পৃথিবীর যে রহস্যময় স্থান গুলোতে মাধ্যাকর্ষণ বা গ্রাভিটি কাজ করে না । Gravity doesn't work in the mysterious places on Earth . ----Al hadi

বন্ধুরা  মাথায় আপেল পড়ে বিজ্ঞানী নিউট্রনের মাত্রাকর্ষণ আবিষ্কারের গল্প কম বেশি আমাদের সবারই জানা. সূত্র মতে যেকোনো বস্ত ওপরের দিকে ছুঁড়ে দিলে সেটি আবার নিচের দিকে ফিরে আসে. এই মাধ্যাকর্ষণ কার নেই. এই মাধ্যাকর্ষণ বা গ্র্যাভিটি সকল বস্তুর মধ্যেই রয়েছে. এমনকি আপনার মধ্যেও রয়েছে. কিন্তু অপনাকে যদি এমন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে আপনি দেখবেন আপনার চির চেনা মাধ্যাকর্ষণ ঠিকভাবে কাজ করছে না. তাহলে কেমন লাগবে আপনার? নিজের চোখকে অবিশ্বাস করবেন নাকি প্রভাব মনে করবেন. পৃথিবীতে এমন বেশ কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে গেলে আপনার মনে হবে মাধ্যাকর্ষণ ঠিকভাবে কাজ করছে না. পৃথিবীর বুকে এই অদ্ভুত জায়গা গুলোর সম্পর্কে আলোচনা হবে আমাদের আজকের পোস্টে, তো দেরি  না করে শুরু করা যাক আজকের পোস্ট. 

 

নাম্বার এক নাম্বার একে আছে সান্তা ক্রুজের রহস্যময় স্থান. তা এই জায়গাটি উনিশশো উনচল্লিশ খ্রিস্টাব্দে আবিষ্কার করেন জর্জ ব্লেজার নামক এক ব্যক্তি. এই স্থানটি দিয়ে একদিন জর্জ ব্লেজার যাচ্ছিলেন. তখন তিনি অনুভব করলেন, হঠাৎ করে তার মাথা যেন ঘুরছে এবং শুধু তাই নয়, তার কম্পাসের কাঁটাটাও অস্বাভাবিক আচরণ করছে. এরপর থেকেই ওই জায়গার প্রতি তার এতটাই আকর্ষণ জন্ম নেয় যে তিনি ওই জায়গাটিতে গবেষণা করার জন্য পুরো জায়গাটাই কিনে ফেলেন. এবং সেখানে একটি বাড়িও বানিয়ে ফেলেন. তারপর তিনি নতুন নতুন অতিথিদের ডাকতেন. এবং সেখানে হওয়া আশ্চর্য ঘটনাগুলো প্রদর্শন করতেন. এবং তার গবেষণা চালিয়ে যেতেন. 

তিনি লক্ষ্য করেন ওই বাড়ির যেকোনো সমতল জায়গাতে যে কেউ এসে দাঁড়াতে পারে. এছাড়াও কোন বল ছুঁড়ে দিলে সেটি মাটিতে পড়ে না. বল উপরের দিকে গড়াগড়ি খায়. যা পৃথিবীর অন্যান্য জায়গায় করা যাবে না. 

আশ্চর্যজনক হলো এখানে জল নিচের দিকে গিয়ে উপরের দিকে যায়. বর্তমানে বাড়িটি ক্যালিফোনিয়ার সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে. পর্যটকরা অবাক হন এই বাড়িতে আসলে. কিছু. কিছু কিছু লোক মনে করে এখানে মাটির নিচে চুম্বক ক্ষেত্র থাকার ফলে সেখানে মাধ্যাকর্ষণ কাজ করে না. তবে এর ব্যাখ্যাও সঠিকভাবে মেলেনি. 


নাম্বার টু, নাম্বার টুয়ে আছে inverted waterfall থ্রিলি. এই খানে জল নিচের দিকে না গিয়ে গ্রাভিটিকে উপেক্ষা করে উপরের দিকে বয়ে যায়. প্রকৃতির এই অবাক করা দৃষ্টি দেখা যায় চিলিতে. আপনি হয়তো ভাবতে পারেন এই ঘটনার জন্য এটা কোন জাদু, যা পদার্থের কোন নিয়ম মানে না. তবে আসল কারণ আপনাদের বলি. আসলে সেখানকার অতি দ্রুত বয়ে যাওয়া বাতাস জলকে নিচের দিকে যেতে না দিয়ে উপরের দিকে পাঠিয়ে দেয়. 

 এই জায়গায় সব সময় জোরে হাওয়া বয়ে চলেছে. এরকম জায়গা পৃথিবীতে এটা প্রথম নয়. বরং এই স্থান আছে ভারতেও. এবং অশ্লী য়ত দেখা গেছে. ভারতের মহারাষ্ট্রে পুনেতে এরূপ জলপ্রপাত লক্ষ্য করা যায়. 


নাম্বার 3  তে আছে overdam. এই জায়গাটি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান. এর বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা এবং আয়তন অসাধারণ. কিন্তু অভিকর্ষ টান এখানে নেই. যদি আপনি এই জায়গায় যান, তাহলে আপনি আপনার জলের বোতল থেকে, নিচে জল ফেলার চেষ্টা করবেন, দেখবেন তা নিচের দিকে না গিয়ে উপরের দিকে উঠে যাচ্ছে. বিজ্ঞানীদের মতে এই ড্যামটি অনেক কনস্ট্রাকশন হওয়ার পর এখানে একটি ম্যাগনেটিক সিল্ড তৈরি হয়েছে. যার স্বরূপ এখানে কোনো অভিকর্ষ কাজ করে না. 


নাম্বার চারে আছে ম্যাগনেটিক হিল.  ম্যাগনেটিক হিল নামে পরিচিত ভারতের এমন একটি জায়গা যেখানে প্রকৃতি তার নিজের নিয়মের বিপরী চলে. চুম্বকীয় পাহাড় যেখানে চুম্বকের ক্ষমতা, ভারতের অন্যান্য স্থানের তুলনায় অনেক বেশি বলে মনে করা হয়. ভারতের লাদাখে লে জেলায় ম্যাগনেটিক হিল নামক একটা জায়গা আছে. যেখানে কোন বস্তু পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণের বিপরীতে কাজ করে. 

এখানকার রাস্তায় যদি চারচাকার গাড়িকে নিউট্রাল করে রাখা হয় তবে দেখা যাবে গাড়িটি নিচুর দিকে না গিয়ে যেদিকে অর্থাৎ পাহাড়ের দিকে যেতে শুরু করে. এটি এখন লাদাখের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে. পর্যটকরা এসে তাদের গাড়িকে এইভাবেই পরীক্ষা করে. 

নাম্বার পাচেঁ আছে দা গোল্ডেন বোল্ডার মায়ানমার. মায়ানমারে বার্মাতে অবস্থিত সোনার মতো উজ্জ্বল এই পাথর, বছরের পর বছর এমন ভাবেই রাখা আছে. বৌদ্ধ ধর্মের মানুষরা এই জায়গাকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করে. এই পাথরে না পড়ে যাওয়ার রহস্য হাজার বছর পুরোনো. মোটামোটি দুহাজার পাঁচশো সালের আগের থেকে এই রকম ভাবে এই স্থানে যেন আটকে আছে. 

বৌদ্ধরা মনে ড়ে গৌতম বুদ্ধের মাথার একটি মাত্র কেশ এই পাথরের ভিতরে অবস্থিত বলে এই পাথর বছরের পর বছর এমন ভাবেই আছে. যারা পুজো করতে আসে তারা নাকি সোনার প্রলেপ লাগায়. যার কারণে এই পাথরটা golden color ধারণ করেছে. এই পাথরের এইভাবে ঝুলে থাকা রহস্য বিজ্ঞানীরা ভেদ করতে পারেনি. তবে বৌদ্ধরা বলে কোন নারী এতে ছুলে এই পাথর নিচে পড়ে যাবে. তাই মহিলাদের সেখানে নিষিদ্ধ.


 বন্ধুরা এই ছিল পাঁচটি রহস্যমান জায়গা. আপনাদের কোনটা বেশি ভালো লাগলো তা নিচে কমেন্ট করে অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না. তো বন্ধুরা আজকে আমার টপিক ভালো লেগে থাকলে, বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন .আবারো বিদায় নিচ্ছি সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আল্লাহ হাফেজ সবাই দোয়া করবেন.  


মানুষ আরোও যা জানতে চাই বা জিজ্ঞেস করে : মাধ্যাকর্ষণ ও অভিকর্ষ , মাধ্যাকর্ষণ সূত্র ,মাধ্যাকর্ষণ কি, মাধ্যাকর্ষণ বলের প্রভাবে গতি বৃদ্ধি ,মাধ্যাকর্ষণ বানান, মাধ্যাকর্ষণ সন্ধি বিচ্ছেদ, মধ্যাকর্ষণ ,একটি ফল গাছ থেকে পড়লে কি বল হবে, মাধ্যাকর্ষণ ,মাধ্যাকর্ষণ শক্তি, মাধ্যাকর্ষণ বল কাকে বলে, মাধ্যাকর্ষণ কি ,মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কে আবিষ্কার করেন ,মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কাকে বলে, মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কী ,মাধ্যাকর্ষণ সূত্র ,মাধ্যাকর্ষণ কাকে বলে,

Post a Comment

0 Comments