পৃথিবীতে অনেক অদ্ভুত জিনিস আছে যার কোন ব্যাখ্যা নেই. যেমন আকাশ থেকে পশুদের বৃষ্টিপাত অথবা পিরামিডের ভিতরে পাওয়া অদ্ভুত ব্যাখ্যাহীন উত্তাপের ব্যাতিক্রম. কিছু সময়ে এদের উত্তর পাওয়া যায়. আবার কিছু সময় এই বিষয়গুলি রহস্যই থেকে যায়. যার ব্যাখ্যা বিজ্ঞানীরাও দিতে পারেন না. আজ এই পোস্টে আমরা জানে নেব ছয়টি আশ্চর্যজনক ঘটনা সম্পর্কে যার ব্যাখ্যা আজ পর্যন্ত কেউ দিতে পারেননি. চলুন শুরু করা যাক।
ক্লাউড এটি একটি অদ্ভুত প্রাকৃতিক মেঘ এগুলি দেখতে অনেকটা থলির মতো. যা মেঘের তলদেশে ঝুলে থাকে. এগুলি সাদা ভাদি এবং পুঞ্জীভূত কিউমুলো নিম্বাস মেঘ এই মেঘকে প্রায়ই খারাপ আবহাওয়ার সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়. এবং এটি ঝড়ের পূর্বে বা পরে আবির্ভূত হতে পারে. এদের মাধ্যমে তীব্র ঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়া যায়. যেমন টর্নেটও. কিন্তু কেউ এই মেঘের অদ্ভুত আকৃতির কারণ জানে না. বিজ্ঞানীরা অনেকদিন ধরে এই মেঘেদের নিয়ে পর্যবেক্ষণ করছেন. কিন্তু তারাও মেঘের এই আকৃতির সঠিক কারণ ব্যাখ্যা করতে পারেননি.
পিরামিড . বিজ্ঞানীরা পিরামিড নিয়ে পর্যবেক্ষণ করে চলেছেন. যা বিশ্ব এর সব্তাশ্চর্যের প্রাচীনতম. এই পিরামিডের ভিতরে অজানা তাপের সন্ধান পাওয়া গেছে. যার কোন ব্যাখ্যা নেই. জার্নাল স্ক্যানিং করে দেখা গেছে যে এই পিরামিডের কিছু পাথর অন্য পাথরগুলির থেকে বেশি গরম. পিরামিডের পূর্ব দিকে মাটির স্তরে এই ধরনের উত্তাপের ব্যতিক্রম দেখা গেছে. এই ব্যতিক্রমের কোন কারণ এখনো পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি অনেকেরই অনুমান যে খুফুর পিরামিডের মধ্যে লুকোনো কোনো চেম্বার এই hit anomaly র কারণ.
ওভিল ব্লাউভস. উনিশশো চুরা নব্বই সালের সাতই আগস্ট ওয়াসিংটনের অভ্যেস শহরে ঝড় বৃষ্টি চলাকালীন সময়ে স্বচ্ছ জেলির মতো পদার্থ আকাশ থেকে মাটিতে পড়তে শুরু করে. এই নরম আঠালো পদার্থকে শনাক্ত করার চেষ্টা করা হয় এরপর বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে একটি অদ্ভুত জিনিস আবিষ্কার করেন. তারা দেখেন যে এই পদার্থ গুলির মধ্যে মানব দেহের শ্বেত রক্ত কণিকা রয়েছে. অনেকেই এটির জন্য অনেক রকম কারণ ব্যাখ্যা করেছেন. কিন্তু কোনটিই যথাযথ বলে মনে করা হয়নি. কিছু বিজ্ঞানীদের মতে সমুদ্রের chellyfish বা ব্লগ ঘূর্ণিঝড়ের মাধ্যমে মেঘের সৃষ্টি করে. এবং ৃষ্টির মাধ্যমে ঝরে পরে. কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হলো যে এই বৃষ্টিপাতের ফলে অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন. কুকুর বিড়াল যারা ওই পদার্থের সংস্পর্শে এসেছিল তারা অনেকেই মারা যায়.
লেক হিলিয়ার অস্ট্রেলিয়া. অস্ট্রেলিয়ায় অনেকগুলি গোলাপি জলের জলাধার রয়েছে. ওদের মধ্যে একটি হলো লেক হেলিয়ার. middle eyeland এ অবস্থিত. এই লেকটি রক্ত এর মতো গোলাপি রঙের জলের জন্য বিখ্যাত. এটি ছয়শো মিটার লম্বা এবং চারিদিক দিয়ে ইউক্যালিপটাস গাছ দিয়ে ঘেরা গোলাপি লেকটি বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করেছে. এই লেকটির জলের রং কখনোই পরিবর্তন হয় না. কেউ জানে না এই লেকটির জলের রং গোলাপি কেন? বিজ্ঞানীদের মতে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার ফলে এই লেকটির জলের রং গোলাপি হয়. যদিও এই জল মানুষের জন্য ক্ষতিকারক নয়.
শিকড়রা আইল্যান্ড ইয়েমেন. আপনি কি অন্য গ্রহে ভ্রমণ করার অনুভূতি পেতে চান. তাহলে ইয়েমেনের আইল্যান্ডটি ঘুরে আসুন. এই দ্বীপটিকে পৃথিবীর মধ্যে ভিনকৃহী স্থান বলে মনে করা হয়. এই দ্বীপটিকে উষ্ণতা এবং অনাবৃষ্টি লস্ট ওয়ার্ল্ডও বলা হয়. এই দ্বীপে চারপাশে আটশো রকমের বিরল প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদের সন্ধান পাওয়া গেছে. যার মধ্যে তিরিশ শতাংশ প্রাণী পৃথিবীর অন্য কোথাও পাওয়া না. এই দ্বীপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় গাছের নাম হল ড্রাগনস ব্লাড ড্রি. এই গাছটি অনেকটা ছাতার মতো দেখতে. এই দ্বীপের কিছু কিছু গাছ কুড়ি মিলিয়ন বছরেরও বেশি.
অ্যানিম্যাল রেন বা প্রাণীর বৃষ্টি . প্রাণী বৃষ্টিপাতের এই বিস্ময়কর ঘটনার সূচনা হয় ঐতিহাসিক সময় থেকে. বলা হয় যে প্রথম শতাব্দীতে এ ধরনের ঘটনার লিখিত পাওয়া গেছে. যখন রোমান প্রকৃতিবিদ clinic the adder ব্যাঙ্ক এবং মাছের বৃষ্টিপাতকে তার গবেষণায় নথিভুক্ত করেন. উনিশশো সাতচল্লিশ সালে লুজিয়ানাতে এ ধরনের ঘটনা দেখা যায়. যেখানে আকাশ থেকে মাছের বৃষ্টিপাত হয়. প্রতি square meter এ একটি করে মাছ আকাশ থেকে মাটিতে পড়তে থাকে. এছাড়াও অনেক সময় বিভিন্ন স্থানে পোকা, এবং সাপের বৃষ্টিপাতও দেখা গেছে. কেউ জানে না কিভাবে এই ছোট ছোট প্রাণী গুলি মেঘের মধ্যে আটকে যায়. অনেকের মতে ঘূর্ণিঝড়ে এই প্রাণীগুলিকে উপরে উড়িয়ে নিয়ে পরে বৃষ্টিপাতের ফলে মাটিতে নেমে আসে.
0 Comments