আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, বন্ধরা আমরা কি জানি রহস্য কি?রহস্য কাকে বলে ? হয়তোবা অনেকেই জানি আবার অনেকেই জানিনা । আমাদের এই পৃথিবী রহস্য ঘেরা রহস্য ভরপুর, বিজ্ঞান আমাদের পৃথিবীর অনেক রহস্যের উৎঘটন করেছে. তবুও জগতে এখনো এমন অনেক রহস্য রয়ে গেছে যার উত্তর বিজ্ঞানীদের কাছে দোয়াশা পূর্ণ. যুগের পর যুগ গবেষণা করেও গবেষণা করে মিলেনি কোনো কুল কিনারা করতে পারেননি বা যা করেছেন তা হয়তো বিজ্ঞানের মানদণ্ডে উত্তীর্ণ নয়.আজ এমনই কয়েকটি রহস্যময় ঘটনা সম্পর্কে আলোচনা হবে। তো চলুন দেরী না করে শুরু করা যাক আজকের আলোচনা।
এক : রহস্য গেরাম জাতিঙ্গা :প্রতি বছর হাজার মানুষ আত্মহত্যা করে মারা যায়. পৃথিবীর বুধ এইমান করে কিংবা দুঃসহ যন্ত্রনা সইতে না পেরে. নিরাপদ আত্মহত্যার জন্য বিভিন্ন দেশে সুসাইড বা আত্মহত্যা কেন্দ্র গড়ে উঠেছে. যেমন জাপানের আকিকারা জঙ্গল. আত্মত্যাগ হিসেবে বিখ্যাত. কিন্তু পাখিদের আত্মহত্যার কথা কি শুনেছেন? আসামের এই গ্রামের নাম গ্রামের নাম জাতিঙ্গা, যার অর্থ হলো বৃষ্টি ও পানি বের হওয়ার পথ. রাজ্যের অন্যতম পর্যটক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত গ্রাম. আর পর্যটকরা ভিড় করেন পাখির আত্মহত্যা দেখতে. শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি. আসামের শীলং পাহাড়ের পর শুরু হয় হাফলং পাহাড়ের শাড়ি. আসামের উত্তর কাছার সদর উপজেলার হাফলং থেকে নকিলোমিটার অবস্থিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই ছোট্ট গ্রাম. মর্মান্তিক এই ঘটনার জন্য আলোকিত হয় আর সেই জাতিঙ্গা. জানা যায় শতাধিক বছর আগে নাগা উপজাতির কিছু লোক জাতিঙ্গা গিয়েছিলেন.
সেখানে আগুন সময় তারা এই দৃশ্য দেখতে পান. দলে দলে পাখিরা এসে আগুনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করছে. পাখিদের এই আত্মহত্যাকে স্থানীয়রা. ঈশ্বরের দান বলে মনে করেন. প্রতিবছরের আগস্ট থেকে November পর্যন্ত এখানে বিভিন্ন ধরনের প্যাকেট এসে আত্মহত্যা করে. রহস্য রোমাঞ্চকর এই ঘটনা আলোকিত হয়ে চলছে পর্যটকদের কাছে. তাই আসামের পর্যটক অধিদপ্তর একটি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করেন. সেখানে যাতে এই টাওয়ারে উঠে পাখিদের আত্মহত্যা দেখা যায়.
স্থানীয়দের মাংসের প্রয়োজন হলে রাতের বেলা আগুন জেলে বসে থাকে আর পাখিগুলো ডানা ঝাঁপটে আসতে শুরু করে. আলোর উৎসে ঠিক উপরে এসে পাখিগুলোর ডানা আর পা ছুঁড়ে থাপ্পড়ের মাটিতে পড়ে. মায়াবী চোখে তখন পাখিগুলোকে অর্ধমৃত্যু মনে হয়. আকাশ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ার সময় সব পাকে আগুনের উপরে এসে পড়ে না. কিছু পাখি আগুনের আশেপাশে পড়ে. সেগুলো মরার মতোই পড়ে থাকে এবং মানুষের হাতে ধরা দেয়. তখন পাখি শিকার করতে কষ্ট করতে হয় না.
দুই, boxer jellyfish : পৃথিবীতে এমন কিছু প্রাণী আছে যারা দেখতে অনেকটাই সুন্দর. কিন্তু তারা অনেক বেশি ভয়ঙ্কর. এদের বেশিরভাগ ক্ষমতা সম্পর্কে জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন. Boxes Jellyfish হলো এমন একটি প্রাণী এর সব প্রজাতির মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর. দেখতেও অসাধারণ এই প্রাণীটির রূপ যেন অনেকটা স্বচ্ছ পর্দার মতো. দেখতেও বেশ সুন্দর. সামুদ্রিকের প্রাণীটি প্রায় পনেরো ফুট লম্বা হয়ে থাকে. তবে এই প্রাণীটি এখন পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত ও ভয়ঙ্কর প্রাণী হিসেবে পরিচিত. একটি jellyfish এর এতটাই বিষ থাকে যে তাতে ষাট জন মানুষের অনায়াসেই মৃত্যু হয়ে যেতে পারে. Boxer jellyfish এর বিষ আক্রান্তের হৃদপিণ্ড সানায়তন্ত্র ও ত্বকের কোষগুলোকে আক্রমণ করে এবং তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়.
আপনি কি ভাবছেন পানিতে সাঁতার কাটা প্রাণীটিকে ধরে একটু আদর করবেন? যদি এটাই হয়ে থাকেন তাহলে ভুলে যান. সাধারণত একটা jellyfish এ টেটটোক বা কৌশিক আর কাটার খোসা লাগলে ত্বকে চুলকানির মতো সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে. কিন্তু বক্সার জেলিফিশ এর খোসা খেলে আপনার মৃত্যু হবে মাত্র তিন মিনিটে. ফিলিপাইনে প্রতি বছর বিশ থেকে চল্লিশ জন মানুষ মারা যায় এই বক্স জেনি ফিসের কারণে.তো বন্ধুরা এই বিষাক্ত প্রাণী সম্পর্কে জানতে পেরে আপনাদের কেমন লাগলো, যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করুন
ছয় বছর আগে মারা যাওয়া এক মেয়েকে virtual বাস্তবতায় মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন দক্ষিণ কোরিয়ার তথ্য প্রযুক্তিবিদরা. মৃত মেয়ের সঙ্গে এই মায়ের কথোপকথন ও আদর করার হৃদয় বিতারক প্রকাশ করা হয়েছে. বিষয়টি নিয়ে বিশ্ব জুড়ে হইচই শুরু হয়েছে. সৌদি আরব ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমে আরব নিউজ এর খবরে বলা হয়েছে ষোলো সালে নির্মনিয়ায় মারা যায় ছোট্ট শিশু সেই শিশুকে ভার্চুয়াল বাস্তবতায় মায়ের সামনে আনা হয়েছে.
মা জাং জিসান মেয়ের সঙ্গে কথা বলে. মেয়েকে শুয়ে আদরও করে. এসময় মৃত মেয়েকে পেয়ে অঝোরে কাঁদে থাকেন মা জাঙ্গি তবে জাঙি কাটলেও বাস্তবে আসেনি তার মেয়ে জাংজিয়ার হাতের স্পর্শকাতর গ্লাভস এবং চোখে লাগানো ভার্চুয়াল র ্যালিটি VR box লাগানো হয় এর মাধ্যমে তিনি ভার্চুয়ালি মেয়েকে দেখতে পান এবং কথা বলেন. হিসাব করেছেন sensor এর মাধ্যমে. প্রযুক্তিবিদরা প্রথমে না ইয়ং এর ছবি নিয়ে তার মতোই হুবহু একটি animation তৈরী করেন. পরে সেই animation কে সংযুক্ত করা হয় VR box ও sensor, hand gloves এ.
দক্ষিনকুরিয়ানের একটি television এ ভার্চুয়া relative ভিডিও প্রচার করে. ভিডিও দেখা যাচ্ছে একটি green সিন কককে মা জাংজি airpox ও ক্লাস করে মেয়েকে ডাকতেন. এই সময় তিনি virtually দেখতে পান. মায়ের ডাক শুনে তার মৃত মেয়েটি কয়েকটি পাথ ড়ের টুকরোর পাশ থেকে দৌড়ে তার দিকে ছুটে আসে.
এই সময় মেয়েটি বলে মা তুমি কোথায় ছিলে? তোমাকে আমার খুব মনে পড়ে. আমাকে কি তোমার মনে পড়ে? উত্তর দেওয়ার আগেই বাস্তবে মা কেঁদে ফেলায় কাঁদতে কাঁদতে বললেন তোমাকে আমার খুব মনে পরে. এ সময় মা তার মেয়েকে শুয়ে আদর করে. মা ও মেয়ের এমন virtual এর সময় সৃষ্টি হয়. উপস্থিত অন্যান্য প্রযুক্তিবিদরাও কান্না করতে থাকে . এতে কি এই ঘটনাকে মানুষের আবেগ আর বিশ্বাস নিয়ে দেখছেন সমালোচকরা. সামাজিক মাধ্যমে ভিডিওটি প্রকাশের পর দক্ষিনকুরিয়ার বহু মানুষ এই ধরনের রিয়েলিটির বিরোধিতা করেছেন.
আজকে এই পর্যন্ত, সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আবারো বিদায় নিচ্ছি সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ আল্লাহ হাফেজ।
0 Comments