আসসালামু আলাইকুম, বন্ধু রা কেমন আছেন? আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আজ আলোচনা করবো মাউন্ট এভারেস্ট ও তিব্বতের উপরে প্লেন কেন চলতে পারে না? বন্ধুরা আপনারা যদি ইন্টারনেটে সার্চ করেন যে কোন প্লেন মাউন্ট এভারেস্ট বা তিব্বতের উপর দিয়ে উড়ে যেতে পারবে কিনা, তবে আপনি না উত্তরটাই পাবেন?
প্লেন এই সমস্ত পর্বত বা পর্বত সিংহের উপর দিয়ে উঠতে পারে না অনেকেই এই প্রশ্নটি করেন, যদিও এই প্রশ্নটির উত্তর হতে পারে দুটি আর তাহলো পঞ্চাশ শতাংশ হ্যাঁ এবং পঞ্চাশ শতাংশ না কিছু কিছু প্লেন হিমালয়ের উপর দিয়েও উড়ে যেতে পারে যদিও বেশিরভাগ প্লেনই মাউন্ট এভারেস্ট এর উপর দিয়ে ওড়ে না
আপনাদের জানাবো কোন কোন প্লেন এভারেস্টের উপর দিয়ে উঠতে পারে আর কোন কোন প্লেন এ সমস্ত পর্বতের উপর দিয়ে উঠতে পারে না. তাহলে চলুন বন্ধুরা শুরু করা যাক। বন্ধুরা বেশিরভাগ প্লেন হিমালয় পর্বতের উপর দিয়ে ওড়ে না.
যদি আপনি ফ্লাইট প্লেনের রুট চেক করেন তাহলে আপনি এমন কোন প্লেন দেখতে পাবেন না যেগুলো এভারেস্টের উপর দিয়ে ওড়ে তাহলে এখন প্রশ্ন হল কেন প্লেন এভারেস্টের উপর দিয়ে ওড়ে না? নাকি তারা উঠতে চায় না?
বন্ধুরা এভারেস্টে সর্বোচ্চ উচ্চতা হল সমুদ্রতল থেকে প্রায় উনত্রিশ হাজার ফুট আর যেকোনো commercial plain পঁয়ত্রিশ থেকে বিয়াল্লিশ হাজার ফুট উচ্চতা পর্যন্ত উঠতে পারে. অর্থাৎ যদি কোন প্লেন এই পর্বতের উপর দিয়ে ওড়ে তবে এদের মাঝে উচ্চতা তারতম্য হবে ছ হাজার থেকে তেরো হাজার ফুট. অর্থাৎ কমার্শিয়াল প্লেন পর্বত থেকে তেরো হাজার ফুট উচ্চতা দিয়ে উঠতে পারবে.
আর সমস্যা এখান থেকেই শুরু হবে. আমরা জানি যে অধিক উচ্চতায় অক্সিজেনের লেভেল কমে যায় আর যদি প্লেনে ডিকম্প্রেশন হয়ে যায় অর্থাৎ যদি কেবিনে শ্বাস নেওয়ার মতো অক্সিজেন না থাকে তবে সে ক্ষেত্রে অটোমেটিক্যালি অক্সিজেন যাত্রীদের কাছে আসে যে প্রায় কুড়ি মিনিট পর্যন্ত অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে কিন্তু এখানে প্রশ্ন হলো কুড়ি মিনিট পর কি ঘটবে?
এখানে পাইলট ওই কুড়ি মিনিটের সুযোগ নেবেন, আর প্লেনটিকে দশ থেকে পনেরো হাজার ফুট উ তাই নিয়ে যাবেন যেখানে বাতাসের চাপ স্বাভাবিক এবং এই উচ্চতায় যাত্রীরাও ভালোভাবে শ্বাস নিতে পারবেন আর সেটাও কোন অক্সিজেন marks কে সাহায্য ছাড়াই.
এরপর পাইলট ATC যোগাযোগ করে কাছাকাছি airport এ land করতে পারেন. কিন্তু যদি এই plane টি এভারেস্ট এর উপর দিয়ে ওড়ে এবং কেবিনের decompressation হয়ে যায়, তাহলে pilot plain টিকে কোনোভাবেই দশ থেকে পনেরো হাজার ফুট উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারবে না কেননা এভারেস্টের উচ্চতা প্রায় আঠেরো হাজার থেকে উনত্রিশ হাজার ফুট.
তাহলে আপনি এর নীচে কোথায় যাবেন? ডি কম্প্রেশানের কথা আপনাদের আগেই বলেছি তবে সাধারণত এমন ঘটনা না কেননা বাতাস সরবরাহের জন্য প্লেনের দুটি ইঞ্জিন থাকে তাছাড়া এপিউ অর্থাৎ অক্সিলারী পাওয়ার ইউনিট থাকে জরুরি অবস্থায় এটি বাতাসকে অনবরত কেবিনে পৌঁছে দেয় competition এ দ্বিতীয় সমস্যা হলো ইঞ্জিন failure যদি হিমালয়ের উপর দিয়ে ওড়ার সময় প্লেনের একটি ইঞ্জিন খারাপ হয়ে যায় তখন প্লেনটি প্রায় তিরিশ শতাংশ ধাক্কা খাবে. আর এই ধাক্কাই প্লেনটির উচ্চতা কমতে থাকবে।
আর যদি প্লেনটি ওখানে ক্রাশ করে তবে উদ্ধারকারী দলের পক্ষেও সেখানে পৌঁছানো মুশকিল হয়ে যাবে অর্থাৎ মৃত্যু অনিবার্য. এছাড়া turbulence ও pla এর জন্য ক্ষতিকারক হয়ে উঠতে পারে, আপনারা হয়তো কখনো লক্ষ্য করেছেন যে প্লেন যখন কোনো পাহাড়ি এলাকা থেকে কম উচ্চতার দিকে যায় তখন আচমকাই প্লেনে ঝাঁকুনি হতে থাকে. সাধারণত turbulence এর জন্যই এরা ভাই, পাহাড়ের গায়ে তেজী ও প্রবল বাতাস ধাক্কা দেয়.
এবং উপর দিকে উঠে যায়. এর ফলে বাতাসের flow নষ্ট হয়. এবং plane দুলতে থাকে. এটা শুধুমাত্র পাহাড় পর্বতের জন্যই যে ঘটে তা নয় খারাপ আবহাওয়া বা ঝড়ের জন্যও এরকমটা হতে পারে আর এয়ারলাইন্স কোম্পানি কোনরকম ঝুঁকি নিতে চায় না.
তাই বেশিরভাগ প্লেনই এভারেস্টের উপর দিয়ে ওড়ে না. যদি আমরা এই সমস্ত বিপদ গুলোকে বাছাই করি যেমন ইঞ্জিন ফেলিওর হলে বিপদ ডি কম্প্রেশন হলে বিপদ. এমার্জেন্সি ল্যান্ডিং এর জন্য কোন জায়গা নেই.
পর্বতের জন্য টার্বুলেন্সের বিপদ প্রভৃতি বন্ধুরা মনে করলে আমরা একটি কাল্পনিক প্লেন বানালাম যেটা এইসমস্ত বিপদকে খুব সহজেই মোকাবিলা করতে পারবে যেমন জেটি ইঞ্জিনকে শক্তিশালী বানানো যাতে একটি ইঞ্জিন খারাপ হয়ে গেলেও প্লেনের উচ্চতা না কমে আসে আর সেটা খুব সহজে উঠতে পারে এছাড়া যখন প্লেনে B competition হবে সমস্ত যাত্রী ও pilot এর জন্য শুধুমাত্র কুড়ি মিনিটের অক্সিজেন নয় বরং ঘন্টাখানেক ধরে অক্সিজেন সরবরাহ করা যায়.
এখন যেহেতু ইঞ্জিন সৌ প্রতিটি যাত্রীর জন্য ঘন্টাখানেক সময়ের জন্য অক্সিজেন মজুত আছে তখন অর্থাৎ এই অবস্থায় emergency landing এর প্রশ্নই উঠছে না. এছাড়া বাকি থাকলো turbulence বন্ধুরা প্লেনের দানা গুলো এক বারেই নমনীয় করা হয় যাতে turbulence এর সময় তারা প্লেনের খেয়াল রাখে, যদি আমরা এই কাল্পনিক প্লেনটিকে বাস্তবে বানাতে পারি তাহলে কি এটা এভারেস্টের উপর দিয়ে উঠতে পারবে না?
হ্যাঁ বন্ধুরা পারবে আর আমরা জানি যে এভারেস্টের সর্বোচ্চ উচ্চতা উনত্রিশ হাজার ফুট. এর অর্থ এই নয় যে এভারেস্টের পুরোটাই উন্নতিরিশ হাজার ফুট উঁচু এভারেস্টের উচ্চতা কোথাও কোথাও আঠেরো হাজার ফুট. আবার কোথাও কুড়ি হাজার ফুট. তো কোথাও পঁচিশ হাজার ফুট. আমাদের কাল্পনিক প্লেন খুব সহজেই এর উপর দিয়ে উঠতে পারবে আর আপনাদের জানিয়ে রাখি যে এই প্লেনটি শুধুমাত্র একটি কাল্পনিক প্লেন নয়.
হ্যাঁ বন্ধুরা ঠিক শুনেছেন আপনারা? এরকম প্লেন বাস্তবে বানানো হয়েছে অনেক এয়ারলাইন্স কোম্পানি এই প্লেন কিনেছেও এই প্লেন এভারেস্টের উপর দিয়েই উঠতে পারে কিন্তু এরকম প্লেনের সংখ্যা খুবই কম. এর একটি কারণ এও হতে পারে যে গ্লোবালি ওয়াল সিটিস অর্থাৎ এমন শহর যেগুলো গ্লোবাল ইকোনমিক নেটওয়ার্কের হাব সেই সমস্ত শহরের ফ্লাইট রুট হিমালয়ের উপর দিয়ে যায় না এইজন্য হিমালয়ের উপর দিয়ে উঠতে পারে এমন খুব কমই দেখা যায় শুধুমাত্র নেপালের রুটি এভারেস্টের উপর দিয়ে গেছে যদি আমাদের কাল্পনিক প্লেনটিকে হিমালয়ের উপর দিয়ে ওড়াতে হয় তবে ইডিটিওর থেকে অনুমতি নিতে হয় ইডিটিও অর্থাৎ এক্সট্যান্ডের ড্রাইভারসন,
টাইম অপারেশনস এরা তখনই আমাদের কাল্পনিক প্লেনকে অনুমতি দেবে যখন সেটা এভারেস্টের উপর দিয়ে ওরা সমস্ত চাহিদা পূরণ করবে যেগুলোর কথা আমরা আগেই আলোচনা করেছিলাম কিছু প্লেন যেমন বোয়িং seven three seven eight three two zero কেনার সময় আপনি একটি option পাবেন যেখানে ইডিটিওর অনুমতি থাকবে.
ঠিক যেমন আপনি কোন গাড়ি কিনতে গেলেন এবং তার টপ মডেলে এ ধরনের ডিমান্ড করতে পারেন ইডিটিওর অনুমতি পাওয়ার পরেই প্লেন উঁচু পর্বতের উপর দিয়ে উঠতে পারে. এছাড়াও আরও অনেক ডিমান্ড আপনি রাখতে পারেন যেমন এই ইঞ্জিনের বদলে অন্য ইঞ্জিন কুইনটি বদলাতে পারেন টায়ার, সিট, অক্সিজেন সিলিন্ডার এছাড়াও আরো অনেক option আপনি পাবেন প্লেন কেনার সময়.
পরিশেষে একটি কথাই বলতে চাই মাউন্ট এভারেস্ট বিমান চালানো সম্ভব নয় আর যদি উডাতে হয় তাহলে অনেক ঝুঁকি নিয়ে চালাতে হয় তো সবাই চাই সুন্দর জীবন করতে কেউ চায়না কঠিন তা বেছে নিতে তাই এ কথাই বলা যায় কেউ মাউন্ট এভারেস্ট বা তিব্বতের উপর প্লেন চালাতে চাইবে না। তাহলে আজ এই পর্যন্তই সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে সবার সাথে শেয়ার করুন আল্লাহ হাফেজ।
0 Comments