আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা মিশর একটা এমন দেশ, যে দেশ সম্পূর্ণ রহস্যে ঘেরা. বিশ্বের সবচেয়ে রহস্যময় জায়গা সম্পর্ক কেউ যদি আপনাকে জিজ্ঞাসা করে, তাহলে কি বলবেন? সবার প্রথমে যে নাম আসে সেটি হলো এই ইজিপ্টের পিরামিড , প্রায় চার হাজার বছর আগে কুড়ি লক্ষ পাথর দিয়ে তৈরি হওয়া এমন এক স্থাপত্য যার রহস্য আজ অবধি কেউ ভেদ করতে পারেনি. আজকের পোস্টে সেই পিরামিডের দশটি এমন রহস্য সম্পর্কে বলবো. যা আজ অব্দি রহস্য. চলুন শুরু করা যাক.
এক : আজ থেকে প্রায় চার হাজার বছর আগে তৈরি হওয়া এই পিরামিডের প্রথম যে রহস্যের কথা বলবো যে পিরামিডটি কিন্তু চার সাইড নয়. পিরামিডে কিন্তু আট সাইড দিয়ে তৈরি অর্থাৎ এটি আট দু বর্তমান. উনিশশো সালে ব্রিটিশ পাইলট. যখন এর ওপর দিয়ে যাচ্ছিল তখন ছবি তুলতে দেখা গেল এটি আটটি দিক নিদর্শন করে. যেটি সূর্য চক্র এবং আধুনিক গলি বিদ্যাকে নিদর্শন করে. তখনকার দিনে এই সমস্ত আধুনিক বিদ্যা কোথায় ছিল?
দুই : এই পিরামিডটি তৈরি হয়েছে প্রায় কুড়ি লক্ষ পাথর দিয়ে. কুড়ি পাথর বা ব্লগস. প্রত্যেকটি ব্লকসের ওজন প্রায় দুহাজার সাতশো কিলোগ্রাম থেকে সত্তর হাজার কিলোগ্রাম. ভেবে দেখুন এত সংখ্যক পাথর যেটা ওই অঞ্চলে পাওয়া যেত না. প্রায় পাঁচশো মাইল দূর থেকে বহন করে নিয়ে গিয়ে এই পিরামিড তৈরি হয়েছে. তখনকার দিনে কোথায় ছিল এত টেকনোলজি? যা বর্তমান টেকনোলজি আধুনিক টেকনোলজি দেখা যায় যে কুড়ি কিলোগ্রাম পর্যন্ত পাথরকে তুলতে সক্ষম হয়. কিন্তু তখনকার দিনে সত্তর হাজার কিলোগ্রাম কি করে সম্ভব?
তিন নম্বর যে রহস্যের কথা বলব সেটা হল গড় বিশ্বে একই ধরনের ব্লকস পাওয়া এবং সেখানে একই ধরনের পিরামিড তৈরি হওয়া. যেখানে টেলিফোন না আছে কোন যোগাযোগ না আছে কোন কমিউনিকেশন সিস্টেম. সেই সময় গোটা বিশ্বে কি করে একই ধরনের ড়ামিড তৈরী হলো সেটাও কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার.
চতুর্থ যে রহস্যটার কথা বলবো সেটা হচ্ছে খুবই কম জায়গার মধ্যে তৈরী হওয়ায় পিরাবের ডি এক ডোম তৈরি হয়েছে সঠিক পদ্ধতিতে. প্রত্যেকটা দিকের মাপ এবং প্রত্যেকটা যে ভেতরে যে গুলি করা আছে অর্থাৎ যে chambers room করা আছে তাদের মাপও কিন্তু একদম সঠিক. সঠিক analysis তখনকার দিনে সত্যিই অবাক করা ব্যাপার.
আছে নাম্বার যে রহস্যের কথা বলবো সেটা হলো, Orian Belt, এটা actually কি? আকাশের তারাদের সীমা নির্দেশ করে যে পিরামিডটি তৈরি হয়েছে সেটা কিন্তু অরিয়েন্ট বেল্ট নির্দেশ করে অর্থাৎ অরিয়েন্ট বিল্টের মতোই কিন্তু পিরামিডটি নির্দেশ করা হয়েছে. তার মানে সত্যিই কি তারাদের সঙ্গে কোন সম্পর্ক পিরামিডের রয়েছে,
ছয়: এই পিরামিড় তৈরি করতে, আনুমানিক কুড়ি বছর লেগেছে বলে ধারণা করা হয় অর্থাৎ দু মিলিয়ন পাথর দিয়ে তৈরি এই পিরামিড এত ভারী ওজন সেটাকে সম্পূর্ণরূপে খুঁজে আনা এবং তাকে সঠিকভাবে বসানো. তার জন্য প্রত্যেক পাথরকে খুঁজে তৈরি করে সেট করার জন্য মাত্র দেড় মিনিট সময় লেগেছে প্রত্যেক কর্মচারীর.
এটা কি সত্যি সম্ভব? আধুনিক টেকনোলজির যুগেও কিন্তু এটা সম্ভব নয়. তখন কি করে possible হলো?
সাত: বর্তমান সময়ে যে টেকনোলজি use করেও এই ধরনের স্থাপত্য নির্মাণ করতে আমাদের অনেক সময় লাগবে কিন্তু চার হাজার বছর আগে কি করে এই ধরনের technology ছাড়া এই স্থাপত্য নির্মাণ হলো সেটা কিন্তু সত্যিই ভাবাই তাহলে কি এখনকার টেকনোলজির থেকে তখনকার মিশরীয়দের টেকনোলজি আরো উন্নত ছিল? নাকি এখানে লুকিয়ে আছে কোন ডেলিয়ার রহস্য. অনেকেরই ধারণা এই মিশরের পিরামেড কিন্তু তৈরি করেছে এলিয়েনরা.
আট : যেখানে আজ অব্দি এত বড় টেকনোলজি আবিষ্কার হওয়ার সত্ত্বেও এত বড় স্থাপত্যের ক্ষেত্রে temperature কে maintain করা খুবই কষ্টকর কিন্তু পিরামিডের মধ্যে ন্যাচারাল একটি এশি আছে যার জন্য সবসময় তাপমাত্রা কুড়ি ডিগ্রী সেন্ট্রিগেট ঘোরাফেরা করে. কি করে সম্ভব অটোমেটিক এই ন্যাচারাল মেশিন?
নয়: সিক্রেট রুমস, সিক্রেট রুমস কি? মিশরের এই পিরামিডের ভেতরে দেখা গেছে এমন কিছু রুমস যার যাওয়া আজ অব্দি possible হয়নি. রোবট পাঠিয়ে দেখা গেছে এর ভেতরে যে room গুলো প্রায় তিনশো ফুট লম্বা কিন্তু চওড়া মাত্র তিন মিটার. কেন এত ছোট room তৈরি করা হলো?
নাম্বার 10 : এই পিরামিড়ের মধ্যে মিশরের রাজা বাদশাহ মারা গেলে পিরামিডের মধ্যে মমি করে রাখা হতো, তাদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের কুসংস্কার ছিল তারা মমি করার আগের সেই মা্নুষটির দেহ থেকে সবকিছু নিয়ে নিত শুধুমাত্র হৃৎপিণ্ডটা রাখতো, তারা মাথার মগজ পর্যন্ত বের করে নিত।
বন্ধুরা আজ এতটুকুও, সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিদায় নিচ্ছি আসসালামু আলাইকুম সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
0 Comments