আপনাকে খেতে হবে, পান, পিপাসা লাগলে পান করতে হবে, অসুস্থ হলে চিকিৎসকের কাছে যাবেন,
কিন্তু আপনার আস্থাটা যেন উপরে থাকে. বিশ্বাসটা যেন আল্লাহ ওপরে থাকে, যে আল্লাহ পাক তিনি ছাড়া আমাদের কেউ রোগ মুক্তি করতে পারেন না, তিনি ছাড়া কেউ আমাদেরকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে পারেন না, এই ভরসা করব একমাত্র আল্লাহ তায়ালার ওপরে. তাহলে আল্লাহ পাকের প্রিয় বান্দা আমরা হতে পারবো,
সাত নম্বর যারা জীবনের সব ক্ষেত্রে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করে তাদেরকে পছন্দ করেন, ভালোবাসেন জীবনের আমাদের কত যে ঘাত প্রতিঘাত, কত যে situation, কত যে পরিস্থিতির মোকা আমাদের করতে হয় সব ক্ষেত্রে আমরা যদি ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে পারি.
ব্যাক্তি জীবন, পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন, রাষ্ট্রীয় জীবন, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে, আ আমরা যদি ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে পারি তাহলে যাদেরকে ভালোবাসেন আমরা সেই কাফেলাই সামিল হতে পারবো
আট নম্বর হলো যারা আল্লাহ তায়ালার দীন প্রতিষ্ঠার জন্য যারা শিশি ঢালা প্রাচীরের মতো দুর্লঙ্গ আ প্রাচীর হয়ে যারা যুদ্ধ করে যে আল্লার জমিনে তারা আল্লার দিন প্রতিষ্ঠা করবে, কোরানের আইন বাস্তবায়নের জন্য যারা লড়াই করবে তাদেরকে ভালোবাসেন.
যেমনটি ইরশাদ হয়েছে . আফসোস নিঃসন্দেহে আল্লাহ পাক ওই সকল বান্দাদেরকে ভালোবাসেন যারা সারিবদ্ধভাবে আ আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করে যেন তারা সিসি ধরা প্রাচীর আল্লাহর বিধানের জন্য, আল্লাহর দীনের জন্য, আল্লাহর জমিনে, আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য, তারা দুর্লঙ্গ প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়ে যায়.
কোন কিছু তাদেরকে টলাতে পারে না. এমনকি জীবনের মায়াকে তুচ্ছ করে দিয়ে তারা আল্লাহর দিন প্রতিষ্ঠার জন্য যারা সংগ্রাম করে, এদেরকে ভালোবাসেন.
নয় নম্বর যারা ধৈর্য ধারণ করে. হাদিস নাসাইতে এসেছে . বিশ্ব নবী বলেছেন কোনো ব্যক্তির যদি কোনো প্রতিবেশী থাকে আর সেই বেশি যদি তাকে কষ্ট দেয় এই ব্যক্তি যদি ধৈর্য ধারণ করে এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে সওয়াব প্রাপ্তির আশা রাখে এমন কি আল্লাহ সুবহানাল্লাহ তাআলা তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যান, হয় তাকে মৃত্যু দান করেন, অথবা তার পার্থিব জীবনে আল্লাহ পা তার পক্ষ থেকে তিনি এ এর একটা ব্যবস্থার একটা বিহিত করে দেন.
এই যে প্রতিবেশী কষ্ট দেওয়া সত্ত্বেও ধৈর্য ধারণ করা এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে সোয়াব প্রাপ্তির আশা রাখা এই ব্যক্তিকে অত্যন্ত করেন, যেমনটি বিশ্ব নবী জানিয়ে দিয়েছেন.
দশ নম্বর হলো ওই ব্যক্তিকে ভালোবাসেন যার কথা বিশ্বনবী বলে দিয়েছেন, হাদিস নাসায়তে এসেছে আল্লাহ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছে যে ওই ব্যক্তি যে কোন কওমের সাথে সফর করে সফর করতে করতে তারা ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে যায় এমনকি শেষ রজনীতে তারা কোনো এক মানজিরে তারা তাদের সফরকে স্থগিত করে,
এরপরে সবাই ঘুমিয়ে যায় কিন্তু কিছু কিছু আল্লার পেয়ারা বান্দা আছে যারা ওই সময় অজু করে সলাতে দাঁড়িয়ে যায়, এই বান্দাকে আল্লাহ পাক অত্যন্ত পছন্দ করেন এবং ভালোবাসেন।
বন্ধুরা উপরের আলোচনায় উল্লেখিত বিষয়গুলো ছাড়াও আরো অনেক বিষয় আছে যেগুলো পালন করলে আমরা আল্লাহ তাআলার ভালোবাসা লাভ করতে পারব এবং আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভ করতে পারব। উপরের আলোচনায় উল্লেখিত বিষয়সমূহ আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে পালন করার তৌফিক দান করুক আমিন, বন্ধুরা সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে সবার সাথে শেয়ার করুন আল্লাহ হাফেজ।
প্রিয় পাঠকগণ এখানে কোন ধরনের বানান ভুল ত্রুটি থাকলে সুন্দর ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন । সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন , পাশে থাকা কালো বেল আইকন এ ক্লিক allow button এ ক্লিক করে রাখতে পারেন । যাতে আমাদের প্রত্যেকটি পোস্ট আপলোড করার সাথে সাথে আপনি পেয়ে যান । সবাইকে ধন্যবাদ আল্লাহ হাফেজ
0 Comments