হ্যালো বন্ধুরা এই পৃথিবীর একশো পঁচানব্বইটি স্বাধীন দেশের প্রত্যেকটিরই, নিজস্ব কিছু ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্য রয়েছে. একটি স্বাধীন রাষ্ট্র মানেই বিশাল আয়তন জুড়ে অবস্থিত সকল উচ্চ পর্যায়ের সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন হতে হবে তা কিন্তু নয়. কোন কোন দেশ একটি শহরের চেয়ে আয়তনের দিক দিয়ে ছোট হয়. বিশ্বের ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে. আজকে আমরা বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দশটি দেশ সম্পর্কে জানবো যেগুলো মানচিত্র হয়তো খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হলেও তারা নিজস্ব সংস্কৃতি ইতিহাস প্রচুর্য নিয়ে সেগুলো সহ মহিমায় উজ্জ্বল. তো চলুন শুরু করা যাক.
দশ, মালটা, আয়তন তিনশো ষোলো বর্গ কিলোমিটার. আয়তনের দিক থেকে দশ নম্বরে থাকা রিপাবলিক অফ মালটা মূলত ভূমধ্যসাগরে অবস্থিত সাতটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত একটি দ্বীপপুঞ্জ তবে তিনটি দ্বীপকে মালটা, গুজব, কমিনো, ঘিরেই বসতি গড়ে উঠেছে, এই দ্বীপ তিনটি মালটার সবচেয়ে বড় দ্বীপ হিসেবে পরিচিত. তিনশো ষোল বর্গ কিলোমিটার আয়তনে ক্ষুদ্র দেশটিতে জনসংখ্যা পরিমাণ প্রায় সাড়ে চার লক্ষ যা দেশটিকে বিশ্বের ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোর মাঝে একটি পরিণত করেছে. ছটি হলেও দেশটি ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক তাৎপর্য রয়েছে যথেষ্ট. উনিশশো চৌষট্টি সালে মালটা রাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ করে.
নয়, মালদ্বীপ, আয়তন দুশো অষ্টানব্বই বর্গ kilometer. ভারত মহাসাগর অবস্থিত হাজার খানেক দ্বীপ নিয়ে ত একটি দ্বীপ রাষ্ট্র মালদ্বীপ জনসংখ্যা আয়তন সব দিক থেকেই এশিয়া মহাদেশের সব থেকে ছোটো দেশ এবং সমগ্র বিশ্বে নবমীর স্থানে রয়েছে. এখানে প্রায় দশ হাজার নব্বইটির মতো দ্বীপ থাকলেও বসবাস যোগ্য দুশোটি দ্বীপ জনসংখ্যা প্রায় চার লক্ষ সাতাশ হাজার সাতশো ছাপান্ন জন. খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতকে মালদ্বীপ অধিষ্ঠিত হয়. পুড়তোগিজ ডাঁচ এবং ব্রিটিশরা যথাক্রমে ষোড়শ সপ্তদশ এবং ও বিংশ শতাব্দীতে মালদ্বীপ শাসন করে. অবশেষে উনিশশো পঁয়ষট্টি সালে দেশটি স্বাধীনতা লাভ করে.
আট সেন্ট কিটস এবং নেভিস আয়তন দু একষট্টি বর্গকিলোমিটার. অষ্টম স্থানে থাকা দুশো একষট্টি বর্গ কিলোমিটারের দেশটি ক্যারিবিয়ান সাগরের দুইটি দ্বীপ উনিশশো আটচল্লিশ সালে খ্রিস্টফোর কলামবাজ প্রথম এখানে ভ্রমণ করেন. ইউরোপেন্দ্রা আসার প্রথম এই দ্বীপপুঞ্জই দখল করেছিল. ব্রিটিশ এবং ফরাসিরা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে দেশটি শাসন করে এবং একছত্র আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে দীর্ঘকাল চেষ্টার পর সত্তর তেরো সালে ব্রিটিশরা উপনিবেশ গড়ে. ছোট্ট এই দেশের জনসংখ্যা প্রায় চুয়ান্ন হাজার আটশো একুশ জন.
সাত, মার্শাল, দিনপুঞ্জ, আয়তন একশো একাশি বর্গ kilometer. মাত্র একশো একাশি বর্গ kilometer এর দেশটি প্রশান্ত মহাসাগর অবস্থিত একটি দ্বীপপুঞ্জ. হাজার খ কদ্বীপ নিয়ে গড়ে ওঠা দেশটি মাত্র চব্বিশটি দ্বীপ বসবাসের উপযোগী উনিশশো ছেচল্লিশ সাল থেকে উনিশশো আটান্ন সাল পর্যন্ত আমেরিকা সাতষট্টি বার পারমাণবিক পরীক্ষা চালায় এই দ্বীপে. উনিশশো তিরাশি সালে comp ফ্রি association চুক্তির মাধ্যমে মার্শাল, দ্বীপপুঞ্জকে একটি জাতি হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে. স্বচ্ছ নীল পানি এবং scover driving এর জন্য পৃথিবী বিখ্যাত জায়গা এই দ্বীপটি.
ছয়, লিক টেন স্টাইল, আয়তন একশো ষাট বর্গকিলোমিটার, অস্ট্রিয়া এবং সুইজারল্যান্ডের মাঝে অবস্থিত ছোট্ট দেশটি মাত্র একশো ষাট বর্গ কিলোমিটার ড়ে বিস্তৃত. সমগ্র বিশ্বের একমাত্র দেশ যেটি পুরোটাই আউটশির ওপরে অবস্থিত. মাত্র সাঁইত্রিশ হাজার তিনশো চল্লিশ জন লোকের জনসংখ্যার দেশটিতে আকারে ছোট হওয়া সত্ত্বেও, বিশ্বের সর্ব ও ভিডিপি রয়েছে এখানে. বেকারত্বের হার প্রায় নাই বললে চলে মাত্র এক পয়েন্ট পাঁচ শতাংশ. এটি ইউরোপের একমাত্র ডাবল ল্যান্ডলাইড কান্ট্রি বাষিত দেশ. েখানে সমস্ত দেশ শুধুমাত্র স্থলবেষ্টিত কোনো সমুদ্র সীমা নেই বরন্ত এদের চারপাশে যে দেশগুলো আছে তাদেরও কোনো সমুদ্র সীমা নেই.
পাঁচ, আয়তন একষট্টি বর্গ kilometre. একষট্টি বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে বিস্তৃত দেশটি ইউরোপের তৃতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ. এই ক্ষুদ্র দেশটি চারপাশ থেকে ইতালি দিয়ে ঘেরা. শান্তিপ্রিয় দেশ বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো সার্বভৌম রাষ্ট্র. তেত্রিশ হাজার দুশো পঁচাশি জন জনসংখ্যার এই দেশটিতে জনসংখ্যার চেয়ে গাড়ির পরিমান বেশি. GDP অনুযায়ী দেশটি বিশ্বের ধনী দেশগুলোর মাঝে একটি.
চার, to value, আয়তন ছাব্বিশ বর্গ kilometer. পাঁচটি প্রবাল, প্রাচীর, এবং চারটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত দক্ষিণ প্রশান্ত সাগর অবস্থিত মাত্র ছাব্বিশ বর্গ kilometer এ বিশ্বের চতুর্থ ক্ষুদ্রতম এই দেশটিকে স্বাধীন দেশ হিসেবে অনেকেই মানতে চায় না. বিশ্বের নিচু দেশগুলোর মাঝে একটি. সর্বোচ্চ চূড়া সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে চার point পাঁচ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত. দেশটির আকার এবং অবস্থান বিশ্বের অন্য দেশ দৃষ্টি থেকে দেশটিকে লুকিয়ে রাখে. জাতিসংঘের একশো উননব্বইতম সদস্য দেশ উনিশশো আটাত্তর সালে স্বাধীনতা লাভ করা দেশটির বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় দশ হাজার ছয়শো চল্লিশ জন.
তিন, নাওরু, আয়তন একুশ বর্গ কিলোমিটার. বিশ্বের তৃতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ নাওরু, অস্ট্রেলিয়ার পূর্বাবস্থিত মাত্র একুশ বর্গ কিলোমিটার একটি দ্বীপ রাষ্ট্র. বিশ্বের সব ক্ষুদ্রতম দ্বীপ রাষ্ট্র এটি. এর পাশাপাশি এটি বিশ্বের ক্ষুদ্রতম স্বাধীন প্রজাতন্ত্র. এমনকি বিশ্বের সবচেয়ে কম জনবহুল দেশের মাঝে এটি দ্বিতীয় জনসংখ্যা প্রায় দশ হাজার চুরাশি জন. উনিশশো সাত সাল থেকে এখানকার অর্থনীতির প্রধান আয় আসে ফসফেট খনিজ আকরিক আহরণের মাধ্যমে. তবে বর্তমানে খনিজ ফসফেট প্রায় শেষ হয়ে এসেছে. আর এ কারণে বেকারত্বের হার দিন দিন বেড়েই চলেছে.
দুই মোনাকো আয়তন দুই বর্গ কিলোমিটার. মাত্র দুই বারো জায়গা জুড়ে বিস্তৃত ইউরোপ মহাদেশের দেশটিতে জনসংখ্যা প্রায় আটত্রিশ হাজার চারশো জন. এই রাষ্ট্র আয়তনে, পৃথিবীর দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম এবং পৃথিবীর সর্বোচ্চ জনবহুল রাষ্ট্র. Monaco র তিন পাশে ফ্রান্স. অন্যদিকে ভুমধ্যসাগর. ফ্রান্সের নিকটবর্তী দেশ হওয়াতে ফ্রান্সের বেশ আধিপত্য রয়েছে দেশটির উপর. দেশটির সরকারি ভাষাও ফরাসি এখানে রয়েছে বিখ্যাত মন্টটি কারলোক অ্যাসিনো. এই ক্যাসিনোকে গিরে পৃথিবীর ধনী মানুষের আগ্রহের অন্ত নেই. কেননা এই ক্যাসিনোকে পৃথিবীর সবচাইতে নিরাপদ ক্যাসিনো হিসেবে ধরা হয়. মোনাকোকে ধনীরা বেছে নিয়েছেন বিনোদন আর আরাম আয়েশের আবাসস্থল হিসেবে. দেশটির সব য়েতে চমকপ্রদ ব্যাপার হলো, ধন সম্পদের পরিপূর্ণ হলেও নিরাপত্তার দিক দিয়ে এটি বেশ শক্তিশালী. কোন রকম অপরাধের কথা শোনা যায় না বললেই চলে, Monaco এতটাই নিরাপদ হওয়ার মূল কারণটি হলো দেশটির চারপাশেই ড়ে রয়েছে হাজার হাজার ক্যামেরা.
এক, ভ্যাটিকান সিটি, আয়তন একশো দশ একর. বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম দেশ ভ্যাটিকান সিটি, ইতালির রোম শহরের ভিতরে অবস্থিত াধীন একটি রাষ্ট্র. সম্পূর্ণভাবে রোমের অভ্যন্তরীণ এ অবস্থিত দেশটির একশো দশ একর জমি জুড়ে বিস্তৃত. দেশের জনসংখ্যা প্রায় এক হাজার. আয়তন ও জনসংখ্যার বিবেচনায় বিশ্বের সবচেয়ে ছোট দেশ এটি. স্বাধীন দেশ বলে স্বীকৃতি হলেও, Vatican city কে বিশ্বের অন্যান্য ক্ষমতাশীল রাষ্ট্র ব্যবস্থার সঙ্গে তুলনা করতে চায় না, Vatican বাসীরা. তবে ইটালীর একশো দশ সেনা ভ্যাটিকান সিটির পূর্ণ নিরাপত্তা দিয়ে থাকে. দেশ হিসেবে যতই ছোট হোক বিশ্বের সবচেয়ে বড় গির্জা সেন্ট পিটাস. ব্যাসিলিকা কিন্তু ভ্যাটিকান সিডিতেই রয়েছে. আর বিখ্যাত ইতালিয়ান চিত্রকর মাইকেল অ্যাঞ্জেলস্ পি এ তো ও দা ক্রিয়েশন অফ এডামরা া আছে সেই গির্জাতে. উনিশশো উনত্রিশ সালে দেশটি স্বাধীনতা লাভ করলেও এখনো জাতিসংঘের সদস্য প্রাপ্ত হতে পারেনি. সারা বিশ্বের অন্যতম পবিত্র স্থান বলে ঘোষিত ব্যাটিকান সিটিকে উনিশশো চুরাশি সালে জাতি বিশ্ব ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে ঘোষণা করে. তো বন্ধুরা পোস্টটি কেমন লাগলো? এবং কোন দেশটি আপনার পছন্দ হয়েছে তা আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাবেন.
0 Comments