আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, বন্ধুরা আপনারা যারা আমাদের প্রথম পর্বটি পড়েছেন তারা পটকা মাছ সম্পর্কে অবশ্যই জানেন, গত পর্বে শেষ দিকে বলেছিলাম এই পটকা মাছের মতো আরো চারটি খাবার নিয়ে আলোচনা করব. তো চলুন দেরি না করে আজকের পর্ব শুরু করা যাক . আজ আপনাদেরকে সে চারটি বিষাক্ত খাবার সম্পর্কে জানাবো.
এক, সয়াবিনের সঙ্গে রেডমিন্ট কাঁচা রেডমিনে এমনই উপাদান রয়েছে যা দূর করা না হলে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে. মটরশুটি এবং সিম জাতীয় খাবারগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বলেই সাধারণত মনে করা হয়. কিন্তু বেশ কয়েকটি প্রজাতির রয়েছে যদি আপনি সেগুলো ভালোভাবে প্রস্তুত না করেন তাহলে আপনাকে সেগুলো অসুস্থ করেও ফেলতে পারে জনপ্রিয় redmins এবং মজাদার সয়াবিন ও এই জাতের মধ্যেই পড়ে. কাঁচা মটরশুটি তে হেমা গিলুটিনিন নামের ধরণের ফ্যাট বা চর্বি জাতীয় পদার্থ থাকে.
যা উচ্চারণ করা হয়তো কঠিন. কিন্তু হজমের জন্য তার চেয়েও অনেক অনেক কঠিন এবং খারাপ. আপনি যদি এটা কখনো পরীক্ষা করে দেখতে চান, তাহলে পাকস্থলীর ব্যথা আর বমি ভাবের আপনাকে প্রস্তুত থাকতে হবে এগুলো প্রাকৃতিক ভাবে একটি বিষাক্ত জিনিস নিয়ে আসেন যা আপনার হজমে বাঁধা তৈরী করতে পারে যার কারণে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে
দুই জায়ফল. বেশি পরিমাণে জায়ফল খেলে মনোরোগ দেখা দিতে পারে. বিখ্যাত এই মশলাটি আসে ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় একটি গাছ থেকে. অনেক রান্নার সময়ই এই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান এবং পুডিংয়ের ক্ষেত্রে এটি বেশ সাজ যোগ করে. মিশ্রনের বাইরে জায়ফল আলু, মাংস সসেজ, সবজি রান্না এমনকি অনেক পানিও তৈরিতে ব্যবহৃত হয়.
তবে এটি যদি অনেক বেশি পরিমাণে ব্যবহার করা হয়, তাহলে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আপনাকে দেখতে হতেই পারে. যেমন বমি ভাব, ব্যথা, শ্বাসকষ্ট হওয়া, এমনকি মূর্ছা যাওয়া অন্যদিকে মানসিক সমস্যাও তৈরি হতে পারে. জায়ফলের কারণে মৃত্যুর ঘটনা হয়তো বিরল কিন্তু এর ফলে যেসব অসুস্থতা তৈরি হয় সেগুলোতে ভোগাও কোন ভালো অভিজ্ঞতা নয়. বেশি পরিমাণে জায়ফল খাওয়ার ফলে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর সংবাদ বেশ কয়েকবারই এসেছে.
তিন, কাসুমারজু পনির এই খাবারের অবাক করার মতো কিছু বিশেষত্ব হলো এর ভেতরে থাকে পোকামাকড়. শুনতে হয়তো রুচিকর কিছু শোনাবে না. কিন্তু ইতালির সার্ভেই এর অনেক ভক্ত রয়েছে. পেকোরি ও পনিরের সাথে কিটে কাসু, মার্জু পনির তৈরি করা হয়. যার সঙ্গে ভার্মায় তৈরী করা পনিরের সঙ্গে ঘ্রান এবং ঘনত্বের দিক থেকে মিল রয়েছে. সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পনিরটিকে নরম করে তোলে কীটগুলো.
সুতরাং যখন এটি খাওয়ার জন্য দেওয়া হয় তখন পনিরের ভেতরটা অনেকটা ঘন তরল হয়ে থাকে অনেক সময় বলা হয় এর সাদ অনেকটা গর্জনজোলা পনিরের মতো. কীটপতঙ্গের উপাদান যুক্ত হওয়ার কারণে কাসুমারজু শক্তিশালী এবং স্বাধন্ত্র্য স্বাদ রয়েছে তবে জেনে রাখা ভালো কাসুমার যুগে অনেক সময়ই বিপদজনক পনির বলে বর্ণনা করা হয়েছে কারণ এটাই স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে.
ৃগ অবস্থায় এটা খাওয়ার ফলে পাকস্থলীতে গন্ডগোল, বমি ভাব, এমনকি ডায়রিয়াও হতে পারে. এমনকি এতে কারোর মৃত্যুও ঘটতে পারে. তাই অন্তত বাঙালি হিসেবে এটি খাওয়ার চেষ্টা করবেন না.
চার, রুবার, ব্রিটিশ সন্ধন শিল্পের মতো অনেক রান্নাতেই রোবার ড্রাটার বেশ জনপ্রিয়. অনেক জনপ্রিয় ব্রিটিশ মিষ্টান্ন এবং পানীয় প্রস্তুতকারক তাদের খাবারের উপাদান হিসেবে এটিকে ব্যবহার করে থাকেন. কিন্তু এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনাকে বিশেষভাবে সতর্ক হতে হবে. কারণ ডাটার সঙ্গে যেই সবুজ পাতাগুলো আসে সেটার ভেতরে বিষ থাকে. আরো বিশেষভাবে বললে এটি হলো অক্সালিক অ্যাসিড, অধিক পরিমাণে মানুষের শরীরে গেলে বমি ভাব, শরীরের খনির শোষণ প্রক্রিয়াকে কমিয়ে দেওয়া, এবং কিডনিতে পাথর দরিতে ভূমিকা রাখতে পারে. অবশ্য মারা যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে এর অনেক পাতা খেতে হবে. আর এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে একদম না খেয়ে অসুস্থতা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো.
পরিশেষে আজকের আলোচনা শেষে একটা কথাই বলতে চাই সবাইকে সচেতন করা আমাদের সবারই কর্তব্য. তাই সকলের প্রতি অনুরোধ থাকবে এই তথ্য গুলো অনেক অনেক শেয়ার করে অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দিন.
বন্ধুরা আজ এই পর্যন্ত, সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ আল্লাহ হাফেজ।
0 Comments