কি আছে পৃথিবীর গভীরে? জানলে অবাক হয়ে যাবেন। Al hadi

 

পৃথিবী 

বন্ধুরা পৃথিবীর উপরি ভাগে কি কি আছে তা আমাদের সকলেরই জানা. কিন্তু আপনারা কি জানেন পৃথিবীর অভ্যন্তরে কি আছে? পৃথিবীর অভ্যন্তরে কতটা পর্যন্ত কঠিন? কত টা পর্যন্ত তরল এবং কেন্দ্রে কি আছে পৃথিবীর অভ্যন্তর ভাগ কতটা গভীর বা কতটা বড় তা কি আপনি জানেন? এসব কিছু ছাড়াও সব থেকে বড় প্রশ্ন হল পৃথিবীর অভ্যন্তরে কি আছে তা আমরা জানলাম কিভাবে বন্ধুরা আমাদের আজকের এই পোস্টটি  তে আমরা এই সকল বিষয় নিয়েই আলোচনা করব তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কি আছে পৃথিবীর অভ্যন্তরে. 

আমরা আমাদের যাত্রা শুরু করবো ভূপৃষ্ঠ থেকে অর্থাৎ যেখানে আমরা বসবাস করি, এটাই পৃথিবীর সবথেকে উপরের অংশ পৃথিবীর এই পৃষ্ঠদেশটি বিভিন্ন শিলা ও পাথর দিয়ে তৈরি এটা পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ স্তরগুলোর তুলনায় পাতলা হলেও একেবারে কঠিন স্তর. পৃথিবীর উপরিভাগের এই সবথেকে পাতলা স্তরটি প্রধানত দুটো ভাগে বিভক্ত প্রথম হলো সনিক ট্রাস্ট. অর্থাৎ মহাসাগরীয় ভূতক. এবং দ্বিতীয় কন্টিনেন্টাল ক্রাস্ট. অর্থাৎ মহাদেশীয় ভূতক. বন্ধুরা আমরা যদি সমগ্র পৃথিবীর ব্যাসের কথা বলি, তবে সমুদ্রের অত্যন্ত আসলে খুব একটা গভীর নয়. কেননা প্রচন্ড গভীর সমুদ্রও পৃথিবীর উপরিভাগেই শেষ হয়ে যায় পৃথিবীর আসল গভীরতা তো ভূতক. অর্থাৎ পৃথিবীর বহির্ভাগের পর থেকে শুরু হয়. এই ভূতক মহাসাগর ও মহাদেশ নিয়ে প্রায় একশো কিলোমিটার গভীরতা পর্যন্ত বিস্তৃত আর এই ভূতকের উষ্ণতা অভ্যন্তরীণ ভাগে প্রায় পাঁচশো ডিগ্রী থেকে হাজার degree Celsius পর্যন্ত হয়. এরপর আরো খানিকটা গভীরে যাওয়া যাক. এরপরে আমরা পৌঁছে যাবো দ্বিতীয় স্তরে এই স্তরটির নাম ম্যান্ডেল বা গুরু মণ্ডল এই স্তরটি প্রায় দুহাজার নশো কিলোমিটার গভীর. আর এখানকার উষ্ণতা প্রায় চার হাজার degree Celsius পর্যন্ত হয়. বন্ধুরা এই স্তরটি Transition zone এর মাধ্যমে দুটি ভাগে বিভক্ত upper Mental ও lower Mental এই  ও ভূপেষ্টা সাথে একটি দীর্ঘ অঞ্চল গঠন করে. এই অংশের ফাটল দিয়ে ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠে পৌঁছায় এবং আগ্নেয়গিরির মাধ্যমে লাভারূপে নির্গত হয়. বন্ধুরা লিথস্পিয়ার একটি অর্ধতর স্তরের উপর অবস্থিত একে বলা হয় এই আস্থানস্পিয়ার আপার মেনটেলেরই একটি অংশ, এস্তোনেসফিয়ার অংশটি পুরোপুরি একপ্রকার প্লাস্টিক জাতীয় পদার্থ দিয়ে তৈরী আর সেই কারণেই কঠিন ও তার থেকে দুর্বল এস্তোনোস্পিয়ারের উপর ঘোরাফেরা করতে পারে. চলুন বন্ধুরা আরো গভীরে যাওয়া যাক. এবার আমরা এসে পৌছালাম পৃথিবীর সবথেকে অভ্যন্তরীণ ভাগে. অর্থাৎ কোরবাকে পৃথিবীর এই কেন্দ্রেও দুটি ভাগে বিভক্ত এর উপরিভাগকে বলা হয় outer core এবং নিচের অংশটিকে বলা হয় ইনার কোর এই outer কোর কে liquid করে বলা হয় এবং inner কোরকে সলিড কোর বলা হয় বন্ধুরা আউটার কোরের কথায় প্রথমে আলোচনা করা যাক. এটা প্রায় দুহাজার চারশো কিলোমিটার পুরো পৃথিবীর ইনার ও মেনটেলের মাঝে অবস্থিত এই স্তরটি মূলত লোহা ও নিকেল দিয়ে গঠিত একটি তরল স্তর. এখন আপনাদের মনে হতেই পারে যে লোহা দিয়ে তৈরি একটি স্তর, কিভাবে তরল হতে পারে? তাই না? জানিয়ে রাখি বন্ধুরা এই আউটের করের উষ্ণতা প্রায় চার হাজার পাঁচশো ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়. আর লোহা এক হাজার পাঁচশো ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতায় গলে তরল হয়ে যায়. তাই এই অংশটি তরল লোহা দিয়ে তৈরি আরো জানিয়ে রাখি বন্ধুরা এই outer কোর এর জন্যই পৃথিবীতে চুম্বকীয় তরঙ্গ ক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়েছে যার ফলে আমরা সহজেই  ব্যবহার করতে পারি এখান থেকে আরো গভীরে গেলে আমরা পৌঁছে যাবো পৃথিবীর কেন্দ্রে অর্থাৎ ইনার করে এটা প্রায় বারোশো কিলোমিটার ব্যাসার্ধ যুক্ত একটি কঠিন অংশ. যা পৃথিবীর ব্যাসার্ধের প্রায় কুড়ি শতাংশ ও চাঁদের ব্যাসার্ধের প্রায় শতাংশ এটা পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ছ হাজার তিনশো একাত্তর কিলোমিটার গভীরে অবস্থিত. এটা কঠিন লোহা ও নিকেল দিয়ে গঠিত. পৃথিবীর ইনার কোরের উষ্ণতা প্রায় ছ হাজার ডিগ্রি সেলস য়াস. সূর্যের পৃষ্ঠের উষ্ণতাও প্রায় একই রকম হয়. এখন বন্ধুরা আপনাদের মনে হতেই পারে যে এত অধিক উষ্ণতা হওয়া সত্ত্বেও এই স্তরটি কিভাবে কঠিন অবস্থায় থাকে তাই না তাহলে জেনে রাখুন বন্ধুরা এই স্তরে পৃথিবীর অন্যান্য স্তরে সৃষ্ট চাপ এসে পরে এবং এই বিশাল চাপের কারণে এই স্তরের লোহা ও নিকেলের গলনাঙ্ক অদ্ভুতভাবে প্রচন্ড হারে বৃদ্ধি পায় ফলে এই অংশটি কঠিন অবস্থায় থাকে এখন প্রশ্ন হল পৃথিবীর এত গভীরে কেউ তো যায়নি তাহলে পৃথিবীর অভ্যন্তরে এত গভীরতা পর্যন্ত এত কিছু আছে? আর এই অবস্থায় আছে? তা আমরা কি জানলাম পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে জানার জন্য আমরা systemico ব্যবহার করি এই web এর সময় ও শক্তি আমাদের পৃথিবীর অভ্যন্তরের খবর দেয় এটি একটি energy web এবং পাথরের ঘনত্ব বদলানোর সাথে সাথে এটা ক্রমবিভক্ত হয় এবং নিজের গতিবেগ বদলায় এছাড়াও পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ অবস্থা জানার জন্য আরও একটি প্রক্রিয়া আছে এবং সেটা হলো deplock study অর্থাৎ পৃথিবী র অভ্যন্তরে যে সমস্ত পাথর থাকে সেগুলো বিভিন্ন আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের ফলে ভূপৃষ্ঠে চলে আসে এবং এই পাথরগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা  করে আমরা পৃথিবীর অভ্যন্তরবাগ সম্পর্কে জানতে পারি.

 So বন্ধুরা আজকের এই পোস্টটি তে আমরা পৃথিবীর অভ্যন্তীর ভাগ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ভাবে অনেক তথ্য আপনাদের দিলাম, উপরে কোনো ধরনের ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন. সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের পোস্ট শেষ করতেছি আল্লাহ হাফেজ। 


Post a Comment

0 Comments