পরীক্ষায় পাশ করার সর্বনিম্ন মার্ক 33 কেন? ঘড়ির কাঁটা সব সময় ডান দিকে ঘুরে কেন? ----Alhadi

পরীক্ষায় পাশের মার্ক ৩৩ কেন,ঘড়ির কাঁটা ডান দিকে ঘুরে কেন,alhadi hb,alhadihb,nhd501,smnahid,ঘড়ির কাঁটা ডান দিকে ঘোরার কারণ কি,পাশের মার্ক ৩৩ হওয়ার  কারণ কি, পরীক্ষা পাস করার জন্য সর্বনিম্ন 33 পেতে হয়  কেন, ঘড়ির কাঁটা সব সময় ডান দিকে ঘোরে কেন, ঘড়ির কাঁটা বাম দিকে ঘুরে না কেন, ঘড়ির কাঁটা বামদিকে না করার কারণ কি, al hadi hb


আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা কেমন আছেন?  আশা করি সবাই ভাল আছেন  বন্ধুরা আমরা সকলেই আমাদের শিক্ষা জীবনে স্কুল  কলেজে বা যে কোন জায়গায় কখনো না কখনো তেত্রিশ মার্কের পিছনে তো সকলেই ছুটেছে. কেননা এই তেত্রিশ মার্কটি ছিল আমাদের পরীক্ষায় পাশের মার্ক.  আমি আপনি সবাই এটা 33 মার্কের পেছনে কোন না কোন সময়  কম বেশি ছুটে  ছিলাম মাঝে মাঝে তো আমার ইচ্ছে হতো পরীক্ষায় পাশের মার্ক তেত্রিশ না হয় তিরিশ কেন হল না? ঠিক ওই একই ভাবে আমার বন্ধুরাও আশা করতো পরীক্ষায় পাশের মার্ক তেতত্রিশ না হয়ে ৩০কেন হল না? 

কিন্তু বন্ধুরা আপনারা কি কখনো কেউ চিন্তা করে দেখেছেন, পরীক্ষায় পাশের মার্ক তেত্রিশ না হয় আশি বা তিরিশ কেন হলো না? আমাদের আজকের পোস্টে  আমরা ঠিক এই জিনিসটা সম্পর্কেই আপনাদেরকে জানাবো. ঠিক কি কারণে পরীক্ষার পাশের মান তেত্রিশ হলো . বন্ধুরা আমরা সকলেই আমাদের স্কুলের পাঠ্য বইয়ের অবদানে জানি যে সতেরোশো সাতান্ন সালে নবাব সিরাজউদ্দৌলা পরাজিত হওয়ার পর থেকেই আমাদের এই ভারত উপমহাদেশে ব্রিটিশেরা রাজত্ব করতো. 

📌📌 আরো পড়ুন :: আল্লাহ তায়ালা একটি মশার মাধ্যমে নমরুদকে যেভাবে ধ্বংস করেছিল সত্য কাহিনী।

আর ঠিক একশো বছর পর আঠেরোশো সাতান্ন সালে যখন সিপাহী বিদ্রোহ হয় তখন এই ভারত উপমহাদেশের ক্ষমতা চলে যায় সরাসরি রানীর হাতে. আর ঠিক তখনই রানী ভারত উপমহাদেশের বিভিন্ন রকমের সংস্কারের পরিক করেন. আর এই কারণে ভারত উপমহাদেশের মানুষগুলোকে শিক্ষাদীক্ষায় উন্নতি করার জন্য পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করা হয়. কিন্তু এখানে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয় পরীক্ষায় পাশের মান কত হবে তা নিয়ে.

 আর ঠিক তখনই তারা বিভিন্ন রকমের চিন্তা ভাবনা করার পরে পরীক্ষায় পাশের মার্ক তেত্রিশ নির্ধারণ করেন. তখন ব্রিটেনের স্থানীয় ছাত্রদের জন্য পাশের নাম্বার ছিল পঁয়ষট্টি. আর ঠিক সেই সময় ইংরেজদের সমাজে একটি কথা প্রচলিত ছিল অর্থাৎ কথাটি এইরকম বুদ্ধি ও দক্ষতায় উপমহাদেশের মানুষকে ইংরেজদের তুলনায় অর্ধেক মনে করা হতো. 

আর এরূপ ধারণার কারণেই matripul পরীক্ষায় পাশের মানের পঁয়ষট্টির এর অর্ধেক বত্রিশ দশমিক পাঁচ নির্ধারণ করা হয়. আর ঠিক আঠারোশো আটান্ন সাল থেকে আঠেরশো একষট্টি সাল পর্যন্ত পরীক্ষায় পাশের মার্ক এই  বত্রিশ দশমিক পাঁচ ছিল. যদিও পরবর্তীতে আঠেরোশো বাষট্টি সালে, পরীক্ষার ক্ষেত্রে বা গণনার সুবিধার্থে সেই মানটিকে বৃদ্ধি করে তেত্রিশ করা হয়. আর ঠিক সেই তখন থেকেই পরীক্ষায় পাশের  মান এখনো তেত্রিশ রয়েছে. 

📌📌 আরো পড়ুন :: একজন দয়ালু বাদশাহ কে কেন নিজের আপন মেয়েরা মেরে ফেলেছিল? ----Alhadi 

ইংরেজদের পর বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানিরা চলে গেলেও এখন পর্যন্ত আমাদের পরীক্ষায় পাশের মার্ক ওই তেত্রিশই রয়ে গেছে.তো বন্ধুরা   কেমন লাগলো এই তথ্যটি জানতে পারে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট বক্সে জানাবেন কেমন লাগলো আপনার কাছে আজকের পোস্টটি।  তো চলুন আরও  কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক 



এখন যে প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে এটি কম-বেশি সবার মনেই প্রশ্ন জেগেছে এবং উত্তর অনেকেরই জানা আছে আবার অনেকেরই জানা নেই।  আচ্ছা, ঘড়ির কাটা ডান দিকে ঘোরে কেন? আমার মতো অনেকের মনেই এই প্রশ্নটা আছে যে ঘড়ির কাঁটা কেন ডান দিকে ঘুরে? কেন? বাম দিকে ঘোরে না? এর কারণটা অনেক বড়, কিন্তু কারণটা  যদি আমরা অনেক সংক্ষেপে বলি তাহলে বলতে হবে এই ঘড়ির কাটা গুলো শুধুমাত্র ডান দিকে ঘোরে তার পূর্বের ঘড়ির কারণে. 

এখন আপনাদের অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতেই পারে ঘড়ি যখন তৈরি করা হয় তখন থেকেই তো ঘোরে ডান দিকে ঘোরে, তাহলে তার পূর্বে আবার কোন ঘড়ি ছিল? হ্যাঁ বন্ধুরা ঘড়ির আবিষ্কারের পূর্বেও পৃথিবীতে বিভিন্ন রকমের ঘড়ি ব্যবহার হতো. ঠিক সেই রকমেরই একটি ঘড়ি ছিল সূর্য ঘড়ি. এই সূর্য ঘড়ির  মূল একটি অংশ ছিল একটি দণ্ড. আর এই দণ্ডের ছায়াটার উপর নির্ভর করে সৌরভই কাজ করতো. 


📌📌 আরো পড়ুন ::  হযরত ইউসুফ আঃ এর কবর স্থানান্তর করার কারণ কি ছিল? ----Alhadi 

সূর্যের অবস্থানের পরিবর্তনের সাথে সাথে দ্বন্দ্বের ছায়াটিরও অবস্থান পরিবর্তন হতো. এর ছায়া থেকে আগের সময় এগুলোতে দিনের সময় নির্ধারণ করা হতো. উত্তর কলার্তে অবস্থিত কোনো সূর্যঘড়ির দিকে যদি উত্তর দিকে মুখ করে তাড়ানো হয় তবে দেখা যাবে সূর্য পূর্ব থেকে যাওয়ার সাথে সাথে দ্বন্দ্বের ছায়াটিও পশ্চিম থেকে পূর্বে সরে যাচ্ছে. বা ক্রমান্বয়ে সেটির ডানদিকে সরে যাচ্ছে. মানুষ যেহেতু সূর্য ঘড়িতে অভ্যস্ত হয়েই গিয়েছিল সেই সময় তাই আধুনিক বিজ্ঞানীরা যখন আধুনিক ঘড়ি আবিষ্কার করলেন তখন তারা সেই পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী ঘড়ির কাঁটাগুলোকে ডান দিকেই ঘোরাতে শুরু করলেন. 

আর এরপর থেকে যতগুলো আধুনিক ঘড়ি তৈরি করা হয়েছে সবগুলোই ঠিক এইভাবে ডান দিকে ঘুরার মতো করেই তৈরি করা হয়েছে. এখানে প্রথম ঘড়িটি যদি উত্তর কলার দিয়ে তৈরি না হয়ে দক্ষিণ কলারতে হত, তাহলে হয়তো বা ঘড়ির ঘোড়ার কাঁটাটা সব সময় বাম দিকেই থাকতো. আর আমরা আমাদের ঘড়ির কাটাটিকে সবসময় বাম দিকেই ঘুরতে দেখতাম. মূলত এই ঘড়ির কাটার ডান ও বাম দিকে ঘোরার পেছনে সবচেয়ে মূল কারণটি হলো, এটি আবিষ্কারের  স্থানটি. এই ঘড়িটি শুধুমাত্র উত্তর মেরুতে আবিষ্কার হওয়ার কারণেই ঘড়ির কাটাটি ডান দিকে ঘুরছে.

📌📌 আরো পড়ুন :: জিন জাতিকে কখন সৃষ্টি করা হয়েছিল ? জিনরা কি মৃত্যুবরণ করে? ----Alhadi 

 বন্ধুরা কেমন লাগলো আজকের আয়োজন যদি ভালো থাকে তাহলে সবার সাথে শেয়ার করে জানার সুযোগ করে দিন । সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ। 


Post a Comment

0 Comments