536 একটি অভিশপ্ত সাল! কি হয়েছিল 536 খ্রিস্টাব্দে ? .... Al hadi

 


বন্ধুরা , পাঁচশো ছত্রিশ খ্রিস্টাব্দে কেমন ছিল সেটা কি জানা আছে কারোর. হয়তো আমরা অনেকেই জানি না. ধরুন পৃথিবীতে কোন এক এমন সময় আসলো, যেটা এতটাই ভয়ঙ্কর যে মানুষের কল্পনার জগতের বাইরে চারিদিক থেকে শুধু খারাপ খবরই আসতে লাগলো, আপনারা অনেকেই ভাবছেন এখন দুহাজার বিশ সাল সবথেকে অভিশপ্ত ছিল, কিন্তু বিশ্বাস করেন অতীতে মানুষ এর থেকে অনেক ভয়ঙ্কর সময় পার করেছেন. চলুন ভয়ঙ্কর সময়গুলোর ব্যাপারে জেনে আসি. 

উনিশশো আঠেরো খ্রিস্টাব্দে the স্প্যানিশ blue দ্বারা মোট দু কোটির বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল. উনিশশো একচল্লিশ থেকে ঊনিশশো পঁয়তাল্লিশ খ্রিস্টাব্দে, নাজিয়ারা ষাট লাখ ইহুদিদের হত্যা করেছিল. আর তেরোশো সাতচল্লিশ খ্রিস্টাব্দে আসা, the blacked মহামারী ইউরোপে অর্ধেকের বেশি মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছিল. এবং খাদ্য চরমে. কিন্তু এই সমস্ত সাল বাদ দেওয়ার পরও ইতিহাসের বুকে এমন এক সাল আছে যেটি আজ অবধি পৃথিবীতে আসা সব সালের থেকে বেশি ভয়ঙ্কর. 

ধরে নিন আপনার একটা টাইম মেশিন দেওয়া হলো. এবং বলা হলো অতীতে যেকোনো একটা random, year আপনাকে ছেড়ে দেওয়া হবে. আর আপনাকে choose করতে হবে. যেকোনো একটি সাল, যেই সালটায় কোনো মতে যেতে চাইবেন না. তাহলে আপনি ইতিহাসের কোন সালটিকে choose করবেন? মাইকেল, ম্যাক্রোমিক, হারবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের history প্রভাষক  তিনি বলেন ইয়ার পাঁচশো ছত্রিশ খ্রিস্টাব্দে, সেই সাল. যেই সালে আপনি কোনমতে বাঁচতে চাইবেন না. আসলে কি হয়েছিল পাঁচশো ছত্রিশ খ্রিস্টাব্দে? 


হঠাৎ করে আকাশে কিছু অবাক করা জিনিস দেখা যায়. হঠাৎ করে ফগে ঢাকা পরে যায় পুরো আকাশ পুরা পৃথিবী. Europe, Midlist আর এশিয়ার কিছু অংশ পুরো অন্ধকারে ডুবে যায়. দিন অথবা রাত আঠেরো মাসের বেশি অর্ধেক পৃথিবী অন্ধকারে থেকে যায়. কেননা fog বা কুয়াশাতে পুরো সূর্য ঢাকা পড়ে গিয়েছিলো. তার জন্য সূর্যের আলো পৃথিবীতে না পড়ার জন্য গরমের সময় temperature two point five degree নিচে নেমে গিয়েছিল. আবাদি ফসল সম্পূর্ণ রূপে ধ্বংস হয়ে যায়. 


আর অসংখ্য লোক অনাহারে মৃত্যু বরণ করেন. কথিত আছে পাঁচশো ছত্রিশ খ্রিস্টাব্দে পৃথিবীর সবথেকে বেশি ভয়ানক রূপ দেখিয়েছিল. ছত্তিরিশ খ্রিস্টাব্দে যেই ঠান্ডা পড়েছিল সেরকম ঠান্ডা তেইশশো সাল অব্দি পড়েনি. চায়নাতে গ্রীষ্মকালে বরফ পড়তে থাকে. আইরিশ কর্নিক্যাল থেকে আমরা জানতে পারি আইল্যান্ডে পাঁচশো ছত্রিশ থেকে পাঁচশো সাই তিরিশ অব্দি খাদ্য সংকটে চরম আকাল পড়ে. শুধু এটা যথেষ্ট ছিল না. পাঁচশো তেতাল্লিশ তে eastern রোমান আম্পায়ার ও justice plake নামক মহামারী ছড়িয়ে পড়েছিল. পঁচিশ মিলিয়নের থেকে বেশি মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছিল. ওই সময় চারিদিকে এতটাই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল যে মানুষ এটাই মানতে থাকে. যে পৃথিবী ধ্বংসের মুখে.


 বহু বছর  মানুষের কাছে রহস্যময় ছিল. ওই ফ্রকটা কিভাবে আসলো? কিন্তু এখন বৈজ্ঞানিকরা এর নির্দিষ্ট কারণ খুঁজে বের করেন. ওই ফ্রকটা আসার কারণ ছিল আইসল্যান্ডের ম্যাক্সিকোতা হওয়া এক বিরাট জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির. যার ফলে পৃথিবীর একটা বড় অংশ ছায়া ঢাকা পরে যায়. ওই চলন্ত আগ্নেয়গিরিটা এত বিশাল ছিল যে Global warming কে অবধি পরিবর্তন করে দিয়েছিল. যার ফলে খাদ্য সংকট ও মহামারী শুরু হয়. তারপরই পাঁচশো তেতাল্লিশ থেকে পাঁচশো সাতচল্লিশ খ্রিস্টপূর্ব অব্দে আবার দুটো আগ্নেয়গিরি জ্বলে ওঠে. সব মিলিয়ে ক্ষতির পরিমান এতটাই বেড়ে যায় যে বিরোগকে একশো বছর লেগেছিল পুরো জিনিসটাকে করতে তার জন্য কোটা sixth century কে dark age এর নামে মনে রাখা হয়. 

ইতিহাস বিদরা বলেন six century বেঁচে থাকার জন্য একটা ভয়ঙ্কর যুগ ছিল. তাতে আপনি কোনো রাজার বাড়িতে জন্ম গ্রহণ করলেও আপনি এর হাত থেকে রক্ষা পেতেন না.  একজন ইতিহাসবিদ. তিনি লিখেছিলেন ওই সময় এতটা ভয়ঙ্কর ছিল যে সূর্যও চন্দন গায়েব হয়ে গিয়েছিল. রোদের কোনো প্রকার দেখা পাওয়া যেত না ,  খাদ্য সংকট ছিলঅনে বেশী . চারিদিকে শুধু ছিল মৃত্যুর খবর. 

Post a Comment

0 Comments