টাইম ট্রাভেল বা সময় ভ্রমণ |
আপনারা কি জানেন আমাদের পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে রহস্যময় যে ঘটনাগুলো রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি রহস্যময় এবং রোমাঞ্চকর ঘটনা কোনগুলো আর এই ঘটনাগুলি হলো টাইম travels এর ঘটনা আমরা মাঝে মাঝেই বিভিন্ন গল্পে অথবা বিজ্ঞান ভিত্তিক বিভিন্ন বই এবং magazine এ পড়ে থাকি টাইম Travel সম্পর্কে. টাইম travel মানে হলো টাইম machine এ করে অতীত অথবা ভবিষ্যতে যাওয়া. তবে টাইম machine এ করে ভবিষ্যতে যাওয়া সম্ভব অতীতে যাওয়া প্রায় অসম্ভব, আর টাইম travel সম্পর্কে এবং কিভাবে মানুষ টাইম travel করতে পারে সেই সম্পর্কে আজকের এই পোস্টটি . তো চলুন বন্ধুরা শুরু করা যাক.
Time travels. সবচেয়ে রহস্যময় একটি ঘটনা যেটিকে possible করার জন্য প্রাচীনকাল থেকে বিজ্ঞানীরা সব সময় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে. কিন্তু আজ পর্যন্ত ভবিষ্যতে যেতে পারেনি. তবে আমাদের সবার মনেই একটা ইচ্ছা কাজ করে যে আমরা যদি আমাদের অতীতে ফিরে গিয়ে আমাদের ভুলগুলোকে শুধরে আসতে পারতাম তাহলে কতই না ভালো হতো. তবে অতীতে গিয়ে কোনো কিছু ঠিক করাটা আসলে প্রায় অসম্ভব. বিজ্ঞান এখনো এমন কিছু আবিষ্কার করতে পারেনি যার মাধ্যমে অতীতে যাওয়া সম্ভব. তবে আমরা ভবিষ্যতে যেতে পারি. ভবিষ্যতে গিয়ে দেখে আস্তে পারি আমাদের অবস্থা. আর এর জন্য আমাদের যেটা করতে হবে সেটা হলো আলোর চেয়েও বেশি গতিতে চলতে হবে.
বিংশ শতাব্দীতে পৃথিবীর সবচেয়ে জ্ঞানী একজন বিজ্ঞানী যার নাম ছিল আলবার্ট আইনিস্টাইন তিনি একটি তত্ত্ব আবিষ্কার করে. যে থিওরিটির নাম দেওয়া হয় থিওরি অফ স্পেশাল রিলেটিভিটি. এই থিওরি টি সব বড় বড় বিজ্ঞানীদের প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছিল. কারণ এর আগে সবাই এটা মানত যে আমাদের ব্রহ্মান্ডের সব জায়গায় সময় একই মাত্রায় চেঞ্জ হয়. মানে আমাদের পৃথিবীতে কাটানো এক ঘন্টা আমাদের সুরমণ্ডলের অন্য কোনো গ্রহে কাটানো এক ঘন্টা সমান হবে. কিন্তু আইনিস্টাইন এটা বলেছেন যে সময় constant নয়. সময় আসলে গতির সাথে change হয়. সময় আর space এর একে অপরের সাথে একটি সম্পর্ক রয়েছে. যাকে আমরা space time বলে থাকি. সময় ঘরের উপর নির্ভর করে. অত্যাধিক গ্রাভিটির ব্ল্যাক হোলগুলো ইস্টেস্ট টাইমকে ধীর করে দেয়. কিন্তু এরকম কেন হয়?
এটা বুঝতে পারা যথেষ্ট কঠিন ব্যাপার. কারণ আইনিস্টাইন তার এই থিওরিকে পুরোপুরি ভাবে ম্যাথমেটিক্যাল সি টিম এ prove করেছিল যা আমাদের মত সাধারণ মানুষের পক্ষে বোঝা একটু কঠিনই. কারণ আমরা এসব ঘটনা আমাদের প্রতিদিনের জীবনে আমাদের চোখে দেখে থাকি না. তবে অন্যান্য বিজ্ঞানীরা এই থিওরিকে নিয়ে গবেষণা করে এটি যে সঠিক সেটি প্রমান করে দেখেছেন. আমাদের এটা বলে যে আমাদের ব্রহ্মাণ্ডের আলোর একটি নির্দিষ্ট গতিসীমা রয়েছে যেটি প্রায় তিন লাখ কিলোমিটার পার সেকেন্ড. আর স্পেসে থাকা কোন বস্তুই এর চেয়ে দ্রুত গতিতে ট্রাভেল করতে পারবে না. কেবল আলোয় শুধু এত তাড়াতাড়ি এবং তীব্র গতিতে ট্রাভেল করতে পারে. ফিরি অফ রিলেটিভিটির মোতাবেক যদি আমরা স্পেসে খুব দ্রুত গতিতে ট্রাভেল করি প্রায় আলোর গতির সমান গতিতেই তাহলে ওই আমাদের সাথে এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটবে. ওই সময় আমরা যে object এর ভেতরে বসে travel করছি ওই object এর চেয়ে আমাদের সময় ধীর হয়ে যাবে. এটিকে একটি সাধারণ উদাহরণ দিয়ে বোঝানো যায়. ধরুন আপনার বয়স পনেরো বছর. আর আপনি একটি straft এ করেই space মিশনে বের হলেন. যেটি প্রায় আলোর গতি সমান গতিতে travel করতে সক্ষম. আপনি করে মহাশূন্যে পাঁচ বছরের একটি ট্রাভেল করে আবার পৃথিবীতে ব্যাক করলেন. তখন আপনার কাছে সময়টা পাঁচ বছর হলেও পৃথিবীর মানুষের কাছে কিন্তু সময়টা পাঁচ বছর থাকবে না. এ সময় আপনার বয়স তো ঠিকই বিশ বছরেই থাকবে. কিন্তু আপনার যে বন্ধুরা আপনার সমান বয়সের ছিল আপনি এসে দেখবেন আপনার বয়স বিশ বছর থাকলেও, আপনার সেই বন্ধুরা পঁয়ষট্টি বছরের বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছে. কিন্তু এরকম কেন হয়? এরকম হবে কারণ এত দ্রুত গতিতে ট্রাভেল করার জন্য আপনার কাছে slow হয়ে গিয়েছিল আপনি আপনার হিসেবে মহাকাশে কেবল পাঁচ বছর কাটিয়ে এসেছেন কিন্তু পৃথিবীতে থাকা লোকদের জন্য পঞ্চাশ বছর পার হয়ে গিয়েছে এখন প্রশ্ন তো এটাই যে আমরা এই স্পেস টাইমে কিভাবে ট্রাভেল আর এ বিষয়ে আমাদের হেল্প করতে পারে ওয়ার্ম হোল.
উনিশশো পঁয়তিরিশ সালে আইনিস্টাইন ওয়ার্ম হোলের অস্তিত্ব নিয়ে একটি মতবাদ ব্যক্ত করেন. তবে আমরা এখনো পর্যন্ত কোন প্রকার ওয়ার্ম আবিষ্কার করতে পারিনি. warm hall এর ব্যাপারে অনেক বিজ্ঞানীরা নিজেদের theory তুলে ধরেছেন. এর মধ্যে stepen হকিং একজন. চলুন আমরা এটা ভেবেই নিই যে, warm হোল আসলেই রয়েছে. উনিশশো আশি সালে একজন বিজ্ঞানী বলেছিলেন warm whole মেশিনের কাজ করতে পারে. Einystine এর theory অনুযায়ী একটি warm হোল মূলত একটি ব্রিজের মত কাজ করে. যা stess টাইম এর দ্রুত আলাদা galaxy কে একত্র করে দিতে পারে. এটি একটি short cut এর কাজ করে অনেক আলোকবর্ষ দূরত্বকে তাড়াতাড়ি পার করতে সাহায্য করে. যদি আমরা দুটো warm হোল এর মধ্যে একটি warm হল কে light এর চেয়ে বেশি speed এ travel করাতে পারি. তাহলে আমাদের ভবিষ্যতে যাওয়া সম্ভব. আর একইভাবে আমরা যদি সেটিকে উল্টো দিকে ট্রাভেল করাতে পারি মানে যদি আমরা এরপর লাইটের চেয়ে বেশি স্পিডে চালানো warm হলে ভবিষ্যতে গিয়ে আবার সেটিতে করে light এর speed এ আগের স্থানে ফিরে আসতে পারি, তাহলে আমরা অতীতে ফিরে যেতে পারবো. এরকম মনে করে থাকেন অনেক বিজ্ঞানী. তবে আজ পর্যন্ত কোনো warm হলই আবিষ্কার হয়নি.
কিন্তু বিজ্ঞানে অসম্ভব বলতে কিছু নেই. সবই আস্তে আস্তে সম্ভব হচ্ছে. তাই এমন হতে পারে যে ভবিষ্যতে আমরা warm wholes সম্পর্কে জানতে পারবো. তবে warm হলে করে পাশটা যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে. কারণ অতীতে যাওয়া বিজ্ঞানীদের মতে সম্ভব নয়. এটি তারা এভাবে তুলে ধরেছেন যে আপনি টাইম মেশিনে করে অতীতে গেলেন এবং আপনার দাদাকে আপনি গুলি করে মেরে ফেললেন কিন্তু যদি আপনার দাদাই না থাকে তাহলে আপনি কিভাবে হবেন? আর এর জন্যই অতীতে যাওয়ার ঘটনাটাকে বিজ্ঞান এখনো পর্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নেয় না. চলুন আমরা এখন আবার ফিরে যাই টাইম delation এর বিষয়ে. টাইম de আমরা আমাদের international space ইস্টেশনে অনেক ছোট মাত্রায় দেখতে পারি international space ইস্টেশন অনেক দ্রুতগতির সাথে পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে এর জন্য এখানে সময় পৃথিবী থেকে কয়েক neno second slow হয়ে যায় আর এই হিসাবে আপনি একজন ইন্টারন্যাশনাল ইস্পিস স্টেশনে ভ্রমণকারী একজন মহাকাশচারীকে টাইম traveller এর সাথে তুলনা করতে পারেন আমাদের milk এ galaxy বরাবর মানে আমাদের থেকে প্রায় ছাব্বিশ আলোকবর্ষ দূরে আমাদের Galaxy র সবচেয়ে heavy west object ই রয়েছে. এটি একটি সুপার ম্যাচ black whole, যার ভর চল্লিশ লক্ষ সূর্যের ভরের সমান. ভর একটি ছোট বিন্দুর মধ্যে মজুত হয়ে রয়েছে. যার গ্রাভিটি অনেক মাত্রায় বেশি. আপনি এর যতই কাছে যাবেন গ্রাভিটি ততই বৃদ্ধি পেতে থাকবে. এরকম black whole গুলো space টাইম এর ওপর একটি গভীর প্রভাব বিস্তার করে. এটি অনেক ভিড় করে দেয়. আর এর জন্যই এটি একটি টাইম machine এর কাজ করতে পারে. এর মাধ্যমে আমরা সময়ের পিছে যেতে পারবো না. তবে হ্যাঁ আমরা এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে অবশ্যই যেতে পারি. কিন্তু এরকম করা আমাদের জন্য এখনো সম্ভব নয়. কারণ আমাদের সবচেয়ে কাছের black whole আমাদের চেয়ে কয়েক আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত. তবে এই black hole ছাড়াও আমাদের কাছে আরেকটি উপায় আছে যার মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যতে যেতে পারবো. আর এই উপায়টি য়োগ করা আমাদের জন্য অসম্ভব নয়. আর এই time machine টাকে বানানোর জন্য আমাদের শুধু travel করতে হবে. আর এই travel টি হবে দ্রুত এত দ্রুত যে আলোর গতির চেয়েও বেশি দ্রুত ছুটবে. Travel টি এত করতে হবে যার মাধ্যমে একটি black hole এর ভিতরে গিয়েও আবার সেখান থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব. তবে আমাদের পৃথিবীর কিছু নিয়ম রয়েছে. আমাদের পৃথিবীর একটি speed limit রয়েছে. আমরা সর্বোচ্চ তিন লাখ কিলোমিটার per secon গতিতে ট্রাভেল করতে পারবো. একে speed of flight ও বলা হয়ে থাকে. আর কেউই এই গতিকে পার করতে পারবে না. আর এটা বিজ্ঞানে এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে সঠিকভাবে স্থাপনা করার একটি সিদ্ধান্ত. আর আপনি মানুন অথবা না মানুন লাইটের গতির কাছাকাছি গতিতে ট্রাভেল করতে পারলেও আপনি টাইমে ট্রাভেল করতে পারবেন. টাইমের চেয়ে বেশি দ্রুত গতিতে চলা তো আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়. কিন্তু টাইমের কাছাকাছি যদি আমরা চলতে পারি তাহলে আমরা যে অবজেক্ট এর ভেতরে সেটার ভেতর ডায়মন্ডে slow হয়ে যাবে. আর পৃথিবীর সব কিছু দ্রুত পরিবর্তন হতে থাকলেও, আপনি আপনার বয়স ধরে রাখতে পারবেন. আর আমাদের বর্তমান সময়ের হিসেবে এভাবেই টাইম travel করা সম্ভব. কিন্তু ভবিষ্যৎ অথবা অতীতে যাওয়াটা বর্তমান theories এবং technology তে অসম্ভবই বলা চলে. আপনাদের কী মনে হয় মানুষ কি কখনো টাইম tribal করতে পারবে ? কমেন্ট করে জানান.
0 Comments