আসসালাম ওয়ালাইকুম বন্ধুরা আশা করি আপনারা সকলেই ভালো আছেন. দুনিয়াতে বান্দা যা কিছু করে ও পরে সবকিছু লিপিবদ্ধ করা হয়. সম্মানিত লেখক ফেরেস্তা বৃন্দ সবকিছু লিখে রাখেন. সে যে কথাই উচ্চারণ করে তার কাছে সদা উপস্থিত সংরক্ষণকারী রয়েছে. আল্লাহ তাআলা বলেন. আর প্রতিটি বস্তুকে আমি সুস্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষণ করে রেখেছি আর কেয়ামতের দিন আমি তাকে বের করে দেখাবো. একটি আমলনামা. যা সে খোলা অবস্থায় পাবে. তুমি তোমার আমলনামা পাঠ করো আজ তুমি নিজেই নিজের হিসাবের জন্য যথেষ্ট সবাইকে তাদের আমল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে.
পরিশেষে, আমল অনুপাতে, তাদেরকে প্রতিদান দেওয়া হবে. এমনকি অণু পরিমাণ ভালো কাজ করলে সে তা দেখতে পাবে. এবং অণু পরিমাণ মন্দ কাজ করলে সেও তা দেখতে পাবে. কেয়ামতের দিন বান্দাকে তার দুনিয়াবী ছোট বড় গোপন প্রকাশ্য কথা ও কর্ম তথা সব আমল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে. তার মধ্যে কিছু বিষয় কিতাব ও সুন্নাহতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে. যেগুলি সম্পর্কে বান্দাকে সেদিন জিজ্ঞেস করা হবে. যাতে বান্দা সেসব বিষয়ে থাকে. সেগুলির হেফাজত করে. নিজে ও অন্যরাও এসবের হেফাজত না করার ক্ষতি থেকে বাঁচতে পারে. ওগুলিকে ভয় করে এবং যত্নবান হয়.
পরকালের প্রথম ধাপ কবর. পরকালীন জীবনের সর্বপ্রথম মঞ্জিল হল কবর কবরে বান্দাকে তিনটি বিশেষ প্রশ্ন করা হবে. তবে কবরের প্রশ্ন. কেয়ামতের দিনের প্রশ্ন ভিন্ন.রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন কবরে বান্দাকে তিনটি প্রশ্ন করা হবে. প্রথম প্রশ্ন তোমার রব কে? দ্বিতীয় প্রশ্ন তোমার দিন কি? তৃতীয় প্রশ্ন. এই লোকটি কে ছিলেন? যাকে তোমাদের নিকটে, প্রেরণ করা হয়েছিল, বান্দা যদি মোমিন হন তাহলে এগুলির যথাযথ জবাব দিতে পারবে.
আর যদি বেইমান বা কাফির হয় তাহলে বলবে আফসোস আমি কিছু জানি না. কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম মহান আল্লাহতালা . সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবেন। হক হলো দুই প্রকার. এক আল্লাহর হক দুই বান্দার হক. হক গুলির মধ্যে কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম হিসাব নেওয়া হবে সালাতের. যেমন আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত. তিনি বলেন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি. তিনি নিশ্চয়ই কেয়ামতের দিন মানুষের আমল সমূহের মধ্যে সর্ব প্রথম সালাতের হিসাব নেওয়া হবে মহান রাব্বুল আলামিন ফেরেস্তাদেরকে বলবেন অথচ তিনি সর্বাধিক অবগত তোমরা আমার বান্দার সালাত দেখো. সে তা পরিপূর্ণ করেছে না অসম্পূর্ণ রেখেছে. যদি পূর্ণ হয় তাহলে পূর্ণই লেখা হবে।
আর যদি তাতে কিছু কমতি থাকে তাহলে মহান আল্লাহ তায়া’লা বলবেন. তোমরা দেখো আমার বান্দার কোন নফল আছে কিনা? যদি তার নফল সালাত থাকে তবে তিনি বলবেন. তার ফরজের ঘাটতি কি? নফল দ্বারা পূর্ণ করো তৎপর এভাবেই অন্যান্য আমল সমূহকে গ্রহণ করা হবে. অন্ন বর্ণনায় এসেছে. তার সালাত যদি সঠিক হয় তাহলে সে সফল ও কৃতকার্য হবে. আর তা যদি ত্রুটিপূর্ণ হয় তাহলে সে ব্যর্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে.
আর বান্দার হক গুলির মধ্যে সর্বপ্রথম বিচার করা হবে অন্যায় রক্তপাত বা হত্যা. যেমন হতে বর্ণিত. তিনি বলেন সর্ব প্রথম বান্দার সালাতের হিসাব নেওয়া হবে. আর মানুষের মাঝে সর্বপ্রথম বিচার করা হবে রক্তপাত বা অন্যায় হত্যার. উল্লেখ্য হাদিসের আলোকে বোঝানো যায় যে, আল্লাহর হক ও বান্দার হকের মধ্যে সর্বপ্রথম আল্লাহর হক এর হিসাব নেওয়া হবে কেয়ামতের দিন পাঁচটি বিষয়ে জিজ্ঞাসিত না হওয়া পর্যন্ত আদম সন্তানের পা তার রবের নিকট হতে নড়বে না তার জীবনকাল সম্পর্কে.
সেটা কিভাবে কাটিয়েছে? তার যৌবনকাল সম্পর্কে. সেটা কিভাবে শেষ করেছে? তার সম্পদ সম্পর্কে সে তা কোথায় হতে উপার্জন করেছে এবং কোন পথে ব্যয় করেছে আর সে যে জ্ঞান অর্জন করেছে সে বিষয়ে কি আমল করেছে? আল্লাহ প্রদত্ত নেয়ামত গুলি সম্পর্কে, হিসাব য়া হবে.
মহান আল্লাহ তার বান্দাদেরকে দুনিয়াতে অসংখ্য নিয়ামত দান করেছেন. তিনি বলেন তোমরা যদি আল্লাহর নেয়ামতকে গণনা করো তাহলে তা গণনা করে শেষ করতে পারবে না. আর এ সকল নিয়ামত সম্পর্কে. …………….পার্ট এক
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, বন্ধুরা আমরা এই বিষয়টি আপনাদেরকে কয়েকটি পর্ব করে জানাবো। তাই আজকের পর্ব এখানে শেষ করতেছি, অবশ্য শীঘ্রই আপনাদের জন্য পরবর্তী পর্বটি নিয়ে হাজির হয়ে যাব, সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, এবং পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন। আলোচনা মধ্যে কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন,এবং কি ভুল হয়েছে তা একটু কমেন্টে জানিয়ে দিবেন। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
0 Comments