প্রিয় দর্শক, খেলাধুলা মানেই জয়ের জন্য তুমুল লড়াই হবে. দর্শকরা সব সময় এই খেলা দেখার সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা পছন্দ করেন. প্রতিপক্ষ হালকা হলে সহজেই হার জিত হয়ে যায়. আর কেউ খুব একটা উপভোগ করেন না. কিন্তু যদি এমন হয় ম্যাচটিতে এত বেশি প্রতিদ্বন্দ্বীতা হচ্ছে যে জয়ী পরাজয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য শেষ বল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়. তাহলে খেলাটি সবার অনেক উপভোগ্য হয়ে ওঠে. চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু ক্রিকেটারদের সম্পর্কে যারা শেষে বলে ৬ মেরে দলকে জিতিয়ে দিয়েছেন. চলুন শুরু করা যাক.
শিবনারায়ণ চন্দ্রপাল. ওয়েস্ট ইন্ডিজ. জয়ের জন্য প্রয়োজন এক বলে ছয় রান. চারিদিকে দর্শকদের মাঝে টান টান উত্তেজনা. হ্যাঁ বন্ধুরা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভার্সেস শ্রীলঙ্কা ম্যাচের কথাই বলছি. ব্যাটসম্যান ছিলেন চন্দ্র পাল. তবে সেদিন ইতিহাস গড়েছিলেন তিনি. শেষ বলে ছক্কা মেরে জয় ছিনিয়ে সবাইকে অবাক করেছিলেন.
Brendan taylor দশ বছর আগে বাংলাদেশের ক্রিকেটে একটি দুঃস্বপ্নের দিন ছিল. বাংলাদেশ ভার্সেস জিম্বাবুয়ে ম্যাচে শেষ বলে জয়ের জন্য পাঁচ রান দরকার ছিল জিম্বাবুয়েদের. ব্যাটসম্যান ছিলেন ব্রেন্ডন টেইলর. অন্যদিকে বলার মাশরাফি কিন্তু সেদিন মাশরাফি হেরে গেলেন টেইলরের কাছে. শেষ বলে দারুণ একটি ছক্কা মেরে ইতিহাসই করেছিলেন টেইলর
নাথান . নিউজিল্যান্ড. বন্ধুরা আপনাদের কি মনে আছে ছয় বছর আগে নিউজিল্যান্ড ভার্সেস শ্রীলঙ্কা ম্যাচটির কথা যেখানে শেষ চার বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল সতেরো রান. অন্য ব্যাটসম্যান থাকলেও হয়তো জয়ের আশা করত নিউজিল্যান্ড দর্শকরা. কিন্তু সেদিন নাথান ভাইয়ের অভাব পূরণ করেন পর পর বাউন্ডারী মেরে দলকে জিতিয়ে শেষ বলে প্রয়োজন ছিল মাত্র এক রান. কিন্তু হেরাতের বলে ছক্কা মেরে দলকে জয় এনে দেন নাথান. তার শেষ চার বলের পরিসংখ্যান ছিল ৬,৪,৬,৬.
রোহিত শর্মা, India. এইতো সেদিনের কথা নিউজ লেন এবং ইন্ডিয়ার ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত গড়ায় সুপার over এ. শেষ দুই বলে Jio র জন্য India র প্রয়োজন ছিল দশ run. কিন্তু batsman যেহেতু শর্মা তাই দর্শকদের স্বপ্নটা ছিল আকাশচম্বী. সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিলেন রোহিত পরপর দুইটা ছক্কা মেরে. ইন্ডিয়াকে জয় এনে দেন রোহিত শর্মা
জুলফিকার বাবর পাকিস্তান ভার্সেস ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের এক পর্যায়ে শেষ বলে জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল এক রান. ব্যাটসম্যান ছিলেন জুলফিকার বাবর. তিনি শেষ বলে বোলারের মাথার উপর দিয়ে ছয় মেরে দলকে জয় এনে দেন
১৯৮৬ সালে ফাইনাল ম্যাচে দারুণ এক ক্রিকেট খেলা দেখতে পেয়েছিলেন দর্শক. পাকিস্তান verses India final match এ শেষ বলে যখন চার রান দরকার তখন পাকিস্তানের ব্যাটসম্যান জাভেদ মিয়াদা strike এ ছিলেন. ভারতের bowler শেষ বলটি জাবেদ মিয়াদার বিশাল একটি ছক্কা মেরে জয় নিশ্চিত করেন পাকিস্তানের.
২০১০ সালের world cup এর quarter final এ ভারতের বিপক্ষে শেষ বলে শ্রীলংকার প্রয়োজন ছিল তিন Run. শ্রীলংকার ব্যাটসম্যান এক বিশাল একটি ছক্কা মেরে সেদিন ভারতের দর্শকদের কাঁদিয়েছিলেন.
লিয়াম প্লাঙ্কেট ইংল্যান্ড. ট্রেন্ড ব্রিজে সেদিন প্লাঙ্কেড জয় ছিনিয়ে আনতে না পারলেও ম্যাচটি জয়ের কোন অংশেই কম ছিল না. শেষ বলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে, ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল সাত রান. কিন্তু planket শেষ বলে বিশাল একটি দৃষ্টি নন্দন ছক্কা মেরে ম্যাচটি tye করেছিলেন. সত্যিই অবিশ্বাস্য একটি ছক্কা মেরে দলকে বাঁচিয়ে ছিলেন তিনি.
মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ বাংলাদেশ. মাহমুদ উল্লাহ কে বাংলাদেশের একজন সেরা ফিনিসর ধরা হয়. দলের প্রয়োজনে তিনি মাঝে মাঝে দারুন ইনিংস খেলে থাকেন. দুই হাজার আঠারো সালের নিদাহজ ট্রফিতে বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার ম্যাচে অনেক না টকীয়তার পর শেষ দুই বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ছয় run. ব্যাটসম্যান শেষ বল পর্যন্ত অপেক্ষা করেননি. পঞ্চম বলেই দুর্দান্ত এক ছক্কা মেরে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন.
MS Dhoni India বন্ধুরা আপনারা জানেন MS Dhoni বিশ্বের সেরা একজন ফিনিশার তাই শেষ বলে ছক্কা মারার লিস্ট এ ধনী থাকবে না তা কোনোভাবেই হয় না. হ্যাঁ দর্শক একবার নয় ধোনি এমন ঘটনা বেশ কয়েকবার ঘটিয়েছেন এই জন্যই তিনি সেরা ফিনিশার. শ্রীলংকার বিপক্ষে একটি ম্যাচে তিন বলে ভারতের প্রয়োজন ছিল পাঁচ রান. কিন্তু এমএস ধোনি শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করেননি. বিশাল একটি ছক্কা মেরে দলকে জয় এনে দেন সেদিন.
প্রিয় দর্শক, শেষ বলে ছক্কা মেরে দলকে জেতানোর কোন মুহূর্তটি আপনার বেশি ভাল লেগেছে কমেন্ট করে জানিয়ে দিন. আজকে এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ.
0 Comments