আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ , বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন. গত পর্বে যেখানে আলোচনা শেষ করেছিলাম তার পর থেকে শুরু করব আজ, তো চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক আজকের পর্ব।
আর এ সকল নিয়ামত সম্পর্কে. তিনি তার বান্দাদের জিজ্ঞাসা করবেন, যাতে সে তার স্বীকৃতি দেয়. এবং এর হক আদায় করেছে কিনা তা জানতে পারে. মহান আল্লাহ বলেন, তোমরা সেদিন অবশ্যই নেয়ামত সমূহ সম্পর্ক জিজ্ঞাসিত হবে। হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার দিনে অথবা রাত্রে বেরিয়ে পড়লেন হঠাৎ হযরত আবু বক্কর সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু ও হযরত ওমর ফারুক আজম রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এর সাথে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে দেখা হল, তিনি তাদের দুজনকে বললেন, কোন প্রয়োজন তোমাদেরকে এই সময় বাড়ি থেকে বের করেছে. তারা বললেন, হে আল্লাহ রসুল. ক্ষুধা তিনি বললেন আমিও সেই সত্তার কসম, যার হাতে আমার প্রাণ রয়েছে. আমাকে সে জিনিসই ঘর থেকে বের করেছে. যা তোমাদেরকে বের করেছে.
চলো দেখি. ফলে তারাও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে চলতে লাগলেন. একপর্যায় তারা একজন আনসারী লোকের বাড়িতে এসে পৌঁছালেন দেখলেন তিনি বাড়িতে নেই. তবে তার স্ত্রী রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখতে পেয়ে বললেন, মারহাবা. সুস্বাগতম. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, অমুক কথায়, তিনি বললেন আমাদের জন্য সুস্বাদু পানি আনতে গেছেন.
ঠিক তখনই আনসারী লোকটি আসলেন. এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তার দুই সাথীকে দেখতে পেয়ে তিনি বললেন আলহামদুলিল্লাহ. আজ আমার চেয়ে সম্মানিত অতিথি আর কেউ পায়নি. বর্ণনাকারী বলেন তারপর তিনি গিয়ে একগুচ্ছ ফল নিয়ে আসলেন. যাতে রয়েছে শুকনো পাকা ও কাঁচা খেঁজুর তারপর বললেন আপনারা এগুলি থেকে খেতে থাকুন.
এই বলে তিনি একটি ছুরি নিলেন. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন সাবধান. দুধ ওয়ালা, ছাগল জবাই করো না. তিনি তাদের জন্য ছাগল জবে করলেন এবং তারা সেই ছাগলের গোস্ত ও ফল খেলেন এবং পানি পান করলেন. যখন তারা তৃপ্ত ও পিপাসা মুক্ত হলেন, তখন রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবু বকর ও উমরকে লক্ষ্য করে বললেন সেই সৎতার কসম, যার হাতে আমার প্রাণ রয়েছে. তোমরা এই নিয়ামত সম্পর্কে কেয়ামতের দিন অবশ্যই জিজ্ঞাসিত হবে.
ক্ষুধা তোমাদেরকে বাড়ি থেকে বের করেছে তৎপর তোমরা ফেরার পূর্বেই এই নিয়ামত পেয়ে ধন্য হলে তিরমিজিতে এসেছে বলেছেন সেই সত্তার কসম যার হাতে আমার প্রাণ রয়েছে কেয়ামতে যে সকল নিয়ামত সম্পর্কে তোমরা জিজ্ঞাসিত হবে তা হলো শীতল ছায়া, পবিত্র খেজুর, ও ঠান্ডা পানীয়. আরো বলেন নিশ্চয় কেয়ামতের দিন বান্দা সর্বপ্রথম যে নিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে তা হলো তাকে বলা হবে আমি কি তোমার শরীরকে সুস্থ রাখিনি এবং ঠান্ডা পানি দ্বারা তোমাকে পরিতীক্ত করিনি আর নিয়ামতের হক হলো এর শুকিয়া আদায় করা অর্থাৎ আল্লাহর নেয়ামত সম্পর্কে বলা. তার অনুগত্যে এবং বৈধ কাজে সেগুলোকে ব্যবহার করা.
যদি কোন ব্যক্তি এগুলো করে তাহলে সে যেন এসবের হক আদায় করল. এবং আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করল. সে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভেও ধন্য হবে. আর যদি আল্লাহর শুকরিয়া না করে তাহলে সে যেন নিয়ামতকে অস্বীকার করলো.
আনাস বিন মালিক রাদিয়াল্লাহুয়ানু থেকে বর্ণিত.রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ তালা ওই বান্দার উপর অবশ্যই সন্তুষ্ট হন. যে কোন খাদ্য খেলে এর জন্য তার প্রশংসা করে. অথবা কোন পানীয় পান করলে এর জন্য তার প্রশংসা করে. শ্রবণ, দৃষ্টি শক্তি ও অন্তঃকরণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে. আল্লাহ তালা বলেন যে বিষয়ে তোমার কোনো জ্ঞান নেই তার পিছে পোড়ো না নিশ্চয় কান চোখ হৃদয় প্রত্যেকটির বিষয়ে তোমরা জিজ্ঞাসািত হবে. কান চক্ষু ও অন্তর সব কিছুই মহান রবে দেওয়া বড় নিয়ামত.
আর এগুলি সম্পর্কে কেয়ামতের দিন আমাদের জিজ্ঞেস করা হবে. সেগুলি কি আল্লাহর আনুগত্যে ও সৎ কাজে ব্যবহার করে? এগুলি শুকরিয়া আদায় করা হয়েছে না এগুলি আল্লার অবাধ্য ও পাপাচারে কাজে লাগানো হয়েছে. সুতরাং এগুলি সৎ ব্যবহার করে শুকরিয়া আদায় করা উচিত. কিন্তু অধিকাংশ মানুষ এ বিষয়ে কাফেল.
মহান আল্লাহ বলেন বলো তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন. এবং তোমাদেরকে দান করেছেন কর্ণ, চক্ষু ও হৃদয়. কিন্তু তোমরা খুব কমই কৃতজ্ঞতা স্বীকার করো. জিহাদ ও সম্পদের মতো তিনটি বড় নিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞেসিত হতে হবে.
কেয়ামতের দিন বান্দাকে আল্লাহর প্রদত্ত যে সকল বড় নিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে তার মধ্যে রয়েছে তেল, সম্পদ ও আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ. তার কাছে জানতে চাওয়া হবে. যে এগুলোর ক্ষেত্রে আল্লাহর যে হক রয়েছে তা যথাযথ আদায় করেছে কিনা? সে কি এগুলির হেফাজত করেছে? নাকি সেগুলি নষ্ট করেছে। হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কে বলতে শুনেছি তিনি বলেন কেয়ামতের দিন......
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, বন্ধুরা আমরা এই বিষয়টি আপনাদেরকে কয়েকটি পর্ব করে জানাবো। তাই আজকের পর্ব এখানে শেষ করতেছি, অবশ্য শীঘ্রই আপনাদের জন্য পরবর্তী পর্বটি নিয়ে হাজির হয়ে যাব, সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, এবং পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন। আলোচনা মধ্যে কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন,এবং কি ভুল হয়েছে তা একটু কমেন্টে জানিয়ে দিবেন। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
0 Comments