টেলিস্কোপ কি? টেলিস্কোপ দিয়ে আমরা কত দূর পর্যন্ত দেখতে পারবো? ----Al Hadi


এক আলোকবর্ষ সমান কত বছর,টেলিস্কোপ দিয়ে আমরা কত দূর পর্যন্ত দেখতে পারবো,অতীতে যাওয়া কি সম্ভব,ভবিষ্যতে যাওয়া কি সম্ভব,alhadi hb,sm nahid,মহাকাশের বয়স



বন্ধুরা এই ব্রহ্মাণ্ড অনেক বড়, এতই বড়, যে আমরা আজও কেবল এর সীমানার আন্দাজি লাগাচ্ছি এর প্রারম্ভ থেকে আজ অব্দি কয়েক বিলিয়ন বছরের ইতিহাস অলরেডি রচনা হয়ে গেছে. এই ব্রহ্মাণ্ডে না জানি কত কি রয়েছে যাদের ব্যাপারে আমরা প্রথমে জানতামই না. এটা স্বাভাবিক যে আমরা এতদূর পর্যন্ত খালি চোখে কখনোই দেখতে পারবো না. কিন্তু টেলিস্কোপ তো সবকিছু দেখতে পাবে তাই না? টেলিস্কোপ আবিষ্কারের আগে এই ব্রহ্মাণ্ড আমাদের জন্য কেবল ততটাই যতটা আমরা আমাদের চোখ দিয়ে দেখতে পেতাম কিন্তু টেলিস্কোপের আবিষ্কার আমাদের চোখকে আরো বড় করে তুললো. 

 আমাদের ভাবনা চিন্তার গতি আরো বিস্তৃত করে তুলল, এবং আমাদের স্বপ্ন, এখন আমরা এই ব্রহ্মাণ্ডকে অনেক দূর পর্যন্ত পারি. আর এর কারণ হলো আমাদের আজকের এই অ্যাডভান্সড টেলিস্কোপ. কিন্তু আপনি কি জানেন যে আমরা টেলিস্কোপের সাহায্যেই অতীত অর্থাৎ পেরিয়ে যাওয়ার সময় কেও পুনরায় ফিরে দেখতে পারি. বা যদি বলি আমরা অলরেডি দেখছি. না কেবল টেলিস্কোপ দিয়ে নয় বরং আমরা আমাদের চোখ দিয়েও সব সময় এই কাজই করছি. এবার আপনারা হয়তো ভাবছেন যে এটা কি করে possible? 

বন্ধুরা সবার আগে আপনার এটা জানা দরকার যে আমরা মানুষেরা কোন object কে কিভাবে দেখি? মানে  আপনি বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে আকাশবাণী চেয়ে নক্ষত্রই দেখুন. যদি জিনিস কিছু দূরত্বে থাকে তো আপনি সেটা দেখছেন কিভাবে? তার image আপনার চোখে কিভাবে তৈরী হচ্ছে well এসব খেলা হল আলো অর্থাৎ লাইটের যখন আলোক রশ্মি কোনো বস্তুর ওপর পড়ে সেখান থেকে reflect হয়ে আপনার এর lens এর মাধ্যমে focus হয়ে রেটিনার পর্দায় সেই object এর একটা image তৈরি করে. 

 তখন আমাদের চোখের optical nerves সেই image এর electrical signals আমাদের ব্রেনের visual cottage এ পৌঁছে দেয়. এইভাবে আমরা যেকোনো জিনিসকে দেখতে পাই। আমাদের চোখ  ঠিক একটা ক্যামেরার sensor এর মতো আমাদের চোখে রেটিনাও কাজ করে, 


বিজ্ঞানী আইনস্টাইন বলেছিলেন যে আলোর particles packet এর form এ থাকে যাদের Footons বলা হয় আর এই Footons wave অর্থাৎ তরঙ্গের মতো মহাকাশে ট্রাভেল করে এবারে লাইট আসলে পার্টিক্যালনা ওয়েব, এটা এখনো নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না. কিন্তু যাই হোক না কেন লাইটের স্পিড ব্রহ্মান্ডের সবথেকে ফাস্টের স্পিড এর গতিবেগ প্রায় থ্রি ইন্টু টেন্টোরিপার এইট মিটারস পার সেকেন্ড. 

অর্থাৎ আলো মাত্র second এ তিন লাখ কিলোমিটার distance travel করে. কিন্তু বন্ধুরা আলোর এই গতি বিজ্ঞানীরা কিভাবে মেপেছিলেন? কিভাবে আলোর গতির value calculate করা হয়েছিল?  বন্ধুরা আলোর গতি fastest হওয়া মানে এই নয় যে তার কোনো distance travel করতে একদমই সময় লাগবে না. খুব কম হলেও সময় কিছুটা লাগবেই imagine করুন আপনি দূরে রাখা একটা object কে দেখছেন. 

যেমনটা আমি আপনাকে প্রথমে বলেছি সেই object কে তখনই দেখতে পাবেন, যখন সেখান থেকে আলো reflet হয়ে, আপনার চোখে এসে পড়বে. মানে আলো object এর ওপর এসে পড়ল, তারপর সেখান থেকে reflect হয়ে, আপনার চোখের রেটিনায় এসে ধাক্কা খেলো. এই distance travel করতে কিছুটা সময় লাগবে. এই সময় হয়তো খুবই কম. যা এক সেকেন্ডের কয়েকশো কোটি ভাগের এক ভাগ হয়তো হবে. 



কিন্তু তাও সময় তো লাগলো এখানে আসলে আপনার চোখ object এর সেই image টা দেখল যেমনটা সেটি এক সেকেন্ডের কয়েকশো কোটি ভাগের এক ভাগ সময় পূর্বে ছিল. এটা শুনতে আপনার হয়তো খুবই আশ্চর্য লাগছে. 

চলুন এবার এই বিষয়টাকে সোলার সিস্টেমের মত লাড স্কেলে নিয়ে যায়. মনে করুন আপনি আমাদের সবচেয়ে কাছের প্রতিবেশী চাঁদকে দেখছেন. যা আমাদের পৃথিবীর থেকে প্রায় তিন লাখ আশি হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত. 

তো চাঁদ থেকে আসা আলো আমাদের চোখে এসে পৌঁছাতে, one point three second সময় লাগবে এর মানে দাঁড়ায় সেই সময় আপনি যে চাঁদের ছবি দেখছেন তা একদম বর্তমানে realtime image নয়. বরং তার one point three second আগেকার image. আমাদের সোলার সিস্টেম এর সেন্টার মানে সূর্য আমাদের থেকে প্রায় পনেরো কোটি কিলোমিটার ড়ে অবস্থিত.

 আর ওখান থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে প্রায় আট মিনিট কুড়ি সেকেন্ড সময় লাগে. এবার ভেবে দেখুন আমাদের সূর্য হটাৎই যদি একদিন গায়েব হয়ে যায় তখন ব্যাপারটা কেমন হবে? আমরা তো তখনও সূর্যকে তেমনই দেখবো যেমনটা রোজ দেখি. কেননা আমরা তখনও সেই আলোয় দেখছি. যা সূর্য থেকে আট মিনিট কুড়ি সেকেন্ড আগে বেরিয়ে চলে এসেছে.

 এইভাবে শনি গ্রহ থেকে আমাদের পৃথিবীতে আলো আসতে, প্রায় আশি মিনিট টাইম লাগে. তো বন্ধুরা এখন আপনারা যে শনি গ্রহকে দেখছেন তা এক ঘন্টা কুড়ি মিনিট আগেকার. তো এইভাবে আমরা পৃথিবীতে বসেই টেরিস্কোপের সাহায্যে শনি গ্রহের পাস্ট বা অতীত কে দেখতে পাচ্ছি. চলুন এবার আমাদের স্কেলকে আরেকটু বাড়িয়ে তুলি.



 কথা বলা যাক সোলার সিস্ট এর বাইরের universe এর ব্যাপারে. ওয়েরা minute. এবার বোধহয় আমাদের নিজেদের teliescope set করে নেওয়া দরকার. কেননা খালি চোখে তো আমরা এতদূর দেখতে পাবো না. আর যদি আরেকটু বেশি দূরে দেখতে চাই তাহলে তো হাভেল টেলিস্কোপের মতো অ্যাডভান্সড এবং টেনিস্কোপের প্রয়োজন হবে. জাস্ট ইম্যাজিন আপনি একটা টেলিস্কোপের সাহায্যে এমন একটা স্টার কে দেখতে চাইছেন যা আমাদের পৃথিবীর থেকে প্রায় দশ কোটি আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত. 

এর মানে দাঁড়ায় আলো আপনার টেলিস্কোপের সাহায্যে আপনার চোখে সেই নক্ষত্রের যে image বানাচ্ছে তা ওই নক্ষত্র থেকে সেই সময় যাত্রা শুরু করেছিল যখন এখানে আমাদের পৃথিবীতে ডাইনোসরের রাজত্ব চলছিল বন্ধুরা এবার কল্পনার গভীরে আরেকটু হারিয়ে যায় আর ভাবুন যে ওই নক্ষত্র থেকে বেরিয়ে আসা আলো কত বছরের পুরোনো ওই লাইট সেই সময়ও ট্রাভেল করছিল যখন পৃথিবীতে আদিম মানুষের বসবাস ছিল.

 আর ওই লাইট তখনও যাত্রা করছিল. যখন মানুষ সিভিলাইজেশন গড়ে তুলছিল. ওই লাইট তখনও আকাশে ভেসে আসছিল যখন মহান মহান শাসকেরা পৃথিবীতে শাসন চালাত আর সেই সময়ও যখন টেলিস্কোপের আবিষ্কারও হয়নি. আর তখনও যখন আপনার জন্ম হয়েছিল.

 আপনি বড় হলেন তারপর টেলিস্কোপ কিনলেন. Set up করলেন. আর বসে পড়লেন শ কোটি কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ওই নক্ষত্রকে দেখার জন্য এক আলোকবর্ষ অর্থাৎ ওয়ান লাইট ইয়ার. এর মানে দাঁড়ায় আলো দাঁড়ায় এক বছরের ট্রাভেল করা মোট দূরত্ব. 

যা প্রায় দশ ট্রিলিয়ান অর্থাৎ এক লক্ষ কোটি কিলোমিটারের সমতুল্য. য়ার ভাবুন এত লম্বা সফরের পরে ওই লাইট আপনার টেলিস্কোপের মাধ্যমে আপনার চোখে পৌছালো. সেই নক্ষত্রের দর্শন আপনাকে করালো. তারপর আবার এক নতুন সফরে বেরিয়ে গেল. 

এই হিসেবে যদি আমরা সাড়ে চারশো কোটি আলোক কোন প্ল্যানেট বা গ্রহকে টেলিস্কোপের সাহায্যে দেখি তো সেই লাইট ওই দূরের প্ল্যানেটকে ছেড়ে বেরিয়ে চলে এসেছিল যখন আমাদের পৃথিবীর জন্ম ও হয়নি. বন্ধুরা এবার আপনার মনে নিশ্চয়ই একটা  প্রশ্নের উদয় হচ্ছে.

 যে আমাদের universe তো cable thirteen point eight billion years পুরোনো. কিন্তু বিজ্ঞানীদের মতে universe ninety three billion light years এর বেশি দূর অবধি বিস্তৃত. তাহলে কি এই লাইটস ইউনিভার্স তৈরি হওয়ার অনেক আগে থেকেই মহাকাশে ট্রাভেল করছিল নাকি ওই ষ্টার ও প্লানেটস ইউনিভার্সিটি হওয়ার পূর্বেই নির্মিত হয়ে গিয়েছিল.

 ওয়েল এমনটা তো হওয়া সম্ভব নয়. এর আসল কারণ হল যে আমাদের ইউনিভার্স. অনব প্রচন্ড দ্রুত গতিতে expand করছে. আর তাছাড়া আমরা universe এতো দূর অবধি দেখতেও তো পারবো না. 

বন্ধু রা আমরা তো আমাদের টেলিস্কোপের সাহায্যে অন্যান্য প্লানেটস ও star এর অতীত দেখে নিলাম, কিন্তু তার অতীত কিভাবে দেখবো? জারটা আমরা সব থেকে বেশি দেখতে আগ্রহী. মানে আমাদের নিজেদের অতীত. 

আর আমাদের পৃথিবীরও. Imagine করুন আপনার বয়স পঁচিশ বছর, এবং সেই সময়টা দেখতে চান. যখন আপনার সবে মাত্র জন্ম হয়েছে. তাহলে কি আপনি এখন পঁচিশলাইটি আর দূরের কোন প্ল্যানেট এ গিয়ে একটা টেলিস্কোপের সাহায্যে আপনার জন্মের সময়টা দেখতে পারবেন ওয়েল.

 এর আগে আপনি স্বপ্নের ভাবনায় ভেসে যান তার আগেই আমি আপনাকে বলে রাখি যে এটা সম্ভব তো one hundred পার্সেন্ট কিন্তু কেবল থিওরিতে বাস্তবে প্রাকটিক্যালি না তো আমরা লাইটের স্পীডে এখন ট্রাভেল করতে পারবো, আর নাই তো মহাকাশে এত দূর অবধি যেতে পারবো. আর না তো কোনো রোবোটিক টেলিস্কোপকে পঁচিশ লাইট ইয়ার দূরে গিয়ে তার signal এর জন্য অপেক্ষা করতে পারব. 

তবে এই কাজ ভবিষ্যতে আরও অ্যাডভান্স সিভিলাইজেশনের লোকজন অবশ্যই করতে পারবে বলে মনে হয়. কিন্তু এমনটা কি হতে পারে না যে দূরের কোন স্টার সিস্টেমের গ্রহে বসবাসকারী এলিয়েন্সো লোকেরা আমাদের মতই টেলিস্কোপ লাগিয়ে পৃথিবীকে observe করছে. আমাদের তো তারা দেখতে পাচ্ছে না. 

কিন্তু ডাইনোসর কিংবা তারও আগেকার জীবেদের তারা নিশ্চয়ই দেখতে পাচ্ছে. হয়তো আমরা মানুষেরাও একদিন ইউনিভার্সের এই রহস্য থেকে পর্দা তুল সক্ষম হব. ততক্ষণের জন্য আকাশের দিকে তাকান. আর আপনার ভাবনাকে মহাকাশের অসীম ধারায় ঢেউ খেলতে দিন. আপনিই হয়তো নতুন একদিন কিছু আবিষ্কার করে ফেলবেন.

তো বন্ধুরা তাহলে আজ এই পর্যন্তই সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করুন আল্লাহ হাফেজ।  

 

Post a Comment

0 Comments