এলিয়েন কি সত্যিই আছে? কুরআন ও বিজ্ঞান কি বলে? ----Alhadi

এলিয়েন কি আছে কোরআন ও বিজ্ঞান কি বলে,alhadi hb,smdihan,alhadihb,nhd501,এলিয়েন কি আসলেই আছে,এলিয়েন কি সত্যিই আছে,এলিয়েন কি,এলিয়েন সম্পর্কে কোরআন কি বলে, এলিয়েন শব্দের অর্থ কি,এলিয়েনদের সম্পর্কে অজানা তথ্য


 আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা,  কেমন আছেন?  আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভাল আছেন , এলিয়েন এমন একটি শব্দ যা আমাদের সবার কাছে  অতি পরিচিত, এলিয়েন বলতে আমরা বুঝি ভিন্ন গ্রহের প্রাণী, আজ কথা বলবো ভিন্ন গ্রহের প্রাণী এলিয়েনেের  ব্যাপারে আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে যদি কোনো এলিয়েন সভ্যতা থাকে তাহলে তাদের নজরে পৃথিবী দেখতে কেমন? এই প্রশ্নের উত্তর জানার আগে একটি সাধারণ কিন্তু খুবই জরুরী একটি জ্ঞানের ব্যাপারে আলোচনা করা আবশ্যক.

 আপনারা তো জানেন যে কোন কিছু আলোর কারণে দেখা যায়. িশ্বের কোনো জায়গায় একফোঁটাও আলোর ছিটা না থাকে তো ঐখানে থাকা কোনো বস্তু আমাদের চোখে পড়বে না. এইজন্য আমরা যেটা দেখতে পারি সেটা আলোর রিফ্লেকশনের কারণে দেখতে পারি. আপনি যদি না জেনে াকেন তাহলে আমি বলে দিচ্ছি আপনি আপনার নিজের ছবি আয়নায় তাজা দেখতে পারবেন না. 

আমরা যখন আয়নাতে নিজের চেহারা দেখি সেই চেহারা তিন ন্যানো সেকেন্ড পুরনো হয়ে থাকে. কারণ আয়নাতে আমাদের চেহারা দেখার আগে আলো প্রথমে পরিবর্তিত হয়ে আয়নায় পড়ে. তারপর আয়না থেকে আবার রিফ্লেক্ট হয়ে আমাদের চোখে পরে. তারপর আমরা আয়নাতে আমাদের চেহারা দেখতে পাই. আর এই পুরো প্রসেস তিন ন্যানো সেকেন্ডের মত সময় লেগে যায়. কিন্তু এই সময় খুবই কম এবং আলোর গতি খুব দ্রুত এটা আমরা ধারণাও করতে পারি না যে আয়নাতে যে চেহারাটা দেখছি সেটা ফ্রেশ নয়. যা তিন ন্যানো সেকেন্ড  পুরনো. 

আলোর গতি প্রতি সেকেন্ডে প্রায় তিন লক্ষ কিলোমিটার. আলো তার নিজস্ব গতিতে এক বছরে যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে এক আলোকবর্ষ বা one light year বলে. এক আলোকবর্ষ প্রায় সাড়ে নয় ট্রিলিয়ান কিলোমিটারের সমান. এখন সিম্পল লজিক হলো আলোর রিফ্লেকশন আমাদের চোখে যতটা দেরিতে পড়বে ততটাই দেরিতে আমরা দৃশ্য দেখতে পাবো. কিন্তু মহাজগৎ আলোর গতি থেকেও অনেক বড়. 

যদি আমরা সূর্যের কথা বলি তাহলে সূর্য পৃথিবী থেকে চোদ্দ কোটি ছিয়ানব্বই লাখ কিলোমিটার দূরে. এজন্য আলোর গতিতে সূর্যের আলো পৃথিবীতে পৌঁছতে আট মিনিট, বিশ সেকেন্ড সময় লাগে. তার মানে খুব ভোরে যখন আমরা প্রথম সূর্যের আলো দেখতে পাই সেটা আসলে আট মিনিট, বিশ সেকেন্ড, পূর্বেই পৃথিবীতে এসেছি এরপর যখন আমরা দিনের যেকোনো সময় সূর্যের দৃশ্য দেখে থাকি সেটা আট মিনিট বিশ সেকেন্ডের পুরনো দৃশ্য উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় সূর্য যদি হঠাৎ একদিন গায়েব হয়ে যায় তাহলে আট মিনিট বিশ সেকেন্ডের মধ্যে আমরা বুঝতেই পারব না.



 ওই সময়ের পরে আমরা বুঝতে পারবো যে সূর্য গায়েব হয়ে গেছে. এইজন্য বর্তমান বিশ্বে আমরা টেলিস্কোপের দ্বারা যে কোনো দৃশ্য দেখি সেটা আমাদের েকে যত আলোকবর্ষ দূরে সেটা ততটাই পুরনো. এখন আমরা আমাদের প্রশ্নে ফিরে আসছি. যদি কোন এলিয়েন থেকে থাকে, তাহলে তারা আমাদের পৃথিবীকে কি অবস্থায় দেখে? তো প্রথমে কটি কথা clear করে দেই. আশেপাশের হাজারো আলোকবর্ষ দূরে এখনো কোনো প্রাণের খোঁজ মেলেনি.

 কিন্তু হ্যাঁ এই মহাজগতের লাখো বা কোটি আলোকবর্ষ দূরে আমাদের যে উন্নত বা  অনুন্নত প্রাণীর সভ্যতার অস্তিত্ব থাকা একশো পার্সেন্ট সম্ভব. পবিত্র কোরানের আলোকে এটা স্পষ্ট যে এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণী নিশ্চই আছে এখন মনে করুন যে এলিয়েনের কথা আজ আমরা ভাবছি তারা আমাদের পৃথিবী থেকে সাড়ে ছয় কোটি আলোকবর্ষ দূরে. তাহলে এখন তাদের শক্তিশালী টেলিস্কোপ থেকে আমাদের পৃথিবী বর্তমানে মত দেখা যাবে না. 

কিন্তু সাড়ে ছয় কোটি বছর আগে আমাদের পৃথিবী যে অবস্থায় ছিল ওই অবস্থায় দেখা যাবে. সুতরাং এই অবস্থায় আমাদের পৃথিবীতে নজর দিলে ওই এলিয়েনরা পৃথিবীতে প্রাচীন জীব দেখতে পাবে. সমুদ্র বা ডায়নোসরও দেখতে পাবে. তারা পৃথিবী জুড়ে জঙ্গল দেখবে. নদী পাহাড় গাছপালা বিভিন্ন জাতের উদ্ভিদ আর বিভিন্ন animals দেখবে. এখন তারা আমাদের পৃথিবীতে সবচেয়ে শক্তিশালী আর সবচেয়ে বড় জীবের রূপে ডাইনোসরকে দেখবে. 

সংক্ষিপ্তভাবে বলা যায় ওইসব এলিয়েনদের কাছে আমাদের পৃথিবী আদিকাল পুরনো দেখা যাবে. কিন্তু alien সভ্যতা মনে হয় খুব উন্নত তারা তাদের গ্রহ থেকে আমাদের পৃথিবীর দূরত্বে এটা জানতে পারে যে এই দৃশ্য কোটি বছরের পুরনো আর তাদের মনে একটি প্রশ্ন অবশ্যই উঠবে যে আঁচ তথা সাড়ে ছয় কোটি বছর পর, এই গ্রহে মনে হয়, জীবের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গিয়েছে.

 আর এই গ্রহ মঙ্গলের মতো নির্জীব হয়ে গিয়েছে. হ্যাঁ, এটাই সত্যি. প্রাচীন সময়ের অনেক প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে. কিন্তু এই পৃথিবীতে আরো সভ্যতার বিকাশ হয়েছে. আর আজ আমরা মানুষ এক উন্নত সভ্যতায় বসবাস করছি. 

তো বন্ধুরা, লাখো কোটি আলোকবর্ষ দূরে সভ্যতা আছে এই ব্যাপারে তো কোনো সন্দেহ নেই কিন্তু কখনো কি সেই chips গুলো আমাদের কাছে এসে পৌঁছতে পারবে? বা আমরা তাদের জন্য কি বার্তা রাখতে পারি? বা মহাজগতে যদি কোনো উন্নত সভ্যতা থাকে তাহলে তারা কেমন হবে? এটার উত্তর আমরা কেউ জানিনা. 

তো বন্ধুরা পরিশেষে একটি কথাই বলতে চাই কোরআনে যেহেতু আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন যে আমরা ছাড়া বিভিন্ন গ্রহের প্রাণী আছে তাহলে আমাদেরকে এ কথাটি মনে প্রাণে বিশ্বাস করতে হবে। তো বন্ধুরা তাহলে আজ এই পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন. আল্লাহ হাফেজ।              

Post a Comment

0 Comments