হযরত নূহ আলাইহি সালামের নৌকাটি পৃথিবীর কোন প্রান্তে রয়েছে। ----Al Hadi

নূহ আঃ এর নৌকাটি কোথায় রয়েছে,হযরত নূহ আঃ এর নৌকা বর্তমানে কোথায় আছে,নূহ নবীর জীবনী,নূহ নবীর ঘটনা,হযরত নূহ আঃ এর উচ্চতা,হযরত নূহ আঃ এর ইতিহাস,Alhadi hb,al hadi, smdihan,



 অবিশ্বাসীদের নির্মূল করতে পৃথিবীতে মহাপ্রাবন সৃষ্টি করেন মহান আল্লাহ তায়ালা. মহান আল্লাহ তায়ালার আদেশে বিশাল নৌকা তৈরি করেন নূর আলাইহি সাল্লাম. তারপর সেই নৌকায় বিশ্বাসী মানুষ ও এক জোড়া করে অন্য প্রাণীদের আশ্রয় দেওয়া হয়. যাতে করে তারা মহাপ্রবণের হাত থেকে বেঁচে যায়. নূহ আঃ নৌকা ও মহাপ্রবণ এর কাহিনী জানে না এমন মানুষ খুব একটা পাওয়া যাবে না. পবিত্র কোরান ও বাইবেলে নূর নবীর এই ঘটনা বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে.

 বলা হয় নূহ আঃ এর  নৌকা ছিল পৃথিবীর প্রথম জলযান. ধর্মগ্রন্থের সূত্রে সবাই তার বিশেষ এই নৌকার কথা. তবে আসলে ঠিক কোথায় বাস করতেন? সম্প্রদায়. এ ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো বর্ণনা পাওয়া যায়নি আজও. তবে বিশ্বাসীদের দাবি পৃথিবীর কোথাও না কোথাও আজও তার নৌকার ধ্বংসাবশেষ রয়ে গেছে নূহ আঃ এর নৌকার ঘটনা কয়েক হাজার বছরের পুরনো.

 তখন সারা পৃথিবী পাপে পরিপূর্ণ ছিল. সৃষ্টি কর্তা সামান্য কিছু নির্বাচিত মানুষ ও পশুপাখি ছাড়া সব কিছু এক প্রলাবনের মাধ্যমে  ধ্বংস করে দেন. এ কাহিনী প্রায় কম বেশি সবাই জানা. ধর্মগ্রন্থ আর অনেক পৌরাণিককে এর বিস্তারিত বর্ণনা আছে. পবিত্র কোরানের সুরাহ হুদে বলা হয়েছে পর্বতপ্রমান তরঙ্গের মধ্যে এই নৌকা তাদের নিয়ে বয়ে চলল. 

নূহ আঃ  তার পুত্রকে দেখে বললেন, হে বৎস, আমাদের সঙ্গে আরোহণ করো এবং অবিশ্বাসী সঙ্গী হয় না. সুরাহুদে এ বিষয়ে আরও বলা হয়েছে, আল্লাহর শাস্তি ও কাফেরদের ধ্বংসের পর, হে পৃথিবী তুমি পানি শোষণ করে নাও. হে আকাশ তুমি ক্ষান্ত হও. এরপর বন্যা প্রশমিত হলো. এবং কার্য সমাপ্তি হলো. 

নৌকা যদি পর্বতের পথ স্থির হলো এবং বলা হলো ধ্বংসই সীমা লঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়ের পরিনাম.



 উনিশশো ষোল সালের ঘটনা. রাশিয়ার গোয়েন্দা বিমান নিয়ে আকাশের চক্কর দিচ্ছেন এন লেফটেন্যান্ট লস্কো ভিতস্কি. সকালের সোনারোদে, আরানাথ পর্বত র চূড়ায় চকমক করছে বরফের স্তর হঠাৎ কি যেন চোখে পড়তেই নড়েচড়ে বসলেন লেফটেন্যান্ট. পাহাড় চূড়ায় আছে বিশাল এক হিম বাহরণ. সেখানেই পুরনো জাহাজের মতো কিছু একটা চোখে পড়লো তার.

 খবরটা ছড়িয়ে ড়ল দেশের আনাচে কানাচে. সবার ধারণা নূহ নবির সেই বিখ্যাত জাহাজ খুঁজে পেয়েছে ল্যাপটেনিয়ান বাস্কোপিত স্কিল. 

এই জাহাজে চড়ে নূর নবী ও সঙ্গীরা মহাপ্রভুরের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন. দলে দলে মানুষ এসে পর্বতের গোড়ায়. পাহাড় তো নতুননগরে তারা খুঁজে বের করলেও সেই জাহাজের ধ্বংসাবশেষ. শুরু হল ছবি তোলা আর প্রবল সংগ্রহের প্রাণান্তকর চেষ্টা. তবে সবকিছু করে ফেলার আগেই রাশিয়া শুরু হয় বিপ্লব আর গৃহযুদ্ধ. বিপ্লবের উত্তেজনায় তখনকার মতো চাপা পড়ে যায় নূর নবীর জাহাজের বিষয়টি. 

এরপর উনিশশো ঊনষাট সালে তুরস্কের পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ের উপর হুবহু জাহাজের আকৃতির একটি জায়গার সন্ধান পান. নামে এক মানচিত্রকার. বিশ্বাসের দাবি করে সেটি নূহ নবীর নৌকার ধ্বংসাবশেষ. বাইবেল অনুসারে প্লাবন শেষে ওই অঞ্চলে আরানাথ পর্বতে ইতার নৌকা গিয়ে ঠেকে. 

দুরুবীনা ওই অঞ্চল আবিষ্কার করায় জায়গাটির নামও হয় দুরুবীনার. এদিকে দুরু পিলারের ওই নৌকা আকৃতির জায়গাটিকে নৌকায় ধ্বংসাবশেষ মানতে নারাজ ভূতত্ত্ববিদরা. 

তাদের মতে ওই জায়গাটি আসলে পাহাড়ের ওই অস্বাভাবিক এক ধরণের ভাঁজ. যার ফলে এটি দেখতে নৌকার মতো মনে হয়. তবে অনেক বিশ্বাসই তাদের দাবিতে অনড়. সম্প্রতি প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ অনুসন্ধানকারী একটি বিশেষজ্ঞ দল জানিয়েছে, সম্ভবত তারা সেই ঐতিহাসিক নৌকার সন্ধান পেয়েছেন. আগামীতে এই ব্যাপারে একটি documentary প্রকাশ করবেন বলে তারা জানিয়েছেন. দীর্ঘদিন ধরে নূহ আঃ এর নৌকার অনুসন্ধান চলানো documentary film maker sen, Sartha সেন জানান কি আছে? 

সে ব্যাপারে ত্রিমাত্রিক ছবি সংগ্রহ করেছে তার দল. তারের মাধ্যমে ভূগর্ভে বৈদ্যুতিক সংকেত পাঠিয়ে এসব ছবি সংগ্রহ করা হয়েছে. সামনেই একটি documentary তে এ বিষয়ে রহস্যের সুরাহা করা হবে. 

সারতে সেন বলেন এগুলিই নৌকার আসল ছবি. মাটির নিচে পুরো নৌকাটি চাপা পড়ে আছে. এগুলো মোটেই ভুয়া নয়. এর আগে দু হাজার সতেরো সালে নূরহানা ইসলামের নৌকা বিষয়ক আরো একটি documentary প্রকাশ করেন a film maker তিনি বলেন যদিও এখনো ছবি দিয়ে নিশ্চিতভাবে এটা প্রমাণ হয় না যে এটি নৌকা হতে পারে এটি অন্য নৌকা তবে এটি যে নৌকা সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত. ত্রিমাত্রিক ছবিগুলো প্রকাশ পেলেই বোঝা যাবে. 

বিশ্বাসীদের মতে দুরপীজা সত্যিই কোন পবিত্র জায়গা কিনা. সেরথেশনের হয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার ও ও প্রত্নতত্ত্ববিদ endish zones ও ভূতত্ত্ববিদ জল নার্সেন এসব ছবি সংগ্রহ করেছেন. কবে নাগাদ documentally প্রকাশ হবে সে ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো কিছু জানাননি তিনি. তবে নৌকার অনুসন্ধান বিষয়ক একমাত্র দাবি তা নয়. এ নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের ব্যাখ্যা পাওয়া গেছে. এর আগে দুহাজার সালে মার্কিন সামুদ্রিক প্রদার্থবিদ উইলিয়াম রায়ান ও ওয়াল্টার ট্রিটমেন্ট দাবি করেন.

 আজকের চার লাখ ছত্রিশ হাজার বর্গ কিলোমিটারের বিশাল কৃষ্ণ সাগর, বিশ হাজার বছর আগে মূলত একটি ছোট্ট দিঘি ছিল. বারো হাজার বছর আগে শেষ বরফ যোগে হিম্বা গলতে শুরু করলে সাগরের পানির উচ্চতা বেড়ে যায়. সেই সময় ছোট্ট সেই দিঘি পরিণত হয় বিশাল সাগরে.



 এই দুই সামুদ্রিক ভূতত্ত্ববিদের ধারণা কৃষ্ণ সাগরের তলদেশ একসময় শুষ্ক ছিল. সেখানে জনবসতি থাকার প্রমাণ পেয়েছেন বলেও দাবি করেছেন তারা. তাদের মতে  এর আগে সম্ভবত ওই অঞ্চলে নূর নবীর সম্প্রদায় বাস করত. দু হাজার সালে উলিয়াম রায়ান ও ওয়াল্টার ট্রিটমেন্টের এই দাবির পর বেশ কিছুকাল চলে যায়. 

পরবর্তীতে দুহাজার ষোলো সালে বুলগেরিয়ার নেসাবার উপকূলে কৃষ্ণসাগরের এক হাজার ছয় হাজার ফুট গভীরে প্রাচীন এক জাহাজে ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়. অনেক গভীরে অক্সিজেনের পরিমান কম থাকায় সাগরের জলে ডুবে থাকার পরও দীর্ঘকালেও নিশ্চিহ্ন হয়নি জাহাজটি.

 বিশেষজ্ঞদের ধারণা ওই জাহাজটির সমাধান দিতে পারেন নৌকার রহস্যের. জাহাজের ধ্বংসাবশেষ যুক্ত রাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ আফটারনের ব্ল্যাকসি মেরিটেম আরকিওলজিকাল  প্রোজেক্ট এর গবেষকরা ওই জাহাজের ধ্বংসাবশেষ গুলো নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন. তারা জানান এখনো এমন কোন প্রমাণ মেলেনি যাকে বলা যায় হঠাৎ বন্যায় প্লাবিত হয়ে যায় কৃষ্ণসাগরের ওই অঞ্চল. 

বরং সেখানে পানির উচ্চতা বেড়েছে ধীরে ধীরে তাদের মতে রায়ান ও ট্রিটমেন্টের হঠাৎ বন্যায় কৃষ্ণসাগর সৃষ্টির দাবি সঠিক নয়. তবে জাহাজে ধ্বংসাবশেষ নিয়ে অনুসন্ধান অব্যাহত থাকবে.

 এর আগে খ্রিস্টান অভিযাত্রীদের দল দাবি করেছিল নিরানব্বই দশমিক নয় শতাংশ সম্ভাবনা আছে তুরস্কের আররাত পর্বতে বরফের নিচেই আছে ঐতিহাসিক সেই নূর ইসলামের নৌকা এছাড়া নূহ আঃ এর নৌকার অনুসন্ধানে থাকা হংকং ভিত্তিক mentality international এর দাবি তারা এমন একটি কাঠের টুকরো পেয়েছেন যার কার্বন পরীক্ষায় প্রমাণ মিলিয়েছে সেটি চার হাজার আটশ বছর পুরোনো. 

সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে তেরো হাজার ফুট উপরে ওই কাঠের টুকরো টি পাওয়া বলে জানান তারা. বাইবেলের বুক অব জেনেসিসের তথ্য অনুসারে মহাপ্রালবনের পর তুরস্কের ও পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত আর রা পূর্বে গিয়েই ঠেকেছিল নূর আলাইহি সালামের নৌকা. যদিও অসংখ্য অভিযানের পর এই তথ্যের সমর্থনে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি. 

তবে  নূর সে নৌকার কাল্পনিক প্রতিরোধ তৈরি করে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দেন নেদারল্যান্ডস এর শিল্পী জোহান হরিবার. হযরত নূর আসলামের তৈরি কিস্তিরি ছিল তিনতলা বিশিষ্ট এটি লম্বায় বারোশো গজ ছয়শো গজ চাওড়া ছিল. এই নৌকায় হজরত নুহ আঃ ও তার সঙ্গীত চল্লিশ জোড়া নারী পুরুষ সহ জীবজন্তু পশুপাখি একশো বিশ দিন অবস্থান করেন. 

মহাপ্রলান শেষে নৌকাটি তুরস্কের যদি পাহাড়ের কাছে স্তির করে. নেদারল্যান্ডসের শিল্পী জোহানের তৈরি নৌকাটি লম্বায় চারশো দশ ফুট. পঁচানব্বই ফুট চওড়া এবং তিন তলা বিশিষ্ট হয়. যার উচ্চতা পঁচাত্তর ফুট. দু হাজার আঠারো সালের নভেম্বরে দুহাজার পাঁচশো টনের নৌকাতেই পানিতে ভাসানো হয়. 

শিল্পী যখন বাইবেলে বর্ণিত বিবরণী অনুযায়ী এই নৌকাটি তৈরী করেছেন নৌকাটিতে কাঁঠালের তৈরি বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীও রাখা হয়েছে. নৌকারি তৈরিতে প্রায় ষোলো লাখ ডলার খরচ হয়েছে. দুহাজার বারো সালে শিল্পী জোহান এই নৌকাটির তৈরির কাজ শুরু শুরু করেন. নৌকাটি নেদারল্যান্ডস এর রাজধানী armster নামে রাখা হয়েছে. যা প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থী পরিদর্শন করছে.

 মহান আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন নূহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নৌকা টি এখন কোথায় আছে এবং কি অবস্থায় আছে আমাদের সকলেরেই বিষয়েই কথা বিশ্বাস রাখা উচিত যে নূহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের জামানায় আল্লাহতায়ালা অবিশ্বাসীদের শাস্তি দিয়েছিলেন এবং মহা প্লাবনের মাধ্যমে তাদেরকে ধ্বংস করেছিলেন। তো বন্ধুরা তাহলে আজ এই পর্যন্তই সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করুন আল্লাহ হাফেজ। 


Post a Comment

0 Comments