হ্যালো বন্ধুরা আমাদের পৃথিবীতে আধুনিক মানব সভ্যতা শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় তিন লক্ষ বছর পূর্বে আর এই আধুনিক মানব সভ্যতায় শুরু হয় আফ্রিকা মহাদেশে হোমসেফেন্টস দের পৃথিবীতে আগমনের সময়ে পৃথিবীর সব মানুষের চেহারা দেখতে প্রায় একই ছিল. মানে সব মানুষের চেহারা তো আর এক হওয়া সম্ভব নয়. তবে সবার চেহারার আকৃতিটা প্রায় একই ছিল. বর্তমান সময়ে আমরা যেমন দেখি পৃথিবীর বিভিন্ন মানুষ দেখতে বিভিন্ন রকম যেমন বাংলাদেশ বা ভারতের মানুষ দেখতে একরকম, আবার চীনের মানুষ দেখতে অন্যরকম. তাদের আবির্ভাবের প্রথম দিকে এই পার্থক্যটি দেখা যেত না. কিন্তু কালের বিবর্তনে আজকে বর্তমান সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ দেখতে বিভিন্ন রকম দেখা যায়.
আপনি যদি বাংলাদেশের একজন মানুষের সাথে ইউরোপের একজন মানুষের তুলনা করেন তাহলে তাদের দুজনের মধ্যে পার্থক্যগুলি সম্পূর্ণভাবে ভালোভাবে এ লক্ষ্য করতে পারবেন. আর কেন একজন চীনের মানুষের সাথে একজন Indian মানুষের চেহারা মেলে না. কেনই বা একজন জাপানিজের সাথে একজন আমেরিকান বা ইংল্যান্ডের মানুষের চেহারার মিল নেই. সেটা জানতেই আজকের এই পোস্টটি. তো চলুন বন্ধুরা শুরু করা যাক. যাদের আবির্ভাব ঘটেছিল পৃথিবীতে আজ থেকে প্রায় তিন লক্ষ বছর পূর্বে. আর তৎকালীন সময়ে পৃথিবীর সব মানুষ দেখতে প্রায় একই আকৃতির ছিল. কিন্তু বর্তমান সময়ে এটি পুরোপুরি ভিন্ন. বর্তমান সময়ে ভারতের মতো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সাথে চীন এবং জাপানের মানুষদের চেহারার কোনো মিল নেই. তাছাড়া আবার আপনি যদি কোনো ইউরোপিয়ান মানুষকে দেখেন তাহলে আপনি শনাক্ত করে ফেলতে পারবেন যে সে একজন ইউরোপিয়ান মানুষ কিন্তু সে সময় যখন মানুষরা একত্রে বসবাস করতো তখন আজ থেকে প্রায় এক লক্ষ তিরিশ হাজার বছর পূর্বে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে. আর এর ফলে আফ্রিকার সব বরফ গুলতে ার ফলে সেখানে বসবাস করা মানুষের পক্ষে অনেক কঠিন হয়ে পড়ে.
এরকম পরিস্থিতি সামলাতে না পেরে অনেক মানুষ ম্যাগনেশান শুরু করে এবং আফ্রিকা ত্যাগ করা শুরু করে নতুন বাসস্থান খুঁজতে থাকে. আর এই মানুষগুলোই পরে অন্যান্য দেশে যেমন সিরিয়া, এশিয়া, আমেরিকায় যাওয়া শুরু করে. কেউ কেউ যাত্রা শুরু করে এশিয়ার রাস্তায় কেও বা ইউরোপের দিকে. আর এভাবেই মানুষ India এবং চিনের মতো বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের ইস্থান করে দেয় এবং বসবাস করা শুরু করে দেয়. আর এই magration এর ফলে, আজ থেকে চল্লিশ হাজার বছর পূর্বে মানবজাতির মধ্যে চারটি আলাদা ধরনের ভিন্ন চেহারার মানুষের উদ্ভব ঘটে. যেসব মানুষ magration এর ফলে ইউরোপে চলে য়েছিল তাদেরকে এখন cocashian বলা হয়. আর যারা আফ্রিকায় ইস্টে করেছিল তাদেরকে বলা হয় নিগ্রো. এরকমই যারা South east Asia এ চলে গিয়েছিল তাদের মোঙ্গলিয়ান্স. আর যারা অস্ট্রেলিয়া চলে গিয়েছিল তাদেরকে অস্ট্রেলিয়া শট ট্রিস বলা হয়.
ইতিহাস সম্পর্কে তো আমরা জেনে নিলাম. কিন্তু এখন প্রশ্নত এটা যে এইসব মানুষ আসলে একজন আরেকজনের থেকে এতটা ভিন্ন কেন? এরকম ভিন্নতা আসলেই বা কোথা থেকে? আর এই প্রশ্নের উত্তর আমরা শুনবো দার্শনিক ডারইন এর কাছ থেকে. তার বিবর্তনের theory র মাধ্যমে. কিন্তু তার আগে আমাদের জেনে নেওয়া প্রয়োজন দক্ষিণ এশিয়ার মানুষরা মানে ভারত বাংলাদেশের মানুষরা আসলে দেখতে কোন প্রজাতির, আমরা দেখতে তো চীনাদের মতো না আবার ইউরোপিয়ান বা আফ্রিকানদের মতো না , উমা তাহলে আমাদের এরকম চেহারার পেছনে রহস্য কি? েনই বা আমাদের মধ্যে সব মহাদেশের মানুষের চেহারায় বিদ্যমান রয়েছে. So বন্ধুরা এর answer হলো আমরা তিন প্রজাতির মানুষের mix জাতি. আমাদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ান আফ্রিকান এবং ইউরোপিয়ান এই তিন জাতিরই মিশ্রণ রয়েছে. আর এর জন্যই আমাদের দেশের মানুষদের চেহারার মধ্যে এত ভিন্নতা খুঁজে পাওয়া যায়. কিন্তু আমরা যদি চিনের দিকে লক্ষ্য করি তাহলে কিন্তু আমরা তা দেখতে পাবো না. চিনে সব মানুষের চেহা প্রায় একই রকমের. তাদের চোখ এবং নাক ছোট আকৃতির হয়ে থাকে. এমনকি চীনের মানুষদের হাইটও আফ্রিকান এবং ইউরোপিয়ান মানুষদের চেয়েও অনেক কম হয়ে থাকে. আর এর কারণ হলো তারা সবাই আর তাদের জাতির মধ্যে অন্য কোনো মহাদেশের মানুষের সাথে সংমিশ্রণও ঘটেনি.
এখন চলুন এই প্রশ্নটি solution বের করি. যে chinese রা কেন chinese দের মতো দেখতে হয়. ইউরোপিয়ানরা কেন ফর্সা চামড়ার অধিকারী হয়ে থাকে. আর আমরা বাংলাদেশ এবং ভারতের মানুষরা কেন এরকম আলাদা হয়ে থাকি. আর এই প্রস্তুতির উত্তর জানার জন্য আমাদের আবার অতীতে চলে যেতে হবে. চলুন আমরা দেখি কিভাবে মঙ্গলিয়ান হলো. মঙ্গোলিয়ানরা migration এর সময় সাইবেরিয়ার পাহাড়ের দিকে চলে গিয়েছিল. যে পাহাড়গুলো বরফে ঢাকা ছিল. আর সেই এলাকায় থাকতে থাকতে তাদের শরীরের মধ্যেও naturally কিছু পরিবর্তন হয়েছিল. যেমন ছোট ছোট চোখ সাবেরিয়ার বরফ ঢাকা পাহাড়ে যখন তুষারঝড় হতো তখন সেখানে তাদের টিকে থাকার জন্য তাদের চোখ ছোট হওয়ার প্রয়োজন হতো যাতে করে চোখের ভেতরে বেশি পরিমাণে ঠান্ডা আবহাওয়া লাগার কারণে চোখ নষ্ট না য়ে যায়. আর তাছাড়াও বরফ eighty পার্সেন্ট সূর্যের আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মিকে reflect করতে পারে. আর যেটি চোখের জন্য খুবই ক্ষতিকারক. সেক্ষেত্রে বড় চোখ হলে চোখ নষ্ট হওয়া খুব সহজ হয়ে যেত. এর জন্যই কয়েক শতাব্দীর বিবর্তনে বিচার সেখানকার মানুষদের চোখ ছোট করে দিয়েছে. তাদের শরীর থেকে যাতে বেশি করে তাপ বেরিয়ে না যেতে পারে তার জন্য তাদের মুখ ও নাকের সাইজও ছোট হতে শুরু করে. আর তাদের গাল চেপটা হয়ে যেতে শুরু করে. চেপটা গালের সাহায্যে তারা বরফে জমে থাকা বিভিন্ন খাবার ভালোভাবে দাঁত দিয়ে ছিঁড়ে খেতে পারতো. কিন্তু এখন যদি আমরা ভারত বাংলাদেশের মানুষদের লক্ষ্য করি, তাহলে আমরা দেখতে পাই, এদের চেহারা ইউরোপিয়ানদের সাথে মিলে যায়. কিন্তু চাইনিজদের সাথে মিল খুব কম খুঁজে পাওয়া যায়. তবে ইউরোপিয়ানদের সাথে বাংলাদেশ কিংবা ভারতের মানুষের চেহারায় মিল থাকলেও ইউরোপিয়ানদের গায়ের রঙের সাথে আমাদের এতো পার্থক্য কেন এর কারণ হলো সেসময় যারা আফ্রিকায় থাকতো তাদের সূর্যের অতিতাপ সহ্য করার জন্য তাদের চামড়ায় ধীরে ধীরে মেলালেন. ওই উপাদান যেটা আমাদের গায়ের রং ঠিক করে. সেই মেলালেন সংখ্যা বাড়তে থাকে. কারণ আফ্রিকায় তখন গরম প্রচুর বেড়ে গিয়েছিল এবং সূর্যের তাপের প্রখরতায় মানুষের গায়ের রং ও কালো হতে থাকে.
অপরদিকে যারা ইউরোপে গিয়েছিল তারা সূর্যের আলোয় পাওয়া শুরু করে. যার ফলে তাদের শরীরে মেরালিনের সংখ্যা কমতে থাকে. কারণ মেলানিন যদি না কমতো তাহলে তারা সূর্যের ওই সামান্য আলো থেকে ভিটামিন ডি সংগ্রহ করতে পারত না. আর ভিটামিন ডি এর অভাব এ তখন পঙ্গুত্ব এক মহামারী আকার ধারণ করে. যার ফলে natural ভাবেই তাদের শরীরে মেলালিনের সংখ্যা কমে যাওয়া শুরু করে. আর খুব তাড়াতাড়ি মাত্র কয়েক শতকের মধ্যেই বিবর্তনের মাধ্যমে তারা সম্পূর্ণ ফর্সা চামড়ার হয়ে ওঠে. আর আমরা ভারত বাংলাদেশের মানুষরা ইউরোপিয়ানদের মতো হলেও আমাদের চামড়া বাদামী হওয়ার কারণ হলো এশিয়ার এ প্রান্তে সূর্যের তাপ আফ্রিকার চেয়ে কম কিন্তু ইউরোপিয়ানদের চেয়ে বেশি.
আর আমাদের শরীরে নির্দিষ্ট মাত্রায় মেলানিন উপস্থিত, যদি আমাদের শরীরে মেলানিন কম হতো তাহলে আমরা সূর্যের তাপের প্রকোপে স্কিন ক্যান্সারের মতো রোগে আক্রান্ত হতাম. যে সমস্যাটি এখন অস্ট্রেলিয়ার মানুষরা face করছে. ড়াতে জেনেটিক্যালি ইউরোপিয়ান. কিন্তু সূর্যের তাপ অস্ট্রেলিয়ায় বেড়ে যাওয়ার ফলে সেখানের মানুষরা স্কিন ক্যান্সারের মতো সমস্যার সম্মুখীন বেশি হচ্ছে. আপনি যদি একজন ইউরোপিয়ান মানুষকে রোধের তীব্রতায় দাঁড়িয়ে থাকতে তাহলে কয়েক ঘন্টার মধ্যেই তাদের চামড়া পুড়ে লাল হয়ে যাবে.
আবার আফ্রিকার রা অতিরিক্ত শীত সহ্য করতে পারে না. কিন্তু আমরা ভারত কিংবা বাংলাদেশিরা অনায়াসে রোদের মধ্যে অথবা অনেক ঠান্ডায় ও কাজ করতে পারি. আর নিঃসন্দেহে আমাদের এই উপকারী গায়ের রঙের জন্য, আমাদের সৃষ্টি কর্তার কাছে ধন্যবাদ জানানো উচিত.
0 Comments