আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, বন্ধুরা পৃথিবী ধ্বংসশীল প্রত্যেক জীবকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে. দর্শক এখন প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে আজরাইল আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেই নিজের জান কবজ করবেন. কেয়ামতের দিনে আল্লাহতালা ইসরাফিল আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলবেন শিংগায় ফুঁক দাও দাও. ইসরাফিল সিংহের প্রথম ফোঁক দেওয়ার সাথে সাথে পুরো পৃথিবীতে ভূমিকম্প শুরু হয়ে যাবে. সেদিন মানুষ হবে বিক্ষিপ্ত পতঙ্গের মতো. এবং পর্বতমালা হবে ধনীদের রঙিন পশমের মতো. চারিদিকে মানুষ দৌড়াবে এত ভয়ঙ্কর দৃশ্য যা মানুষ আগে কখনো দেখেনি.
নিজের জীবন বাঁচানোর জন্য মানুষ উদাসীন থাকবে. দুই বছরের বাচ্চাকে রেখে দৌড়ে জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করবে. পবিত্র কোরানে বলা হয়েছে, কেয়ামতের সময় তিন মাসের গর্ভবতী মহিলারা থাকবে, যখন বাচ্চাগুলোর গঠন হবে অপরিপক্ক. অপরিণত. কিন্তু য়ামতের এমন ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখে মাতার তিন মাসের অপরিণত বাচ্চাকে প্রসব করে ফেলবে. আল্লাহতালা ইরশাদ করে আবারো বলবেন. সাথে সাথে পৃথিবীর সকল মানুষ মারা যাবে. সকল প্রকার জীব এবং গোটা পৃথিবী ধ্বংস হয়ে মাটির সাথে নিমেষে মিশে যাবে.
ভূমণ্ডল তার কম্পনে প্রকম্পিত হবে. তখন সে তার ভূমিতে মানুষ নামের বোঝার বইতে পারবে না. মানুষকে উড়িয়ে দেবে. সেইদিন এই ভূমণ্ডল রূপান্তরিত করা হবে অন্য ভূমণ্ডলে. আকাশ জমিন এক হয়ে যাবে. সূর্য আলোহীন হয়ে যাবে. আর নক্ষত্র খসে খসে পড়বে. সমুদ্রে উত্তাল ঢেউ শুরু হয়ে যাবে. মানুষ বলবে হায় আল্লাহ হায় আল্লাহ এ কি হচ্ছে, আমাদের রক্ষা করো. কিন্তু ততদিনে আমাদের গুনাহ কমানোর দিন শেষ হয়ে গেছে. এভাবে সকল প্রকার জীব ধ্বংস হয়ে যাবে. আশ্রয় এসে আল্লাহ তায়ালাকে বলবে পৃথিবীর সকল প্রাণী শেষ. কেউ নেই. মানুষ বিহীন পৃথিবী পড়ে আছে. যে পৃথিবী এতদিন কোলাহলে পড়েছিল. আজ নেই. পৃথিবী জনশূন্য হয়ে পড়ে আছে.
এখন আছে শুধু জিন জাতি তখন আল্লাহতালা বলবেন এবার জিনদের ধ্বংস করে আসুন. তাদের জান কবজ করে এসো. আল্লাহ তালা পৃথিবীতে প্রথম জিন জাতে প্রেরণ করেন. জিনেরও মানুষের মতো করে নামাজ রোজা এবং হজ পালন করে থাকে. তাই কেয়ামতের তাদেরও হিসাব হবে. জিন জাতি থেকেই শয়তানের সৃষ্টি হয়ে থাকে. অনেকেই মনে করে জিনারা ৃত্যু বরণ করে কিনা? হ্যাঁ, জিনেরও মৃত্যু বরণ করে এবং মানুষের মতো জিন্দের জান কবজ করে থাকেন. তবে জিন্দের মৃত্যুর উপলক্ষ, মানুষের মৃত্যুর উপলক্ষ্যের সঙ্গে মিল নাও থাকতে পারে.
সাধারণত জিনেরা জ্বলন্ত অগ্নিশিখায় পুড়ে মারা যায়. হত্যা ও লড়ায়েও অনেকের মৃত্যু ঘটে. তাদের অসুখ হয় অসুখে অনেকের মৃত্যু হয়. আবার অনেকেই সাগরে ডুবে মরে. সাগরে তলদেশে চলে গেলে ড়া আর ফিরে আসে না. কেউ কেউ মহাশূন্যে হারিয়ে যায়. জিনেরা যেহেতু বিভিন্ন আকৃতি ধারণ করতে পারে তাই ধারণকৃত আকৃতিতেও তাদের মৃত্যু হতে পারে. এইভাবে কেয়ামতের দিন সকল জিনদের যান কবজ করবেন. পবিত্র কোরানে বলা হয়েছে সব থেকে বেশি কষ্ট দিয়ে মারা হবে ইবলিশকে.
যেহেতু ইবলিশ শয়তান হলেও জাতির থেকে সৃষ্টি হয়েছে. এইভাবে পৃথিবী থেকে সকল মানুষ জিন এবং পশুপাখি হারিয়ে যাবে. শুধু পড়ে থাকবে শূন্য পৃথিবী. এরপর আল্লাহতালা মালাকুল মথকে প্রশ্ন করবেন, হে আজরাইল. একন আর কে আছে? তখন মালাকুল মথ বলবে এখন শুধু ফেরেস্তারা আছে. আল্লাহ বলবেন তাহলে তাদেরও যান কবজ করে এসো. এইভাবে মালাকুল মথ সকল ফেরেস্তার যান একে একে কবজ করবেন. এরপর আল্লাহতালা আবারো মালাকুল মত কে প্রশ্ন করবেন হে আজারাইল, আর কে কে আছে আমাকে বলো মালাকুল মউদ বলবে ইয়া মাবুদ কেউ আর বেঁচে নেই.
মানুষ নেই, জিন নেই ফেরেস্তা গণ নেই শুধুমাত্র আমার তিনজন সহকর্মী ফেরেস্তা বাকি হযরত হযরত এবং হযরত আল্লাহ তায়ালা বলবেন যাও তাদের রূহ কবজ করে নিয়ে এসো যারা আমার আদেশের অপেক্ষায় থাকতো, যারা আমার অনুগত ছিল এদিকে ইসরাইফের আক্ষেপ করছে কখন আল্লাহতালা আদেশ দেবে সিঙ্গায় তৃতীয় ফুঁক দেওয়ার জন্য. কিন্তু ওই অবস্থায় মালাকুল মাউদ তার রূহ কবজ করে ফেলে. এভাবে বাকি তিনজনের রুহু কবজ করে নিয়ে আসবে.
এবার মৃত্যুর ফেরিস্তা মালাইকুম মত আল্লাহতালার কাছে এসে বলবে ইয়া মাবুদ, মহাবিশ্বে আর কোন প্রাণীর অস্তিত্ব নেই. ফেরেস্তা, নেই কোনো জিন জাতি নেই কোনো মানুষ এই মহাবিশে শুধু আমিই আছি আর কেউ নেই তখন আল্লাহ তাআলা বলবেন হে মালাকুল মউথ এবার তুমি তোমার রূপ কবজ করো শুনে মৃত্যুর ফেরেস্তা মালাকুল মুখ প্রচন্ড জোরে চিৎকার দিয়ে বলবে হে আমার রব. আমি কেন মরবো? আমি তো এতদিন সবার রূপ কবজ করে আসছি আমি কেন মরবো? তখন আল্লাহ তাআলা বলবেন হে মৃত্যুর ফেরেস্তা সকল আত্মাকে মৃত্যুর স্বাদ নিতে হবে. তাই তোমাকেও মরতে হবে. আল্লাহর আজরাইল আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলবেন তুমি জান্নাত এবং জাহান্নামের সামনে গিয়ে দাঁড়াও.
তখন জান্নাত এবং জাহান্নামের দৃশ্য দেখে চিৎকার করতে করতে নিজের রূপ কবজ করবে আর বলবে হে মাবুদ রুহ কবজ করতে যে এত কষ্ট আমি জানতাম না এরপর আল্লাহতালা পুনরায় পৃথিবী জাগিয়ে তুলবেন. আর বিচার শুরু করার আগে সকল ফেরেস্তা জিন জাতি এবং মানুষকে পুনরায় জীবিত করে তুলবেন. এইভাবে একের পর এক বিচারকার্য শুরু হবে.
মানুষ আরো যা জিজ্ঞেস করে বা জানতে চাই : আজরাইলের মৃত্যু কিভাবে হবে আজরাইলের ছবি মৃত্যুর পর শরীরে কি হয় মৃত্যুর সংকেত কি কি আজরাইল কিভাবে জান কবজ করে যে ২ টি মানুষের জান কবজ করতে আজরাইলেরও মায়া লেগে গিয়েছিল ফেরেশতাদের কি | ফেরেশতাদের কি মৃত্যু হবে ফেরেশতা কি ফেরেশতারা কি আল্লাহকে দেখেছেন ফেরেশতা কি দিয়ে তৈরি ফেরেশতাদের কাজ কি ফেরেশতাদের কেবলার নাম কি ফেরেশতাগণ কি ফেরেশতারা কি
0 Comments