রাসুলুল্লাহ সাঃ আমাদেরকে খেজুর খেতে বলছেন কেন? ---Al Hadi

Al Hadi HB, alhadi hb,nhd501,smdihan,খেজুর ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা,খেজুর খেলে কি হয়, খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত সময়,কাঁচা খেজুরের উপকারিতা,আজওয়া খেজুর, আজওয়া খেজুর খাওয়ার নিয়ম, আজওয়া খেজুর খাওয়ার উপকারিতা, আজওয়া খেজুর কেন খাব , খোরমা খেজুর খাওয়ার নিয়ম, খোরমা খেজুর খাওয়ার উপকারিতা, খোরমা খেজুর কেন খাব, খেজুর খাওয়ার উপকারিতা , রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে কেন খেজুর খেতে বলেছেন? ,
কোরআন শরীফের খেজুর 


আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, বন্ধুরা আমাদের দেশ বাংলাদেশ আমাদের বাংলাদেশকে মুসলিমপ্রধান বাংলাদেশ বলা হয়, আমরা সবাই ইসলাম ধর্মের  অনুসারী। আমাদের এই ইসলাম ধর্মে খেজুরকে অন্যান্য সব ফল থেকে আলাদা মূল্যায়ণ করা হয়েছে. পবিত্র কোরান উল কারিমে ছাব্বিশ বার খেজুরের কথা বলা হয়েছে. খেজুর ও আঙ্গুর ফল থেকে তোমরা শাখার ও উত্তম খাদ্য তৈরি করো নিঃসন্দেহে বুদ্ধিমান লোকদের জন্যে এতে নিদর্শন রয়েছে. খেজুর খুবই পুষ্টিকর একটি ফল. খেজুরে রয়েছে ভিটামিন, আঁশ, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং wink. 

খেজুর একজন সুস্থ মানুষের শরীরে আয়রনের চাহিদা প্রায় এগারো ভাগই পূরণ করে থাকে. তাই প্রতিদিনই খেতে পারেন খেজুর. পুষ্টিবিদদের মতে শরীরের প্রয়োজনীয়  আয়রনের অনেকটাই খেজুর থেকে আসে. এছাড়াও ডায়াবেটিস থাকলে প্রচলিত খেজুরের বদলে শুকনো খেঁজুরকে diet হিসেবে রাখতে অনেক বিশেষজ্ঞরাই বলে থাকেন. খেজুরের পুষ্টিগুণ খেজুর সুস্বাদু আর বেশ পরিচিত একটি ফল যা fruit ডোজ এবং bliceemic সমৃদ্ধ. এটা রক্তের শর্করার পরিমান বৃদ্ধি করে. 

খেজুর ফলকে চিনির বিকল্প হিসাবেও ধরা যেতে পারে. খেজুরের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে বলা হয় চারটি বা তিরিশ গ্রাম পরিমাণ খেজুরে আছে. নব্বই calorie এক গ্রাম তেরো মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম দুই দশমিক আট গ্রাম ফাইবার এবং আরো অন্যান্য পুষ্টি উপাদান খেজুর শক্তির একটি ভালো উৎস. তাই খেজুর খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের ক্লান্তি ভাব দূর হয়. আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন B, যা ভিটামিন B  মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক. 



হাদিসে খেঁজুরের কার্যকারিতা হৃদরোগ. হযরত সাহিদ বর্ণিত তিনি বলেন, একবার আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে আমাকে দেখতে আসলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম,  ওনার   পবিত্র হাতের শীতলতা আমার অন্তর পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল. অতঃপর রাসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন তুমি অন্তরে কষ্ট অনুভব করছো. কাছে যাও. কারণ, সে একজন চিকিৎসক. সে যেন মদিনার সাথে আজওয়া খেজুর নিয়ে বীজ সহ পিষে তোমার মুখে ঢেলে দেয়. যা আছে আবু দাউদ এবং মিস্কাতে. 

বিষক্রিয়া বন্ধে খেজুরের গুনাগুন. আজওয়া খেজুর বিষের কর্মক্ষমতা কমাতে বিশেষভাবে কার্যকর. এই সম্পর্ক বলেছেন আজোয়া জান্নাতের ফল. এর মধ্যে বিষের নিরাময় রয়েছে যা বর্ণিত আছে তিরমিজি এবং মিসকাত শরিফে। 

 হজরত থেকে বর্ণিত তিনি বলেন এরশাদ করেন যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে ড়টি আজওয়া খেজুর খাবে সেদিন বিষ এবং জাদু তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না. যা বর্ণিত আছে বুখারী শরীফে. 

শক্তি বর্ধনে খেজুরের গুনাগু খেজুর শারীরিক এবং মানসিক শক্তিবর্ধক. খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য উপাদান যা শারীরিক ও মানসিক শক্তি বৃদ্ধি সহ হজম শক্তি যৌন শক্তি এবং রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করে. এই সম্পর্কে হজরত থেকে বর্ণিত তিনি বলেন হাফিস পছন্দ রতেন. হাফিসের তিনটি উপাদান যুগে প্রস্তুত. যা হচ্ছে খেজুর মাখন এবং জমাট দই. এটি শারীরিক, মানসিক  বদ্ধক. 

খেজুরের ফুলের পরাগও বন্ধ্যাত্ব দূর করে. একই সাথে শুক্রাণু বৃদ্ধি করে. খেজুর ও খেজুরের ফুল পরাগ DNA এর গুণগত মান বৃদ্ধি করে. এবং অন্ড শক্তি বাড়ায়. 

পাতলা পায়খানা বন্ধে খেজুরের কার্যকারিতা খেজুরে বিদ্যমান potassium, soadium, zingke এবং অন্যান্য খনিজ লবণ, পাতলা পায়খানার জন্য উপকারী. এটি খাদ্য শক্তি, শারীরিক দুর্বলতা দূর করে. এছাড়াও খেজুরের বীজ পাতলা পায়খানা বন্ধে কার্যকরী ওষুধ হিসাবে কাজ করে. 

আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে খেজুরের উপকারিতা ডায়বেটিস রোগীরা নিয়মিত খেঁজুর খেলে একবার দুইটি খেতে হবে. স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি মিষ্টির বিকল্প হতে পারে এই তবে বেশি মাত্রায় খেঁজুর খেলে ক্ষতিও হতে পারে. খেজুরে প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট থাকে. যা হূদরোগের ঝুঁকি কমায়. এছাড়াও হৃদপিণ্ডের সবচেয়ে নিরাপূ ওষুধ খেজুর খেজুরে থাকা আয়রন ও ফাইবার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে পারে. প্রচুর পটাশিয়াম পাওয়া যায় খেজুর থেকে. যার কারণে এটি উচ্চ রক্ত চাপ নিয়ন্ত্র সহায়ক.



 মাত্র কয়েকটি খেজুর খিদার তীব্রতা কমিয়ে দেয় এবং পাকস্থলীকে কম খাবার গ্রহণে উদ্ধত করে. অল্পতেই শরীরের প্রয়োজনীয় শর্করা ঘাড়তি, এটি নিমেষে পূরণ করতে পারে. খেজুরের এন্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রাখে. এতে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম রয়েছে. একই সাথে এটি খুব ভালো ফাইবার যোগান দেয়. 

রক্ত  স্বল্পতার রোগীরা খেজুর খেতে পারেন একজন সুস্থ মানুষের শরীরে যতটুকু আয়রন প্রয়োজন তার প্রায় এগারো ভাগই পূরণ হয় এই খেজুর থেকে. খেজুরে নিউটেন ও জিক্সাথিন থাকায় তা রেটিনার স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে.

বন্ধুরা উপরের উল্লেখিত আলোচনায় উল্লেখিত উপকারিতা ছাড়াও আরও অনেক অনেক উপকারিতা রয়েছে খেজুরের, এই খেজুর  আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রিয় ছিল, খেজুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম   খেয়েছেন এবং আমাদেরকে খাওয়ার আদেশ ও নির্দেশ দিয়েছেন, আমাদের সকলের উচিত খেজুর খাওয়া, তবে নিয়মিত অতিরিক্ত নয় যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই খাওয়াই ভালো, তাহলে আজ এই পর্যন্ত, সবাই সুস্থ  থাকবেন ভালো থাকবেন আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ আল্লাহ হাফেজ। 

Post a Comment

0 Comments