ডাইনোসরের আগে পৃথিবীতে কি ছিল? ----Alhadi hb

ডাইনোসরের আগে পৃথিবীতে কি ছিল,ডাইনোসরের বিলুপ্ত,ডাইনোসরের ইতিহাস,alhadi hb,nhd501,ডাইনোসর,ডাইনোসর রহস্য,ডাইনোসরের যুদ্ধ,ডাইনোসর কিভাবে ধ্বংস হয়,smdihan


আমাদের পৃথিবী অনেক অনেক বড়। এটি আমাদের জন্য অনেক অনেক বড় হলেও, মহাবিশ্ব হিসেবে যদি আমরা দেখি তাহলে আমাদের এই পৃথিবীর ক্ষুদ্র বালুকণার মত। পৃথিবীর ক্ষুদ্র বালুকণা মত হলেও আমাদের পৃথিবী নিজের ভেতর হাজার হাজার রহস্য লুকিয়ে রেখেছে. যেগুলির মধ্যে অনেক রহস্যের সমাধান আজ হয়ে গেছে. কিন্তু আমাদের পৃথিবীর প্রতিটি কোনে এমন অনেক রহস্য লুকিয়ে রয়েছে যেগুলির আজ অব্দি সমাধান করা সম্ভব হয়নি. 

আজ থেকে কোটি কোটি বছর আগে আমাদের পৃথিবীতে ডাইনোসররা রাজ করত. আজ অবধি যত যত ডাইনোসরের কঙ্কাল গুলি পাওয়া গেছে তার ফলে বিজ্ঞানীরা প্রায় এক হাজার থেকেও বেশি প্রজাতির ডায়নাসরেরও খোঁজ পেয়েছে . এগুলির মধ্যে কিছু ছিল শাখা হাড়ি. আবার বেশিরভাগই ছিল মাংসহাড়ি. বেশিরভাগ ডাইনোসরই হতো অনেক বড়. কিন্তু কিছু কিছু ডাইনোসর ছিল যারা ছিল মানুষের েথকেও ছোট. ডাইনোসর চারপাঁচ যুক্ত হতো এবং হত দু পা যুক্ত এবং এগুলোর মধ্যে কিছুতো প্রজাতি এমনও ছিল যারা উড়তেও পারত. 

যখন আমাদের পৃথিবীতে ডাইনোসররা রাজত্ব করত তখন পৃথিবীর প্রায় সব জায়গায়তেই  ডায়নোসর পাওয়া যেত. যেমনটি ভারত বাংলাদেশও ডায়নোসরের কিছু কঙ্কাল পাওয়া গেছে. এ কথাটি তো আপনি জানেনই যে আমাদের পৃথিবীতে আজ থেকে কোটি কোটি বছর আগে একটা খবরীয় ঘটনার জন্য ডায়নো র্দের যুগ শেষ হয়ে যায়. কিন্তু আমাদের পৃথিবীতে কি ডাইনোসরদের আগেও কোন জীব বসবাস করত? আসলে ডাইনোসরদের আগে আমাদের পৃথিবীতে কোন কোন প্রজাতির জীব বসবাস করত? 



এটা মানুষের কাছে হচ্ছে  অনেক বড় প্রশ্ন হচ্ছে  ডাইনোসরদের আগে পৃথিবীতে কারা বসবাস করতো?প্রথমে বলি সিটিকো সারাস. এই প্রজাতির জীবটি পৃথিবীর ড়ায় আজ থেকে একশো মিলিয়ন বছর আগে রাজ করতো. আমেরিকা এবং চীনের scientist রা অনেক রিসার্চ এবং ডাটা collect করে এই সিটিকেও সরাসের ব্যাপারে জানতে পেরেছে. এই প্রজাতিটি ছিল ডাইনোসরদের চেয়েও অনেক বেশি ভয়ংক যেটি ডায়নোসরদেরকেও অনেক সহজেই খেয়ে ফেলতো. যখন বিজ্ঞানীরা এই জীবটির অবশেষ খুঁজে পান এবং সেগুলিকে নিয়ে অনেক রিসার্চ করে তখন তারা চমকে দেওয়ার মতো কথা বলেছিল.

 বিজ্ঞানীরা অনুমান লাগান যে এই জীবটির পেটের ভেতর বাচ্চার অবশেষ পাওয়া যেতে পারে. কিন্তু পরে যখন বিজ্ঞানীরা ভালো করে রিসার্চ করে, তখন বিজ্ঞানীরা যেটা জানতে পেরেছিল, সেটা কেউই বিশ্বাস করতে পারেনি. সিটিগোসরাসের পেটের ভেতর ছিল আসলে অঙ্গ. এই জীবটি উত্তর আমেরিকা এবং ইউরোপের কিছু অংশে বসবাস করত, এই জীবটির প্রমাণ উনিশশো শতকের উত্তর আমেরিকায় পাওয়া গেছে কিছু অবশেষের ফলে করা হয়েছে. 

যখন বিজ্ঞানীরা সেটাকে নিয়ে research করে তখন একটা অদ্ভুত দেখতে জীবের বিজ্ঞানীরা খোঁজ করেন. বিজ্ঞানীরা জানতে পারেন. যে Adabo Sorras এর এই অবশেষটি ছিল প্রায় তিনশো কোটি বছর পুরোনো. Adabo ছিল অনেকটা আজকালকার টিকটিকির মতো. কিন্তু ওই প্রজাতির জীবটি ছিল আকারে অনেক বড়. এবং এদের লেজটি ছিল দেখতে ডাইনোসরদের মতই. লম্বায় ছিল প্রায় তিন থেকে এগারো ফুটের মধ্যে. ওজনে ছিল প্রায় তিনশো কেজির মতো.

 জীবটির শরীরটির তুলনায় মাথাটি ছিল অনেক ছোট এবং লেজটি ছিল অনেক লম্বা. এই এত ছোট প্রাণীটির শরীরে এতই শক্তি ছিল যে মিনিটের মধ্যে যে কোন জীবকে মেরে ফেলত কিন্তু যখনই জীবটি আমাদের পৃথিবীতে বসবাস করত তখন আমাদের পৃথিবীতে মানুষ ছিল না. তার চেয়ে কোটি কোটি বছর পর মানষুেরা পৃথিবীতে এসেছে. 

এরপর মেগা নিউরোসিস. এই জীবটির সম্বন্ধে বিজ্ঞানীরা বলে থাকেন যে এটি ছিল ডাইনোসরদের যুগেরও আগের জীব. মেগা নিউরোসেস ছিল পৃথিবীর আজ অব্দি সবচেয়ে বড় পতঙ্গ. এই জীবটি আজকের মতো দেখতে হতো. কিন্তু তখনই জীবটি লম্বায় ছিল প্রায় দু থেকে আড়াই ফিট. যেটি হচ্ছে আসল একটা বাজ পাখির মত. এই জীবটি আজকালকার ফড়িঙের মতো দেখতে হলেও ছিল জীব আসলে অনেক ভয়ঙ্কর. আসলে এই জীবটির মুখ্য আর ছিল অন্য সব উর্ধে থাকা ছোট ছোট কীটপতঙ্গ. 

মেগা নিউরোসিস এর ধারালো মুখ দিয়ে যে কোনো কীটপতঙ্গ কে খেয়ে ফেলতো বারণটো স্কট এটা হচ্ছে আসল একটা বিছের প্রজাতি যে প্রজাতিটিকে আমাদের দুনিয়ার প্রথম বিছে প্রজাতি বলা হয়. এটা তো আপনারা সবাই জানেন যে একটা সাধারণ বীজের আকার হয়. প্রায় পাঁচ ইঞ্চির মতো. কিন্তু এই প্রজাতির বিছেটির আকৃতি শুনে আপনি অবাক হয়ে যাবেন. এটার আকার ছিল প্রায় এক মিটারের মতো. বরণটা স্করপিও ছোট দেখতে যে কোন জীবকে নিজের হাত গুলিতে ধরে মেরে ফেলতো. 

এরপর কোরগন অফ সেট. এই জীবটি আজ থেকে প্রায় দুশো ষাট থেকে দুশো চুয়ান্ন মিলিয়ন বছর আগে বেঁচে ছিল. গরগন অক্সিড ওজনই ছিল অনেক বেশি. বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে এই প্রানীটি ছিল গরম র এই বিশাল প্রাণীটির শরীরে শরীরের বিপরীত লোমে ঢাকা ছিল. এ প্রজাতির জীবটি যে অবশেষগুলি আমরা পেয়েছি সেগুলিকে দেখে বিজ্ঞানেরও অনুমান লাগিয়েছেন যে এই জীবটি ছিল অনেক ভয়ঙ্ক প্রাণী.

 দাঁতগুলি ছিল অনেক ধার যুক্ত, যার ফলে এই জীবটি যে কোন প্রাণীর শিকার খুব সহজেই করতে পারত. এরপর স্কুট ও সরাস. স্কুটো সরাস নামক এই প্রাণীটি আজ থেকে প্রায় দুশো পৌষ ড়টি মিলিয়ন বছর আগে রাশিয়ার উত্তর দিকে বসবাস করত. আর দুশো-চুয়ান্ন মিলিয়ন বছর আগে পর্যন্ত এই প্রজাতির জিব ডিপ পৃথিবীতে রাজ করেছিল. স্কুট ও স্বরাজকে সেই সময়ের সবচেয়ে বড় প্রাণী এই জীবটি ছিল সরীসৃপ প্রজাতির. 

এই জীবটি নিজের শরীরের সুরক্ষার জন্য পুরো শরীরটি কবজে ঢাকা থাকতো. যার ফলে যে কোন বড় প্রাণীর হামলাকে খুব সহজে সহ্য করে নিতে পারত. জিভটি লম্বায় ছিল নয় ফিটের মতো. এবং ওজনে ছিল প্রায় এক হাজার কেজি. এই জীবটি ঠান্ডা রক্তের হলেও এর শরীরের গঠন ছিল আজকালকার স্তন্য পায় প্রাণীদের মত. তাই প্রাণীটি অনেক দ্রুত দৌড়াতে পারতো.

বন্ধুরা তাহলে আজ এ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ 

Post a Comment

0 Comments