আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা কেমন আছেন, আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। বন্ধুরা নীল তিমি নামটি অবশ্যই কমবেশি সবাই জানেন , আজ আলোচনা করবো এই নীল তিমি সম্পর্কে নীল তিমি কাকে বলে? নীল তিমির ওজন কত? নীল তিমির বাচ্চার ওজন কত হয়? নীল তিমির বাচ্চা কিভাবে খাদ্য গ্রহণ করে? নীল তিমি লম্বায় কতটুকু হয? নীল তিমির ওজন কত হয়? তার ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তরের সাথে থাকবে নীল তিমি সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য। তো চলুন শুরু করা যাক
বন্ধুরা নীল তিমিকে বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্তন্যতায় প্রাণী. এক সম্পর্কে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই. বিশাল এই প্রাণীর জীবন আচরণ. আজও মানুষের মধ্যেই বিস্ময়ের উদ্বেগ করে. এরা মাছের মতো ফুলকা দিয়ে নিঃশ্বাস নেয় না. আবার ডিমও পারে না. অক্সিজেন নেয় মানুষের মতো ফুসফুস দিয়ে. আবার বসবাস করে পানিতে. পানিতেই খাওয়াই শিশু তিমিকে মায়ের দুধ. সমুদ্রের রাজত্ব করে বেড়ানো এই তিমি লম্বায় একশো ফুট হয়.
যা কিনা সবচেয়ে বড় ডাইনোসরের দ্বিগুণ. তিমিকে অনেকেই মাছ বলে থাকে. আসলে কিন্তু তিমি মাছ নয়. মাছের মতো বৈশিষ্ট নেই তিমির মধ্যে. বিভিন্ন ধরনের তিমি রয়েছে. যেমন killer তিমি নীল তিমি পাইলট তিমি হ্যামডাক তিমিন তিমি গ্রে তিমি ইত্যাদি. এদের মধ্যে সব থেকে বড় হচ্ছে নীল তিমি .
বন্ধুরা আপনারা কি জানেন নীল তিমির ওজন কত? নীল তিমির জিভের ওজনেই একটা হাতির ওজনের সমান. এটা এত বড় যে একটা ফুটবল মাটের সবাই দাঁড়াতে পারবে অনায়াসে. এর হৃদপিণ্ড একটা প্রাইভেট কারের সমান. তাহলে ভাবুন তো এই তিমির ওজন কত হতে পারে? এদের ওজন দুইশ টনের মতো. যা কিনা Africa র পূর্ণ বয়স্ক চল্লিশটি হাতির সমান. নবজাতক নীল তিমিও কম যায় না. সেও বিশ্বের সব থেকে বড় নবজাতকের স্থান দখল করে আছে.
ওজন প্রায় তিন টন. রং কি সত্যিই নীল? ইস্তন্যপায়ী প্রাণী হলেও নীল তিমি থাকে পানিতে. তবে তাকে অক্সিজেন গ্রহণ করার জন্য একটু পরপর পানির উপরে ভেসে উঠতে হয়. নীল তিমি কে পানির নিচে নীলই দেখায়, তবে পানির উপরে ভেসে উঠলে দেখা যায় তার শরীর জুড়ে নিলচে দূষণ ছোপ আছে. এত বিশাল যে প্রাণীটি সে কি খায়, কত টুকু খায়, এই প্রশ্ন মনে আশাই স্বাভাবিক এরা সাধারণত ক্রীল নামের অতি ক্ষুদ্র এক ধরনের মাছ খেয়ে থাকে.
যা দেখতে অনেকটা চিংড়ি মাছের মতো. দিনে অন্তত চার টন খাবার খেয়ে থাকে. সংখ্যায় প্রায় চল্লিশ মিলিয়নের নীল তিমি কতদিন বাঁচে দীর্ঘদিন বাঁচে নীল তিমি গড়ে তাদের আয়ু আশি থেকে নব্বই বছর সব থেকে বেশি বয়স্ক যে নীল তিমিটি খুঁজে পাওয়া গেছে তার বয়স একশ দশ বছর. কোথায় থাকে তারা? পৃথিবীর প্রায় সব মহাসাগরে এরা রাজার মতো ঘুরে বেড়ায়.
যেমন , প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক মহাসাগর ও ভারত মহাসাগর. তোর আটলান্টিক মহাসাগরের নিউ ফান্ডান্ড, নোভা, ইস্কোসিয়া, গ্রিনল্যান্ড ও আইসল্যান্ডে. দেখা যায় নীল তিমেকে. অতিরিক্ত শিকারের কারণে বিশ্বব্যাপী নীল তিমির সংখ্যা কমে যাচ্ছে বলে গত কয়েক উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন পরিবেশবাদীরা শিশুর নীল তিমি পৃথিবীতে সবথেকে বড় প্রাণীর সন্তানও হবে বড়.
প্রায় এক বছর মায়ের গর্ভ থেকে জন্মগ্রহণ করে শিশু নীল তিমি পানিতে থেকেও শ্বাস নিতে পারে না নীল তিমি সমুদ্রে থাকে কিন্তু পানিতে শ্বাস নিতে পারে না এরা মানুষের মতোই বাতাসে শ্বাস নেয় তবে মানুষের মতো প্রতি মুহূর্তে নিশ্বাস নিতে হয় না তাদের. অন্তত তিরিশ মিনিট পর্যন্ত দম না নিয়ে থাকতে পারে.
তিমি যখন নিশ্বাস ছাড়ে তখন সে তার মাথার ওপর দুই ছিদ্র দিয়ে পানির ফোয়ারার মতো করে ছুড়ে দেয়. যা তিরিশ ফুট পর্যন্ত উপরে ওঠে. তার মাথার উপরের এই ছিদ্র এত বড় যে একটি ডলফিন সেখানে প্রবেশ করতে পারবে অনায়াসে. জেগে থেকেই সে ঘুমায়. নীল তিমি অনেকটা জেগে থেকে ঘুমায় মানে সে কখনো পুরোপুরি ঘুমায় না তার মস্তিষ্কের অর্ধেক ঘুমায়, বাকি অর্ধেক জেগে থাকে. কারণ হিসেবে মনে করা হয়, তিনি যদি ঘুমিয়ে পরে, এবং সময়মতো না জাগে তাহলে দম আটকে মরে যেতে তাই তাদের অর্ধেক মস্তিস্ক সব সময় জেগে থাকে.
যাতে শ্বাস প্রশ্বাসের জন্য ঘুমের মধ্যেও ভেসে উঠতে পারে. ঘুমের এই বিষয়টি বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন ইলেকট্রো এনসেফ্যালোগ্রাফির মাধ্যমে. নীল তিমি একা থাকতে বেশ পছন্দ করে, নীল তিমিকে খুব কমই দলে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়. সে বেশিরভাগ সময় একা ঘুরতেই পছন্দ করে.
ঘণ্টায় পাঁচ মাইলের থেকে বেশি সাঁতার কাটে তারা. তবে যদি কোন কারণে তবে সেটা ঘন্টায় বিশ মাইল পর্যন্ত হতে পারে. তিমি এখন বিপন্ন প্রাণী. উনিশ শতকের প্রথম দিকে প্রায় প্রত্যেক মহাসাগরে নীল তিমি দেখা যেত. এক শতকের ব্যবধানে শিকারিদের হাতে এই প্রাণীটি এখন বিলুপ্তির পথে. উনিশশো সালের দিকে নীল তিমির তেল সংগ্রহে মানুষের আগ্রহের কারণে বিপুল সংখ্যক নীল তিমি নিধন করা হয়.
উনিশশো থেকে উনিশশো ষাট সাল পর্যন্ত প্রায় তিন লাখ ষাট হাজার তিমি শিকারিদের হাতে মারা যায়. এরপর আন্তর্জাতিক কিমি কমিসন বাণিজ্যিকভাবে নীল তিমির শিকারি নিষেধাজ্ঞা জারি করে. সম্প্রতি আন্তর্জাতিক পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ক সংস্থা IE UCN নীল তিমিকে বিপন্ন প্রাণী হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে. শিকার ছাড়াও জেলেদের হাতে তিমি নিধন হয়.
তিনি জেলেদের জালে আটকা পড়ে ডুবে যায় অথবা অভুক্ত থেকে শেষ পর্যন্ত মারা যায়. সমুদ্রের জাহাজ যাতায়াত বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্রুতগামী জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়ে অনেক তিমি মারা যায়. দুই হাজার দুই সালের এক হিসেব মতে সারা বিশ্বে অন্তত বারো হাজার নীল তিমি রয়েছে IUCN ধারণা করছে বর্তমানে এর সংখ্যা হতে পারে পঁচিশ হাজার। আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন বর্তমানে কত হাজার তিমি আছে।
তো বন্ধুরা তাহলে আজ এই পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন তথ্যটি ভালো লাগলো সবার সাথে শেয়ার করুন. আল্লাহ হাফেজ।
0 Comments