আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, বন্ধুরা আয়তন বাড়ছে বাংলাদেশের.প্রায় 25000 হাজার বর্গমাইল নতুন ভূমি যুক্ত হতে চলেছে বাংলাদেশের ভূখণ্ড জলবায়ুজনিত কারণে যখন বাংলাদেশের বিশাল অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ঠিক সেই সময়ই বঙ্গোপসাগরের বুকে দেখা দিয়েছে আরেক বাংলাদেশের হাতছানি বঙ্গোপসাগরের গভীরে প্রাকৃতিক ভাবেই সৃষ্টি হচ্ছে ছোট বড় শত শত দ্বীপ. গড়ে উঠেছে মাইল এর পর মাইল ভূখণ্ড. চড় হিসাবে পড়ে থাকা অনেক ভূখণ্ডই এখন মানুষের বাসস্থানে পরিণত হয়েছে. দেশ বিদেশ থেকে য়ে ছুটে আসছে শত শত পর্যটক.
এখন প্রায় আরও বিশটি নতুন ভূখণ্ড যুক্ত হতে চলেছে বাংলাদেশের আয়তনের সাথে. বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া এইসব দ্বীপ এখন আর ভরা জোয়ারেও তলিয়ে যাচ্ছে না. বরং দিন দিন এর আয়তন আরো বেড়েই চলেছে. এর মধ্যে হাতিয়ার নদী ভাঙ্গনকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বিশাল এক দ্বীপ. এই দ্বীপ নদী ভাঙনের মানুষদের মুখে আশার আলো দেখাচ্ছে. য়ারচর, মঙ্গোলিয়া, নলেরচর, এমনকি পূর্ব দিকে উরির চর পর্যন্ত বিশাল ভূখণ্ডের সৃষ্টি হয়েছে. যা সত্যিই অবিশ্বাস্য. এই দ্বীপটি মূল হাতিয়ার চেয়েও অনেক বড়. দীর্ঘতম খন্ডের ইশারা দিচ্ছে বাংলাদেশকে.
হাতিয়া দিক থেকে ভেতরের দিকে সৃষ্টি হয়েছে আরো নতুন নতুন ছোট বড় অসংখ্য দ্বীপ. যেগুলো কিছু বছর পরে বসবাসের উপযোগী হবে এবং মানুষ বসতি স্থাপ করতে পারবে, বঙ্গোপসাগরে যেভাবে দ্বীপ সৃষ্টি হচ্ছে, এভাবে যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে কিছু বছরের মধ্যে শ্রীলঙ্কার চেয়েও বড় ভূখণ্ড জেগে উঠতে পারে বঙ্গোপসাগরে. পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, দিয়ে যে পরিমাণ পলি ভারত নেপাল ও ভুটান থেকে বয়ে আসে তা প্রায় এক বিলিয়ন ম্যাট্রিক টন. আর এই পলি জমে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন দ্বীপ. খুব শীঘ্রই পঁচিশ হাজার মাইল হোমি যুক্ত হতে চলেছে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে.
যেখানে প্রায় সত্তর হাজার মানুষ বসবাস করতে পারবে. প্রতি বছর ভারত নেপাল ভুটান থেকে বয়ে আসা পলি একশো বিশ কিলোমিটার নতুন ভূখণ্ড সৃষ্টি করেছে সাগরে. এর ফলে বোঝা যাচ্ছে সমুদ্রের পানি বৃদ্ধি পেলে বাংলাদেশ ডুবে যাবে এই ধারণাটি একদমই ভুল ধারণা. নিসঙ্গী নলের চড় জাহাজের চর সহ বেশ কয়েকটি নতুন দ্বীপ যেন আরেক হাতছানি দিচ্ছে. এরমধ্যে নিজম দ্বীপে আরো পঞ্চাশ হাজার স্থায়ী বসতি গড়ে উঠেছে. জলবায়ুজনিত কারণে অনেক দেশ যেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হচ্ছে মালদ্বীপের মতো দেশ যখন নীচে হারিয়ে যাচ্ছে. ঠিক তখনই বাংলাদেশের এই অভাবনীয় সম্ভাবনা আশা জাগাচ্ছে সবার মনে. এখনো অন্তত পঞ্চাশ থেকে ষাটটি চর জেগে আছে সমুদ্রে যা আগামী দুই থেকে তিন বছর পরে দ্বীপে পরিণত হবে.
একটি নিউজ থেকে জানা যায় সাগরের বুকে অনেক দ্বীপকে স্থায়ী ভূমিতে পরিণত করতে প্রানপন চেষ্টা করে যাচ্ছে বন বিভাগ. তাদের নীরবে নিদ্রিতে সেই বিপ্লবে আরোও পঁচিশ হাজার বর্গমাইল ভূখণ্ড, বাংলাদেশের আয়তনে যুক্ত হতে চলেছে. নিঝম দ্বীপের মতই এসব দ্বীপে অসংখ্য গাছপালা লাগিয়ে সৃষ্টি করা হচ্ছে অসংখ্য বনাঞ্চল. ফলে কয়েক বছরের চেষ্টাতেই দ্বীপ গুলোতে মানব বসতি স্থাপন করা সম্ভব হবে. বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সমান আয়তনের ভো খন্ড সৃষ্টি হচ্ছে . জেগে ওঠা ওই ভূখণ্ডের আয়তন হবে প্রায় পঁয়তাল্লিশ হাজার বর্গমাইল. বনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, এই বিশাল ভূখণ্ডকে বাংলাদেশের আয়তনে করার সব রকম চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার.
বনাঞ্চল সৃষ্টি করছে এবং তা ইতিমধ্যে সংরক্ষিত বনাঞ্চল হিসেবে গণ্য হয়েছে. যদি প্রয়োজন পড়ে তাহলে বিদেশি সহায়তাও গ্রহণ করবে সরকার. মন্ত্রী আরো বলেন অচিরেই সুন্দরবন অঞ্চলে যুক্ত হওয়া নতুন ভূমিতে বনাঞ্চল করা হবে লাগানো হবে নানা রকম গাছপালা. এতে বাংলাদেশের বনভূমি বাড়বে. আর আপনি হয়তো জেনে থাকবেন পলিমাটি অনেক উর্বর হয় তাই সেই সব দ্বীপে উৎপাদিত ফসল বাংলাদেশকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে. কিছুটা হলেও বাংলাদেশের ঘনবসতি কমবে.
আমাদের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পাবে. আর যদি এই দ্বীপগুলো সুন্দরভাবে সাজানো যায় এখানে বিপুল পরিমাণ বিদেশী পর্যটক আনা সম্ভব হবে. ফলে দেশের অর্থনীতি বৃদ্ধি পাবে.
আজ এই পর্যন্ত আশাকরি আবারও দেখা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ আল্লাহ হাফেজ।
0 Comments