অতীতে যেসব জিনিস আবিষ্কার হয়েছে তার পেছনে অনেক লম্বা কাহিনী রয়েছে. এবং অনেক পরিশ্রমের ফসল এগুলো. তার মধ্যে এমন কিছু জিনিস রয়েছে যেগুলো আমরা দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করি কিন্তু অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে, এগুলো ভুলক্রমে আবিষ্কার হয়েছিল. এগুলো বানানো ব্যক্তি নিজেও বুঝতে পারেনি সে কি বানিয়েছে. আজকের পোস্টটিতে তেমনই কিছু জিনিস আপনাদের জানাবো. চলুন শুরু করা যাক।
নাম্বার সাত, coca-cola. দর্শক coca কোলা ডক্টর জনপামার টন আবিষ্কার করেছেন. এই ব্যক্তি ঔষধ বানানোর কাজ করতেন. এই ব্যক্তি বিভিন্ন ধরনের ঔষধ তৈরি করেছেন. কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তার কোন ধরনের ঔষধ কারো কোন কাজে আসছিল যখন আমেরিকাতে civil war শুরু হয় তখন ডক্টর জন এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন. যুদ্ধাবস্থায় যখন সে আঘাত পেত তখন মরফিন নামের একটি ড্রাগ নিতো. তারপরে খুব দ্রুতই এই ড্রাগের অবসান ঘ সে এই নেশা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কোকা এবং কলা বাদাম কে একসাথে মিশিয়ে একটি ঔষধ তৈরি করে. তারপরে সেটি কোকা-কোলা নামে পরিচিতি লাভ করে. তারপরে সে এটিকে ব্রেইন টনিক হিসেবে বিক্রি করতে থাকে. সেই সময় মার্কেটের সোরাড্রিংকসের অনেক জনপ্রিয়তা ছিল. তারপরে সেই সোডাঙ্কস গুলোকে পিছু হটিয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করে. মৃত্যুর আগে ডক্টর জনপাম্পার টন এই ফর্মুলা আশা ক্যানলান নামের এই ব্যাক্তিকে বিক্রি করে দেয়. তারপরে সে এই coca-cola কে পুরো পৃথিবীতে জনপ্রিয় করে তোলে.
নাম্বার ছয়. ice cream, দর্শক পৃথিবীতে এমন কোন জায়গা নেই যেখানে ice cream পাওয়া যায় না. শুধু বাচ্চারাই নয় বড়রাও এটিকে মজা করে খায়. আপনি কি জানেন কোন আইসক্রিম ভুলক্রমে বানানো হয়েছিল? উনিশশো চার সালে আমেরিকার একটি শহর সেন্ট লুইসে একটি মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল. সেই মেলার নাম ছিল ওয়ার্ল্ড ফেয়ার. এই মেলায় লোক খাবারের জিনিস বিক্রি করছিলো. সেইখানে এক ব্যক্তি খাবার বিক্রি করছিল তার নাম হচ্ছে RNS এ হামুই. সে কোন ice cream এর খোসা বিক্রি করছিল. সে Etel এর নাগরিক ছিল. সেসময় কোন ice cream এর খোসা কে জেলবিয়া বলা হত. তার সাথে এক ব্যক্তি আইসক্রিম বিক্রি করছিল. সেই লোক আইসক্রিম কাপের মধ্যে বিক্রি করছিল. গরমকাল হওয়ায় আইসক্রিমের কাপ অনেক দ্রুত শেষ হয়ে যায়. তখন আয়ার্নেস এই অবস্থা দেখে নিজের কাছে থাকা ওয়ার্ক গুলো ওই ব্যক্তিকে দিয়ে দেয়. যাতে সে কাপের পরিবর্তে ওয়াইফ এলে তার ice cream বিক্রি করতে পারে. তারপরে এই ওয়াইফ এল সেখানে থাকা লোকজনদের খুবই পছন্দ হয়. তারপরে এই কোন ice cream ভুলক্রমে আবিষ্কৃত হয়. যা আজ পুরো পৃথিবীতে খুবই জনপ্রিয়.
নাম্বার পাঁচ, টি ব্যাগ, দর্শক টি ব্যাগ, পুরো পৃথিবীতে ব্যবহার করা হয়. টি ব্যাগ আবিষ্কারের কাহিনীও অনেক আজব. উনিশশো তিন সালের আশেপাশে এক ব্যক্তি ছিল যার নাম থমাস স্লিপটন. সে আমেরিকাতে চা পাতা এবং কফি বিক্রি করতো. সে চাপাতার স্যাম্পল কোটার মধ্যে করে বিভিন্ন দোকানে দিচ্ছিল. সে এক চিন্তা করে কোটার মধ্যে করে চা পাতা দেওয়া অনেক ব্যয়বহুল. এই য়সে হাত দিয়ে বানানো ছোট ছোট সিল্ক ব্যাগের মধ্যে করে চা পাতা বিতরণ করা শুরু করে. তারপরে ধীরে ধীরে ছোট ব্যাগের মধ্যে করে চা পাতা বিতরণ করা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে. এক পর্যায়ে এটি টি ব্যাগে পরিণত হয়. সে হয়তো কখনো ভাবেও নি এই ছোট একটি কাজ কখনো এতটা জনপ্রিয় হয়ে উঠবে.
নাম্বার চার chips দর্শক পটেটো chips যেগুলো আমরা প্যাকেটের মধ্যে দেখতে পাই, এছাড়াও ঘরের মধ্যে আমরা খুব মজা করে এগুলো বানিয়ে খাই. কিন্তু আপনি কি জানেন এই পটেটো চিপস ভুলক্রমে সৃষ্টি হয়েছে এমনটা করেছে জর্জ ক্রাম একজন ব্যক্তি, আঠারোশো তিপ্পান্ন সালে ফ্রাইড প্যাটেলস খুব মজা নিয়ে খাওয়া হতো. নিউইয়র্ক শহরের একটি রেস্টুরেন্টে একজন শেফ কাজ করতো যার নাম ছিল জর্জ ক্রাম তাকে একজন customer খুবই কথা শোনাতো এই কাস্টমার যখন রেস্টুরেন্টে ফ্রাইট বাটিটোস আসতো তখনই সে ফ্রাইট পটিটার্স অ্যাপলেট ফিরিয়ে দিত কারণ সেফের বানানো ফ্রাইড অনেক পাতলা এবং বেশি ভাজা ছিল, একদিন সে অনেক রাগ করে খুব পাতলা পাতলা করে কেটে অনেক ভেজে বেশি করে লবন দিয়ে কাস্টমারকে দেয়. রাগী সেই কাস্টমার এই আলু ভাজা খেয়ে অনেক মজা পেয়েছিল. এবং কাস্টমারের খুব পছন্দ হয়েছিল. তারপর এসে পুনরায় অর্ডার দেয়. তারপর সে পটেটো চিপস প্রিয় হয়ে ওঠে.
নাম্বার তিন আইস ললিস, দর্শক, আইস ললিস আমরা খুবই মজা করে খাই. এগুলোকে জনপ্রিয় আইসক্রিম কোম্পানিগুলো বিক্রি করে. কিন্তু আইস ললিশ মূলত এগারো বছর বয়সী একটি ছেলে ভুলেক্রমে আবিষ্কার করেছিল. উনিশশো পাঁচ সালে Branch Aperson নিজের ঘরের শরবতের মধ্যে একটি, শিক দিয়ে খেলছিল. সেই ঋণ অনেক ঠান্ডা পড়ছিল এবং তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ছিল. এই বাচ্চার সরবতের মধ্যে রেখেই চলে যায়. রাতে শিবটি সরবতের সাথে লেগে যায়. এবং ভুলক্রমে পৃথিবীর সর্ব প্রথম ice storys তৈরি হয়েছিল. আঠেরো বছর পরে ব্যাঙ্ক aperson আমেরিকার একটি সমুদ্র সৈকতে নিজেরই ফ্রোজেন্স সোডা ওয়াটার বিক্রি করতে শুরু করে দেয়. সেই সময় এটিকে pubsical বলা হত. উনিশশো পঁচিশ সালে ট্রাঙ্ক অ্যাপার্সন একটি কোম্পানিকে তার এই প্রোডাক্ট বিক্রি করে. তারপরে এই প্রোডাক্ট পুরো পৃথিবীতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে.
নাম্বার দুই টি-শার্ট, দর্শক টি-শার্ট মূলত bachelor দের জন্য বানানো হয়েছে. উনিশশো চার সালে একটি কোম্পানি যার নাম ছিল coupon. সেখানে T-shirt কে প্রথমবার পৃথিবীর সামনে উন্মোচন করা হয়. সেই সময় T-shirt কে bachelor under শার্ট বলা হত. সেই সময় লোকজন কেবলমাত্র বোতাম ওয়ালা শার্ট পড়তো. যদি শার্টের বোতাম খুলে যেত তাহলে ঘরের মহিলারা সেটিকে ঠিক করতো কিন্তু যারা ব্যাচেলার ছিল, তাদের জন্য বোতাম সেলাই করা খুবই কষ্টসাধ্য একটি ব্যাপার ছিল. তারপর য়ার কুপার নামের কোম্পানি এই বিষয়টি খেয়াল করে T-shirt বানিয়েছিল. যাতে বোতাম লাগানোর ঝামেলাদের না পোহাতে হয়. সেই কোম্পানি হয়তো চিন্তাও করেনি এই T-shirt পুরো পৃথিবীতে এতটা জনপ্রিয় হবে.
নাম্বার এক মাইক্রোওয়েভ ওভেন. দর্শক মাইক্রোওয়েভ ওভেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কাছাকাছি সময় আবিষ্কৃত হয়েছিল. উনিশশো পঁয়তাল্লিশ সালে পার্সি লেবার অ্যান্ড স্পেন্সর নামে একজন বিজ্ঞানী ছিলেন. সে একটি কোম্পানির হয়ে কাজ করতো এই কোম্পানি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রাডার ট্রান্সমিটার তৈরি করতো. যেগুলো যুদ্ধের সময় ব্যবহার করা হতো. উনিশশো পঁয়তাল্লিশ সালে parsis spensor একটি রাডারের কাজ করছিলেন. কাজ করার সময় তিনি অনুভব করেন একটি চকলেট গলতে শুরু করেছে. রাডার থেকে বের হওয়া মাইক্রোওয়েভ তার কাছে থাকা চকলেট কে গলিয়ে দিয়েছিল. তখন সে চিন্তা করে মাইক্রোওয়েভ খাবার গরম করার কাজে ব্যবহার করা যাবে. তারপর সে সর্বপ্রথম microve oven তৈরি করে. সে সর্বপ্রথম ওভেনে popcorn বানিয়েছিল. বর্তমানে এই micro-bove oven পুরো পৃথিবীতে ব্যবহার করা হয়.
0 Comments