আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা আশা করি আপনারা সকলেই ভালো আছেন. আল্লাহতালা অত্যাচার করা ব্যক্তিকে পছন্দ করেন না. অত্যাচার করা ব্যাক্তিকে যখন আল্লাহতালা পাকড়াও করেন তখন তাকে অনেক কঠিন সস্থি প্রদান করেন. কখনো কারোর ওপর অত্যাচার করা ঠিক নয়. আজকের ভিডিওটিতে যে সত্য শিক্ষণীয় ঘটনাটি বলতে চলেছি তা এরই উপর নির্মিত. ঘটনাটি আল্লামা ইবনে হাজার রহমতুল্লাহী তার এর বই আজ ওয়াজিরে লিখেছেন গল্পটি হলো এই এক ব্যক্তি বলল আমি এক ব্যক্তিকে দেখলাম যার হাত তার কাঁধ হতে কাঁটা ছিল এবং সে চিৎকার করে বলছিল যে আমাকে দেখে শিক্ষা গ্রহণ এবং কারোর ওপর কখনো অত্যাচার করো না আমি তার কাছে গিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলাম হে আমার ভাই তোমার ঘটনা কি? সে উত্তরে বলল ভাই আমার গল্প অনেক মর্মান্তিক ও বিচিত্র ধর আসলে আমি অত্যাচার করা লোকেদের সাহায্য করতাম. মানে যারা সমাজে অত্যাচার করে বেড়াত, অন্যায় ভাবে মানুষের সম্পদ লুন্ঠন করত, সেই সব পাপী, জঘন্য মানুষদের সঙ্গে, আমি ঘুরে বেড়াতাম এবং তাদের সাহায্য করতাম. একটি দিনের কথা আমি এক জেলেকে দেখলাম. যে সে অনেক বড় একটি মাছ ধরে নিজের কাছে রেখেছিল. সেই মাছটি আমার খুব পছন্দ হয়েছিল. আমি তার কাছে গেলাম. এবং আমাকে এই মাছটি দিয়ে দাও. সে উত্তরে বলল আমি এই মাছ তোমাকে দেবো না. কেননা আমি এই মাছ বিক্রি করে বিক্রি তো মূল্য থেকে আমার সন্তানদের খাবারের ব্যবস্থা করবো. তারপর সেই জেলেকে মারধর শুরু করে দিলাম এবং তার কাছ থেকে জোরপূর্বক মাছটি ছিনিয়ে নিলাম. তারপর নিজের ঘরের দিকে চলতে লাগলাম যে সময় মাছটি উঠিয়ে আমি আসছিলাম সেই সময় হঠাৎ মাছটি আমার আঙ্গুলে জোরে কামড় দিলো. আমি মাছটিকে নিয়ে ঘরে চলে আসলাম. এবং মাছটিকে এনে রেখে দিলাম. তখন আমি আমার আঙ্গুলে অনেক ব্যথা অনুভব করছিলাম. এমন কষ্ট হতে লাগলো যে ব্যথায় আমার ঘুম আসছিল না. দেখতে দেখতে আমার সমস্ত হাত অবশ হয়ে গেল. যখন সকাল হল তখন আমি চিকিৎসকের কাছে গেলাম চিকিৎসকের কাছে আমার ব্যথার কারণ বললাম. চিকিৎসক বলল, এ আঙুল তো পস্ততে শুরু করেছে. সুতরাং ভালো হবে. যে তুমি আঙুলটা কেটে ফেলো নাহলে সমস্ত হাত পচে যাবে. আমি তখন ডাক্তারের কথা শুনে আঙুলটি কেটে ফেলে দিলাম. কিন্তু এর পরেও আমার হাতে ব্যথা এবং ব্যথার যন্ত্রনায় আমি কাতরাতে লাগলাম রাত্রে ঘুমাতে পারলাম না তখন লোকজন আমাকে বলল হাতের কব্জি কেটে ফেলে দাও আমি যন্ত্রণা থেকে বাঁচার জন্য. তাদের কথা শুনে তাই করলাম. এখন ব্যথা বেড়ে কনুই পর্যন্ত পৌঁছে গেল. আমার আরাম আয়েশ, ঘুম সমস্ত কিছু চলে গেল. আর আমি ব্যথার যন্ত্রনায় ছটফট করতে লাগলাম. এবং ফরিয়াদ করতে লাগলাম. তারপর এক ব্যক্তি বুদ্ধি দিল, কনুই হতে হাত আলাদা করে ফেলো. এই উপায় আমার উপর বিদ্যুতের ন্যায় এসে পড়লো. কিন্তু কি আর করার ছিল? আমি তাই করলাম. কিন্তু এরপরেও ব্যথা কাধ পর্যন্ত পৌঁছে গেল. এবং সেখান পর্যন্ত পৌছতে
পযন্ত পৌঁছে গেল. এবং সেখান পর্যন্ত পৌছতে শুরু করলো. লোকজন তখন বলতে লাগলো এখন তো তোমার হাতটি কাধ পর্যন্ত কেটে ফেলতে হবে. নাহলে তোমার সমস্ত শরীর পচে যাবে. তারপর লোকজন আমাকে জিজ্ঞেস করছে আসলে কেনই বা তোমাকে এই ধরনের কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে. আমি তখন তাদেরকে সেই মাছের ঘটনাটি খুলে বললাম. তারা তখন বলল যদি তুমি সে জেলের কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইতে আর তাকে কোনো না কোনো ভাবে রাজি করে নিতে এবং যেকোনো অবস্থায় মাছকে নিজের জন্য হালাল করে নিতে তাহলে তোমার হাত এইভাবে কাটতে হতো না. তাই সব থেকে ভালো হবে. তুমি এখনই সে জেলের কাছে যাও. এবং তাকে খুঁজে ক্ষমা চাও নাহলে তোমার সমস্ত শরীর পচন হতে শুরু করবে তারপর সেই ব্যক্তি জেলেকে সমস্ত শহর খুঁজে বেড়ালো এবং শেষ পর্যন্ত সে জেলেকে খুঁজেও পেয়ে গেল. তারপর সেই ব্যক্তি জেলের য়ে পরে, কাঁদতে কাঁদতে বললো, হে আল্লার বান্দা. আমাকে আল্লার ওয়াস্তে ক্ষমা করে দাও. আমি দিনের পর দিন শেষ হয়ে যাচ্ছি. প্রচন্ড যন্ত্রণায়, আমি কষ্ট পাচ্ছি. তখন সে জেলে আমাকে জিজ্ঞেস করলো, তুমি কে? আমি তাকে বললাম, আমি সেই ব্যক্তি যে তোমার কাছ থেকে জোর করে এবং তোমাকে মারধর করে, তোমার মাছ ছিনিয়ে নিয়েছিলাম. এরপর আমি তার কাছে, নিজের কাহিনী বর্ণনা করলাম. তাকে আমার নিজের হাতটিও দেখালাম. তখন সে জেলে এটি দেখে কান্না করতে করতে বলতে লাগলো ভাই আমার আমি ওই মাছকে তোমার জন্য হালাল করে দিয়েছি. কেননা আমি তোমার অবস্থা দেখে বুঝতে পেরেছিলাম আমি জেলেকে বললাম, হে আল্লাহর বান্দা. তোমাকে আল্লাহর কসম দিয়ে জিজ্ঞেস করছি যখন আমি তোমার কাছ থেকে মাছটি ছিনিয়ে নিয়েছিলাম, তখন কি তুমি আমাকে অভিশাপ দিয়েছিলে? জেলে বলল হ্যাঁ, আমি ওইসময় এই দোয়া করেছিলাম. হে আমার রব সে নিজের শক্তি ও ক্ষমতার বলে আমার উপর জোর খাটিয়েছে. তুমি যে regist আমাকে দিয়েছিলে সে আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে এবং আমার উপর অত্যাচার করেছে এই জন্য তুমি আমার সামনে এর ওপর সেই অত্যাচারের শাস্তি দেখিয়ে দিও
দেখিয়ে দিও আমি তখন সে জেলেকে বললাম, হে আল্লাহর বান্দা. আল্লাহ তার নিজের শক্তি আমায় দেখিয়ে দিয়েছেন, আমাকে শাস্তি দিয়ে. এখন আমি আল্লাহর কাছে তওবা করছি এবং ওয়াদা করছি যে, কোনদিন কোনো অত্যাচার শাসকের সাহায্য করবো না. আর কখনো কারোর ওপর অত্যাচার করবো না. ইনশাল্লাহ যতদিন জীবিত থাকবো. নিজের ওয়াদার ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবো. প্রিয় বন্ধুরা কোন এক ব্যক্তি লিখ য়ছেন যে যখন তোমার শক্তি সামর্থ্য থাকে তার পরও কারোর উপর জুলুম করবে না. কেননা অত্যাচারের পরিনাম লজ্জার কারণ হয়ে থাকে. তোমার দুই চোখ যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন অত্যাচার ত ব্যাক্তি জেগে থাকে এবং তোমাকে অভিশাপ দিতে থাকে. আর আল্লাহর চোখ কখনো ঘুমায় না. যখন অত্যাচার করা জালিম শাসক জমিনের মধ্যে ঘুরে বেড়ায় এবং নিজের অত্যাচারের সীমা ছাড়িয়ে যায়. তুমি তাকে আল্লাহর ওয়াস্তে সময়ের হাতে ছেড়ে দিও. কেননা সময়ই তার কাছে তার পাপের ফল দেখিয়ে দেবে. যা সে কল্পনাও করতে পারবে না. আল্লাহতালার নিকট দোয়া করি. যেন আল্লাহতালা আমার সবাইকে জালিমের জুলুম থেকে বাঁচিয়ে রাখুন এবং অত্যাচার করা থেকেও বিরত রাখুন. আমিন আমিন.
0 Comments