হযরত উমর রাঃ ও হযরত কাফ রাঃ এর একটি শিক্ষনীয় গল্প। ----Alhadi

 

হযরত ওমর রাঃ ও হযরত কাফ রাঃঃ এর একটি শিক্ষনীয় গল্প,হযরত উমর রাঃ এর জীবনী,Alhadi hb,nhd501,smnhd,কুরআনের সত্য কাহিনী,হাদিসের সত্য কাহিনী,ইসলামিক কাহিনী
ছবিটি কাল্পনিক  

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, বন্ধুরা কেমন আছেন আশা করি সবাই ভাল আছেন। একদা  হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু  হযরত কাফ রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু  কে জিজ্ঞাসা করলেন হে কাফ আপনি আমাকে বলুন তো, তাকওয়া কি জিনিস? অর্থাৎ আল্লাহ বিধি এটা কি জিনিস? তখন কাফ বললেন, হে ওমর, আপনি আমাকে বলুন তো, আপনি কি কখনো এমন রাস্তা দেখেছেন যে রাস্তাটি অনেক সংকীর্ণ যে রাস্তা অনেক বেশি সরু অনেক চিকন, যার দুই পাশে কাটা গে ঘেরা কাটার লতাপাতা. 

আচ্ছা ওমর আপনি যদি কখনো এমন রাস্তা অতিক্রম করেন তখন আপনি কিভাবে অতিক্রম করবেন? তখন হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু  বললেন আমার যদি কখনো এমন রাস্তা অতিক্রম করতেই হয় তখন আমি খুব সাবধানতার সহিত সেই পথ অতিক্রম করব. যেন আমার, জামা সেই গাছের কাটার সাথে লেগে না যায়. 

ছবিটি কাল্পনিক 


যেন আমি সেই গাছের কাটার সাথে লেগে না যায়. যেন আমি আহত না হই, আমি খুব সাবধানতার সহিত সেই পথ অতিক্রম করব এবং আমি আমার গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করব. তখন হযরত কাফ রাদিআল্লাহু আনহু  বললেন এর চেয়ে উত্তম তাকওয়ার উদাহরণ আর কি হতে পারে? আপনি যেমন এই পথকে দেখে ভয় পেয়েছেন, অর্থাৎ এই পথের এতসব সমস্যা, এ পথে এত কাঁটা আর এসব দেখে আপনি খুব সতর্কতার সহিত আপনি সে রাস্তা অতিক্রম করার চিন্তা করছেন. 

আপনি ভাবছেন আপনার গায়ের কাপড়ও যেন সেই কাঁটার সাথে না লাগে. ঠিক তেমনি ভাবে তাকওয়া হচ্ছে আমাদের এই পৃথিবীর জীবন যেখানে অসংখ্য কাটার মতো অর্থাৎ জিনা ব্যাবিচার খুন খারাপি সমস্ত অপকর্ম আমাদের চারপাশে রয়েছে. আর এখানে তাকওয়া হচ্ছে ওটাই যেটা আপনি সেই পথের ক্ষেত্রে দেখিয়েছিলেন অর্থাৎ সেই রাস্তার ক্ষেত্রে ড়ে দেখিয়েছিলেন. খুব সতর্কতার সাথে, পথ অতিক্রম করে.

 ঠিক তেমনইভাবে দুনিয়ার জীবনে আপনার খুব সতর্কতার সহিত এই জিন্দেগীটা পার করতে হবে. যেন আমাদের আশেপাশে সেই কাটার মতো জিনা ব্যভিচার খুনখারাবি গীবত সুদ ঘুষ অপকর্ম নানান ধরনের  কাজ সেগুলো যেন আমাদের স্পর্শ না করে. এবং এটাই হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম তাকুয়া. আলহামদুলিল্লাহ.

প্রিয় বন্ধুরা সাহাবীগণ  এভাবে নিজেদের ইমান আমলের চর্চা করতেন. তারা সবসময় বিভিন্ন ঈমানী মজলিশে  কথা বলতেন. যেন তাদের ঈমান বৃদ্ধি পায়. তারা এমন সব সাহাবী যারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর  থেকে জান্নাতের সার্টিফিকেট পেয়ে গিয়েছে. তারপরেও তার এর অহংকার করেনি. তারপর তারা কি করেছে? তারপর তারা আরও ইমান কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় আরো প্রিয় হওয়া যায় সেই ধরনের চেষ্টা করেছে.

 আর আমাদের বর্তমান অবস্থা হচ্ছে এমন যে আমরা কিছু একটা হয়ে গেলে কেউ যদি আমাদেরকে একটা দেয় কেউ যদি আমাদেরকে বলে আপনি তো খুব বড় বুজরগুলো, আপনি তো খুব ভালো আপনাকে সব সময় মসজিদে দেখি আপনাকে দেখলে আসলে খুব ভালো লাগে. অহংকারে তখন আমাদের পা মাটিতে পরে না. আমরা সাহাবীদের কাছ থেকে শিক্ষা নেই না. যে তাদের জীবন কেমন ছিল. 

হযরত আবু বক্কর সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু,হযরত আলি রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু, হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু, হযরত বেলাল রাযিআল্লাহু তা'আলা আনহু, হযরত ওসমান জিন্নুরাইন রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু, এভাবে দুনিয়াতে থাকা অবস্থায় জান্নাতের সার্টিফিকেট পাওয়া  সাহাবীরা কোনদিন অহংকার করেন নি. 

তারা তাদের ঈমানের সম্পর্কে সব সময় সচেতন থাকতে হবে. সব সময় আল্লাহর উপর ভরসা রাখতো এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধারণ করতো। কখনো আল্লাহকে নিরাশ করতে না। তারা যেকোন সময় ইসলামের জন্য জীবন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতো. আর আজ যদি মুসলমানের কথা বলি আমি আপনি সবাই নিজেদের ঈমানের প্রতি বেখেয়াল। দুনিয়া সামান্য লোভ-লালসা এর প্রতি লালায়ীত হয়ে  নিজেদের ঈমান এর প্রতি বেখেয়াল হয়ে যায়। 

পরিশেষে একটি কথা বলতে চাই আল্লাহ তা'আলা যেন আমাদের সবাইকে ধৈর্য ধারণ করার আল্লাহর উপর ভরসা রাখার তাওফিক দান করেন। তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ। 

Post a Comment

0 Comments