হযরত উজাইর আলাইহি সালামের এর এক অলোকিক ঘটনা। ----Al Hadi

 


আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা আশা করি আপনারা সকলেই ভালো আছেন. আজ আলোচনা হতে চলেছে হজরত উজাই আলাই সালামের বিস্ময়কর ঘটনা সম্পর্কে।  যা আপনার  ভালো লাগবে ইনশাআল্লাহ. তাই বন্ধু রা  আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে. কে এই উজায়ের আলাইসাল্লাম. হজরত মধ্যবর্তী সময়ে আগমনকারী ব্যক্তিদের মধ্যে হজরত উজায়র আলাই সালাম ছিলেন অন্যতম. হজরত উজাইর আলাই সালাম কি নবী ছিলেন? নাকি নবী ছিলেন না? তা নিয়ে য়েছে. অনেকে বলেন তিনি বনিশ্রয়েলের নবীগণের মধ্যে অন্যতম একজন নবী ছিলেন. যাইহোক, এবার মূল ঘটনায় আসা যাক. 

আল্লাহ তালাহ যুগে যুগে বহু নবী রাসুল পৃথিবীতে প্রেরণ ড়েছেন. তাদের মনে আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে যদি কোন কিছু জানতে ইচ্ছা হতো আল্লাহতালা সাথে সাথে কোন উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিতেন ঠিক তেমনি হযরত উজাইর আলাই সালামকে তার মনের জবাব আল্লাহ রাব্বুল আলামিন. চাক্ষুস প্রমাণে বুঝিয়ে দেন. 

ঘটনাটি হল  নামক জৈনিক রাজা যখন বাইতুল মুকাদ্দাস ধ্বংস করে, বনি ইসরাইলের অনেক লোককে বন্দি করেছিল. বন্দীদের মধ্যে, হযরত উজাইর আলাইহি সালামও ছিলেন. তবে তিনি নবী বলে রাজা তাকে ছেড়ে দিয়েছিল. হজরত উজাইর আলাই সালামের সাথে টাকা খেজুর পানি ও একটি গাধা ছিল. সেখান থেকে ফেরার পথে. হযরত উজায়ের আলাই সালাম এমন একটি গ্রাম দেখতে পেলেন,

 যার ইমারত ও অট্টালিকাগুলো ধ্বসে মাটির সাথে মিশে গিয়েছিল. এবং সেখানে জনমানবের কোন চিহ্নও ছিল এমন অবস্থা দেখে মনে মনে ভাবতে লাগলেন. এখানকার অধিবাসীরা তো মারা গেছে. তারা এমন ভাবে বিলীন হয়ে গেছে যে যেন তারা কেউ এখানে ছিল না. আল্লাহতালা এদের আবার কিভাবে পুনর্জীবিত করবেন? 

এই ভাবনা ভেবে হজরত উজাইর আলাই সালাম, গাধাটিকে একটি গাছের সাথে বেঁধে একটু বিশ্রামের জন্য মাটিতে পিঠ রাখলেন তখন আল্লাহতালা তাকে মৃত ও ধ্বংস জনপদের মানুষদেরকে কেয়ামতের দিন কিভাবে জীবিত করবেন দুনিয়াতে তার নজির দেখাতে ইচ্ছা করলেন সেজন্য তাকে সেই অবস্থায় মৃত্যু দান করলেন.

 এরপর আল্লাহতালা এভাবে একশো বছর পর্যন্ত মৃত অবস্থায় রাখলেন কিন্তু তার শরীর নষ্ট হয়ে বা পচে গলে যায়নি. সাথে সাথে তার গাধাটিরও মৃত্যু দান করলেন. তবে গাধা এর দেহ পচে গলে মাটির সাথে মিশে গেল. শুধু হার গুলো খন্ড বিখন্ড হয়ে পড়ে রয়েছে. অপরদিকে তার সাথে যে খাদ্য ছিল আল্লাহর কুদরতা বিন্দুমাত্র নষ্ট হলো না.

 মহান আল্লাহ, হযরত উজাইর আলাই সালামকে দীর্ঘ একশো বছর পর পুনর্জীবিত করলেন. এরপর তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি এ অবস্থায় কতকাল ছিলেন, তিনি উত্তর দিলেন, একদিন বা দিনের কিছু অংশ হবে আমাকে আল্লাতালা যখন মৃত্যু দিয়েছিলো তখন ছিল সকাল আর একশত বছর পর তাকে যখন জীবিত করা তখন ছিল বিকাল.

 হজরত উজাইর আলাই সাল্লাম. এ সময় কে সেদিনের সময়ই মনে করেছিলেন. তাই একদিন বা দিনের কিছু অংশ বলেছিলেন তখন আল্লাহতালা তাকে জানালেন একদিন বা তাঁর কিছু অংশ নয়. আপনি বরং একশো বছর এ অবস্থায় ছিলেন. আপনি দেখুন আপনার গাধার দিকে. তা মরে পচে কিভাবে মাটির সাথে মিশে গেছে.



 আর আপনার খাদ্য ও পানির দিকে লক্ষ্য করুন. তার সম্পূর্ণ পুরনো অবস্থায় আছে. এরপর আল্লাহতালা বলেন, এখন আপনি দেখবেন গাধার অঙ্গগুলো কিভাবে জোড়া লাগে? তখন তার সামনে আল্লাহতালা গাধাটিকে তার সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ. জোড়া ড়ে তাকে পূর্বের ন্যায় জীবিত করলেন.

 হযরত. মহান আল্লাহর এই বিস্ময়কর কুদরত অবলোকন করে. হৃদয়ে প্রশান্তি অনুভব করলেন. এবং আল্লাহতালার অশেষ শুকরিয়া আদায় করলেন. ওই বছর পর সে দেশের মধ্যে অনেক পরিবর্তন ও আবর্তন বিবর্তন ঘটেছিল. বায়তুল মকাদ্দস. বনি ইসরাইলের দখলে পুনরায় চলে এসেছিল. এবং ঈমানদারদের দ্বারা অবাধ হচ্ছিল. 


তা দেখে, হযরত উজাইত খুব আনন্দিত হলেন. তারপর হযরত উজাইল আলাই সালাম বাড়ির দিকে রওনা দিলেন পথের মধ্যে পেটে ক্ষুধা অনুভব করলেন. তাই তার কাছে যে টাকা ছিল তা দিয়ে বাইতু এলাকায় গিয়ে কিছু কিনতে চাইলেন. কিন্তু দোকানদাররা তাকে জানালো যে, এ মুদ্রা কয়েকশো বছর পূর্বে ছিল. এখন এ মুদ্রা অচল.

 এছাড়াও কেউ তাকে চিনতে পারল না. এবং সবাই তাকে আশ্চর্য হয়ে দেখছিল, কেননা তখন তিনি পূর্বের ন্যায় যুবক ছিলেন. তার সমবয়সী কেউ বেঁচে ছিল না. তিনি তাদের কাছে উজাইর বলে নিজেকে পরিচয় দিলেন. তখন সকলেই বলতে লাগল. হজরত উজাইর কে তো বাদশাহ বন্দি করে নিয়ে গেছে. তিনি আর ফিরে আসেননি, আমরা ভাবছি সম্ভবত তার মৃত্যু হয়েছে. তারা আরো বলল যে, উজায়েরের ছেলেরা, ছোট ছিল. 

কিন্তু তারা এখন বৃদ্ধ. উজা বললেন আমাকে তাদের কাছে নিয়ে চলুন লোকেরা তখন হজরত তার ছেলেদের কাছে নিয়ে গেল. এর ছেলেরা তার কথা শোনে যেন আকাশ থেকে পড়ল. কেউ তার কথা বিশ্বাস করতে চাইলো না. শেষে উজায়ের আলায়সালাম. কোনো উপায় না পেয়ে বললেন তোমাদের এখানে কি একশো বছরের বেশি বয়সের কোনো বৃদ্ধ লোক আছে? তারা বললো, একজন বৃদ্ধা আছে সে অন্ধ। 

 তখন হযরত উজাইর আঃ বললেন আমাকে তার কাছে নিয়ে যাও. তারপর হজরত উজায়ের সালামকে সেই বৃদ্ধার কাছে নিয়ে যাওয়া হলো. তখন সে বৃদ্ধা বলল. আপনি যদি উজাইয়ের হয়ে থাকেন তবে তাওরাত কিতাব মুখস্থ বলুন. তা মুখস্ত করতে পারতেন. আপনি উজায়ের হলে এখনই তা প্রমাণ হবে. তখন উজাহের আলায়সালাম. তাওরাত মুখস্ত করে শোনালেন বৃদ্ধা বললেন আমি  প্রথম প্রমাণ পেয়েছি,

 এবার দ্বিতীয় প্রমাণ হল, হযরত উচাইয়ের আলাইসাল্লাম যদি কোন অন্ধের দিকে হাত বুলিয়ে দিতেন, তাহলে আল্লার রহমতে, সে ভালো হয়ে যেত, আপনি তা দেখান. হজরত উজাইত সেই বৃদ্ধার চোখে হাত রাখলেন. আল্লাহর কুদরতে তৎক্ষণাৎ তার চোখ ভালো হয়ে গেল, সবাই তখন বলল, নিঃসন্দেহে আপনি উজাইর আলাইসাল্লাম. 

কিন্তু এতদিন আপনি কোথায় ছিলেন ছিলেন. তখন হযরত তার জীবনে ঘটে যাওয়া পুরো ঘটনা খুলে বললেন. সে কুদরতি কাহিনী শুনে সবাই অবাক হলো. রাজা বক্কর নাসির তার রথ কি তা পুড়ে ফেলেছিল. তাই হজরত উজাইর সালামের মাধ্যমে তা নতুন করে লেখা হলো. তিনি মানুষদেরকে আল্লাহর দিনের দাওয়াত দিতে লাগলেন. সবাই হজরত উজাই আলাই সালামের দাওয়াতে আল্লাহর দিন পালন করতে লাগলো.

 বন্ধুরা তাহলে আজ এখানেই শেষ করছি, সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন, আর পোস্ট টি ভালো লেগে থাকলে সেয়ার করুন আল্লাহ হাফেজ। 

Post a Comment

0 Comments