উট জীবিত সাপ খায় কেন এর কারণ কি? ---Al hadi

 


আসসালাম ওয়ালাইকুম উট কিন্তু সাপ খাই. শুনেছেন এই কথা কখনো, কি কারণে খাই? এবং কেন খাই? আর সব উট খাই. নাকি কিছু উট খাই. আসলে তাদের তো এটা খাদ্য নয়. তাহলে কেন খাই? এই সম্পর্কে কোরান ও বিজ্ঞানের আলোকে অত্যন্ত চমৎকার কিছু তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করবো. আশা করি. অজানা কিছু জানতে পারবেন. তাহলে চলুন দেরী না করে শুরু করা যাক 

কোরাআনে বিভিন্ন জায়গায় প্রাণী জগতের বর্ণনা এসেছে. শুধু তাই নয় পবিত্র কোরানে কয়েকটি সুরার নামও রাখা হয়েছে পশু ও পাখির নামে. যেমন সুরা আল বাকারা. অর্থাৎ গাভী  অর্থাৎ চতুষ্পদ জন্তু. সুরা নাহাল অর্থাৎ মধু মাক্ষী বা মৌমাছি. সুরা নামাল অর্থাৎ মাকড়সা. অর্থাৎ হাতি ইত্যাদি. এইসব পশুদের নামে পবিত্র কোরানে আলাদা আলাদা সুরা এসেছে. তেমনিভাবে পবিত্র কোরানে কিছু সূরাতে উটের আলোচনা হয়েছে উট এমন একটি প্রাণী যেটির বৈশিষ্ট্য অন্যান্য প্রাণী থেকে একটু ভিন্ন ও অদ্ভুত পবিত্র কোরানে উটের একটি রোগের আলোচনা করা হয়েছে. যে রোগ হলে উট একদম খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দেয়. 

মৃত্যুর আগে পর্যন্ত উট শুধু সূর্যের দিকে তাকিয়ে থাকে বিশেষজ্ঞগণ উটের এ রোগের ব্যাপারে গবেষণা করে কোন উৎস বা কারণ ব্যাখ্যা করতে পারেননি. এবং তারা এ রোগের নাম রেখেছেন অনেকে আবার এ বিষয়ে না জেনেই উটের ওপর নানা ধরনের জুলুম করা শুরু করে দেয় মনে করে এই উট কেনো খাচ্ছে না? কাজও কেনো করছে না? শুধু আকাশের দিকে তাকিয়ে কেন এ আবার কি হয়েছে? কিন্তু আল্লাহ তাআলা উটের হায়াম নামক এ রোগের শেফা রেখেছেন পবিত্র কোরানে. 

এর মহা ঔষধ হচ্ছে একটি জীবিত সাপ খাইয়ে দেওয়া. অনেক সময় সে নিজে নিজেও খেয়ে থাকে. এরপর উটটি যখন সাপকে খেয়ে নেয়. এ অবস্থায় প্রচণ্ড ত্রিরিশনা বাড়তে থাকে তার. আর তখন উটের চোখ থেকে পানি প্রবাহিত হতে থাকে. উটের চোখ থেকে যে পানি প্রবাহিত  হতে থাকে তা খুবই মূল্যবান পানি. কেননা এই পানি অন্য পানি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা. 

এ চোখের পানিকে তীরজাক বলা হয়. আর তীরজাক এমন এক মহা ঔষধ, যা কিনা েকোনো প্রাণী বিষকে নষ্ট করার জন্য উপযোগী মূল্যবান তীরজাত অনেক কষ্টে তৈরি করা সম্ভব. সে তীরজাকই হচ্ছে উটের সেই চোখের পানি যা বিষক্রিয়া নষ্ট করার কার্যকারী. উটের পিপাসার এই রোগটিকে কোরান মাজিদে জাহান্নামীদের শাস্তির সাথে তুলনা করে বায়ন করা হয়েছে. 

পবিত্র কোরানে বলেছেন তোমরা অবশ্যই ভক্ষণ করবে অতঃপর তা দ্বারা পেট পুরোনো করবে. অতঃপর তার উপর পান করবে উত্তপ্ত পানি. পান করবে পিপাসিত উটের ন্যায়. আয়াত কয়টির সারমর্ম কথা হচ্ছে একটি কাটা যুক্ত তিক্ত ফল. জাহান্নামীরা খাবে খিদের জ্বালায়. তাই খেয়ে যখন গলায় আটকে যাবে তখন সে পানি, পান করার জন্য চিৎকার করবে. এবং তাকে দেওয়া হবে উত্তপ্ত গরম পানি. তাই সে পিপাসার জ্বালায় ছটফট করে সেই পানি পান করে নিবে. আর এই পান করাটা হবে যেমন উট পানি পান করার জন্য চটপট  করে তেমনি. তার সাথে তুলনা করা হয়েছে পবিত্র কোরানে. 

জাহান্নামীদের সেই পানি এতই গরম, যা তাদের মুখের সামনে আনার সাথে সাথেই তাদের মুখের গোস্ত গলে পড়বে. তবুও এক শ্বাসে সে পানি পান করে নিবে. আর তারা তাদের পেটের সব আতুরি কেটে পেছনের রাস্তা দিয়ে বের হয়ে যাবে. এই জন্যই আমাদের বলেছেন পান করতে নিষেধ করেছেন. এরশাদ করেন, উটের মতো এক চাষে পানি পান করিও না. বরং তিন শ্বাসে পানি পান করো. হে আল্লাহ আমাদের সকলকে ক্ষমা করুন. এবং কোরান  হাদিস সঠিকভাবে  আমল করার এবং সে অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করার তৌফিক দান করুন. আমিন.


প্রিয় পাঠকগণ এখানে কোন ধরনের বানান ভুল ত্রুটি থাকলে সুন্দর ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন । সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন , পাশে থাকা কালো বেল আইকন এ ক্লিক allow button এ ক্লিক করে রাখতে পারেন । যাতে আমাদের প্রত্যেকটি পোস্ট আপলোড করার সাথে সাথে আপনি পেয়ে যান । সবাইকে ধন্যবাদ আল্লাহ হাফেজ

Post a Comment

0 Comments