সাবমেরিনের মধ্যে সেনারা কিভাবে বসবাস করে? How do soldiers live in submarines? ---Alhadi

 

সাবমেরিনের মধ্যে সৈন্যরা কিভাবে থাকে,সাবমেরিনের কাজ কি,সাবমেরিন যুদ্ধ,সাবমেরিন কি,বাংলাদেশের কয়টি সাবমেরিন আছে,পানির নিচে বসবাস,সাবমেরিন এ কি কি থাকে
submarine 

বন্ধুরা আপনারা সকলে জানেন যে আজ আমরা নিশ্চিন্তে আমাদের জীবন কাটাতে পারছি তা কিন্তু কেবলমাত্র দেশের সেনাদের জন্যই. তারা জল স্থল বা আকাশ পথে বাইরে শত্রুদের হাত থেকে সব সময় আমাদের রক্ষা করে চলেছেন. কিন্তু জানেন কি বন্ধুরা আমাদের দেশেরই কিছু সৈনিক জলের নিচে প্রায় এক হাজার ফুট গভীরে থেকেও আমাদের সুরক্ষা দিয়ে চলেছেন. এই সৈনিকরা মাসের পর মাস জলের নিচে পাহারা দিয়ে দেশের সেবা করছেন কতটা কঠিন বলুন তো ইনাদের প্রাত্যহিক জীবন বন্ধুরা আজ আমরা  সৈনিকদের দৈনন্দিন জীবন কিভাবে কাটে সেটাই বলতে চলেছি তাহলে বন্ধুরা চলুন শুরু করা যাক। 

 এই সাহসী  নৌসেনারা কিভাবে নিজেদের জীবন বাজি রেখে দেশের তথা আমাদের মত সাধারণ মানুষদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে চলেছেন নৌসেনাদের উপর দেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব অর্পিতা থাকে দুটি ধাপে. একটি জলের উপর থেকে এবং অন্যটি জলের নিচে দেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য জলের নিচে প্রায় এক হাজার ফুট গভীরে মাসের পর মাস সাবমেরিনে কাটান নৌসেনারা. এই বিশেষ কাজটির জন্য সৈনিকদের লক্ষ্য, ইচ্ছা, ট্রেনিং, মেডিকেল কনফিডেন্সের উপর জোর দেওয়া হয় এবং উৎকৃষ্ট সৈনিকদের বেছে নেওয়া হয়. 

মাসের পর মাস সাবমেরিনে কাটানো এই নৌসেনা জীবন একেবারেই সহজ সরল নয়. এদের পরিবার ও কাছের মানুষরা বলেন যে এদের জীবন কতটা কঠিন. যখন তারা কোন মিশনে যান তখন পরিবারের মানুষরা জানতেই পারেন না যে তারা কত দিনের জন্য কোথায় আর কবেই বা ফিরে আসবে? 

পরিবারের মানুষ শুধু এটুকুই জানতে পারে যে তারা দেশের সেবার লক্ষ্যে নিজেদের কর্তব্য পালন করতে যাচ্ছেন. যখন তারা সাবমেরিনের মধ্যে দিন কাটান তখন স্নান করা তো দূরের কথা নিজেরা ঠিক ভাবে নিজের পরিচর্যা করার ও সময় পান না. 

সাবমেরিন  


যে কোন দেশের নৌসেনাদের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ও মারাত্মক কাজ হল সাবমেরিনে থাকা. সাবমেরিন জলের উপরে বা নিচে দু'জায়গাতেই চলাচল ক রতে পারে. এক্ষেত্রে সেনাদের প্রধান কাজ হয় জলের গভীরতা মাপা ও শত্রুদের উপর নজর রাখা এই সাবমেরিন গুলো মিসাইল বা রকেট লঞ্চারের মতো হাতিয়ারের থেকেও মারাত্মক হয়. 

আর তখনই এগুলো শত্রু জাহাজদের আতঙ্কের কারণ হিসেবে প্রমাণিত হয় সাবমেরিন এ থাকা নৌসেনাদের কেউ দেখতে পায় না আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে শত্রুদের ঘাঁটিতে ঢুকে তাদের পরাজিত করে ফিরে আসেন এই নৌসেনারা কিন্তু বন্ধুরা আসলে ব্যাপারটা এত সহজ নয়. সাবমেরিন এ থাকা নৌসেনাদের প্রায় সব সময় নানা গুরুতর সমস্যার মোকাবিলা করতে হয়. 

কোন মিশনকে সফল করে তোলার জন্য সাবমেরই ধরনের মিশন এক থেকে ছয় মাস বা তারও বেশি সময় ধরে চলতে পারে. নৌসেনারা যখন সাবমেরিন নিয়ে সাগরের 1000 ফুট নিচে নেমে যায় তখন তারা পৃথিবীর সাথে সম্পূর্ণভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।তখন নৌসেনাদের চারপাশে পানি আর পানি। 

 আপনারা শুনলে নিশ্চয় অবাক হবেন যে চারদিকে জল দিয়ে ঘেরা হওয়া সত্ত্বেও সাবমেরির দিন স্নান করতে পারেন না. কখনো কখনো আবার এমনও ঘটে যে তিন মাস পর মিশন সফল হওয়ার পর সৈনিকরা স্নান এর কারণ হলো সাবমেরিনের মধ্যে যথেষ্ট জল থাকে না আর প্রতিদিন এক একজন নৌসেনা মাত্র তিন থেকে চার মগ জল পান. 

এই অবস্থার কারণে সৈনিকদের disposable কোড পরিধান করতে হয়. যেগুলো দু তিন দিন ব্যবহার করার পর ফেলে দেওয়া হয় এই কোট গুলিতে একটি বিশেষ ধরনের কেমিক্যাল লাগানো থাকে যার ফলে স্নান না করলেও সেনারা নানান রোগ জীবাণুর হাত থেকে দূরে থাকতে পারেন তাই এই সমস্ত নৌসপনারা এই ধরনের জামা কাপড় পড়েন এক্ষেত্রে আধিকারিক বা সাধারণ সেনাদের কোনো বিভাজন নেই জলের নিচে দীর্ঘদিন কাটানোর ফলে দিনের পর দিন সূর্য রশ্মি দেখতে পান না তাই যখন মিশন করে সেনারা ফিরে আসেন তখন তাদের নানান শারীরিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়. 

বিশেষ করে পেশি ও অস্থিগত সমস্যার. শুধু তাই নয় সাবমেরিনের সেনাদের খাবারেরও নানা সমস্যা হয়. কোন রকম মসলা ছাড়া ডাল, তরকারি, ভাত ও রুটি তারা খাবার হিসেবে খেয়ে থাকেন. আবার খাবারগুলো টাটকাও হয় না. টিনের প্যাকেটে অল্প পরিমান প্রসেস ফুড করা খাবার খাওয়ার জন্য পান. খাবার তৈরির সময় তাদের মাথায় রাখতে হয় যাতে ধোঁয়ার পরিমান বেশি না হয়.

 তাই যতটা সম্ভব সাদাসিধে খাবার প্রস্তুত করা হয়. যদি মিসনের নির্দিষ্ট সময় থেকে, বেশিদিন ধরে চলে, তবে এদের সাবমেরিনে থাকা অপর্যাপ্ত খাবার খেয়েই দিন কাটাতে হয়. সাবমেরিন যখনই সমুদ্রের নিচে চলে যায় তখন তার সাথে ডাক্তার ও প্রাথমিক চিকিৎসার জিনিসপত্র সব সময় মজুত থাকে ফলে যদি কারোর বমি বা মাথা ঘোরার মতো সমস্যা হয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা করার ব্যবস্থা থাকে।  

 সাবমেরিনের ভিতরে নানান উপকরণ থাকার কারণে শোয়ার জায়গার ভীষণই অভাব থাকে. এই কারণে সাবমেরিনেস হওয়ার জন্য নৌসেনাদের নির্দিষ্ট সময় থাকে. মিশন চলাকালীন নৌসেনারা ঘুমানোর জন্য চার থেকে পাঁচ ঘন্টা সময় পান. সাবমেরিনেস হওয়ার জন্য ইঞ্জিনের সামনে দুটি কম্পার্টমেন্ট থাকে. ওখানকার তাপমাত্রাও প্রচন্ড উষ্ণ হয়. তা সত্ত্বেও কিছু সৈনিক ওখানে শুতেও যান. এখানে মিসাইল ও রাখা হয় যদি আমরা বলি যে এই নৌ সেনারা বিশ্বের সবথেকে ভয়ঙ্কর অবস্থার মধ্যে ঘুমায় তাহলে ভুল হবে  না. 

আসুন বন্ধুরা আমরা সকলেই বীর জওয়ান বন্ধুদের সাহসিকতার প্রতি সালাম জানাই যারা দেশের সুরক্ষার জন্য নিজেদের প্রানের ঝুঁকি নিতে ভয় পান না.আমাদের সবার উচিত এই বীর যোদ্ধাদের জন্য দোয়া করা যেন আল্লাহ তাদেরকে অনেক অনেক হায়াত দেন। 

 তো বন্ধুরা  তাহলে আজ এই পর্যন্তই সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করবেন, আল্লাহ হাফেজ । 

Post a Comment

0 Comments