আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা ক্রিকেটের মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয় টেস্ট ক্রিকেট কে, ক্রিকেটের এই ফরমেট দিয়েই পথ চল শুরু হয় ক্রিকেটের. তবে ক্রিকেটের এই লম্বা format এও অনেক দলের আছে চরম batting বিপর্যয়ের ইতিহাস. আঠারোশো সাতাত্তর সালে তেরোই মার্চে শুরু হয়েছে টেস্ট খেলা. এর একশো তেতাল্লিশ বছরের দীর্ঘ পথ চলার ইতিহাসের কিছু তথ্য নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা, আজ আমরা আলোচনা করব ক্রিকেট ইতিহাসের এক টেস্ট ম্যাচে এক ইনিংসে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড নিয়ে,
নাম্বার 1 : নিউজিল্যান্ড, টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এক ইনিংসে সবথেকে কম run এ all আউট হওয়ার রেকর্ড টি গড়েছিল নিউজিল্যান্ড. উনিশ পঞ্চান্ন সালের মার্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের অকল্যান্ডের মাটিতেই ছাব্বিশ রানে শেষ হয়ে যায় কিউইরা. বব, অ্যাপোলিয়ার্ড, যোনি ওয়ার্ল্ড, ফ্র্যাংটাইশান ও ব্র্যান্ড ইস্টাথমের দ্বুপে টিকতেই পারেনি birth cyclif এর মতো batsman রা.
নাম্বার 2 : সাউথ আফ্রিকা. এরপরে সবচেয়ে কম রানে গুটিয়ে যাওয়া টানা চার কীটটি আসে দক্ষিণ আফ্রিকার. যার তিনটি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে. তিরিশ রানে ইংল্যান্ডের বার্মিংহাম টেস্টে তিরিশ রানে ও কেবডাউনে পঁয়ত্রিশ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল প্রোটিয়ারা. অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মেলবোর্নে ছত্রিশ রানে গুটিয়ে যাওয়ার নজিরও আছে তাদের.
নাম্বার 3 :Australia তালিকার পরের নামটা অবশ্য অস্ট্রেলিয়ারি. ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বার্মিংহামে উনিশশো সালে ছত্রিশ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ানরা. ইংল্যান্ডের বিখ্যাত অলরাউন্ডার উইল ফ অস্ট্রেলিয়ার কোন ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কের ঘরে স্পর্শ করতে পারেনি. দলের সর্বোচ্চ রান করেছিল ওপেনার ভিক্টোর ট্রাম্পার. উইলফেড রোডস মাত্র সতেরো রান খরচ করে তুলে নিয়েছিলেন সাত উইকেট.
নাম্বার 4 : India. Edulate test এ গোলাপি বলে চোখে সর্ষেফুল দেখছে ভারত. গুটিয়ে গেছে ভারত মাত্র ছত্রিশ run এ. test cricket এ এটি ভারতের সর্বনিম্ন score. আগে ছিল বিয়াল্লিশ রানের. ২০২০ সালে এসে পাট কাম্মিনস ও জর্জ হেজালুটের ঝড়ো পেজ বোলিং এ উড়ে যায় ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস কামিন্স একুশ রানে চার উইকেট পান. এজল উডের শিকার আট রানে পাঁচ উইকেট. মাত্র একুশ দশমিক এক ওভারে ছত্রিশ রানে শেষ ভারতের ইনিংস.
নাম্বার 5 : আইল্যান্ড. তালিকার পঞ্চম অবস্থানে করে নিয়েছেন. দুহাজার উনিশ সালের ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক lords এ লজ্জাজনক record টি করেন. ইংল্যান্ডের বোলিং ুপে মাত্র আটত্রিশ রানে গুটিয়ে যায় আইল্যান্ডের সেকেন্ড ইনিংস. ইনিংসে আল এর জ্যামস ম্যাককলাম ছাড়া কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেনি. আইল্যান্ড মাত্র পনেরো দশমিক চার ওভার পর্যন্ত টিকতে পেরেছিলেন.
আর এই অফার গুলো ভাগ করে নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের বিধ্বংসী ফাস্ট বোলার ক্রিস ওয়াক্স এবং straight broad. তারা দুজনেই যথাক্রমে ছয় এবং চার উইকেট তুলে নিয়ে আইল্যান্ডের ইনিংসের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছিলেন. এই টেস্টে ইংল্যান্ড একশো তেতাল্লিশ রানের বিশাল জয় পায়. তবে বিরানব্বই রান করার কারণে ম্যান অফ দা ম্যাচ হয়েছিলেন ইংল্যান্ডের ওপেনার জ্যাকলিচ.
নাম্বার 6 : বাংলাদেশ. যে বাংলাদেশ টেস্ট পরিবারের অন্যতম দুর্বল দল পরিচিত সে বাংলাদেশের টেস্ট পারফরম্যান্স নিয়ে ক্রিকেট দুনিয়ায় বিস্তর সমালোচনা. সেই বাংলাদেশ এই তালিকায় কিছুটা স্বস্তি পেতে পারে. লজ্জার এই তালিকার শীর্ষে দশে অন্তত নেই সাকিব, তামিম, মার্সাফিরা. বাংলাদেশের সর্বনিম্ন টেস্ট ইনিংস ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এন্টিগার নট সাউন্ডে সার্ভি রিচার্জ স্টেডিয়ামে খেলতে নেমে তেতাল্লিশ রানে গুটিয়ে গিয়েছিলেন শাকিব তামিমরা. টেস্ট ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানের তালিকায় যার অবস্থান এখনো তেরো নম্বরে.
সেদিন একাই লড়ে গিয়েছিলেন ওপেনার লিটন দাস. করেছিলেন পঁচিশ রান. বাংলাদেশের কাছে যম হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন কামার রোজ. মাত্র আট রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন এই পেসার.
Number 7 : England. টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এক ইনিংসে পঁয়তাল্লিশ run এ all আউট হওয়ার record টি গড়েছেন ইংল্যান্ড. উনিশশো সাতাশি সালের নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে পঁয়তাল্লিশ রানে শেষ হয়ে যায় ইংলিশরা. চার লিটারনার এবং জেজে ফেরিসের বোলিং তোপে ইংল্যান্ডে দশ ব্যাটসম্যানের কেউই দুই অংকের স্পর্শ করতে পারেনি. দলের হয়ে একমাত্র জ্বর, স্লোহমান সর্বোচ্চ শতরান করতে পেরেছিলেন. চারিটার্নার মাত্র পনেরো রান খরচ করে নিয়েছিলেন ছয় উইকেট. অপরদিকে যযে ফরিজ, সাতাশ রান খরচ করে তুলে নিয়েছেন চার উইকেট.
Number 8 : ওয়েস্ট ইন্ডিজ. সময়ের সবচেয়ে অনুময় দল বুঝি এই জন্যই বলা হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে. চার ছক্কার ঝরে বোলারদের গুঁড়িয়ে দিতে পারে যে বেটিং লাইন আপ তারাই কিনা বিধস্ত হতে পারে সাতচল্লিশ রানে গুটিয়ে গিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ করেছিল এক বিব্রত কর রেকর্ড. রেকর্ড করা ইংল্যান্ড জিতে নিল টেস্ট সিরিস.
দু হাজার চার সালে এমন লজ্জার রেকর্ড গড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে. যেখানে প্রথম ইনিংসে তিনশো এগারো রান করতে সক্ষম হয়েছিল সেখানে দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের এমন দশা. তখনকার ইংল্যান্ডের দুর্দান্ত বোলার স্টিফ হারমিসন একাই যেন গুটিয়ে দিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে. মাত্র বারো রান খরচ করে তোলেন য়েছিলেন সাত উইকেট.
নাম্বার 9 : পাকিস্তান. দু হাজার তেরো সালে সাউথ আফ্রিকা পারি জমিয়েছিল পাকিস্তান. এরপর প্রথম টেস্ট ম্যাচে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র ঊনপঞ্চাশ রানে গুটিয়ে গিয়েছিলো পাকিস্তান. সেটি test cricket ইতিহাসে পাকিস্তানের সর্বনিম্ন সংগ্রহ. অবশ্য কপালগুড়ে match টি দুইশো এগারো রানে জয় পায় South Africa. বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হওয়ার কথা ছিল.
South Africa র বিধ্বংস fast baller ডেলিস্টাইনের সামনে কোনো পাকিস্তানি batsman ব্যাট তুলে দাঁড়াতে পারেনি. মাত্র চার রান খরচ করে তুলে নিয়েছেন ছয় উইকেট. দলের হয়ে সর্বোচ্চ বারো রান করেছিলেন আজাহার আলী.
Number 10 :জিম্বাবুয়ে, জিম্বাবুয়ের তখন সবচেয়ে খারাপ সময় যাচ্ছিল, পরাজয়ের গর্ত থেকে কোনো ভাবেই যেন উপরে উঠতে পারছে না. তার উপর আবার নিউজিল্যান্ডের প্রথম একমাত্র টেস্ট ম্যাচে মাত্র একান্ন রান করতেই জাপ্টে ধরেছে জিম্বাবয়ে কে. দুহাজার বারো সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র একান্ন রানে অল আউট হয়েছিল জিম্বাবে. দলের হয়ে শুধুমাত্র ম্যালকম আর সর্বোচ্চ তেইশ run করতে পেরেছিল. আর কেউই দুই অঙ্কের ঘরেই স্পর্শ করতে পারেনি.
আজ এতোটুকু আবারো বিদায় নিচ্ছি, সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ আল্লাহ হাফেজ।
0 Comments