পৃথিবীর ঘূর্ণন গতি বন্ধ হয়ে গেলে কি হবে? ----Alhadi

পৃথিবীর আবর্তন গতি বিষুবরেখা থেকে মেরুর দিকে কমতে থাকে কেন,  পৃথিবী নিজের অক্ষের চারদিকে আবর্তিত  না হলে কী ঘটনা ঘটবে? পৃথিবী নিজের অক্ষের চারদিকে আবর্তন না হলে কী ঘটনা ঘটবে?   কি হবে যদি পৃথিবীর ঘূর্ণন গতি থেমে যায়,পৃথিবী নিজের অক্ষের চারদিকে আবর্তন না হলে কি ঘটনা ঘটবে, Alhadihb,nhd501,smnahid,পৃথিবীর ঘূর্ণন বন্ধ হলে কি হবে,


আসসালামু আলাইকুম, বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন . আমাদের পৃথিবী সূর্য চন্দ্র গ্রহ নক্ষত্র  সবকিছু মিলিয়ে আমাদের মহাবিশ্ব। এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন আল্লাহ তা'আলা। মহান আল্লাহ তায়ালার হুকুম ছাড়া এই মহাবিশ্বের একটি বালুকণা এদিক-ওদিক হয় না। আপনারা যারা এই পোস্ট পড়তেছেন আপনাদের মধ্যে  কম-বেশি অথবা সবারই মনে একটি প্রশ্ন আসতে পারে। আর সেটি হলো  আমাদের পৃথিবীর ঘূর্ণন বন্ধ হয়ে গেলে কি হবে পৃথিবীর । আজ সে সম্পর্কে আলোচনা  করা হবে আশা করি আপনারা সবাই সম্পুর্ন পড়বেন শুরু করা যাক । 

একটি গাড়িটি যদি এক ছয়শত   সত্তর কিমি বেগে ছুটে এসে কোন শক্ত দেওয়ালে ধাক্কা মারে. তাহলেই বা কি হবে? গাড়িটির নাম ও নিশানা মিটে যাবে. গাড়িটির সব অংশ হয়তো খুঁজেই পাওয়া য়া যাবে না. আমাদের পৃথিবীর ঘূর্ণাণ্য যদি হঠাৎ থেমে যায়, তাহলে এরকমই কিছু হবে. হঠাৎ যদি পৃথিবীর ঘূর্ণন থেমে যায়, সম্ভাব্য কি কি ঘটতে পারে? তা জেনে নেওয়া যাক। 

নাম্বার ওয়ান সব কিছু প্রচন্ড বেগে পূর্ব   দিকে উড়তে শুরু করবে. পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরার সাথে সাথে নিজের অক্ষের চারদিকেও ঘুরপাক খাচ্ছে যাকে আমরা আবর্তনগতী বলে থাকি. এক পাক নিজের অক্ষের চারদিকে   ঘুরতে সময় লাগে. তেইশ ঘণ্টা াপান্ন মিনিট চার সেকেন্ড. নিরক্ষরেখায় এই ঘূর্ণনীর বেগ সবচেয়ে বেশি প্রায় ষোলোশো সত্তর কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়. 



মেরু অঞ্চলে এই ব্যাগ কিছুটা কম. যদি পৃথিবীর ঘূর্ণন হঠাৎ থেমে যায় তাহলে পৃথিবীর উপর অ সমস্ত কিছু প্রায় ষোলোশো কিলোমিটার বেগে পূর্ব দিকে উঠতে শুরু করবে. বাড়িঘর, মানুষ পশুপাখি রাস্তাঘাট, কলকারখানা সমস্ত কিছু. মানুষ প্রায় সুপার সনিক স্পিডে বন্ধুকের গুলির থেকেও বেগে উড়তে শুরু করবে. এক মুহূর্তেই মানুষ একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে. 

Number two, প্রচন্ড শক্তিশালী বায়ু প্রভাব সৃষ্টি হবে. পৃথিবীর যদি হঠাৎ থেমে যায়, তাহলে ষোলোশো থেকে সতেরোশো কিমি বেগে প্রচণ্ড শক্তিশালী বায়ু প্রবাহ শুরু হবে. প্রথম কয়েক সেকেন্ড দুটি স্থানে থাকা মানুষ হয়তো বেঁচে যাবে. যারা ওই সময় প্লেনে উঠছিল আর উত্তর ও দক্ষিণ মেরুতে থাকা মানুষগুলো. কিন্তু কয়েক পরেই শুরু হবে ভয়ানক ধূলি ঝড় একই সাথে শুরু হবে প্রচন্ড বজ্রপাত. বজ্রপাতের শক্তি এতটাই বেশি হবে বিমানগুলি মুহূর্তেই ভস্ম হয়ে যাবে. পৃথিবী হঠাৎ থেমে যাওয়ায় সৃষ্টি হবে সকওয়েব. যেমনটি পারমানবিক বোমা বিস্ফোরিত হলে হয়, এই ভয়ানক শকায়েব গুলি মেরু অঞ্চলে গিয়েও ধাক্কা দেবে. এতে সেখানে বসবাসকারী মানুষজন একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে.

 Number three, সৃষ্টি হবে বিশাল সামুদ্রিক ঢেউ বা সুনামি. হঠাৎ থেমে গেলে তৈরি হবে বিশাল সামুদ্রিক ঢেউ. প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য দু হাজার চার সালে ভারত মহাসাগরের তলায় সামান্য একটু ভূমিকম্প হওয়ার কারণে সৃষ্টি হয়েছিল ভয়ানক সুনামি. মারা গিয়েছিল প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ. আর যদি গোটা পৃথিবীই থেমে যায় তাহলে কী পরিমান ভূকম্পন হতে পারে তা কল্পনার ও বাইরে. 

number four  ,  পৃথিবীর সমস্ত জল দুটি সমুদ্রে জমা হবে. পৃথিবীর ঘূর্ণন হটাৎ থেমে গেলে দুটি মহাসমুদ্র সৃষ্টি হবে দুই মেরুতে. কেন্দ্রাতিক বলের কারণে যে জল নিরক্ষী অঞ্চলে বর্তমানে রয়েছে তা দুটি মেরুতে চলে যাবে নিরক্ষী অঞ্চলটি পুরোপুরি শুকিয়ে যাবে সৃষ্টি হবে একটি বিশাল মহাদেশ. তো তখন যদি আপনি হেঁটে পুরো পৃথিবী ঘুরে আসতে চায় তাহলে নিরক্ষী অঞ্চল বরাবর আপনি পারবেন. কারণ এই অঞ্চলে ওই সময় কোন জলভাগ থাকবে না. তবে তখন আপনি বেঁচে থাকবেন না এই সফরটি করার জন্য। কারণ পৃথিবীর ঘূর্ণন বন্ধ  হওয়ার  সঙ্গে সঙ্গে আপনি তুলোর মতো উড়তে থাকবেন এবং একসময় আপনার মৃত্যু নিশ্চিত। 

 number five  , ওজন বৃদ্ধি. পৃথিবীর ঘূর্ণনের কারণেই আমাদের ওজন ভারসাম্য অবস্থায় যদি পৃথিবীর গতি বেড়ে যায় তাহলে আমাদের ওজন কমে যাবে গতি বাড়তেই থাকলে আমরা ভারহীন হয়ে যাব কিন্তু যদি পৃথিবীর গতি থেমে যায় তাহলে আমাদের ওজন হঠাৎ বেড়ে যাবে 

number six উৎপাত ও ভূমিকম্প. পৃথিবীর প্রচণ্ড গতি শক্তি এবং এর ভরবেগ পৃথিবীকে ব্যাপকভাবে নাড়িয়ে দেবে. জেতার ফলাফল অনুমান করা অসম্ভব. পৃথিবীর সর্বত্রই ব্যাপক ভূমিকম্প শুরু হবে. সেই সাথে চলতে থাকবে ভয়ঙ্ক বিধ্বংসী অগ্পাত 

number seven একটি গোলার্ধে প্রচন্ড গরম অপর গোলারতে প্রচন্ড ঠান্ডা. পৃথিবীর আবর্তন গতির কারণেই দিন ও রাত হয়. কিন্তু পৃথিবীর ঘূর্ণান যদি থেমে যায় তাহলে একদিকে রাত ও অন্যদিকে দিন বিরাজ করবে. একটানা দিন হওয়ার কারণে একদিকে প্রচন্ড গরম পরবে. আর অপরদিকে রাত হওয়ার কারণে প্রচন্ড শীত পড়বে. সব জায়গায় বরফ জমা হয়ে যাবে. 

Nasa বিজ্ঞানীদের মতে একটানা ছয় মাস দিন ও ছয় মাস রাত বিরাজ করবে. কারণ তখনও পৃথিবীর পরিক্রমা গতিটি বজায় থাকবে. 

Number eight,  পৃথিবীর আকৃতি উপবৃত্তাকার থেকে বিত্তাকার হবে. পৃথিবীর আকৃতি উপবৃত্তাকার কিছুটা কমলালেবুর মতো. পৃথিবীর ঘূর্ণাব্যের কারণেই এরকম আকৃতি. দুই মরু অঞ্চল কিছুটা চ্যাপ্টা এবং নিরক্ষী অঞ্চল কিছুটা ফোলা. যদি পৃথিবীর ঘূর্ণান থেমে যায়, তাহলে ধীরে ধীের পৃথিবীর আকৃতি perfect circle বা গোলাকৃতি হবে. 

এবার প্রশ্ন উঠতে পারে? আসলেই কি পৃথিবীর ঘূর্ণন গতি  থেমে যেতে পারে? বা থেমে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে? উত্তরে NASA র একটি গবেষণার কথা উল্লেখ করবো. NASA ক্যালকুলেশান করে পেয়েছে দিনের দৈর্ঘ্য প্রতি একশো বছরে two point three মিলি সেকেন্ডস করে বৃদ্ধি পাচ্ছে. কয়েক বিলিয়ন বছর পর দিনের দৈর্ঘ্য রাতের দৈর্ঘ্যর থেকে অনেক বেশি হবে. ও তখন হয়তো আমাদের পৃথিবীর ঘূর্ণন বন্ধ হয়ে যেতে পারে. 

 তাহলে  আজ এই পর্যন্তই, যদি আপনাদের কাছে তথ্য টি  ভাল লেগে থাকে তাহলে  শেয়ার করবেন   যাতে অন্যরাও  জানতে পারে যে পৃথিবীর ঘূর্ণন থেমে গেলে কি কি ঘটতে পারে? সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ। 

Post a Comment

0 Comments